ঝিনাইদহে ভুল চিকিৎসায় ৮ বছর বয়সী ইসরাত জাহান মাহিরা নামে এক শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ক্লিনিক মালিক আবু সাঈদ মুন্সী ও কথিত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আটক করেছে। ঘটনার পর ক্লিনিকের নার্সসহ স্টাফরা গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা ইসলামিয়া প্রাইভেট হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শিশু ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাদপুকুর গ্রামের পিন্টু মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকালে মাহিরা পেটে ব্যথা নিয়ে ক্লিনিকে ভর্তি হয়। এরপর চিকিৎসকের দেয়া ব্যবস্থাপত্র মোতাবেক শিশুটির শরীরে পরপর চারটি ইঞ্জেকশন পুশ করে নার্সরা। সন্ধ্যা নাগাদ শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিশুটির মুমূর্ষু অবস্থা দেখে মা শামীমা আক্তার ডিউটিরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুনের শরণাপন্ন হন। অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসক ওই শিশুকে ঝিনাইদহে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে রাত আটটার দিকে শিশুটি মারা যায়।
এদিকে ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তারা ক্লিনিকে ঢুকে ডাক্তারের চেম্বার, অপারেশন থিয়েটার ও প্যাথলজিক্যাল রুমসহ আসবাবপত্র তছনছ করে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ক্লিনিক মালিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মুন্সী ও কথিত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আটক করে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন সুপ্রা রানী দেবনাথ জানান, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিক ভাঙচুর চলছিল। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। এরপর ক্লিনিক মালিক ও কথিত এক চিকিৎসককে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই