বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যথেচ্ছতায় লাগাম পরাতে দৃশ্যত সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আইন না মানা ৪৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে না গেলে জানুয়ারি থেকে ভর্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সরকারের এই ইতিবাচক পদক্ষেপে সাড়া দিয়ে প্রথম দিকে যোগ্য উদ্যোক্তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসেন। তার পরই শুরু হয় শিক্ষার নামে নিছক বাণিজ্য করার প্রবণতা। যেনতেনভাবে অর্থ উপার্জনের নিকৃষ্ট লক্ষ্য নিয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো একের পর এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রাথমিক স্কুলের জন্য অপর্যাপ্ত এমন স্বল্প পরিসরেও প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তথাকথিত ক্যাম্পাস। শিক্ষাবাণিজ্যের উদ্যোক্তাদের রাজনৈতিক কানেকশনের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ৪৯টি বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া নির্দেশনায় মনে করা হচ্ছে সেই অসহায় অবস্থা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার নির্দেশনা ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনা তদারকি করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে সরকারের দফায় দফায় সময় বাড়ানোর পরও তা অমান্য করায় যে এমন আলটিমেটাম এলো তা সহজে অনুমেয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী সাময়িক সনদের মেয়াদোত্তীর্ণ ৪৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরসংক্রান্ত গঠিত কমিটির সভা শেষে গত মাসে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না গেলে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ইতিমধ্যে জানুয়ারি থেকে ছাত্র ভর্তি বন্ধ রাখতে হবে— এমন হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। স্মর্তব্য, কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করার পর তাতে কার্যক্রম শুরু করেনি। আবার কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জমি কিনলেও এখনো পর্যন্ত নির্মাণকাজ শুরু করেনি। বার বার স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরুর তাগিদ দেওয়ার পরও যারা সুমতির পরিচয় দেয়নি তাদের সুমতি ফেরাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পদক্ষেপ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমরা আশা করব কোনো অজুহাতেই এ পদক্ষেপ থেকে তারা সরে আসবে না।
শিরোনাম
- আইসিসির মাসসেরার দৌড়ে রাবাদা-মার্করামের সঙ্গে নিসাঙ্কা
- পাকিস্তানে বৃষ্টি-বন্যায় ১৯ জনের প্রাণহানি
- গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
- ৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি
- বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
- আফতাবনগরে দেয়াল ধসে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
- কক্সবাজার সীমান্তে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার
- যাত্রাবাড়ীতে গ্রীল কেটে প্রবেশ করে বৃদ্ধকে হত্যা
- ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি
- টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
- হেরে যাওয়ার সেই ধারা ভাঙতে পারলেন জোকোভিচ
- ক্লাব বিশ্বকাপে চমক দেখিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার
- ১৪ বছর পর নতুন করে ফিরছে আজম খানের 'উচ্চারণ'
- টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস
- গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৮ জুলাই)
- বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প
- ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী
- দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কৃষকদলের সদস্য সচিব বহিষ্কার
- জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের নামে নামকৃত চত্বর ও সড়ক উদ্বোধন
স্থায়ী ক্যাম্পাসে না গেলে ভর্তি বন্ধ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুমতি হোক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

মাদারীপুরে হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত
৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ
১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে বীরভূমের বাংলাভাষী পরিবার এখন বাংলাদেশে
২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম