বগুড়ার শেরপুরে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের নবগঠিত উপজেলা ও পৌর শাখা কমিটির ৪৯ জন নেতা একযোগে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি নতুন কমিটির সভাপতি-সম্পাদককে হাইব্রিড আখ্যায়িত করে তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। সেই সঙ্গে ওই পকেট কমিটি বাতিল করে দলের পরীক্ষিত ত্যাগী নেতাকর্মীদের পদ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট দাবি জানানো হয়। রবিবার (৩০ জানুয়ারী) বিকেলে শেরপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন দলটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগী নেতাদের স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদ্যঘোষিত উপজেলা শ্রমিকদলের সিনিয়র সহ-সভপতি আব্দুল মান্নান সরকার। তিনি বলেন, বিএনপির সব কর্মসূচিতে শ্রমিকদলের নেতাকর্মী অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন। বিশেষ এই উপজেলায় জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল অত্যান্ত শক্তিশালী। এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা ট্রেড ইউনিয়নভুক্ত ৩৬টি শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অথচ দলের এসব ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি।
অবৈধভাবে গঠন করা কমিটি প্রত্যাখান করে শ্রমিকদল নেতা আব্দুল মান্নান সরকার আরও বলেন, নবগঠিত ওই কমিটি মানি না। সেইসঙ্গে উপজেলা ও পৌর কমিটিতে তাদের নাম থাকায় শ্রমিকদলের ৪৯জন নেতা একযোগে পদত্যাগের ঘোষণা দেন এই সংবাদ সম্মেলনে। পাশাপাশি অবৈধ ওই পকেট কমিটি বাতিল করে দলের পরীক্ষিত ত্যাগীদের নিয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন শেখ, সহ-সাধারণ সম্পাদক কবির শেখ, জাহিদুল ইসলাম, স্বাধীন সরকার, অর্থ সম্পাদক নূরনবী হোসেন, আসাদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক চাঁন মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল মান্নান, ধর্মীয় সম্পাদক এনামুল হক, যোগাযোগ সম্পাদক দুলাল সরকার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানীসহ শ্রমিকদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি সম্পর্কে বক্তব্য জানতে চাইলে শ্রমিকদলের নতুন উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলী সরকার বলেন, শ্রমিকদলের সবাইকে নিয়েই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখানে কারো কোনো আপত্তি নাই। সবাই আমাদের সঙ্গেই আছেন। বরং যারাই সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের কথা বলছেন তারাই শ্রমিকদলের কেউ নন। শ্রমিকদের আসল ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়েই দলের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অভিযোগ তোলার কোনো সুযোগ নেই বলে দাবি করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল