ভরা মৌসুমেও স্বস্তি ফেরেনি পাহাড়ি সবজির বাজারে। চাহিদা যেমন, দামও ঠিক তেমন। শুক্রবার সকালে রাঙামাটির বনরূপা, তবলছড়ি ও রিজার্ভ বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
দূর পাহাড়ের জুমের সবজির পাশপাপাশি ছিল সমতলের নানান জাতের সবজির সমাহার। তবে দাম রয়েছে এখনো অপরিবর্তিত। ৫০ থেকে ৬০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি। এতে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যমআয়ের মানুষগুলো।
অভিযোগ রয়েছে, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নজরদারি না থাকায়, নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সবজির বাজার।
রাঙামাটির বনরূপা, তবলছড়ি ও রিজার্ভ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে হাট-বাজারে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিড়। বাজার ছেড়ে সড়কে সড়কে বসেছে হরেক রকম বাহারি সবজির ভ্রাম্যমাণ দোকান। জেলার ১০টি উপজেলার সবজির পাশাপাশি চট্টগ্রামের রাণীরহাট, হাটাজারী, রাউজান ও রাঙ্গুনীয়া থেকে নিয়ে আসা হয়েছে শীতের মৌসুমি সবজি। আকর্ষণ দেখে ক্রেতারা বাজারে ছুটলেও দাম শুনে অনেকে দিয়েছেন মাথায় হাত।
এখনো ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০টাকা, বেগুন কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, সিম ৫০ থেকে ৬০, টমেটো ৬০ থেকে ৭০টাকা, মিষ্টি লাউ কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৭০টাকা, নতুন আলু ৩০ থেকে ৩৫টাকার মধ্যে হচ্ছে বিক্রি। তবে আরও বাড়তি রয়েছে কাঁচামরিচের দাম। বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০টাকা কেজি ধরে। একই সঙ্গে বাড়তি রয়েছে ডিম, মাছ, মাংসের দাম।
স্থানীয় ক্রেতা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, শীত প্রায় শেষের পথে কিন্তু সবজির দাম এখনো ঊর্ধ্বমুখী। সব কিছুেই এতো দাম, যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।
একই অভিযোগ সন্ধারানী দের মুখে। তিনি বলেন, ‘পাহাড়ি জেলা রাঙামাটি। এখানে আয়ের কোনো বাড়তি উৎস নেই। এর মধ্যে এতো দাম দিয়ে যদি সবজি কিনে খেতে হয় মানুষ কীভাবে চলবে?’
তবে বিক্রেতা সঞ্চিয় বড়ুয়া জানান, পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে নেই। বিক্রেতারাও এসব সবজি পাইকারি বাজার কিংবা চাষীদের কাছ থেকে কিনে আনেন। তাপর হাটে নিয়ে আসেন। এতে অনেক সময় তাদের লাভের চেয়ে লোকসানও হয়।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সবজির বাজারে স্বস্তি ফেরাতে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ