উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠাণ্ডায় কুড়িগ্রামে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। ঘন কুয়াশা আর মেঘের আবরণে প্রায় সময়টাতেই ঢেকে থাকে গোটা জনপদ। দুপুর গড়িয়ে গেলেও সূর্যের মুখ দেখা যায় না। ফলে রোদের উত্তাপ তেমনটা অনুভূত হয় না। প্রতিনিয়ত ঘন কুয়াশার কারণে এ অঞ্চলের সদ্য আবাদকৃত সবজি ও আলু খেতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষকরা।
সদ্য বেড়ে ওঠা আলু ক্ষেতগুলোর পাতা কুঁকড়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। প্রতিদিন এসব খেতে বিভিন্ন কীটনাশক স্প্রে করে রক্ষার চেষ্টা করলেও তা কাজে আসছে না বলে জানান এসব কৃষক। ঘন কুয়াশার কারণে কোথাও কোথাও আমন বীজতলাও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সদরের কাঁঠালবাড়ী এলাকার কৃষক মো. দেলওয়ার হোসেন জানান, শীতের কারণে আলুতে কিছুটা হিম পড়ে পাতা কুঁকড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। রোদ ঠিকমত পেলে ক্ষতি হবে না।
অন্যদিকে, সদর উপজেলার পাঁচগাছী এলাকার কৃষক রহমান মিয়া জানান, আমি বোরো বীজতলাগুলো অতিরিক্ত ঠান্ডার কারনে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছি। তবে কৃষি বিভাগের পরামর্শে পরিচর্যা করছি। আশা করি নষ্ট হবে না। এদিকে,কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস জানায়, গত কয়েকদিন ধরে জেলার তাপমাত্রা এ অঞ্চলে কমা বাড়ার মধ্য দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বইছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম