রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার ৯টি উপজেলায় ধরা পড়ছে ইলিশ মাছ। তবে দু'বছর আগে রংপুরের তিস্তায় ইলিশ পাওয়া গেলেও এখন পাওয়া যাচ্ছে না। তিস্তাসহ অন্যান্য নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে পারলে রংপুর অঞ্চলের নদ-নদীগুলো ইলিশের অভয়াশ্রম হতে পারে। তবে এজন্য চাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
রংপুর মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার ৫ উপজেলা এবং গাইবান্ধা জেলার ৪টি উপজেলায় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। তবে দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় পরিমান কম। প্রতিবছর এই দুই জেলায় ৬০ থেকে ৭০ মেটিক টন ইলিশ পাওয়া যায়। সম্প্রতি ৪ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশের ন্যায় ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল এই দুই জেলায়। এসময় একহাজার ৩০০ জেলেকে ২৬০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এদিকে মৎস বিভাগের মতে দুইবছর আগেও তিস্তা নদীর গঙ্গাচড়া মহিপুর এলাকায় ইলিশ পাওয়া যেত। কিন্তু এখন তিস্তায় ইলিশ পাওয়া যায় না। কারণ হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত মৎস জরিপ কর্মকর্তা জুবায়ের আলী বলেন, ইলিশ মূলত সাগরের মাছ। যে সব নদীর সাথে সাগরের যোগ আছে সেই সব নদীতে ইলিশ পাওয়া যায। রংপুর অঞ্চলে বর্ষাকালে ব্রক্ষ্মপুত্র খরস্রোতা হয়ে থাকে তাই ওই সময় সেখানে ইলিশ পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, একসময় তিস্তা খরস্রোতা ছিল। সাগর থেকে তিস্তাতেও ইলিশ আসত ডিম পাড়তে। এই অঞ্চলে ইলিশের আগমন ঘটাতে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই। নদীগুলোকে খরস্রোতা করতে পারলেই দেশের অন্যান্য স্থানের মতো এখানকার নদীতে ইলিশ পাওয়া যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের মৎস্য চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ কুমার বলেন, গাইবান্ধার ব্রক্ষপুত্র নদীতে বর্ষা মৌসুমে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যায। এসব ইলিশ স্থানীয় পর্যায়ে চাহিদা মেটানো হয়।
রংপুর মৎস্য অধিদপ্তররের অতিরিক্ত পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার মোট ৯টি উপজেলায় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের ইলিশ নিধন বন্ধ কার্যক্রমে এই ৯ উপজেলায় ১৩০০ জন মৎস্য চাষিকে সহায়তা দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল