চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী জামায়াত নেতা এমরান হোসেনের সমর্থকদের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদুস সালাম (৬০) নামের এক মেকানিক নিহত হন।
পুলিশের দাবি সংঘর্ষ চলাকালে জামায়াত সমর্থকদের গুলিতেই সালাম নিহত হয়েছেন। নিহত আবদুস সালাম গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের রামপা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বৈটিকর বাজারের একটি সাইকেল-রিকশার গ্যারেজে মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন। ওই ইউনিয়নে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল হানিফ খান।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় গোলাপগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানিয়েছেন, সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, গত রবিবার ব্যালট গণনা শেষে ফুলবাড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জামায়াত নেতা এমরান হোসেনের সমর্থকরা রাত ৮টার দিকে বৈটিকর বাজারে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে। তারা রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন দিয়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এসময় পুলিশ গিয়ে অবরোধ প্রত্যাহারের চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন আবদুস সালাম। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোলাপগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জামায়াত নেতা এমরান হোসেনের সমর্থকরা হামলা চালালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের ২৬৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে।
গণমাধ্যমকে ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, সংঘর্ষ চলাকালে জামায়াত সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে জামায়াত সমর্থকদের গুলিতেই আবদুস সালাম আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশেরও কয়েকজন সদস্য আহত হন।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) লুৎফর রহমান জানান, মেকানিক আবদুস সালাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম