শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

মহেশখালীর অস্ত্র কারখানা

অপরাধীদের দমনে উদ্যোগ নিন

কক্সবাজারের মহেশখালীকে বলা হয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনন্য লীলাভূমি। দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপও এটি। বাংলাদেশের প্রকৃতিতে এ দ্বীপ এক স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের দাবিদার। কিন্তু যোগাযোগের ক্ষেত্রে দুর্গম মহেশখালীর পাহাড়গুলো সন্ত্রাসী ও অপরাধী চক্রের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সরেজমিন প্রতিবেদনে মহেশখালীর ১১টি পাহাড়ে ২২টি অস্ত্র কারখানা গড়ে ওঠা এবং সেখানে তৈরি অস্ত্র সমাজবিরোধীদের কাছে সরবরাহের যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে তা উদ্বেগজনকই শুধু নয়, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার জন্যও হুমকিস্বরূপ। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের অস্ত্রের প্রধান সরবরাহ যায় মহেশখালীর ১১টি দুর্গম পাহাড়ে গড়ে ওঠা অস্ত্র তৈরির ২২টি কারখানা থেকে। ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের কড়ইবুনিয়ার মুদির ছড়া পাহাড়, পাশের দেবাঙ্গীর পাহাড়, আধারঘোনা পাহাড়, হোয়ানক ইউনিয়নের বালুঘোনা, কেরুনতলীর পাহাড়, কালার মার ছড়ার মোহাম্মদ শাহ ঘোনা, ফকিরজোম ও ভাঙ্গামুরা পাহাড়, ইউনুসখালীর ধুয়াছড়ি পাহাড়, বড় মহেশখালীর মুন্সির ডেইল, মাঝের ডেইল, কমলাঘোনা শুরঘোনা পাহাড়, দেবাইঙ্গাপাড়া, বড় ডেইল, শুকরিয়াপাড়া, ফুড়িরঝিড়ি পাহাড়, শিয়াপাড়া, ভারুইতলী পাহাড়, চোলাই পাহাড় ও পানির ছড়া পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানা রয়েছে। মহেশখালীর দুর্গম পাহাড়ে বিপুলসংখ্যক অস্ত্র কারখানা ও সমাজবিরোধীদের আড্ডা ধ্বংসে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনটি তাগিদ সৃষ্টি করবে আমরা এমনটিই দেখতে চাই। দেশের আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে অবিলম্বে সেখানে র‍্যাব ও পুলিশের অভিযান চালিয়ে অস্ত্র কারখানার হোতাদের পাশাপাশি তাদের পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় আনা হবে এমনটিই কাঙ্ক্ষিত।

সর্বশেষ খবর