শিরোনাম
- কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
- ২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
- মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
- টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
- মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
- হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
- থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
- অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
- অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
- মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
- মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড : আলামত সংগ্রহ করছে সিআইডি
- মেক্সিকোর অর্ধশতাধিক রাজনীতিকের ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
- গাজার সব সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘ ও রেড ক্রসের
- ৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ পাঠাল ইসরায়েল
- শরীয়তপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত
- গাজার রাফা ক্রসিং বন্ধ ও সীমিত ত্রাণ পাঠানোর পরিকল্পনা ইসরায়েলের
- আগামী নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে : মির্জা ফখরুল
- কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মিছিল
- গাজার ৮০ শতাংশেরও বেশি ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
- গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
আউশে হাসবে ২০০ হেক্টর গো-চারণ ভূমি
মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা
অনলাইন ভার্সন

কুমিল্লারা বুড়িচং উপজেলার মনোহরপুর, রামপুর, পূর্ণমতি ও শংকুচাইল। এই এলাকার কয়েক শতাধিক হেক্টর জমি খালি পড়ে আছে। সেখানে গরু চরে। এখানে এই মৌসুমে ধান চাষ করা যাবে তা ধারণাই ছিল না স্থানীয় কৃষকদের। এবার সেখানে ২২ হেক্টর জমিতে হাসবে আউশ ধান। সেই সাথে আগামী বছর গুলোতে অন্তত ২০০ হেক্টর পতিত জমি আবাদের আওতায় আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
মনোহরপুর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রামের মাঠে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিঘার পর বিঘা জমি খালি পড়ে আছে। সেখানে চরছে গরু ছাগল। তবে কৃষকরা জানিয়েছেন সেখানের জমি গুলো আর খালি পড়ে থাকবে না। তারা বীজতলা করেছেন। ধানের চারা উঠিয়ে এই জমি গুলো চাষের আওতায় আনবেন। সবুজে হেসে উঠবে ধূসর প্রান্তর।
কৃষি অফিসের সূত্রমতে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বুড়িচং অফিসের উদ্যোগে গত বছর ওই এলাকার পতিত ৯ হেক্টর জমি আউশ আবাদের আওতায় এসেছিল। সেখানে এবার আউশ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছে নতুন ২২ হেক্টর জমি। সে লক্ষ্যে উপজেলার মনোহরপুর, রামপুর, পূর্ণমতি ও শংকুচাইল ব্লকের ১২০ জন কৃষকের মাঝে উফশী ও হাইব্রিড আউশ ধান বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
কার্যক্রমটির পরিকল্পনা ও সমন্বয়কারী বুড়িং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, দেশের খাদ্যের বাড়তি জোগান দিতে মৌসুমি পতিত জমি সমূহ আবাদের আওতায় আনতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। হাতে নেয়া কার্যক্রমটি সফল হলে আনুমানিক ১০০ টন বাড়তি ধান দেশের খাদ্য ভাণ্ডারে যুক্ত হবে। সেই সাথে আগামী বছর গুলোতে অন্তত ২০০ হেক্টর মৌসুমি পতিত জমি আবাদের আওতায় আনা সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করবে।
রামপুর ব্লকের এতবারপুর গ্রামের কৃষক মো. জসিম উদ্দিন জানান, বোরো ধান কাটার পর মাঠের জমি গুলো পতিত থাকত। কেউ কেউ ধৈঞ্চা চাষ করতো। এবার সবাই মিলে আউশ আবাদ করবো। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা এদবারপুর গ্রামের ২০ জন কৃষককে বীজ প্রদান করেছেন। বীজতলা তৈরি, চারার বয়স, চারা রোপন ও সার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন।
মনোহরপুর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রামের কৃষক ওমর ফারুক জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা আমাদের সাথে একাধিক বৈঠক করে সকলকে আউশ আবাদে উদ্বুদ্ধ করেছেন। গত বছর ২ জন আউশ প্রণোদনাসহ সর্বমোট ৮ জন আউশ আবাদ করেছিল। এ বছর বীজ পেয়ে সকলেই আউশ আবাদ করার উদ্দেশ্যে বীজতলা করেছে। আশা করছি বেলবাড়ি মাঠে আউশ আবাদি জমির পরিমাণ ৮০ বিঘার অধিক হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. আফরিণা আক্তার বলেন, রাজস্ব খাতের অর্থায়নে ৬০ কেজি বীজ সহায়তার বীজ এর পাশাপাশি ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়, কুমিল্লার ৩৩০ কেজি ও বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লার ১৮০ কেজি বীজ মৌসুমি পতিত জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যে বিতরণ করা হয়েছে। বীজতলা থেকে কর্তন পর্যন্ত উপসহকারী কৃষি অফিসাররা কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ প্রদান করবেন। আমরা কৃষকের ভালো ফলন নিশ্চিত করতে চাই।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর