উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র বগুড়াকে সবজির ভান্ডার বলা হয়। দেশের সিংহভাগ সবজির চাহিদা মেটায় এই জেলা। অনাবৃষ্টি ও খরায় আবাদ কম হওয়ায় বেড়েই চলছে দাম। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষদের সবজি কেনা কঠিন হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, কলোনী ও খান্দার বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি সবজির দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি প্রতি বেড়েছে। টানা কয়েক দিনের দাবদাহ ও অনাবৃষ্টিতে সবজির আবাদ নষ্ট হয়েছে। যার ফলে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে প্রভাব পড়েছে কাঁচা বাজারে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতিরিক্ত খরায় কৃষকের সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম। পাইকারি বাজারে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দাম আবারও কমে যাবে।
এদিকে ক্রেতারা বলছেন, অতিরিক্ত গরমের অজুহাতে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। এখন বাজারে ৫০ থেকে ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় এই কষ্ট যেন কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
জানা যায়, বগুড়ার বাজারগুলোতে প্রতিটি সবজির দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি প্রতি বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। ৪০ টাকার পোটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। করলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ঢেঁরস ৪০ টাকা কেজি, গাজর ৫০ টাকা কেজি, লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, টমেটো ৫০ টাকা কেজি, বরবটি ৬০ টাকা কেজি, আলু ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, শসা ৫০ টাকা কেজি, তরি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, পাতাকপি প্রতি পিচ ৬০ টাকা, ফুলকপি ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁয়াজের দাম বেড়ে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ৮০ টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।
ফতেহ আলী বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান পটু জানান, বগুড়াসহ সারাদেশে চলমান দাবদাহে কৃষকের ফসলী জমির ক্ষেত পুড়ে গেছে। আর সে কারণেই ফলন কমেছে সব ফসলের। তার মধ্যে বগুড়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সবজির আবাদের। ফলে বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি।
বাজারে সবজি কিনতে আসা দৌলাতুজ্জামান প্রামানিক জানান, আমার বাড়ি সাবগ্রামে। প্রতিদিন সকালে হাঁটতে এসে ফতেহ আলী বাজার থেকে সবজি কিনি। আজ বাজারে এসে দেখি সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল