নওগাঁর পোরশা উপজেলায় গৃহবধূকে ধর্ষণের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২-এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার বৃহস্পতিবার (৩১১ আগস্ট) দুপুরে আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়া আসামির নাম আব্দুল হালিম (৩৬)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার ঘাটনগর গ্রামের বাসিন্দা। মামলার পর থেকেই আসামি আব্দুল হালিম পলাতক রয়েছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৯ মে আব্দুল হালিম পোরশা উপজেলার খাদখোড়া গ্রামে তার পূর্ব পরিচিত ও দুঃসম্পর্কের আত্মীয় ভুক্তভোগী গৃহবধূর (২৮) বেড়াতে এসে রাত যাপন করেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে হালিমকে শয়ন ঘরে খাওয়ার পানি দিতে আসলে গৃহবধূকে জোর করে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ওই ঘটনায় গৃহবধূ পরবর্তীতে গর্ভবতী হয়ে পড়ে এবং একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে আদালতে মামলার আবেদন করলে আদালত সেটি গ্রহণ করে মামলাটি সংশ্লিষ্ট থানায় রেকর্ডের জন্য নির্দেশ দেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আদালত ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও উভয়পক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতক শুনে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটির পরিচালনা করেন নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২-এর বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি মকবুল হোসেন। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী এস এম সারোয়ার হোসেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ