লর্ড ওয়েলেসলি একজন ঘোর সাম্রাজ্যবাদী ছিলেন। ভারতে ব্রিটিশ শক্তিকে সর্বাত্মক করে তোলাই ছিল তার প্রধান লক্ষ্য। এ ছাড়া দেশীয় রাজ্যগুলোর রাষ্ট্রনীতিতে ব্রিটিশ প্রভাব ও প্রাধান্য নিষ্কণ্টক করাও ছিল তার অন্যতম উদ্দেশ্য। এ উদ্দেশ্য সাধনে তিনি তার পূর্ববর্তী শাসক স্যার জন শোরের নিরপেক্ষ নীতি পরিত্যাগ করে এক সক্রিয় রাষ্ট্রনীতি প্রবর্তন করেন। এটিই ইতিহাসে ‘অধীনতামূলক মিত্রতা’ নীতি নামে পরিচিত। এ নীতি অনুসারে যেসব দেশীয় নৃপতি ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে মৈত্রীসূত্রে আবদ্ধ হবেন তাদের রাজ্যের নিরাপত্তার দায়িত্ব কোম্পানি গ্রহণ করবে। এর বিনিময়ে তারা ব্রিটিশ সরকারের বিনা অনুমতিতে অন্য কোনো রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে বা কোনো প্রকার আলাপ-আলোচনা চালাতে পারবেন না। স্বীয় রাজ্যে তাদের একদল ব্রিটিশ সৈন্য নিজেদের খরচে পোষণ করতে হবে অথবা তা পোষণের জন্য ব্রিটিশ সরকারকে রাজ্যের একাংশ ছেড়ে দিতে হবে। এ নীতির ফলে দেশীয় রাজন্যবর্গকে অস্তিত্ব রক্ষার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে রাজনৈতিক স্বাধীনতা জলাঞ্জলি দিতে হয়।