ময়মনসিংহের ফুলপুরে চলমান বোরো মৌসুমে ধানের ব্লাস্ট ও খোলপোড়া রোগ বিষয়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ধানের ব্লাস্ট ও খোলপোড়া রোগ বিষয়ে কৃষক পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিম গঠন করা হয়েছে। এসব টিমের সদস্যরা মাঠে, হাট বাজারে, মসজিদ ও মন্দিরে উপস্থিত কৃষকদের কাছে ধানের রোগ বালাই বিষয়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনিং করছেন ও কৃষি বিষয়ক পরামর্শ দিচ্ছেন।
উপজেলার ছনধরা ইউনিয়নের বাইশ কাহনিয়া গ্রামে আজ বুধবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কামরুল হাসান কামু একদল কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ধানের ব্লাস্ট ছত্রাকজনিত অত্যন্ত মারাত্মক একটি রোগ। যা পাতা, গীট ও শীষে দেখা দেয়। এই রোগ হলে পাতায় চোখের ন্যায় ত্রিকোণাকার দাগ দেখা যায়। যার চারদিকে বাদামি ও কেন্দ্র সাদাটে অথবা ধূসর হয়ে থাকে। ধানের শীষ এই রোগে আক্রান্ত হলে তা সবচেয়ে ক্ষতি বয়ে আনে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অথবা মেঘাচ্ছন্ন আকাশ কিংবা দিনের বেলা গরম ও শেষরাতে ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করলে এই রোগের দ্রুত প্রাদুর্ভাব ঘটে। অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করলে ব্লাস্ট রোগ দমনের জন্য ধানের থোর অবস্থার শেষ পর্যায়ে একবার ও শীষ বের হওয়ার সাথে সাথেই অনুমোদিত ছত্রাকনাশক (প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৬ গ্রাম টেবুকোনাজল ও ট্রাইফ্লক্সিট্রবিন বা নাটিভো ৭৫ ডাব্লিউপি, প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৮ গ্রাম ট্রাইসাইক্লাজল বা ট্রুপার ৭৫ ডাব্লিউপি, প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২০ মিলি ফিলিয়া ৫২৫ এসই প্রভৃতির যে কোন একটা বিকেল বেলা) স্প্রে করতে হয়।
অপরদিকে, খোলপোড়া রোগ হলে ধানের খোলে ও পাতায় অনেকটা গোখরো সাপের চামড়ার মতো চক্কর দেখা যায়। ধানের খোলপোড়া রোগ হলে অনুমোদিত ছত্রাকনাশক (প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৬ গ্রাম নাটিভো ৭৫ ডাব্লিউপি, প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০ মিলি এমিস্কোর ৩২.৫ এসসি/এমিস্টার স্টপ, প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২০ মিলি প্রোপিকোনাজল বা টিল্ট ২৫০ ইসি প্রভৃতির যে কোন একটা ছত্রাকনাশক বিকেল বেলায়) স্প্রে করতে হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএ