বঙ্গোপসাগরে শুক্রবার রাতে আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে ২৫টি ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ জেলে ও নিমজ্জিত ট্রলার উদ্ধারে রবিবার ভোর থেকে যৌথ অভিযান শুরু করা হয়েছে। দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযানে নৌ-বাহিনীর একটি জাহাজ, কোস্টগার্ডের দুইটি জাহাজ, সুন্দরবন বিভাগের ২টি নৌযান ও দুবলা শুটকি পল্লীর জেলেদের ৫০টি ফিশিং ট্রলার অংশ নিয়েছে।
এখনো নিখোঁজ থাকা ১২ জন জেলে ও নিমজ্জিত ট্রলারগুলোর সন্ধানে বঙ্গোপসাগরে তল্লাশি চালাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। তবে, রবিবার বিকাল পর্যন্ত নিখোঁজ জীবিত বা মৃত আর কোনো জেলের সন্ধান মেলেনি।
সুন্দরবনের দুবলা জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় মোবাইল ফোনে জানান, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাগরে ডুবে যাওয়া ১৩টি ট্রলার উদ্ধার ও নিখোঁজ ২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে, এখনও নিখোঁজ রয়েছে ১২ জেলে। নিখোঁজ বাকি জেলে ও ট্রলার উদ্ধারে যৌথ অভিযান চালানো হচ্ছে।
দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযানে নৌ-বাহিনীর একটি জাহাজ, কোস্টগার্ডের দুইটি জাহাজ, সুন্দরবন বিভাগের ২টি নৌযান ও দুবলা শুটকি পল্লীর জেলেদের ৫০টি ফিশিং ট্রলার অংশ নিয়েছে। রবিবার বিকাল পর্যন্ত নিখোঁজ জীবিত বা মৃত আর কোনো জেলের সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে সোমবারও উদ্ধার অভিযান চলবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গোপসাগর থেকে মামুন শেখ ও ইসমাইল শেখ নামে দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। নিহত মামুন শেখ বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কালীগঞ্জ গ্রামের আনোয়ার শেখের ছেলে ও ইসমাইল শেখ পিরোজপুরের মঠবারিয়া উপজেলার জানখালি গ্রামের আজিজ শেখের ছেলে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর