শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

লক্ষ্য অর্জনে প্রত্যয়দৃঢ় নেতৃত্ব চাই

নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রিন্ট ভার্সন
লক্ষ্য অর্জনে প্রত্যয়দৃঢ় নেতৃত্ব চাই

গণতন্ত্রের মূল নির্যাসই হলো মৌলিক অধিকার। মৌলিক অধিকারের সংজ্ঞাটিও সোজাসাপ্টা, নির্মল ও পরিষ্কার। আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জন্ম হতেই গণতন্ত্রের পক্ষে-বিপক্ষে নানারকম যুক্তিতর্ক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইতিহাসে বিবৃত রয়েছে। পেস্নটো, অ্যারিস্টটল থেকে শুরু করে হ্যারল্ড লাস্কি পর্যন্ত নানা গুণীজনের জ্ঞানদীপ্ত আলোচনা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিশেস্নষণকেই শুধু সমৃদ্ধ করেনি, গণতন্ত্রের পক্ষে-বিপক্ষে তথ্য-উপাত্ত যতকিছুই এসেছে, তার মধ্য দিয়ে একটি সত্য প্রতিষ্ঠিত—ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। গণতান্ত্রিক সরকারের যারা সমালোচনা করেছেন, তাদের বাক্যবাণও ছিল সুতীড়্গ্ন। ‘শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকার’ বা ‘সংখ্যাভিত্তিক সরকার, গুণভিত্তিক নয়’—এ ধরনের অসংখ্য উক্তি, সমালোচনা-পর্যালোচনায় স্থান পেলেও উপসংহারের অববাহিকায় যুগ যুগ ধরে যে সত্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা হলো—হাজারো ত্রুটি-বিচ্যুতি সত্ত্বেও প্রান্ত্মিক জনতার স্বার্থের রক্ষাকবচ গণতন্ত্র। এই গণতন্ত্রই রাষ্ট্রকে একনায়কতন্ত্রের অভিশপ্ত ছোবল থেকে রক্ষা করতে পারে। সামরিক শাসন ও স্বৈরতন্ত্রের রাহুর কবল থেকে দেশকে অবমুক্ত রাখতে পারে। সে ক্ষেত্রে সব রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও মনীষীদের অভিমত, গণতন্ত্র অবশ্যই মৌলিক অধিকার সমন্বিত, অন্যদিকে বিশেষণ-বিবর্জিত বা অবারিত হতে হবে। ‘মৌলিক গণতন্ত্র’, ‘শোষিতের গণতন্ত্র’, ‘সর্বহারার গণতন্ত্র’— এসবের শৃঙ্খলে দেশে-দেশে কালে কালে মানুষ শুধু শাসিতই হয়নি, গণতন্ত্রের অবমূল্যায়নও হয়েছে মারাত্মকভাবে। মার্কস, অ্যাঙ্গেলস থেকে শুরু করে লেনিন, স্ট্যালিন; অন্যদিকে মাও সে তুং ও তাঁর অনুসারীরা সর্বহারার শাসনকেই নির্ভেজাল গণতন্ত্রের শক্ত পাদপীঠ হিসেবে বিশ্বাস করে সমাজতান্ত্রিক বিপস্নবের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে শুধু দীর্ঘদিন রাষ্ট্র পরিচালনাই করেননি, একটি নতুন মতবাদের শক্তিশালী ভিত রচনা করে যে বৈপস্নবিক সরকার প্রতিষ্ঠা করেন, সেখানেও লেনিনের সুস্পষ্ট ঘোষণা ছিল—সর্বহারার সরকারই মূলত গণতান্ত্রিক সরকার। এ প্রশ্নে এত আলোচনা, সমালোচনা ও পর্যালোচনা হয়েছে যে, এই ক্ষুদ্র নিবন্ধে সেই বিসত্মৃত আলোচনায় যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে বিনম্র চিত্তে এই নিবন্ধের পাঠকদের আমি স্মরণ করাতে চাই, সেই ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন থেকে রাজনীতিতে সরব পদচারণা শুরুর সময় হতে আজ পর্যন্ত আমি স্থির প্রত্যয়ে বিশ্বাস করি, ‘শোষিত’ ‘সর্বহারা’ ‘মৌলিক’— যে কোনো বিশেষণের মোড়কে পুরলেই গণতন্ত্রের স্বকীয়তা ক্ষুণ্ন হয়।

আজকে রাজনীতিও তেমন রমরমা নাই। বিশ্বজোড়া সমাজতন্ত্রের নিনাদও আজ গগণবিদারী নয়। রাশিয়ায় এবারও ৭০ ভাগের বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী পুতিন যে আদলে রাশিয়ার শাসনব্যবস্থাকে সাজিয়েছেন, তাকে মৌলিক অধিকার সমন্বিত বলা না গেলেও একদলীয় শাসনব্যবস্থা যে নয় তা স্পষ্ট, সর্বহারার শাসনের নামে নির্বাচন ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি, বিবর্তনের ধারায় রাশিয়া বর্তমান অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।

এই আঙ্গিকে বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিকতায় আসলে অবশ্যই উল্লেখ করতে হয়, সমাজতন্ত্র নামক ব্যাধি স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হয়। এ লেখা যখন লিখছি তখন আগস্ট মাস; যে মাসে আমরা জাতির জনক, বাংলার মানুষের হৃদয়ের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত মুকুটহীন সম্রাটকে হারিয়েছি, সেই মাসে প্রচ- ব্যথা-ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আমাকে উল্লেখ করতে হয়, ভ্রান্ত সমাজতন্ত্রীদের সুপরিকল্পিত এবং সূক্ষ্ম কূট-কৌশলে পাতা ফাঁদে বঙ্গবন্ধুকে পড়তে হয়েছিল। পাকিসত্মানের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বঙ্গবন্ধু গণতান্ত্রিক পথপরিক্রমণের বিজয়ী সেনাপতি হিসেবে একটি নিরবচ্ছিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্দিষ্ট স্র্র্রোতধারায় প্রান্ত্মিক জনতার মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আদর্শিক রাখিবন্ধন তৈরি করে স্বাধীনতার স্বর্ণসৈকতে জাতিকে পৌঁছে দিয়েছিলেন। পরাধীনতার বক্ষ বিদীর্ণ করে স্বাধীনতার সূর্যকে ছিনিয়ে এনেছিলেন। এখানে তাঁর মন্ত্র ছিল— গণতন্ত্র ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং তার অকুতোভয় সৈনিক ছিল ছাত্রলীগ। তাঁর এই দীর্ঘদিনের অভিযানে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি আন্দোলনে কোনো বিভ্রান্ত্মি আনতে পারেনি। আর পারেনি বলেই একটা নিরীহ নিরস্ত্র জনগোষ্ঠীকে নিয়ে পাকিসত্মানের হিংস্র সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের নেতৃত্বে তাঁর রণকৌশল বিশ্বের কাছে আজও পরম বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের রাজনীতির মধ্যে বামধারার রাজনীতি দ্বারা আক্রান্ত গণতন্ত্র তার স্বকীয়তা হারায়। বহুদলীয় গণতন্ত্রের খোলনলচে বদলে গিয়ে অনেকটা যেন হঠাৎ করেই একদলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থায় ঘনঘোর অমানিশার আবর্তে পড়ে যায়। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বামধারার রাজনীতির দুর্দদমনীয় মনসত্মাত্ত্বিক আক্রমণ বঙ্গবন্ধুকেও এমন মারাত্মকভাবে প্রভাবান্বিত করে যে, তিনি একদলীয় শাসনব্যবস্থার প্রচলন তো বটেই, শাসনতন্ত্রের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বাকশাল গঠন করেন। এই ব্যবস্থা প্রচলনের প্রচেষ্টাকালে আমি অকুতোভয়ে আমার সর্বশক্তি দিয়ে বিরোধিতা করে তা রুখতে তো পারিইনি, বরং আকাশ হতে বিচ্যুত নক্ষত্রের মতো রাজনীতিতে নিষ্প্রভ ও নিষ্ক্রিয় হতে বাধ্য হই। জীবনসায়াহ্নে এসে এ জন্য আমার কোনো আফসোস নেই, বরং যৌবনের সেই অকুতোভয় ও উদ্ধত আচরণ আমার জীবনের প্রচ- অহংকার এবং প্রজ্বলিত অনুপ্রেরণা হিসেবে আজও আমাকে উদ্দীপ্ত করে, উজ্জীবিত করে, উদ্বেলিত করে। কিন্তু একটি দুঃখ আজও আমার বক্ষজুড়ে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ ঘটায়। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, ১৫ আগস্টের হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের অনেকের ফাঁসি হয়েছে, অনেকে নানাবিধ সাজা এমনকি মৃত্যুদ- নিয়ে প্রবাসে পালিয়ে রয়েছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পথপরিক্রমণের চিরায়ত ধারায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে অথবা নানাপ্রকার অপপ্রচার চালিয়ে গণবাহিনীর গণহত্যা, পাটের গুদামে আগুন, খাদ্যগুদাম লুট ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে জনগণের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ঈদের জামাতে সংসদ সদস্য হত্যার মাধ্যমে প্রশাসনিক ব্যর্থতার একটা দায়ভার বঙ্গবন্ধুর স্কন্ধে চাপিয়ে দিয়ে তাঁর প্রশান্ত হৃদয়কে তারা শুধু আতঙ্কিতই করে তোলেনি, বরং ধীরে ধীরে তাঁকে একদলীয় স্বৈরশাসনের মানসিকতা তৈরিতে উপাদান জুগিয়েছে। তাদের বিচার তো অনেক দূরের কথা, তারা আজ রাজনৈতিক সমালোচনার আবর্তেরও অনেক ঊর্ধ্বে। সেদিনের গণবাহিনীর অনেক নায়ক আজকে রাজনীতির চালকের আসনে। শেখ হাসিনার শাসনামলে নির্বাচনের ব্যবস্থা আছে, বহুদলীয় শাসনব্যবস্থাও কাগজে-কলমে প্রচলিত আছে। কিন্তু দেশ ক্রমে ক্রমেই একদলীয় এবং একব্যক্তির স্বৈরশাসনে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমাদের দেশের একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ, ‘কাজীর গরু খাতায় আছে, গোয়ালে নাই’। গণতন্ত্রও তেমনি আজ রুগ্ন ও বিবর্ণ অবয়বে শাসনতন্ত্রে আছে কিন্তু বাস্তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে নাই। নির্বাচন কমিশনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নিবন্ধিত দলগুলো তো বটেই, প্রধান বিরোধী দলও আজ পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীর মতো নিষ্প্রভ। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দলের অংশীদারিত্বও আজ অনিশ্চিত। এই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ওঠার কোনো বাস্তব উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে নেই। তবে একটি রাজনৈতিক সংঘাত এড়াতে হলে আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তার লক্ষ্যে একটি যথাযথ ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই হবে।

এ বছরেরই ডিসেম্বরের শেষের দিকে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনের আগে নির্বাচনের আঙ্গিকে সভা-সমিতি, মিছিল-সেস্নাগানে রাজনৈতিক অঙ্গনে সরব ও উচ্চকিত হওয়ার কথা। তার আলামত এখনো সুস্পষ্ট নয়। প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারারুদ্ধ। তাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার সম্ভাবনাও প্রকট। অন্যদিকে বিএনপির কোনো প্রতিবাদী পদক্ষেপ ও কার্যকারিতা নাই। এর জন্য পুলিশ ও র‌্যাব কতটা দায়ী অথবা বিএনপির গণতান্ত্রিক গণআন্দোলন সৃষ্টির অক্ষমতা কতটা দায়ভার বহন করে সেটা বিশেস্নষণের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। আমি স্থির প্রত্যয়ে বিশ্বাস করি, পরিবেশ যত কণ্টকাকীর্ণই হোক না কেন, অটুট মনোবল ও সাংগঠনিক ঐক্য নিয়ে বিএনপিকে সামনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেই হবে। এমনিতেই বিগত নির্বাচন বর্জন করে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়ে দলটি গণতন্ত্র সচেতন নাগরিকদের হতাশা ও অনিশ্চয়তার গহ্বরে নিপতিত করেছে। বিগত নির্বাচনে বিএনপির অংশীদারিত্ব থাকলে সরকার গঠন করতে না পারলেও বিএনপি সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে সুদৃঢ় ভূমিকা রাখতে পারত। এবং সেটা অবশ্যই গৃহপালিত বা আজ্ঞাবহ হতো না। সেক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়ার মনোবল আজকের দিনের মতো এতখানি ভেঙে পড়ত না, তাঁর ভাবমূর্তির রূপ ও রং ফ্যাকাশে হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকত না। আমি বিএনপির সমর্থক নই, তবুও নিশ্চিত করে বলতে পারি, এটা অভাবনীয় সত্য যে, নির্বাচনে খালেদা জিয়া নিজে সমগ্র বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনী এলাকা থেকে কখনো পরাজিত হননি। তাঁর জনপ্রিয়তা অথবা নির্বাচনী কৌশল আমাকে আশ্চর্যান্বিত করে, বিস্ময়াভিভূত করে। আজ কোনো অদৃশ্য চাপে তিনি তার সব শক্তি ও কৌশল হারিয়ে ফেলে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং বিএনপিকে এমন এক দুর্বিপাকে নিপতিত করলেন— তা আমাকে বিস্মিত করলেও আমরা অনুধাবন করতে পারছি— কোনো একটি শক্তির অদৃশ্য চাপ হয়তো তাকে ভীত-সন্ত্রস্ত বা দিশাহারা করে ফেলেছে।

অন্যদিকে বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থায় আওয়ামী লীগের কিছু নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকা-, বিশেষ করে লাগামহীন দুর্নীতি ও পুলিশি নির্যাতন এতখানি উৎকট রূপ ধারণ করেছে যে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এমনিতেই একটি ভোটব্যাংক সৃষ্টি হয়ে গেছে। তার পাশাপাশি এটাও সত্য, বিএনপি ছাড়া অন্য কোনো দল বা ফ্রন্টের পক্ষে এই ভোট ব্যাংক নিজেদের সপক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশের চিরায়ত ধারায় এটা স্পষ্ট যে, সম্ভাব্য শক্তিশালী বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি ছাড়া মানুষ তার ভোট অন্য কাউকে দিয়ে নষ্ট করতে চায় না। তাই এবার বিএনপি নির্বাচনে না এলে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশই শুধু তৈরি হবে না, বরং সমগ্র রাজনীতিতে যে হতাশা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে তা অভাবনীয়। দেশের প্রান্ত্মিক জনতা এমনিতেই মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এবারের নির্বাচনটি বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া অনুষ্ঠিত হলে দেশকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে তো দেবেই, গণতন্ত্রের পদ্ধতিকেও অবলুপ্ত করে দিতে পারে।

ইতিমধ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দলের জোট গঠিত হচ্ছে। তাদের খাটো না করেও সন্দেহাতীতভাবে বলা চলে, দেশবাসী আজও বিএনপিকেই আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার একমাত্র শক্তি মনে করে। দুঃখজনক হলেও বাস্তব, অন্য কোনো দল, জোট বা ফ্রন্ট জনগণের কাছে সেই বিবেচনায় আসে না।

দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে। এটা সত্য যে কোনো ব্যক্তিই, তিনি যত বড় দলেরই প্রতিনিধিত্ব করেন না কেন, আইনের ঊর্ধ্বে নন। তা সত্ত্বেও এখন প্রশ্ন এসেছে আইন কি স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে এ দেশে কার্যকরি রয়েছে? বিচারিক ব্যবস্থা আজ কি দুর্বল ও বিকলাঙ্গ নয়? প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের করালগ্রাস থেকে কি বিচারিক ব্যবস্থা অবমুক্ত? এই প্রশ্নগুলো মানুষের মনে আসে বলেই কোনো মামলার রায় বা শাসিত্মকে মানুষ নিঃসংশয় চিত্তে মেনে নিতে পারছে না। বরং আজ তাদের ভাবনা—সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা এমনকি অনাকাঙ্ক্ষিত গৃহযুদ্ধের সংশয় থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্যই সরকারকে দৃঢ়তার সঙ্গে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের ব্যবস্থাকে সুনিশ্চিত করার সব পদক্ষেপ অবিলম্বে গ্রহণ করতে হবে। গদগদ চিত্তে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে গিয়ে সমাজ ব্যবস্থা থেকে সর্বদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিতাড়িত করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার আশঙ্কা থেকে দেশকে দূরে রাখতে হবে। আমাদের মনে হয়, এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের দূরদর্শিতার অগ্নিপরীক্ষা—দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে তারা অব্যাহত রাখবেন, না সুকৌশলে বাকশাল প্রতিষ্ঠার আত্মঘাতী পথে হাঁটবেন।

দেশে সুশীল সমাজের নামে একধরনের প্রতিনিধি আছেন। তারা কাগুজে বাঘ। সংবাদ মাধ্যম বিশেষ করে টকশোতে এদের উপস্থিতি ও প্রাধান্য প্রণিধানযোগ্য। টকশোতে এবং সংবাদ মাধ্যমে এরা হাতি-ঘোড়া মারেন, বাঘ-সিংহ বধ করেন। কিন্তু নির্বাচন করতে গেলে দল তো দূরে থাক, এদের সম্মিলিত জোটের ও প্রার্থীর জামানত থাকে না। মূলত বামধারার সুশীল সমাজ দেশের প্রচার মাধ্যমগুলোতে এমনভাবে জেঁকে বসে আছেন যে, তাদের বক্তব্যে প্রতিনিয়ত বিবৃত হয়— জনমতের তারাই সাচ্চা প্রতিনিধি! কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন তো দূরের কথা, এই মহানগরের ১০ হাজার লোক একত্রিত করে একটা জাগ্রত জনতার পদচারণা সৃষ্টিতে তারা অক্ষম। তারা ‘নখদন্তহীন ব্যাঘ্র’র মতো। তাই তাদের ব্যর্থ হুঙ্কারে সরকার টলে না, প্রান্ত্মিক জনতাও তাদের কথায় এতটুকু হেলে না। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পথ তাদেরই খুঁজে বের করতে হবে।

সরকারবিরোধী নেতৃত্বে অনুসন্ধান করলে বিদ্যা ও প্রতিভার সন্ধান মিলবে, কিন্তু সাহস ও যথাযথ পরিকল্পনার অভাব পরিলক্ষিত হয় প্রকটভাবে। ড. কামাল হোসেন ও ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর জোট গঠিত হয়, কিন্তু এই জোটের পক্ষ থেকে কর্মসূচি প্রদত্ত হলেও অতীতে সেই কর্মসূচিতে জনগণের সম্পৃক্ততা পরিলক্ষিত হয়নি। তাই আমার মানসিকতা বিধ্বস্ত হয় এসব খ্যাতিমান বিদ্বান এবং জৌলুসি নেতৃত্বকে বিনম্র চিত্তে অনুরোধ করতে ইচ্ছে করে— কালক্ষেপণ না করে এই না পারার কারণ অনুসন্ধান করে বের করুন। নইলে আন্দোলন মাঠে মারা যাবে; জনগণেরও হতাশা বৃদ্ধি পাবে। বাংলার ভাগ্যাকাশে আজকে যে ঘনকালো মেঘ জমেছে তা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে ঘনঘোর অমানিশার সৃষ্টি করবে। আপনারা সচকিত হোন। নিজ নিজ সংগঠনগুলোকে কর্মীসমৃদ্ধ করে সচল ও সরব করুন। মাসলম্যান ও কালোটাকার দৌরাত্ম্য থেকে রাজনীতিকে অবমুক্ত করার আপনারা বুলি আওড়ান, সেটি থেকেও আপনারা আত্মশুদ্ধ হন। সফলতা অর্জনে সত্যিকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে আপনারা প্রান্ত্মিক জনতাকে সম্পৃক্ত করার মতো বাস্তবমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে একেকটি আন্দোলনের সোপান উত্তরণের মধ্য দিয়ে শুচিশুদ্ধ মানসিকতায় (শুধু ক্ষমতাগ্রহণের অভিপ্রায়ে নয়) সামনের দিকে ধীর পদক্ষেপে, প্রত্যয়দৃঢ় চিত্তে এগিয়ে আসতে পারলে সাফল্যের স্বর্ণসৈকতে পৌঁছানো দুঃসাধ্য হবে না।

লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

এই বিভাগের আরও খবর
সৌরবিদ্যুৎ
সৌরবিদ্যুৎ
ঝুঁকিতে ব্যাংক খাত
ঝুঁকিতে ব্যাংক খাত
আহা, আমাদের ভৈরব!
আহা, আমাদের ভৈরব!
মানুষ হত্যা অমার্জনীয় অপরাধ
মানুষ হত্যা অমার্জনীয় অপরাধ
কৃষিতে চ্যালেঞ্জ
কৃষিতে চ্যালেঞ্জ
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
প্লাবনের শঙ্কা
প্লাবনের শঙ্কা
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র
সন্তান প্রতিপালনে অগ্রাধিকার পাক সততার শিক্ষা
সন্তান প্রতিপালনে অগ্রাধিকার পাক সততার শিক্ষা
গোপালগঞ্জ-কাণ্ড এবং ইলেকশন ইস্যু
গোপালগঞ্জ-কাণ্ড এবং ইলেকশন ইস্যু
কর্মজীবী নারী
কর্মজীবী নারী
ঐকমত্যে অনৈক্য
ঐকমত্যে অনৈক্য
সর্বশেষ খবর
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি

১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা
শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা
শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা

১ ঘণ্টা আগে | অন্যান্য

শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম
শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস
চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড
চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’
‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১
সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২
রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল
রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল
নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল
রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স
আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে
বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে
কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান
যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা
ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে
রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ
হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম
শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা
ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা
ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা

১৮ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম
সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র
গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে
ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০
গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের
বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা
এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান
বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক
গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক
কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক

পেছনের পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!
কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!

শনিবারের সকাল

অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের
অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভগ্যচক্র
আজকের ভগ্যচক্র

আজকের রাশি

এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী
এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত
বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন
জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী
আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী

শোবিজ

জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে
জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না

মাঠে ময়দানে

ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ
ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ

মাঠে ময়দানে

ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক
ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক

মাঠে ময়দানে

যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ
যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ

মাঠে ময়দানে

সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ
সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’
বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’

শোবিজ

পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ
পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল
গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে
ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন
পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন

শোবিজ

নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ
নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ

শনিবারের সকাল

মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা
মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

শান্তির নীড় মাটির ঘর
শান্তির নীড় মাটির ঘর

পেছনের পৃষ্ঠা

১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার
১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার

মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার
কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার

নগর জীবন

অবসর শেষে মৎস্য খামার
অবসর শেষে মৎস্য খামার

শনিবারের সকাল

হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই
হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

পেছনের পৃষ্ঠা