শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

লক্ষ্য অর্জনে প্রত্যয়দৃঢ় নেতৃত্ব চাই

নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রিন্ট ভার্সন
লক্ষ্য অর্জনে প্রত্যয়দৃঢ় নেতৃত্ব চাই

গণতন্ত্রের মূল নির্যাসই হলো মৌলিক অধিকার। মৌলিক অধিকারের সংজ্ঞাটিও সোজাসাপ্টা, নির্মল ও পরিষ্কার। আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জন্ম হতেই গণতন্ত্রের পক্ষে-বিপক্ষে নানারকম যুক্তিতর্ক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইতিহাসে বিবৃত রয়েছে। পেস্নটো, অ্যারিস্টটল থেকে শুরু করে হ্যারল্ড লাস্কি পর্যন্ত নানা গুণীজনের জ্ঞানদীপ্ত আলোচনা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিশেস্নষণকেই শুধু সমৃদ্ধ করেনি, গণতন্ত্রের পক্ষে-বিপক্ষে তথ্য-উপাত্ত যতকিছুই এসেছে, তার মধ্য দিয়ে একটি সত্য প্রতিষ্ঠিত—ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। গণতান্ত্রিক সরকারের যারা সমালোচনা করেছেন, তাদের বাক্যবাণও ছিল সুতীড়্গ্ন। ‘শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকার’ বা ‘সংখ্যাভিত্তিক সরকার, গুণভিত্তিক নয়’—এ ধরনের অসংখ্য উক্তি, সমালোচনা-পর্যালোচনায় স্থান পেলেও উপসংহারের অববাহিকায় যুগ যুগ ধরে যে সত্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা হলো—হাজারো ত্রুটি-বিচ্যুতি সত্ত্বেও প্রান্ত্মিক জনতার স্বার্থের রক্ষাকবচ গণতন্ত্র। এই গণতন্ত্রই রাষ্ট্রকে একনায়কতন্ত্রের অভিশপ্ত ছোবল থেকে রক্ষা করতে পারে। সামরিক শাসন ও স্বৈরতন্ত্রের রাহুর কবল থেকে দেশকে অবমুক্ত রাখতে পারে। সে ক্ষেত্রে সব রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও মনীষীদের অভিমত, গণতন্ত্র অবশ্যই মৌলিক অধিকার সমন্বিত, অন্যদিকে বিশেষণ-বিবর্জিত বা অবারিত হতে হবে। ‘মৌলিক গণতন্ত্র’, ‘শোষিতের গণতন্ত্র’, ‘সর্বহারার গণতন্ত্র’— এসবের শৃঙ্খলে দেশে-দেশে কালে কালে মানুষ শুধু শাসিতই হয়নি, গণতন্ত্রের অবমূল্যায়নও হয়েছে মারাত্মকভাবে। মার্কস, অ্যাঙ্গেলস থেকে শুরু করে লেনিন, স্ট্যালিন; অন্যদিকে মাও সে তুং ও তাঁর অনুসারীরা সর্বহারার শাসনকেই নির্ভেজাল গণতন্ত্রের শক্ত পাদপীঠ হিসেবে বিশ্বাস করে সমাজতান্ত্রিক বিপস্নবের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে শুধু দীর্ঘদিন রাষ্ট্র পরিচালনাই করেননি, একটি নতুন মতবাদের শক্তিশালী ভিত রচনা করে যে বৈপস্নবিক সরকার প্রতিষ্ঠা করেন, সেখানেও লেনিনের সুস্পষ্ট ঘোষণা ছিল—সর্বহারার সরকারই মূলত গণতান্ত্রিক সরকার। এ প্রশ্নে এত আলোচনা, সমালোচনা ও পর্যালোচনা হয়েছে যে, এই ক্ষুদ্র নিবন্ধে সেই বিসত্মৃত আলোচনায় যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে বিনম্র চিত্তে এই নিবন্ধের পাঠকদের আমি স্মরণ করাতে চাই, সেই ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন থেকে রাজনীতিতে সরব পদচারণা শুরুর সময় হতে আজ পর্যন্ত আমি স্থির প্রত্যয়ে বিশ্বাস করি, ‘শোষিত’ ‘সর্বহারা’ ‘মৌলিক’— যে কোনো বিশেষণের মোড়কে পুরলেই গণতন্ত্রের স্বকীয়তা ক্ষুণ্ন হয়।

আজকে রাজনীতিও তেমন রমরমা নাই। বিশ্বজোড়া সমাজতন্ত্রের নিনাদও আজ গগণবিদারী নয়। রাশিয়ায় এবারও ৭০ ভাগের বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী পুতিন যে আদলে রাশিয়ার শাসনব্যবস্থাকে সাজিয়েছেন, তাকে মৌলিক অধিকার সমন্বিত বলা না গেলেও একদলীয় শাসনব্যবস্থা যে নয় তা স্পষ্ট, সর্বহারার শাসনের নামে নির্বাচন ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি, বিবর্তনের ধারায় রাশিয়া বর্তমান অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।

এই আঙ্গিকে বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিকতায় আসলে অবশ্যই উল্লেখ করতে হয়, সমাজতন্ত্র নামক ব্যাধি স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হয়। এ লেখা যখন লিখছি তখন আগস্ট মাস; যে মাসে আমরা জাতির জনক, বাংলার মানুষের হৃদয়ের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত মুকুটহীন সম্রাটকে হারিয়েছি, সেই মাসে প্রচ- ব্যথা-ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আমাকে উল্লেখ করতে হয়, ভ্রান্ত সমাজতন্ত্রীদের সুপরিকল্পিত এবং সূক্ষ্ম কূট-কৌশলে পাতা ফাঁদে বঙ্গবন্ধুকে পড়তে হয়েছিল। পাকিসত্মানের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বঙ্গবন্ধু গণতান্ত্রিক পথপরিক্রমণের বিজয়ী সেনাপতি হিসেবে একটি নিরবচ্ছিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্দিষ্ট স্র্র্রোতধারায় প্রান্ত্মিক জনতার মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আদর্শিক রাখিবন্ধন তৈরি করে স্বাধীনতার স্বর্ণসৈকতে জাতিকে পৌঁছে দিয়েছিলেন। পরাধীনতার বক্ষ বিদীর্ণ করে স্বাধীনতার সূর্যকে ছিনিয়ে এনেছিলেন। এখানে তাঁর মন্ত্র ছিল— গণতন্ত্র ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং তার অকুতোভয় সৈনিক ছিল ছাত্রলীগ। তাঁর এই দীর্ঘদিনের অভিযানে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি আন্দোলনে কোনো বিভ্রান্ত্মি আনতে পারেনি। আর পারেনি বলেই একটা নিরীহ নিরস্ত্র জনগোষ্ঠীকে নিয়ে পাকিসত্মানের হিংস্র সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের নেতৃত্বে তাঁর রণকৌশল বিশ্বের কাছে আজও পরম বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের রাজনীতির মধ্যে বামধারার রাজনীতি দ্বারা আক্রান্ত গণতন্ত্র তার স্বকীয়তা হারায়। বহুদলীয় গণতন্ত্রের খোলনলচে বদলে গিয়ে অনেকটা যেন হঠাৎ করেই একদলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থায় ঘনঘোর অমানিশার আবর্তে পড়ে যায়। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বামধারার রাজনীতির দুর্দদমনীয় মনসত্মাত্ত্বিক আক্রমণ বঙ্গবন্ধুকেও এমন মারাত্মকভাবে প্রভাবান্বিত করে যে, তিনি একদলীয় শাসনব্যবস্থার প্রচলন তো বটেই, শাসনতন্ত্রের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বাকশাল গঠন করেন। এই ব্যবস্থা প্রচলনের প্রচেষ্টাকালে আমি অকুতোভয়ে আমার সর্বশক্তি দিয়ে বিরোধিতা করে তা রুখতে তো পারিইনি, বরং আকাশ হতে বিচ্যুত নক্ষত্রের মতো রাজনীতিতে নিষ্প্রভ ও নিষ্ক্রিয় হতে বাধ্য হই। জীবনসায়াহ্নে এসে এ জন্য আমার কোনো আফসোস নেই, বরং যৌবনের সেই অকুতোভয় ও উদ্ধত আচরণ আমার জীবনের প্রচ- অহংকার এবং প্রজ্বলিত অনুপ্রেরণা হিসেবে আজও আমাকে উদ্দীপ্ত করে, উজ্জীবিত করে, উদ্বেলিত করে। কিন্তু একটি দুঃখ আজও আমার বক্ষজুড়ে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ ঘটায়। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, ১৫ আগস্টের হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের অনেকের ফাঁসি হয়েছে, অনেকে নানাবিধ সাজা এমনকি মৃত্যুদ- নিয়ে প্রবাসে পালিয়ে রয়েছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পথপরিক্রমণের চিরায়ত ধারায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে অথবা নানাপ্রকার অপপ্রচার চালিয়ে গণবাহিনীর গণহত্যা, পাটের গুদামে আগুন, খাদ্যগুদাম লুট ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে জনগণের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ঈদের জামাতে সংসদ সদস্য হত্যার মাধ্যমে প্রশাসনিক ব্যর্থতার একটা দায়ভার বঙ্গবন্ধুর স্কন্ধে চাপিয়ে দিয়ে তাঁর প্রশান্ত হৃদয়কে তারা শুধু আতঙ্কিতই করে তোলেনি, বরং ধীরে ধীরে তাঁকে একদলীয় স্বৈরশাসনের মানসিকতা তৈরিতে উপাদান জুগিয়েছে। তাদের বিচার তো অনেক দূরের কথা, তারা আজ রাজনৈতিক সমালোচনার আবর্তেরও অনেক ঊর্ধ্বে। সেদিনের গণবাহিনীর অনেক নায়ক আজকে রাজনীতির চালকের আসনে। শেখ হাসিনার শাসনামলে নির্বাচনের ব্যবস্থা আছে, বহুদলীয় শাসনব্যবস্থাও কাগজে-কলমে প্রচলিত আছে। কিন্তু দেশ ক্রমে ক্রমেই একদলীয় এবং একব্যক্তির স্বৈরশাসনে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমাদের দেশের একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ, ‘কাজীর গরু খাতায় আছে, গোয়ালে নাই’। গণতন্ত্রও তেমনি আজ রুগ্ন ও বিবর্ণ অবয়বে শাসনতন্ত্রে আছে কিন্তু বাস্তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে নাই। নির্বাচন কমিশনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নিবন্ধিত দলগুলো তো বটেই, প্রধান বিরোধী দলও আজ পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীর মতো নিষ্প্রভ। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দলের অংশীদারিত্বও আজ অনিশ্চিত। এই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ওঠার কোনো বাস্তব উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে নেই। তবে একটি রাজনৈতিক সংঘাত এড়াতে হলে আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তার লক্ষ্যে একটি যথাযথ ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই হবে।

এ বছরেরই ডিসেম্বরের শেষের দিকে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনের আগে নির্বাচনের আঙ্গিকে সভা-সমিতি, মিছিল-সেস্নাগানে রাজনৈতিক অঙ্গনে সরব ও উচ্চকিত হওয়ার কথা। তার আলামত এখনো সুস্পষ্ট নয়। প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারারুদ্ধ। তাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার সম্ভাবনাও প্রকট। অন্যদিকে বিএনপির কোনো প্রতিবাদী পদক্ষেপ ও কার্যকারিতা নাই। এর জন্য পুলিশ ও র‌্যাব কতটা দায়ী অথবা বিএনপির গণতান্ত্রিক গণআন্দোলন সৃষ্টির অক্ষমতা কতটা দায়ভার বহন করে সেটা বিশেস্নষণের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। আমি স্থির প্রত্যয়ে বিশ্বাস করি, পরিবেশ যত কণ্টকাকীর্ণই হোক না কেন, অটুট মনোবল ও সাংগঠনিক ঐক্য নিয়ে বিএনপিকে সামনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেই হবে। এমনিতেই বিগত নির্বাচন বর্জন করে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়ে দলটি গণতন্ত্র সচেতন নাগরিকদের হতাশা ও অনিশ্চয়তার গহ্বরে নিপতিত করেছে। বিগত নির্বাচনে বিএনপির অংশীদারিত্ব থাকলে সরকার গঠন করতে না পারলেও বিএনপি সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে সুদৃঢ় ভূমিকা রাখতে পারত। এবং সেটা অবশ্যই গৃহপালিত বা আজ্ঞাবহ হতো না। সেক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়ার মনোবল আজকের দিনের মতো এতখানি ভেঙে পড়ত না, তাঁর ভাবমূর্তির রূপ ও রং ফ্যাকাশে হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকত না। আমি বিএনপির সমর্থক নই, তবুও নিশ্চিত করে বলতে পারি, এটা অভাবনীয় সত্য যে, নির্বাচনে খালেদা জিয়া নিজে সমগ্র বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনী এলাকা থেকে কখনো পরাজিত হননি। তাঁর জনপ্রিয়তা অথবা নির্বাচনী কৌশল আমাকে আশ্চর্যান্বিত করে, বিস্ময়াভিভূত করে। আজ কোনো অদৃশ্য চাপে তিনি তার সব শক্তি ও কৌশল হারিয়ে ফেলে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং বিএনপিকে এমন এক দুর্বিপাকে নিপতিত করলেন— তা আমাকে বিস্মিত করলেও আমরা অনুধাবন করতে পারছি— কোনো একটি শক্তির অদৃশ্য চাপ হয়তো তাকে ভীত-সন্ত্রস্ত বা দিশাহারা করে ফেলেছে।

অন্যদিকে বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থায় আওয়ামী লীগের কিছু নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকা-, বিশেষ করে লাগামহীন দুর্নীতি ও পুলিশি নির্যাতন এতখানি উৎকট রূপ ধারণ করেছে যে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এমনিতেই একটি ভোটব্যাংক সৃষ্টি হয়ে গেছে। তার পাশাপাশি এটাও সত্য, বিএনপি ছাড়া অন্য কোনো দল বা ফ্রন্টের পক্ষে এই ভোট ব্যাংক নিজেদের সপক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশের চিরায়ত ধারায় এটা স্পষ্ট যে, সম্ভাব্য শক্তিশালী বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি ছাড়া মানুষ তার ভোট অন্য কাউকে দিয়ে নষ্ট করতে চায় না। তাই এবার বিএনপি নির্বাচনে না এলে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশই শুধু তৈরি হবে না, বরং সমগ্র রাজনীতিতে যে হতাশা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে তা অভাবনীয়। দেশের প্রান্ত্মিক জনতা এমনিতেই মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এবারের নির্বাচনটি বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া অনুষ্ঠিত হলে দেশকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে তো দেবেই, গণতন্ত্রের পদ্ধতিকেও অবলুপ্ত করে দিতে পারে।

ইতিমধ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দলের জোট গঠিত হচ্ছে। তাদের খাটো না করেও সন্দেহাতীতভাবে বলা চলে, দেশবাসী আজও বিএনপিকেই আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার একমাত্র শক্তি মনে করে। দুঃখজনক হলেও বাস্তব, অন্য কোনো দল, জোট বা ফ্রন্ট জনগণের কাছে সেই বিবেচনায় আসে না।

দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে। এটা সত্য যে কোনো ব্যক্তিই, তিনি যত বড় দলেরই প্রতিনিধিত্ব করেন না কেন, আইনের ঊর্ধ্বে নন। তা সত্ত্বেও এখন প্রশ্ন এসেছে আইন কি স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে এ দেশে কার্যকরি রয়েছে? বিচারিক ব্যবস্থা আজ কি দুর্বল ও বিকলাঙ্গ নয়? প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের করালগ্রাস থেকে কি বিচারিক ব্যবস্থা অবমুক্ত? এই প্রশ্নগুলো মানুষের মনে আসে বলেই কোনো মামলার রায় বা শাসিত্মকে মানুষ নিঃসংশয় চিত্তে মেনে নিতে পারছে না। বরং আজ তাদের ভাবনা—সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা এমনকি অনাকাঙ্ক্ষিত গৃহযুদ্ধের সংশয় থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্যই সরকারকে দৃঢ়তার সঙ্গে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের ব্যবস্থাকে সুনিশ্চিত করার সব পদক্ষেপ অবিলম্বে গ্রহণ করতে হবে। গদগদ চিত্তে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে গিয়ে সমাজ ব্যবস্থা থেকে সর্বদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিতাড়িত করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার আশঙ্কা থেকে দেশকে দূরে রাখতে হবে। আমাদের মনে হয়, এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের দূরদর্শিতার অগ্নিপরীক্ষা—দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে তারা অব্যাহত রাখবেন, না সুকৌশলে বাকশাল প্রতিষ্ঠার আত্মঘাতী পথে হাঁটবেন।

দেশে সুশীল সমাজের নামে একধরনের প্রতিনিধি আছেন। তারা কাগুজে বাঘ। সংবাদ মাধ্যম বিশেষ করে টকশোতে এদের উপস্থিতি ও প্রাধান্য প্রণিধানযোগ্য। টকশোতে এবং সংবাদ মাধ্যমে এরা হাতি-ঘোড়া মারেন, বাঘ-সিংহ বধ করেন। কিন্তু নির্বাচন করতে গেলে দল তো দূরে থাক, এদের সম্মিলিত জোটের ও প্রার্থীর জামানত থাকে না। মূলত বামধারার সুশীল সমাজ দেশের প্রচার মাধ্যমগুলোতে এমনভাবে জেঁকে বসে আছেন যে, তাদের বক্তব্যে প্রতিনিয়ত বিবৃত হয়— জনমতের তারাই সাচ্চা প্রতিনিধি! কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন তো দূরের কথা, এই মহানগরের ১০ হাজার লোক একত্রিত করে একটা জাগ্রত জনতার পদচারণা সৃষ্টিতে তারা অক্ষম। তারা ‘নখদন্তহীন ব্যাঘ্র’র মতো। তাই তাদের ব্যর্থ হুঙ্কারে সরকার টলে না, প্রান্ত্মিক জনতাও তাদের কথায় এতটুকু হেলে না। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পথ তাদেরই খুঁজে বের করতে হবে।

সরকারবিরোধী নেতৃত্বে অনুসন্ধান করলে বিদ্যা ও প্রতিভার সন্ধান মিলবে, কিন্তু সাহস ও যথাযথ পরিকল্পনার অভাব পরিলক্ষিত হয় প্রকটভাবে। ড. কামাল হোসেন ও ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর জোট গঠিত হয়, কিন্তু এই জোটের পক্ষ থেকে কর্মসূচি প্রদত্ত হলেও অতীতে সেই কর্মসূচিতে জনগণের সম্পৃক্ততা পরিলক্ষিত হয়নি। তাই আমার মানসিকতা বিধ্বস্ত হয় এসব খ্যাতিমান বিদ্বান এবং জৌলুসি নেতৃত্বকে বিনম্র চিত্তে অনুরোধ করতে ইচ্ছে করে— কালক্ষেপণ না করে এই না পারার কারণ অনুসন্ধান করে বের করুন। নইলে আন্দোলন মাঠে মারা যাবে; জনগণেরও হতাশা বৃদ্ধি পাবে। বাংলার ভাগ্যাকাশে আজকে যে ঘনকালো মেঘ জমেছে তা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে ঘনঘোর অমানিশার সৃষ্টি করবে। আপনারা সচকিত হোন। নিজ নিজ সংগঠনগুলোকে কর্মীসমৃদ্ধ করে সচল ও সরব করুন। মাসলম্যান ও কালোটাকার দৌরাত্ম্য থেকে রাজনীতিকে অবমুক্ত করার আপনারা বুলি আওড়ান, সেটি থেকেও আপনারা আত্মশুদ্ধ হন। সফলতা অর্জনে সত্যিকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে আপনারা প্রান্ত্মিক জনতাকে সম্পৃক্ত করার মতো বাস্তবমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে একেকটি আন্দোলনের সোপান উত্তরণের মধ্য দিয়ে শুচিশুদ্ধ মানসিকতায় (শুধু ক্ষমতাগ্রহণের অভিপ্রায়ে নয়) সামনের দিকে ধীর পদক্ষেপে, প্রত্যয়দৃঢ় চিত্তে এগিয়ে আসতে পারলে সাফল্যের স্বর্ণসৈকতে পৌঁছানো দুঃসাধ্য হবে না।

লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
বাড়ছে বেকারত্ব
বাড়ছে বেকারত্ব
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
সোমবার রোজা রাখা
সোমবার রোজা রাখা
সর্বশেষ খবর
লিবিয়া উপকূলে শরণার্থীবাহী নৌকায় আগুন, নিহত অন্তত ৫০
লিবিয়া উপকূলে শরণার্থীবাহী নৌকায় আগুন, নিহত অন্তত ৫০

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান
ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা
গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস
তিন বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশের প্রেক্ষাগৃহে আসছে  ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’
দেশের প্রেক্ষাগৃহে আসছে  ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান
যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাঙ্গাইলের পাহাড়ি অঞ্চলে বাড়ছে হলুদের আবাদ, স্বপ্ন দেখছে কৃষক
টাঙ্গাইলের পাহাড়ি অঞ্চলে বাড়ছে হলুদের আবাদ, স্বপ্ন দেখছে কৃষক

১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প
ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইফোন ১৮ সিরিজে থাকবে না যে ফিচার
আইফোন ১৮ সিরিজে থাকবে না যে ফিচার

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বায়ুদূষণের শীর্ষে জাকার্তা, ঢাকার অবস্থান কত?
বায়ুদূষণের শীর্ষে জাকার্তা, ঢাকার অবস্থান কত?

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে হবে
ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে হবে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পে স্বস্তি: ঋণের মেয়াদ বাড়বে সর্বোচ্চ ১০ বছর
ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পে স্বস্তি: ঋণের মেয়াদ বাড়বে সর্বোচ্চ ১০ বছর

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

খাদ্য মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য ও বৈষম্য
খাদ্য মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য ও বৈষম্য

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইসলামী অর্থনীতিতে বাজারদর নির্ধারণের ন্যায়সংগত পথ
ইসলামী অর্থনীতিতে বাজারদর নির্ধারণের ন্যায়সংগত পথ

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান
খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম
আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্সেনালের শুভসূচনা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্সেনালের শুভসূচনা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা
ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তিন দাবিতে ১৩ ঘণ্টা ধরে অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা
তিন দাবিতে ১৩ ঘণ্টা ধরে অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চতুর্থ ধাপে একাদশে ভর্তি: বাদ পড়াদের জন্য সুখবর
চতুর্থ ধাপে একাদশে ভর্তি: বাদ পড়াদের জন্য সুখবর

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন
নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ সেপ্টেম্বর)

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?
সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন
সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?
স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুমিল্লায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ২
কুমিল্লায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ২

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে?
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে?

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের
সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ
এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প
ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক
পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত
ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন
আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান
খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুপার ফোরে যেতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ
সুপার ফোরে যেতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন
কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?
সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম
ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চীনে আইফোন ১৭ উন্মাদনা, দাম নিয়ে কেউ ভাবছে না
চীনে আইফোন ১৭ উন্মাদনা, দাম নিয়ে কেউ ভাবছে না

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

নারায়ণগঞ্জে ৬ কারখানার বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
নারায়ণগঞ্জে ৬ কারখানার বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সবাই সমান অধিকার পাবে : প্রধান উপদেষ্টা
নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সবাই সমান অধিকার পাবে : প্রধান উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’
‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিসিএস পরীক্ষার জন্য কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত
বিসিএস পরীক্ষার জন্য কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৬
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৬

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এলডিসি থেকে উত্তরণ ৩ বছর পিছিয়ে দিতে চায় সরকার : বাণিজ্য সচিব
এলডিসি থেকে উত্তরণ ৩ বছর পিছিয়ে দিতে চায় সরকার : বাণিজ্য সচিব

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান
যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার এনবিআরের ৫৫৫ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে বদলি
এবার এনবিআরের ৫৫৫ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে বদলি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গত ১ বছরে একটা দিক থেকেও দেশ ভালো চলেনি : রুমিন ফারহানা
গত ১ বছরে একটা দিক থেকেও দেশ ভালো চলেনি : রুমিন ফারহানা

২০ ঘণ্টা আগে | টক শো

দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন
দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন

২১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

সৌদি যুবরাজকে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
সৌদি যুবরাজকে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা
ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ : হাইকমিশনার
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ : হাইকমিশনার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম
আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে উত্তাপ চায় না বিএনপি
রাজনীতিতে উত্তাপ চায় না বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

এটি সরকারি স্কুল!
এটি সরকারি স্কুল!

নগর জীবন

বগুড়ায় হচ্ছে নদীবন্দর
বগুড়ায় হচ্ছে নদীবন্দর

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধ এবং এক-এগারোর বিস্ফোরণ
প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধ এবং এক-এগারোর বিস্ফোরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে চান পাঁচ নেতা
বিএনপির প্রার্থী হতে চান পাঁচ নেতা

নগর জীবন

বিএনপির বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে
বিএনপির বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

মাঠে বিএনপিসহ অন্য দলের নেতারা
মাঠে বিএনপিসহ অন্য দলের নেতারা

নগর জীবন

চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধন ফর্মুলা
চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধন ফর্মুলা

প্রথম পৃষ্ঠা

বেশি কষ্টে নগর দরিদ্ররা
বেশি কষ্টে নগর দরিদ্ররা

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা
সিলেটে চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাহী আদেশে দল নিষিদ্ধ করা সমর্থন করি না
নির্বাহী আদেশে দল নিষিদ্ধ করা সমর্থন করি না

প্রথম পৃষ্ঠা

অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদি যুবরাজকে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
সৌদি যুবরাজকে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

পূর্ব-পশ্চিম

সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে
সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে

নগর জীবন

আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে
আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে

নগর জীবন

তিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মেয়র ডা. শাহাদাত
তিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মেয়র ডা. শাহাদাত

নগর জীবন

এনসিপি রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কের পদত্যাগ
এনসিপি রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কের পদত্যাগ

নগর জীবন

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হকের পদত্যাগ
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হকের পদত্যাগ

নগর জীবন

দ্বিতীয়বারের মতো মেরিনার হাতে আগা খান পদক
দ্বিতীয়বারের মতো মেরিনার হাতে আগা খান পদক

নগর জীবন

মার্কিনিদের মধ্যে বেড়েছে বিষণ্নতা
মার্কিনিদের মধ্যে বেড়েছে বিষণ্নতা

পূর্ব-পশ্চিম

জাফলংয়ে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
জাফলংয়ে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার

নগর জীবন

জাতিসংঘের সতর্কবার্তা
জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

নগর জীবন

কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ আটক ২
কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ আটক ২

দেশগ্রাম

শিল্পকলা একাডেমিতে নতুন মহাপরিচালক
শিল্পকলা একাডেমিতে নতুন মহাপরিচালক

নগর জীবন

গাজা সিটিতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান, নিহত ৭৮
গাজা সিটিতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান, নিহত ৭৮

পূর্ব-পশ্চিম

রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ
রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ

দেশগ্রাম

পাকিস্তানে বিস্ফোরণে পাঁচ সেনা নিহত
পাকিস্তানে বিস্ফোরণে পাঁচ সেনা নিহত

পূর্ব-পশ্চিম

দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা
দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা

দেশগ্রাম

ব্যতিক্রমী ইকোসিস্টেম বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায়
ব্যতিক্রমী ইকোসিস্টেম বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায়

পেছনের পৃষ্ঠা