বগুড়ার শিবগঞ্জে নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর আবু বক্কর ছিদ্দিক (৪৫) নামে এক রাজমিস্ত্রির লাশ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কে বা কারা লাশটি জরুরি বিভাগে রেখে পালিয়ে যান। আবু বক্কর ছিদ্দিক শিবগঞ্জ পৌর এলাকার সুলতানপুর নয়াপাড়া মহল্লার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন রাজমিস্ত্রি আবু বক্কর ছিদ্দিক। রাত আটটা পর্যন্ত বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। এরমধ্যে এক পর্যায়ে মুঠোফোনে খবর আসে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কে বা কারা মৃত অবস্থায় আবু বক্কর ছিদ্দিককে চিকিৎসার জন্য রেখে কৌশলে পালিয়ে গেছে।
পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশের কোনো ওয়ারিশ না পেয়ে শজিমেক মর্গে রেখে দেয়। খবর পেয়ে পারিবারের লোকজন ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিয়ে শুক্রবার বাদ আছর নামাজে জানা শেষে তার গ্রামের বাড়ি সুলতানপুর পৌর কবরস্থানে দাফন করে। ছিদ্দিকের স্ত্রী তাছলিমা বেগম জানান, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আমার স্বামীর দুই হাত, দুই পা ভেঙে এবং শরীরে ইনজেকশন পুশ করে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিহার ইউনিয়নের সংসারদীঘি গ্রামে আমার স্বামীর মায়ের দুই বিঘা জমির অংশ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার মামা ও ভাগ্নেদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন। ছিদ্দিকের মামাতো ভাই মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ছিদ্দিকের সঙ্গে আমাদের কোন বিরোধ নেই। তার মায়ের জমির অংশ ইতোপূর্বে তারা বের করে নিয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি দীপক কুমার দাস বলেন, যেহেতু ঘটনাটি বগুড়া সদর থানা এলাকায়, এ ব্যাপারে সদর থানা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর