পুলিশের তাড়া খেয়ে ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদীতে পড়ে নোমান নামে এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস বিভাগের ডুবুরি টিমসহ পুলিশ ও কোস্টগার্ড পৃথক অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি।
এ ঘটনায় এএসআই স্বরূপ কান্তি পাল এবং এএসআই সোহেল রানাকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে। এছাড়া রাসেল ও সজিব নামে দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। পাশাপাশি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জহুরুল ইসলাকে প্রধান করে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে মেঘনা নদীর পাড়ে কয়েক জন যুবক বসে তাস খেলছিল। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিন যুবক নদীতে লাফিয়ে পড়েন। অপর দুইজন তীরে উঠে আসতে পারলেও তাদের মধ্যে মো. নোমান (২৫) নিখোঁজ থাকেন। শুক্রবার বিকালে দিনভর অভিযান চালিয়েও নোমানের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
জেলেরা জানান, মাছ ধরার ফাঁকে অবসর সময়ে জেলেদের সঙ্গে নোমানও নদীর পাড়ে তাস খেলছিল। ওই সময় পুলিশের চার জনের একটি টিম ওই মাছ ঘাটে আসে। পুলিশ দেখে জেলেরা দ্রুত পালাতে গিয়ে নদীতে লাফিয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ কনস্টেবলরা জেলেদের দিকে ইট ছুড়ে মারতে থাকে। এজন্য নোমান উঠে আসতে পারেননি।
এ বিষয়ে দৌলতখান থানার ওসি জাকির হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার পুলিশ টহলে গেলে জেলেরা পালাতে গিয়ে নদীতে লাফিয়ে পড়ে। এতে নোমান নামে একজন নিখোঁজ হন। তার সন্ধানে পুলিশ, কোস্ট গার্ড এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত