চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অভিযোগ পাল্টা-অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নৌকা প্রতীকের লোকজন আপেল প্রতীকের ১১টি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করেন আপেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটন।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওদুদ বলেছেন, গত শনিবার রাতে নৌকা প্রতীকের ৩টি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের নিকট অভিযোগ করা হলে নিজেরাই নিজেদের অফিস ভেঙে নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্ন করতে আওয়ামী লীগের ওপর দোষ চাপাচ্ছে প্রতিপক্ষরা।
এদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটন অভিযোগ করে বলেন, রবিবার রাত ৯টার পর থেকে শহরের বাতেন খাঁর মোড়ের প্রধান নির্বাচনী অফিস, উদয়ন মোড়, রেলগেট, বিদিরপুর, উদয় সংঘ মোড়সহ তার ১১টি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এবং তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন এটা করেছে।
অন্যদিকে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওদুদ পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, গত শনিবার রাতে তার ৩টি নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় ও রিটার্নিং অফিসারের নিকট অভিযোগ করায় নৌকার জনপ্রিয়তায় বেসামাল হয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থী নৌকার ওপর দোষ চাপিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দল ক্ষমতায় থাকলেও আওয়ামী লীগের কোনও নেতাকর্মী এখন পর্যন্ত কোথাও কোন উস্কানিমূলক কাজ করেনি বা আগামীতেও করবে না পক্ষান্তরে প্রতিপক্ষ আপেল প্রতীকের প্রার্থীর লোকজনই উস্কানি ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়। তারা মাঠে কাজ করছেন। তবে নির্বাচনে কোথাও কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকলে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারণ নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যপারে বদ্ধপরিকর।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ