রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে এবার আমনের আবাদ হয়েছে। এখন কৃষকের স্বপ্ন ধানের শীষে দোল খাচ্ছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তাদের মাঝে স্বস্তির ভাব দেখা গেছে। কার্তিকের মঙ্গা দূর হওয়ায় কৃষকের মাঝে হাসি ফুটতে শুরু করেছে।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় ৬ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সেখানে আবাদ হয়েছে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৬৬২ হেক্টর। প্রতি হেক্টরে গড় উৎপাদন ধরা হয়েছে ৩ মেট্রিক টন।বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ধান কাটা-মাড়াই হয়েছে ৮৮ হাজার ২৪৫ হেক্টর। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কৃষকরা কাটা-মাড়াই শেষ করতে পারবেন।
সিটি করপোরেশেন এলাকার ১০ নং ওয়ার্ডের আমনচাষি আব্দুল মতিন এক বিঘা জমিতে আমন ধান রোপন করেছেন। ফলন ভাল হয়েছে। তিনি ধান ঘরে তোলার অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ভাল ফলন হয়েছে। কাউনিয়ার আফজাল, মঞ্জমিয়া, পীরগাছার বুলবুল, মাহাবুব, সদরের আসাদুজ্জামানসহ বেশ কয়েকজন আমন চাষী বলেন, এবার ধানের ফলন ভাল হয়েছে। তাদের অনেকে আগাম ধান কেটে ঘরেও তুলেছেন। তারা বলেন, কয়েক বছর আগেও কার্তিক মাসে এই অঞ্চলে মঙ্গা থাকতো। কয়েক বছর থেকে আগাম ধান কাটা-মাড়াই হওয়ায় এই অঞ্চলের মঙ্গা দূর হয়েছে।
কৃষকরা বলেন, কাঙিক্ষত বৃষ্টি হওয়ায় তারা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। বৃষ্টি না হলে সেচ দিতে পানি বাবদ বাড়তি খরচ পড়তো। এতে কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যেতো। বৃষ্টি হওয়ায় রংপুরের চাষিরা এবার কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, রংপুর জেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমনের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভাল হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল