বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারে রাস্তা ভেঙে পানি ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে। এতে তলিয়ে গেছে জেলার নিম্নাঞ্চল। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে কমলনগরের নাসিরগঞ্জ, মাতাব্বর হাট, নবীগঞ্জ, মতিরহাট, ও পাটোয়ারীর হাট এলাকা।
লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েকশ যাত্রী। পারাপার বন্ধ রয়েছে যানবাহন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলাজুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় দুর্ভোগ বাড়ছে খেটে খাওয়া মানুষ ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত থেকে লক্ষ্মীপুরে টানা বৃষ্টি শুরু হয়। কখনও মাঝারি আকারে আবার কখনও মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে সারারাত। এতে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। চরমার্টিন এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
মজুচৌধুরীর হাট লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক সুপারভাইজার শরীফুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতে নদীতে সতর্কতা সংকেত দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ভোলা-বরিশালের উদ্দেশে লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল রুটে পাঁচটি লঞ্চ চলে। এর মধ্যে দুটি বরিশাল যায়। লঞ্চগুলোর মধ্যে তিনটি এখন মজুচৌধুরীর হাট ঘাটে রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, জেলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। তথ্য সংগ্রহের কাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে বিভিন্ন জায়গায় গাছের ডাল ভেঙে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ