মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৩০ পুলিশ সদস্য, দুই সাংবাদিক, বিএনপি নেতাকর্মী ও পথচারীসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়।
আজ বুধবার বিকাল ৩টার দিকে মুক্তারপুরের পুরোনো ফেরিঘাট এলাকা এই সংঘর্ষ হয়।
আহতদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এসময় বিক্ষুব্ধ বিএনপির নেতাকর্মীরা বৃষ্টির মত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে সড়কে অবরোধ করে রাখে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে মুক্তারপুর এলাকায় জড়ো হতে থাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় হঠাৎ করে তিন দিক থেকে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপির কর্মীরা। পরে পুলিশ আত্মরক্ষায় পাল্টা টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। দীর্ঘ পৌনে একঘণ্টা চলা এই সংর্ঘষে কমপক্ষে ৩০ পুলিশ সদস্য, দুই সাংবাদিক ও পথচারীসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়। এসময় কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
হঠাৎ করে তিন দিক থেকে পুলিশের উপর হামলা চালানো হয়েছে দাবি করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে হঠাৎ করে পুলিশের উপর হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ আত্মরক্ষায় টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণ করি। বিএনপি নেতাকর্মীদের ইটপাটকেলে এএসপি সদর সার্কেল মিনহাজুল ইসলামসহ কমপক্ষে ৩০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত