মোখলেছুর রহমান নামে এক ফুফার বিরুদ্ধে ভাতিজিকে প্রলোভন দেখিয়ে ও ফুসলিয়ে বিয়ে করে সামাজিক ও আর্থিকভাবে হেনস্তা করার অভিযোগ ওঠেছে। পরবর্তীতে ব্ল্যাংক স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে তার নিকট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবির অভিযোগ ওঠেছে। টাকা না দিলে অপহরণ ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন ফুফা।
এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলার দর্জি পয়ারী গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে মো. শাহজাহান মিয়া। শাহজাহান জানান, মোখলেছুর রহমান আমার আপন ফুফু রাশিদা খাতুনের স্বামী। তিনি ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় থাকতেন। পরে তার বোনকে বাড়ি থেকে তার বাসায় কাজ করানোর কথা বলে নিয়ে যান। এর কিছুদিন পর ২০১০ সালে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে মোখলেছ বিয়ে করে ফেলেন আকলিমাকে। এতে সামাজিকভাবে আমাদের মানহানি হয়।
শাহজাহান আরো জানান, বিয়ের পর তার বোনকে দিয়ে নানাভাবে আয় ইনকাম করতেন মোখলেছ। এছাড়া প্রায়ই মারধর করা হতো তাকে। পরে জ্বালা নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে মোখলেছকে ডিভোর্স দেন তার বোন। এরপর থেকে মোখলেছের সাথে তার বোন ও তার পরিবারের দূরত্ব ও মনোমালিন্য হয়। ওই মনোমালিন্যকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে মামলা মোকাদ্দমাও হয়েছে। তার বোনকে ফাঁসাতে ঢাকায় একটি মাজার এলাকায় নিয়ে জোরপূর্বক ব্ল্যাংক স্ট্যাম্পে তার স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এখন মোখলেছ তার নিকট লাখ লাখ টাকা পাবেন বলে দাবি করছেন। গত দুইদিন আগেও বালিকান্দা গ্রামের দুদু মিয়া ও জালাল উদ্দিনকে তার বোনের পরিবারের নিকট পাঠিয়ে ১ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে তার বোনের গোপনীয়তা প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে জানান শাহজাহান।
এ বিষয়ে কলতাকান্দা গ্রামের ওবায়েদুর রহমান খসরু ও ফজল হক জানান, মোখলেছুর রহমানের ডাকনাম পঁচা। আর সে বিভিন্ন খারাপ কাজের সাথে জড়িত। এই পরিবারটিকে সে পঁচায়ে ফেলছে। নানাভাবে হয়রানি করছে। এখন টাকা পাওয়ার কথা বলে কদিন পরপর ওদের বাড়িতে লোক পাঠিয়ে দেয়। চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাদেরকে মারধর করতে উদ্যত হন মোখলেছের লোকজন। পরে তারা ডাক চিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী দৌঁড়ে আসে। এরপর তারা ফিরে যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে দা, লাঠি ও রড দেখিয়ে তাদেরকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে যায়। পরে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোখলেছুর রহমান পঁচার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সব সত্য নয়। আমি তাদের নিকট টাকা পাই। এখন টাকা না দেওয়ার জন্য তারা নানা তালবাহানা করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলপুর থানার এসআই সোলায়মান হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মোখলেছের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ