তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে পঞ্চগড়ে ঘর পাচ্ছে আরও এক হাজার ৪’শ ১৩টি পরিবার। জেলা প্রশাসনের দাবি, এর মাধ্যমেই দেশের প্রথম ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত জেলা হবে পঞ্চগড়।
আগামী ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ঘোষণা দেবেন বলেও জানিয়েছে, জেলা প্রশাসন। এ উপলক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার মাহান পাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন । সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম ।
তিনি বলেন ‘আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ শ্লোগানে মুজিব শতবর্ষে তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে এক হাজার ৪’শ ১৩টি একক গৃহ হস্তাস্তরের মাধ্যমে ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত জেলা হতে যাচ্ছে পঞ্চগড়। এই জেলার ৪৩ টি ইউনিয়নের মোট ৪ হাজার ৮’শ পঞ্চাশ জন গৃহ ও ভূমিহীন মানুষকে ঘর প্রদান করা হয়েছে। গৃহ ও ভূমিহীন মানুষ নির্ধারণ করার জন্য এর আগে নোটিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের তথ্য বিনিময়, হাটবাজারে ঢোলাইসহ মাইকিং করা হয়। জেলা প্রশাসক আরও জানান প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দুই শতক জমির মালিকানার সাথে এই বাড়িতে থাকছে দুটি করে শোয়ার ঘর, একটি রান্নাঘর, একটি শৌচাগার, বারান্দা ও সুপেয় পানির জন্য নলকূপ। জেলা প্রশাসকের প্রত্যক্ষ মনিটরিং এবং সুপারভিশনে এ জেলার ভূমিহীন পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে এবং উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয় বলে তিনি জানান।
এছাড়া নির্মাণ কাজের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ ছাড়াও নিজ নিজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ প্রত্যক্ষভাবে তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে পালন করেন।
এসময় জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আগামী ২১ তারিখ সকাল ৯ টায় ভার্চুয়াল সংযোগের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চগড় জেলাকে দেশের প্রথম ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী মাহান পাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের উপকারভোগীদের সাথে কথা বলার কথা রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের উপ প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার, মনিটরিং অফিসার নাসির উদ্দিন।
সরেজমিন তেঁতুলিয়া ডাহুক আদিবাসী পল্লীতে দেখা যায়, এই উপজেলার আদিবাসীরা আগে চা বাগানের ভেতরে ছুপড়ি তুলে বসবাস করতো। এখন তারা প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর পেয়েছে । তেঁতুলিয়ার ৮০ টি আদিবাসী পরিবার ঘর পেয়ে খুশি । তারা জানান ছুপড়িতে থাকতে তাদের খুব সমস্যা ছিল। বৃষ্টির দিনে ঘরের ভেতরে পানি ঢুকতো। সন্তান আর পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে রাত পোহাতে হতো। এই আদিবাসী পল্লীর রতন মর্ম জানান, ঘরের অভাবে জীবনে অনেক কষ্ট সহ্য করেছি। কেউ আমাদের খোঁজ রাখেনি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ঘর পেয়ে এখন পরিবার নিয়ে শান্তিতে আছি ।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল