বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নবগঠিত সুখানপুকুর ইউনিয়ন নির্বাচন আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এটি বাংলাদেশের সর্বশেষ ইউনিয়ন। মূলত নেপালতলী ও সোনারায় ইউনিয়নের মাঝামাঝিতে নতুন ১২ নম্বর সুখানপুকুর ইউনিয়নের সৃষ্টি। নতুন ইউনিয়নে প্রথম নির্বাচন, তাই জনগণের আগ্রহ অনেকটা বেশি।
নির্বাচন নিয়ে প্রত্যেকের কাছে বেশ উদ্দীপনা কাজ করছে। জনগণের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চেয়ারম্যান হিসেবে কে আসবেন, এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। বিএনপি দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে যাচ্ছে না। কিন্তু স্বতন্ত্র হিসেবে তারা মাঠে বেশ উজ্জীবিত। এছাড়া ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও রয়েছে ব্যাপক উদ্দীপনায়।
নতুন এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগে নৌকার মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছে দলটির সাতজন প্রার্থী। তবে তালিকার প্রথম দিকেই রয়েছেন দু’জন ‘অনুপ্রবেশকারী’। তারা হলেন-লতিফুল বারী মিন্টু ও জিয়াউর রহমান জুয়েল।
২০০৬ সালে ৩০ ডিসেম্বর বগুড়ার গাবতলী উপজেলার জাপা নেতা রায়হান উদ্দীন রাজু ও চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লতিফুল বারী মিন্টুসহ (টিক চিহ্ন দেওয়া) বেশ কিছু নেতাকর্মী তৎকালীন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন।
লতিফুল বারী মিন্টু বর্তমানে নেপালতলী ইউনিয়নের নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান। এক সময়ের বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় এই জনপ্রতিনিধি এখন উপজেলা আওয়ামী লীগে সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০০৬ সালে তারেক রহমানের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন। তারপর থেকে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে কার্যক্রম চালান। পরবর্তী সময়ে যোগ দেন আওয়ামী লীগে। এরপর নৌকার প্রতীকও পান। ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো তিনি নির্বাচিত হন নৌকার বদৌলতে। যার ফলে বঞ্চিত হন ত্যাগী নেতারা।
বর্তমানে দুই ইউনিয়ন ভেঙ্গে নতুন সুখানপুকুর ইউনিয়ন হলে তিনি এই সীমানায় পড়েন। কাজেই আবারো তিনি নৌকা মার্কায় ভোট করতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
অপর অনুপ্রবেশকারী জিয়াউর রহমান জুয়েল। যিনি ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ইতিপূর্বে তিনি বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক দলের সোনারায় ইউনিয়ন সভাপতি ছিলেন। কিন্তু এখন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা। যোগদানের দুই বছরের মাথায় তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পেয়ে যান। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক প্রাপ্তিতে অনেক এগিয়ে আছেন বলে জানা যায়।
এই দুই নেতার বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান বিষয়ে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজি জুয়েল জানান, যাদের অনুপ্রবেশকারী বলা হচ্ছে, তারা অনেক আগেই আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। তাই তাদের নামের তালিকা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর তালিকায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ অফিসে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই