দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সারা দেশের ন্যায় পটুয়াখালীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে হামলা করেছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে শহরের বনানী সড়কস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী মাহাবুব, জেলা ছাত্রদল সভাপতি শফিউল বাশার উজ্জ্বলসহ অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। হামলার এক পর্যায়ে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেন, আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ তাদের নেতাকর্মীরা আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ স্থলে হামলা করেছে। ছাত্রলীগ যুবলীগ একত্রিত হয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের অন্তত ৫০-৬০ জন নেতাকর্মীকে আহত করেছে। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে এবং টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে। সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী মাহাবুব, জেলা ছাত্রদল সভাপতি শফিউল বাশার উজ্জ্বলসহ বহু নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এতে আমিও আহত হয়েছি।
বিএনপির এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, তাদের অভিযোগ সত্য নয়। সরকারি কলেজ থেকে আমাদের কর্মীরা মিছিল নিয়ে মুসলিম পাড়ার দিকে যাচ্ছিলো। তখন বনানীর মোড়ে গেলে বিএনপি ও এর অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গলির দুই দিক থেকে আমাদের ছাত্রলীগের মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়। উদাহরণ দিয়ে তিনি আরও বলেন, আমার উপর কেউ হামলা করলে, আমি কি তাকে ছেড়ে দেব?
তবে এ ঘটনায় পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল