১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৪:৩২

নেত্রকোনায় বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসব

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনায় বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসব

ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত। আর এ বসন্তের হাওয়া লেগেছে সকল প্রাণে। সকাল থেকে বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ শিশু কিশোর যুবা আনন্দে মজেছে। ভিড় জমিয়েছে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরের বকুল তলায়।

গানে আড্ডায় কবিতায় মুখরিত হয় বকুলতলা চত্বর। বয়স যেন কোনো বাধাই নয়। সব বয়সের মানুষের মাঝে রঙের বাহার মিশে গেছে। চত্বরের চারপাশ জুড়ে আলপনা আঁকা দেয়াল। এই আলপনার ভাঁজে ভাঁজে কবিদের কবিতার পঙক্তি লিখা দু চার লাইন করে। এ যেন এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। ধর্ম বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে সকল মানুষ এক অন্তরে গাইছেন বসন্ত বন্দনা।

প্রতি বছরের ন্যায় সাহিত্য সমাজের আয়োজনে অনুষ্ঠানে জেলার সকল সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতায় উৎসবে তবলার লহড়া, বাঁশি, কবিতা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে মঙ্গলবার সকালে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর তবলা প্রশিক্ষক সুব্রত রায় টিটুর নেতৃত্বে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের আঙ্গুলের বোলে তবলার লহড়ায় যেনো চারদিক মুখরিত হয়ে ওঠে। বংশীবাদক মুখলেছুর রহমানের বাঁশিতে উচ্চাঙ্গসুরে ভেসে বেড়ায় কোকিলের কণ্ঠ। এমনি করে জমে ওঠে বকুলতলা চত্বর।

পরে বেলা ১১টায় শোভাযাত্রা শুরুর মধ্য দিয়ে দিবসটির উদ্বোধন করা হয়। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেছেন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. গোলাম কবীর। পরে বকুলতলা চত্বর থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে পৌরসভার মোড় দিয়ে আঞ্জুমান স্কুলের সামনে দিয়ে খালেকদাদ চৌধুরীর কবর জিয়ারত করা হয়। এতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রতিরোধ যোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা অসিত সরকার সজল, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের নেতা আতাউর রহমান মানিক ও সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক অঙ্গণের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও বসন্ত উৎসবে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে বইয়ের স্টলসহ নানা ফুলের বাহার নিয়ে বসেন বিক্রেতারা।    

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সাল থেকে সাহিত্য উৎসবে দেশ বরেণ্য লেখক সাহিত্যিক কবি, সাংবাদিক বুদ্ধিজীবীদের পুরস্কার প্রদান করে আসছে।


বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর