নারকেল পাতার ঘড়ি, চশমা ও সুপারি গাছের খোলের রাজ্যে প্রবেশে রয়েছে কলা গাছের গেট। ভেতরে ঢুকতে লাগবে কাঁঠাল পাতার পাসপোর্ট!
বিদ্যালয়ের মাঠে সাজানো রয়েছে ফুলপল্লী, য়েখানে রয়েছে ফুলের গয়না, ফুলের খেলনা। ফলকান্দিতে পাতার খেলনা তৈরি, নারকেল পাতার ঘড়ি, চশমা, সুপারি গাছের খোলে চড়া। ঔষধিপাড়ায় গাছের পাতা, ছাল, ফল দিয়ে উপকরণ তৈরি, গাছ ডাক্তার, প্রাথমিক চিকিৎসা। গাছনগরীতে কাঠের খেলনা তৈরি, নারকেল ডালের ক্রিকেটের ব্যাট ও ডাংগুলি খেলা প্রদর্শন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ছিলেন একজন বৃক্ষরাজা। যিনি পাতায় নিজেকে আবৃত করেন। তার বক্তব্য, পরিবেশ রক্ষায় তার রাজ্যে বসবাস করার পূর্বশর্ত একটি বৃক্ষরোপণ করা।
বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সদর উপজেলার মাঝিগাছা আক্তারুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫০ হাজার গাছের চারা বিতরণের সমাপনী অনুষ্ঠানে এরকম আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ। অনুষ্ঠানে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান মাঝিগাছা আক্তারুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়, আমড়াতলী উচ্চ বিদ্যালয়, রিলায়েন্স বহুমুখী কলেজ, রূপসী বাংলা পাইলট স্কুল ও বাংলা মিশন পাবলিক স্কুলের এক হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা, কুমিল্লা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল মলিক, লালমাই গ্রুপ আরকুর নির্বাহী পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মো. মোক্তার হোসেন, সংগঠনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান স্বপন, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নাহিদ সুলতানা প্রমুখ।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম জানান, গত সাড়ে ১৪ বছর লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ৬ লাখের বেশি চারা বিতরণ করেছে। এ বছরও ৩৭ টি জেলায় ৫০ হাজার গাছের চারা বিতরণ করেছেন, বৃহস্পতিবার ছিল সমাপনী অনুষ্ঠান।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ