সালিশের নামে নির্যাতন ও অর্থ আদায়ের অভিযোগে মেহেরপুরে গাংনী থানা পুলিশ বানিয়াপুকুর গ্রামের তিন মোড়লকে আটক করেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাংনি থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলেন শরিয়ত, শহিদুল ইসলাম ও রাশেদুল ইসলাম বিদ্যুত।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, গাংনী বানিয়াপুকুর গ্রামে আপবাদ ছড়িয়ে সালিশের মাধ্যমে নির্যাতন ও অর্থ আদায়ের ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জুবায়ের বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গাংনী থানায় মামলা করে। মামলা আমলে নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তরের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন আটক আসামিদেরকে আজ বুধবার দুপুরে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য বুধবার সন্ধ্যায় জুবায়ের হোসেন (৪০) এ গ্রামের একটি বাড়ির পেছনের জানালায় উঁকি দিয়েছে অভিযোগ তুলে মাহাতাব আলীর ছেলে আলাল, আচেল উদ্দীনের ছেলে রবিউল ও মোজাফের ছেলে আজাম্মেল জুবায়ের হোসেনকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। এরপর তাকে রাতভর বানিয়া পুকুর প্রাইমারি স্কুলের একটি কক্ষে আটক করে রাখা হয়। পরের দিন মঙ্গলবার সকালে প্রাইমারি স্কুল মাঠে গ্রাম্য মোড়লদের নিয়ে সালিশ বসানো হয়। এসময় তাকে বেধড়ক মারপিট করে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সেই সাথে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। ছাড়া পাওয়ার পর মারাত্মক আহত জুবায়েরকে তার পরিবারের লোকজন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ দিন বিকালে জুবায়ের হোসেন গাংনী থানায় মামলা দায়ের করেন।
জুবায়ের হোসেন বলেন, তিনি সোমবার রাতে বানিয়াপুকুর গ্রামের পাশে নিজ পুকুর পাড়ে মাছ পাহারা দিচ্ছিলেন। এসময় গ্রামের মাহাতাব আলীর ছেলে আলাল, আচেল উদ্দীনের ছেলে রবিউল ও মোজাফের ছেলে আজাম্মেল ওই জুবায়ের হোসেনকে বেধড়ক মারপিট রাতে আটকে রাখে। সকালে সালিশ বসিয়ে একলাখ টাকা জরিমানা করে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা