গুলি বিনিময়ের পর পালানোর সময় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের ঘটনায় সাহসী ভূমিকার জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ট্রাফিক সার্জেন্ট রেকসোনা খাতুনকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার কেএমপি সদর দপ্তরে পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান সম্মাননা ও সাহসিকতার স্বীকৃতি স্বরূপ নগদ অর্থ পুরস্কার দেন।
একই সাথে স্বীকৃতি স্বরূপ খালিশপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন খাঁন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নিমাই চন্দ্র কুন্ডু, এসআই রেজোওয়ান উজ্জামান, পিযূষ দাস, ফয়জুল ইসলাম, এএসআই মো. আনোয়ারুল হক, মো. রাসেল খান, মো. কামরুজ্জামান, কনস্টেবল আকবর আলী এবং কেএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের টিআই নওসের ওসমান, এটিএসআই হুমায়ন কবির, কনস্টেবল মো. ওবাইদুল্লকে নগদ অর্থ পুরস্কার দেয়া হয়।
জানা যায়, ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় খুলনা মহানগরীর বয়রা বাজার মোড়ে সন্ত্রাসীরা দু’টি মোটরসাইকেলে করে ১৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাওনকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তা’ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এসময় দু’টি বোমার বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়। বয়রা বাজার মোড়ে ওই সময় সড়কে কর্তব্যরত ছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট রেকসোনা খাতুন। তিনি দ্রুত বেতারের মাধ্যমে বয়রা কলেজ রোডের অপর প্রান্তে থাকা ট্রাফিক পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। এসময় ট্রাফিক পুলিশের এটিএসআই হুমায়ুন কবির ও কনস্টেবল ওবায়দুল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে সন্ত্রাসীদের গতিরোধ করেন। এসময় ওই নারী সার্জেন্টও সন্ত্রাসীদের পিছু ধাওয়া করে সেখানে উপস্থিত হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের ডিসি মো. তাজুল ইসলাম জানান, বয়রা কলেজের সামনে ওই দুটি মোটরসাইকেল থামার সিগনাল দিলে সন্ত্রাসীরা পালাতে চেষ্টা করে। এসময় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে পিছনের একজন রাস্তার ওপর পড়ে আহত হয়। এরপর তাকে আটক করা হলে তার নিকট থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার ও ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম সাইদুল ওরফে সাইদুর (৩৭)। সে গোবরচাকা ইউনুস সরদারের ভাড়াটিয়া সুলতানের ছেলে। এ ঘটনায় খালিশপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পীযুষ দাস বাদী হয়ে বাবু ওরফে গ্রেনেড বাবু, সাইদুর, পলাশ, ইমনসহ আট জনকে আসামী করে অস্ত্র আইনে মামলা করেন। মামলা নং-১২।
এদিকে আসামী গ্রেফতারের ক্ষেত্রে ট্রাফিক সার্জনের ভূমিকার প্রশংসা জানিয়েছেন সুশীলসমাজ। খুলনা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের ডিসি মো. তাজুল ইসলাম জানান, উদ্ধারকৃত দু’টি পিস্তলে গুলি ভর্তি ছিল। সেখানে যে কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে তারা আসামি গ্রেফতার করেছে এটা প্রশংসার দাবিদার।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন