বরগুনার আমতলী উপজেলার ডালাচারা গ্রামের জহিরুল ইসলাম (৪২) নামে এক কৃষক নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পাঁচদিন পর সোমবার সকালে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জহিরুল ইসলাম পটুয়াখালী জেলার বিঘাই ইউনিয়নের তিতকাটা গ্রামের চাঁন মিয়া খানের ছেলে। তিনি ১৩ বছর ধরে আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ডালাচারা গ্রামে শ্বশুর সেকান্দার হাওলাদারের বাড়িতে বসবাস করছিলেন। গত ১৮ জানুয়ারি আমতলী বাজারে গরু কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হন জহিরুল।
জানা গেছে, ২০০৮ সালে জহিরুল ইসলামের সাথে উপজেলার ডালাচারা গ্রামের সেকান্দার হাওলাদারের মেয়ে নিলুফা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করছিলেন তিনি। তার স্ত্রী নিলুফা বেগম দুবাই প্রবাসী।
গত ১৮ জানুয়ারি বুধবার সকালে জহিরুল ইসলাম গরু কেনার জন্য আমতলী বাজারে যান। দুপুরের পর থেকেই তার স্বজনেরা তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পায়। এরপর বিভিন্নস্থানে খুঁজতে থাকে। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে তার বড় ভাই মো. মনির খান আমতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর সোমবার সকালে আমতলী ছুড়িকাটা গ্রামে সড়কের পাশে স্থানীয়রা জহিরুলকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করে। স্বজনেরা খবর পেয়ে ওইদিন দুপুরে জহিরুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
জহিরুল ইসলামের ভাই মনির খান জানান, তার ভাই কিভাবে নিখোঁজ হয়েছে, কে বা কারা তাকে নির্যাতন করেছে; সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেন না। তবে গরু কেনার জন্য যে টাকা নিয়ে বাজারে গিয়েছিল সে টাকা এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে না।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পটুয়াখালীতে জহিরুলের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল