মানিকগঞ্জ ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের গাঙডুবি এলাকায় খিড়াই নদীতে সেতু না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। এ রাস্তায় গাঙডুবি, দিয়াইল নালী, বিজয়নগর, কলতাসহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে। স্কুল-কলেজ, হাট-বাজার, জেলা শহর মানিকগঞ্জ হয়ে রাজধানী যাবার অন্যতম রাস্তা হচ্ছে এটি। নদীতে সেতু না থাকায় কোনো যানবাহন পারাপার হতে পারে না। ভাঙ্গাচোরা কাঠের সেতুই একমাত্র ভরসা। এছাড়া উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকেও বঞ্চিত এলাকার কৃষকরা।
স্থানীয়রা জানান, শত বছরের বেশি সময় ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লোকজন কাঠের সেতু পারাপার হচ্ছেন। বর্ষার পরে কাঠের সেতুর বিভিন্ন জায়গা ভেঙে যায়। আবার জোরাতালি দিয়ে ঠিক করা হয়। দেয়াইল এলাকার গৃহিনী রেবেকা বেগম বলেন, আমার মেয়ে কেল্লাই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। কাজের ব্যস্ততার জন্য সবসময় নদী পার করে দিয়ে আসতে পারি না। বেশীর ভাগ সময় একাই আসা যাওয়া করে থাকে। মেয়েটা বাড়ি না আসা পর্যন্ত মনটা আনচান করতে থাকে। মাঝে মধ্যেই সেতু থেকে লোকজন নদীতে পরে যায়। আমার মেয়ে ছাড়াও অনেক ছোট ছেলে মেয়েরা এই কাঠের সেতু পার হয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, বেশি নেতার কারণে এখানে ব্রিজটি হচ্ছে না। ব্রিজ না থাকার কারণে রাস্তার সংস্কারও হয় না। এ রাস্তায় রিকসা তো দূরের কথা বাইসাইকেল চালানো কঠিন। তিনি আরোও বলেন, রাস্তার এমন অবস্থা রিকসায় করে একটি অসুস্থ লোককেও নিয়ে যাওয়া যায় না। কয়েকবছর ধরে শুনে আসছি নদীতে ব্রিজের টেন্ডার হয়েছে কাজ শুরু হবে। কিন্তু কাজের কিছুই দেখছি না।
এলাকাবাসীর দাবী অসহায় মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে নদীতে একটি পাকা সেতুনির্মাণ ও রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করা হোক। স্থানীয় নালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মধু জানান, খিড়াই নদীতে সেতুর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে ব্রিজ নির্মাণের টেন্ডার হয়েছিল। টাকার পরিমান বেশী হওয়ায় সে টেন্ডার বাতিল করে রি-টেন্ডার করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর ঘিওর উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাজ্জাকুর রহমান জানান, ঘিওর উপজেলার খিড়াই নদীতে ব্রিজ নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। ৯০ মিটার দৈর্ঘ সেতুটি ৮ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকায় বাস্তবায়িত হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল