২০ অক্টোবর, ২০২৩ ১৫:১৯

বরিশালে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:

বরিশালে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ৫ নম্বর রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মৃধা মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান মিলনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ১২ জন ইউপি সদস্য। গত বৃহস্পতিবার সকালে এই অভিযোগ দায়ের করেন তারা।

অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, চেয়ারম্যান মৃধা মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান মিলন ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সকল সরকারি বরাদ্দ সদস্যদের সাথে সমন্বয় না করে তার ইচ্ছেমত বন্টন করেন। ইউনিয়নে মাসিক সভা না ডেকে সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে চেয়ারম্যান ও সচিব সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সহযোগিতায় তিনি সকল সরকারি বরাদ্দের তালিকা করেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে সকল বরাদ্দ নিজেদের মধ্যে ভাগ বন্টন করেন। চেয়ারম্যান সকল ইউপি সদস্যকে পরিষদে যেতে নিষেধ করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। 

এছাড়া চেয়ারম্যান জন্ম নিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ ও ট্রেড লাইসেন্সে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। ডানিডা ও এডিবি বরাদ্দ, টিআর, কাবিখা, কাবিটা কর্মসূচি, মাতৃত্বকালীন ভাতা, রেশন কার্ড, টিসিবি, ভিজিডি কার্ড নিজের কাছে রেখে কার্ডধারীদের চাল না দিয়ে নিজের পছন্দমত লোকদের দিয়ে থাকেন। পরিষদে চাল না নিয়ে সরকারি গোডাউনে চাল বন্টন, ইউপি সদস্যদের সম্মানি ভাতা না দেয়া, মৎস্য চাল, উন্নয়ন তহবিল, গভীর নলকূপ বন্টন, প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন না করার অভিযোগ করা হয়েছে চেয়ারম্যান মিলনের বিরুদ্ধে। 

লিখিত অভিযোগে সকল সদস্যগণ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে পরিষদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে এবং সম বন্টন পায় তার জন্য অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

১২ জন সদস্যের লিখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রহমতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মৃধা মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান মিলন বলেন, একজন ইউপি চেয়ারম্যান কি দুর্নীতি করতে পারে যদি সদস্যরা সঙ্গে থাকে? সদস্যরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে কিনা তিনি তা নিশ্চিত নন। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একজন নির্ভরযোগ্য কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করবেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন। এটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।  

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর