সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে বরগুনার বেতাগী উপজেলার ১১ গ্রাম, আমতলী উপজেলার ৩ এবং তালতলী উপজেলার ২ গ্রামে এবং পাথরঘাটা উপজেলার ১ গ্রামে ৪ শতাধিক পরিবার ঈদুল আজহা উদযাপন করছে। বুধবার সকাল ৮টায় বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী গ্রামে, আমতলীর গোজখালী ছলিমাবদ দরবার শরীফ এবং পাথরঘাটার হাতেমপুর চৌধুরী বাড়ী হাবিবুর রহমান জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বকুলতলী ঈদ জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ মো. রমজান আলী।
ইমাম মো. রমজান আলী বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদুল আজহা পালন করছি। আমরা ঈদুল ফিতরও পালন করেছিলাম একদিন আগে। এবারেও কাজিরাবাদের বকুলতলীতে আমি ঈদের নামাজ পড়িয়েছি। নামাজে শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, প্রায় শতবর্ষ আগে থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খন্তাকাটা, লক্ষীপুরা, গ্রেদ লক্ষীপুরা, কাজিরাবাদ ইউনিয়নের কাজিরাবাদ, বকুলতলী,বুড়ামজুমদারের কাজির হাঁট,পূর্ব কাউনিয়া ও হোসনাবাদ ইউনিয়নের আনোর জলিশা, সরিষামুড়ি ইউনিয়নের উত্তর কালিকাবাড়ি, ভোড়া এলাকারএকটি অংশের প্রায় ১১ গ্রামের চিশতিয়া কাদেরীয়া সম্প্রদায়ের অনুসারীরা রোজা ও ঈদ এবং এবারে ঈদুল আজহা পালন করেছেন।
আমতলী উপজেলার গোজখালী, তক্তাবুনিয়া,আউয়াল নগর, তালতলী উপজেলার আলীর বন্দর ও সোনকাটা গ্রাম এবং পাথরঘাটা উপজেলার হাতেমপুর গ্রামে আজ ঈদ উদযাপিত হচ্ছে।
কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী গ্রামের বাসিন্দা মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, প্রায় ১০০ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগে আমরা রোজা, ঈদ ও এবারে ঈদলু আজহা উদযাপন করেছি। বাংলাদেশের সাতকানিয়া থানার মির্জাখিল দরবার শরিফের নির্দেশে তারা এইভাবে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন বলে জানান।
সদর ইউনিনের খোন্তাকাটা গ্রামের বাসিন্দা আলী আহম্মদ আকন বলেন, ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের সঙ্গে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছি। তাই এখনো সেই নিয়মই পালন করছি।
বিডি প্রতিদিন/এএ