পটুয়াখালীর দুমকিতে লাফিয়ে বাড়ছে পিয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম। মাত্র ৩দিনের ব্যবধানে ৫০ টাকার পিয়াজ প্রতিকেজি ৭০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি ১৪০ টাকার রসুন বিক্রি করা হচ্ছে ১৮০ টাকা। ১৪০টাকার আদা ১৮০ টাকা, চিনি ১৪০-৫০টাকা, সয়াবিন তেল বিক্রি করছে প্রতি লিটার ২০০ টাকায়। পাইকারিতে দাম বাড়ার কারণে পিয়াজের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সোমবার উপজেলার পীরতলা বাজারের মুদি মহাজন গোবিন্দ সাহা বলেন, মোকামে দাম বাড়ার কারণে পিয়াজের দাম বেড়েছে। পেয়াজের পাশাপাশি অন্যসব নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ছোট ফুলকপির পিস বিক্রি করছেন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। আর বড় ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। শালগমের (ওল কপি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। লালশাকের আঁটি ২০ থেকে ৩০ টাকা, পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২শ‘ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা। ছোট ইলিশের (জাটকা) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল