শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সুন্দরবনের সুরক্ষা

প্রধান বিচারপতির আহ্বান আশাজাগানিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুন্দরবন রক্ষায় বাগেরহাটের আইনজীবীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। বলেছেন, আমাদের দেশের বন কমতে কমতে বনাঞ্চল ৮ থেকে ১০ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। সুন্দরবন না থাকলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে আপনারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আপনাদের পরবর্তী প্রজন্ম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে এ উপক‚লীয় এলাকার পানিতে লবণাক্ততা বেড়েছে। কমে যাচ্ছে কৃষিজমির উর্বরতা। দেখা দিয়েছে খাওয়ার পানির সংকট। সুন্দরবনের বাঘ-হরিণ শিকারি ও বন ধ্বংসকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সুন্দরবনসংলগ্ন জনপদ বাগেরহাট জেলার আইনজীবীদের উদ্দেশে দেওয়া প্রধান বিচারপতির বক্তব্য তাৎপর্যের দাবিদার। বিশ্বের বৃহত্তম বাদাবন, বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃত সুন্দরবন সুরক্ষার সঙ্গে বাংলাদেশের পরিবেশ সুরক্ষণের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাসসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উপক‚লীয় এলাকাকে রক্ষা করে থাকে এই অনিন্দ্যসুন্দর বাদাবন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য কিছু লোভী মানুষের জন্য সুন্দরবনের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। একসময় সুন্দরবনের বিস্তৃতি ছিল আরও ব্যাপক এলাকাজুড়ে। বন থেকে বেপরোয়াভাবে বৃক্ষ নিধন এবং বনের রক্ষক হিসেবে বিবেচিত সুন্দরবনের বাঘ নিধন সুন্দরবনের অস্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে যান্ত্রিক নৌযান চলাচল এবং পরিবেশদূষণের ঘটনা বিশ্বের বৃহত্তম বাদাবনের জন্য বিসংবাদ সৃষ্টি করছে। এর পাশাপাশি এ বনের সন্নিকটে শিল্প কলকারখানা স্থাপন বা বায়ুদূষণের হুমকি নিজেদের পায়ে কুড়াল মারার মতো অপরিণামদর্শিতা কিনা প্রশ্ন উঠেছে। সুন্দরবন সুরক্ষায় বাগেরহাটের আইনজীবীদের ভ‚মিকা পালনের যে তাগিদ প্রধান বিচারপতি দিয়েছেন তা বিশেষ গুরুত্ববহ ও আশাজাগানিয়া। আইনজীবীরা সমাজের অগ্রসর অংশ। শুধু বাগেরহাট নয়, সুন্দরবনসংলগ্ন জেলাগুলোর আইনজীবীরা সবার প্রিয় এই বাদাবনের সুরক্ষায় যতœবান হলে তা যেমন জনসচেতনতা সৃষ্টিতে অবদান রাখবে তেমনি বন রক্ষায় যেসব আইন রয়েছে তার যথাযথ প্রয়োগও নিশ্চিত হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর