শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

লক্ষ্য অর্জনে প্রত্যয়দৃঢ় নেতৃত্ব চাই

নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রিন্ট ভার্সন
লক্ষ্য অর্জনে প্রত্যয়দৃঢ় নেতৃত্ব চাই

গণতন্ত্রের মূল নির্যাসই হলো মৌলিক অধিকার। মৌলিক অধিকারের সংজ্ঞাটিও সোজাসাপ্টা, নির্মল ও পরিষ্কার। আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জন্ম হতেই গণতন্ত্রের পক্ষে-বিপক্ষে নানারকম যুক্তিতর্ক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইতিহাসে বিবৃত রয়েছে। পেস্নটো, অ্যারিস্টটল থেকে শুরু করে হ্যারল্ড লাস্কি পর্যন্ত নানা গুণীজনের জ্ঞানদীপ্ত আলোচনা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিশেস্নষণকেই শুধু সমৃদ্ধ করেনি, গণতন্ত্রের পক্ষে-বিপক্ষে তথ্য-উপাত্ত যতকিছুই এসেছে, তার মধ্য দিয়ে একটি সত্য প্রতিষ্ঠিত—ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। গণতান্ত্রিক সরকারের যারা সমালোচনা করেছেন, তাদের বাক্যবাণও ছিল সুতীড়্গ্ন। ‘শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকার’ বা ‘সংখ্যাভিত্তিক সরকার, গুণভিত্তিক নয়’—এ ধরনের অসংখ্য উক্তি, সমালোচনা-পর্যালোচনায় স্থান পেলেও উপসংহারের অববাহিকায় যুগ যুগ ধরে যে সত্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা হলো—হাজারো ত্রুটি-বিচ্যুতি সত্ত্বেও প্রান্ত্মিক জনতার স্বার্থের রক্ষাকবচ গণতন্ত্র। এই গণতন্ত্রই রাষ্ট্রকে একনায়কতন্ত্রের অভিশপ্ত ছোবল থেকে রক্ষা করতে পারে। সামরিক শাসন ও স্বৈরতন্ত্রের রাহুর কবল থেকে দেশকে অবমুক্ত রাখতে পারে। সে ক্ষেত্রে সব রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও মনীষীদের অভিমত, গণতন্ত্র অবশ্যই মৌলিক অধিকার সমন্বিত, অন্যদিকে বিশেষণ-বিবর্জিত বা অবারিত হতে হবে। ‘মৌলিক গণতন্ত্র’, ‘শোষিতের গণতন্ত্র’, ‘সর্বহারার গণতন্ত্র’— এসবের শৃঙ্খলে দেশে-দেশে কালে কালে মানুষ শুধু শাসিতই হয়নি, গণতন্ত্রের অবমূল্যায়নও হয়েছে মারাত্মকভাবে। মার্কস, অ্যাঙ্গেলস থেকে শুরু করে লেনিন, স্ট্যালিন; অন্যদিকে মাও সে তুং ও তাঁর অনুসারীরা সর্বহারার শাসনকেই নির্ভেজাল গণতন্ত্রের শক্ত পাদপীঠ হিসেবে বিশ্বাস করে সমাজতান্ত্রিক বিপস্নবের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে শুধু দীর্ঘদিন রাষ্ট্র পরিচালনাই করেননি, একটি নতুন মতবাদের শক্তিশালী ভিত রচনা করে যে বৈপস্নবিক সরকার প্রতিষ্ঠা করেন, সেখানেও লেনিনের সুস্পষ্ট ঘোষণা ছিল—সর্বহারার সরকারই মূলত গণতান্ত্রিক সরকার। এ প্রশ্নে এত আলোচনা, সমালোচনা ও পর্যালোচনা হয়েছে যে, এই ক্ষুদ্র নিবন্ধে সেই বিসত্মৃত আলোচনায় যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে বিনম্র চিত্তে এই নিবন্ধের পাঠকদের আমি স্মরণ করাতে চাই, সেই ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন থেকে রাজনীতিতে সরব পদচারণা শুরুর সময় হতে আজ পর্যন্ত আমি স্থির প্রত্যয়ে বিশ্বাস করি, ‘শোষিত’ ‘সর্বহারা’ ‘মৌলিক’— যে কোনো বিশেষণের মোড়কে পুরলেই গণতন্ত্রের স্বকীয়তা ক্ষুণ্ন হয়।

আজকে রাজনীতিও তেমন রমরমা নাই। বিশ্বজোড়া সমাজতন্ত্রের নিনাদও আজ গগণবিদারী নয়। রাশিয়ায় এবারও ৭০ ভাগের বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী পুতিন যে আদলে রাশিয়ার শাসনব্যবস্থাকে সাজিয়েছেন, তাকে মৌলিক অধিকার সমন্বিত বলা না গেলেও একদলীয় শাসনব্যবস্থা যে নয় তা স্পষ্ট, সর্বহারার শাসনের নামে নির্বাচন ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি, বিবর্তনের ধারায় রাশিয়া বর্তমান অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।

এই আঙ্গিকে বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিকতায় আসলে অবশ্যই উল্লেখ করতে হয়, সমাজতন্ত্র নামক ব্যাধি স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হয়। এ লেখা যখন লিখছি তখন আগস্ট মাস; যে মাসে আমরা জাতির জনক, বাংলার মানুষের হৃদয়ের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত মুকুটহীন সম্রাটকে হারিয়েছি, সেই মাসে প্রচ- ব্যথা-ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আমাকে উল্লেখ করতে হয়, ভ্রান্ত সমাজতন্ত্রীদের সুপরিকল্পিত এবং সূক্ষ্ম কূট-কৌশলে পাতা ফাঁদে বঙ্গবন্ধুকে পড়তে হয়েছিল। পাকিসত্মানের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বঙ্গবন্ধু গণতান্ত্রিক পথপরিক্রমণের বিজয়ী সেনাপতি হিসেবে একটি নিরবচ্ছিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্দিষ্ট স্র্র্রোতধারায় প্রান্ত্মিক জনতার মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আদর্শিক রাখিবন্ধন তৈরি করে স্বাধীনতার স্বর্ণসৈকতে জাতিকে পৌঁছে দিয়েছিলেন। পরাধীনতার বক্ষ বিদীর্ণ করে স্বাধীনতার সূর্যকে ছিনিয়ে এনেছিলেন। এখানে তাঁর মন্ত্র ছিল— গণতন্ত্র ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং তার অকুতোভয় সৈনিক ছিল ছাত্রলীগ। তাঁর এই দীর্ঘদিনের অভিযানে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি আন্দোলনে কোনো বিভ্রান্ত্মি আনতে পারেনি। আর পারেনি বলেই একটা নিরীহ নিরস্ত্র জনগোষ্ঠীকে নিয়ে পাকিসত্মানের হিংস্র সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের নেতৃত্বে তাঁর রণকৌশল বিশ্বের কাছে আজও পরম বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের রাজনীতির মধ্যে বামধারার রাজনীতি দ্বারা আক্রান্ত গণতন্ত্র তার স্বকীয়তা হারায়। বহুদলীয় গণতন্ত্রের খোলনলচে বদলে গিয়ে অনেকটা যেন হঠাৎ করেই একদলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থায় ঘনঘোর অমানিশার আবর্তে পড়ে যায়। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বামধারার রাজনীতির দুর্দদমনীয় মনসত্মাত্ত্বিক আক্রমণ বঙ্গবন্ধুকেও এমন মারাত্মকভাবে প্রভাবান্বিত করে যে, তিনি একদলীয় শাসনব্যবস্থার প্রচলন তো বটেই, শাসনতন্ত্রের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বাকশাল গঠন করেন। এই ব্যবস্থা প্রচলনের প্রচেষ্টাকালে আমি অকুতোভয়ে আমার সর্বশক্তি দিয়ে বিরোধিতা করে তা রুখতে তো পারিইনি, বরং আকাশ হতে বিচ্যুত নক্ষত্রের মতো রাজনীতিতে নিষ্প্রভ ও নিষ্ক্রিয় হতে বাধ্য হই। জীবনসায়াহ্নে এসে এ জন্য আমার কোনো আফসোস নেই, বরং যৌবনের সেই অকুতোভয় ও উদ্ধত আচরণ আমার জীবনের প্রচ- অহংকার এবং প্রজ্বলিত অনুপ্রেরণা হিসেবে আজও আমাকে উদ্দীপ্ত করে, উজ্জীবিত করে, উদ্বেলিত করে। কিন্তু একটি দুঃখ আজও আমার বক্ষজুড়ে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ ঘটায়। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, ১৫ আগস্টের হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের অনেকের ফাঁসি হয়েছে, অনেকে নানাবিধ সাজা এমনকি মৃত্যুদ- নিয়ে প্রবাসে পালিয়ে রয়েছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পথপরিক্রমণের চিরায়ত ধারায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে অথবা নানাপ্রকার অপপ্রচার চালিয়ে গণবাহিনীর গণহত্যা, পাটের গুদামে আগুন, খাদ্যগুদাম লুট ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে জনগণের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ঈদের জামাতে সংসদ সদস্য হত্যার মাধ্যমে প্রশাসনিক ব্যর্থতার একটা দায়ভার বঙ্গবন্ধুর স্কন্ধে চাপিয়ে দিয়ে তাঁর প্রশান্ত হৃদয়কে তারা শুধু আতঙ্কিতই করে তোলেনি, বরং ধীরে ধীরে তাঁকে একদলীয় স্বৈরশাসনের মানসিকতা তৈরিতে উপাদান জুগিয়েছে। তাদের বিচার তো অনেক দূরের কথা, তারা আজ রাজনৈতিক সমালোচনার আবর্তেরও অনেক ঊর্ধ্বে। সেদিনের গণবাহিনীর অনেক নায়ক আজকে রাজনীতির চালকের আসনে। শেখ হাসিনার শাসনামলে নির্বাচনের ব্যবস্থা আছে, বহুদলীয় শাসনব্যবস্থাও কাগজে-কলমে প্রচলিত আছে। কিন্তু দেশ ক্রমে ক্রমেই একদলীয় এবং একব্যক্তির স্বৈরশাসনে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমাদের দেশের একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ, ‘কাজীর গরু খাতায় আছে, গোয়ালে নাই’। গণতন্ত্রও তেমনি আজ রুগ্ন ও বিবর্ণ অবয়বে শাসনতন্ত্রে আছে কিন্তু বাস্তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে নাই। নির্বাচন কমিশনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নিবন্ধিত দলগুলো তো বটেই, প্রধান বিরোধী দলও আজ পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীর মতো নিষ্প্রভ। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দলের অংশীদারিত্বও আজ অনিশ্চিত। এই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ওঠার কোনো বাস্তব উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে নেই। তবে একটি রাজনৈতিক সংঘাত এড়াতে হলে আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তার লক্ষ্যে একটি যথাযথ ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই হবে।

এ বছরেরই ডিসেম্বরের শেষের দিকে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনের আগে নির্বাচনের আঙ্গিকে সভা-সমিতি, মিছিল-সেস্নাগানে রাজনৈতিক অঙ্গনে সরব ও উচ্চকিত হওয়ার কথা। তার আলামত এখনো সুস্পষ্ট নয়। প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারারুদ্ধ। তাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার সম্ভাবনাও প্রকট। অন্যদিকে বিএনপির কোনো প্রতিবাদী পদক্ষেপ ও কার্যকারিতা নাই। এর জন্য পুলিশ ও র‌্যাব কতটা দায়ী অথবা বিএনপির গণতান্ত্রিক গণআন্দোলন সৃষ্টির অক্ষমতা কতটা দায়ভার বহন করে সেটা বিশেস্নষণের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। আমি স্থির প্রত্যয়ে বিশ্বাস করি, পরিবেশ যত কণ্টকাকীর্ণই হোক না কেন, অটুট মনোবল ও সাংগঠনিক ঐক্য নিয়ে বিএনপিকে সামনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেই হবে। এমনিতেই বিগত নির্বাচন বর্জন করে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়ে দলটি গণতন্ত্র সচেতন নাগরিকদের হতাশা ও অনিশ্চয়তার গহ্বরে নিপতিত করেছে। বিগত নির্বাচনে বিএনপির অংশীদারিত্ব থাকলে সরকার গঠন করতে না পারলেও বিএনপি সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে সুদৃঢ় ভূমিকা রাখতে পারত। এবং সেটা অবশ্যই গৃহপালিত বা আজ্ঞাবহ হতো না। সেক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়ার মনোবল আজকের দিনের মতো এতখানি ভেঙে পড়ত না, তাঁর ভাবমূর্তির রূপ ও রং ফ্যাকাশে হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকত না। আমি বিএনপির সমর্থক নই, তবুও নিশ্চিত করে বলতে পারি, এটা অভাবনীয় সত্য যে, নির্বাচনে খালেদা জিয়া নিজে সমগ্র বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনী এলাকা থেকে কখনো পরাজিত হননি। তাঁর জনপ্রিয়তা অথবা নির্বাচনী কৌশল আমাকে আশ্চর্যান্বিত করে, বিস্ময়াভিভূত করে। আজ কোনো অদৃশ্য চাপে তিনি তার সব শক্তি ও কৌশল হারিয়ে ফেলে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং বিএনপিকে এমন এক দুর্বিপাকে নিপতিত করলেন— তা আমাকে বিস্মিত করলেও আমরা অনুধাবন করতে পারছি— কোনো একটি শক্তির অদৃশ্য চাপ হয়তো তাকে ভীত-সন্ত্রস্ত বা দিশাহারা করে ফেলেছে।

অন্যদিকে বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থায় আওয়ামী লীগের কিছু নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকা-, বিশেষ করে লাগামহীন দুর্নীতি ও পুলিশি নির্যাতন এতখানি উৎকট রূপ ধারণ করেছে যে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এমনিতেই একটি ভোটব্যাংক সৃষ্টি হয়ে গেছে। তার পাশাপাশি এটাও সত্য, বিএনপি ছাড়া অন্য কোনো দল বা ফ্রন্টের পক্ষে এই ভোট ব্যাংক নিজেদের সপক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশের চিরায়ত ধারায় এটা স্পষ্ট যে, সম্ভাব্য শক্তিশালী বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি ছাড়া মানুষ তার ভোট অন্য কাউকে দিয়ে নষ্ট করতে চায় না। তাই এবার বিএনপি নির্বাচনে না এলে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশই শুধু তৈরি হবে না, বরং সমগ্র রাজনীতিতে যে হতাশা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে তা অভাবনীয়। দেশের প্রান্ত্মিক জনতা এমনিতেই মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এবারের নির্বাচনটি বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া অনুষ্ঠিত হলে দেশকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে তো দেবেই, গণতন্ত্রের পদ্ধতিকেও অবলুপ্ত করে দিতে পারে।

ইতিমধ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দলের জোট গঠিত হচ্ছে। তাদের খাটো না করেও সন্দেহাতীতভাবে বলা চলে, দেশবাসী আজও বিএনপিকেই আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার একমাত্র শক্তি মনে করে। দুঃখজনক হলেও বাস্তব, অন্য কোনো দল, জোট বা ফ্রন্ট জনগণের কাছে সেই বিবেচনায় আসে না।

দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে। এটা সত্য যে কোনো ব্যক্তিই, তিনি যত বড় দলেরই প্রতিনিধিত্ব করেন না কেন, আইনের ঊর্ধ্বে নন। তা সত্ত্বেও এখন প্রশ্ন এসেছে আইন কি স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে এ দেশে কার্যকরি রয়েছে? বিচারিক ব্যবস্থা আজ কি দুর্বল ও বিকলাঙ্গ নয়? প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের করালগ্রাস থেকে কি বিচারিক ব্যবস্থা অবমুক্ত? এই প্রশ্নগুলো মানুষের মনে আসে বলেই কোনো মামলার রায় বা শাসিত্মকে মানুষ নিঃসংশয় চিত্তে মেনে নিতে পারছে না। বরং আজ তাদের ভাবনা—সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা এমনকি অনাকাঙ্ক্ষিত গৃহযুদ্ধের সংশয় থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্যই সরকারকে দৃঢ়তার সঙ্গে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের ব্যবস্থাকে সুনিশ্চিত করার সব পদক্ষেপ অবিলম্বে গ্রহণ করতে হবে। গদগদ চিত্তে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে গিয়ে সমাজ ব্যবস্থা থেকে সর্বদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিতাড়িত করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার আশঙ্কা থেকে দেশকে দূরে রাখতে হবে। আমাদের মনে হয়, এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের দূরদর্শিতার অগ্নিপরীক্ষা—দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে তারা অব্যাহত রাখবেন, না সুকৌশলে বাকশাল প্রতিষ্ঠার আত্মঘাতী পথে হাঁটবেন।

দেশে সুশীল সমাজের নামে একধরনের প্রতিনিধি আছেন। তারা কাগুজে বাঘ। সংবাদ মাধ্যম বিশেষ করে টকশোতে এদের উপস্থিতি ও প্রাধান্য প্রণিধানযোগ্য। টকশোতে এবং সংবাদ মাধ্যমে এরা হাতি-ঘোড়া মারেন, বাঘ-সিংহ বধ করেন। কিন্তু নির্বাচন করতে গেলে দল তো দূরে থাক, এদের সম্মিলিত জোটের ও প্রার্থীর জামানত থাকে না। মূলত বামধারার সুশীল সমাজ দেশের প্রচার মাধ্যমগুলোতে এমনভাবে জেঁকে বসে আছেন যে, তাদের বক্তব্যে প্রতিনিয়ত বিবৃত হয়— জনমতের তারাই সাচ্চা প্রতিনিধি! কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন তো দূরের কথা, এই মহানগরের ১০ হাজার লোক একত্রিত করে একটা জাগ্রত জনতার পদচারণা সৃষ্টিতে তারা অক্ষম। তারা ‘নখদন্তহীন ব্যাঘ্র’র মতো। তাই তাদের ব্যর্থ হুঙ্কারে সরকার টলে না, প্রান্ত্মিক জনতাও তাদের কথায় এতটুকু হেলে না। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পথ তাদেরই খুঁজে বের করতে হবে।

সরকারবিরোধী নেতৃত্বে অনুসন্ধান করলে বিদ্যা ও প্রতিভার সন্ধান মিলবে, কিন্তু সাহস ও যথাযথ পরিকল্পনার অভাব পরিলক্ষিত হয় প্রকটভাবে। ড. কামাল হোসেন ও ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর জোট গঠিত হয়, কিন্তু এই জোটের পক্ষ থেকে কর্মসূচি প্রদত্ত হলেও অতীতে সেই কর্মসূচিতে জনগণের সম্পৃক্ততা পরিলক্ষিত হয়নি। তাই আমার মানসিকতা বিধ্বস্ত হয় এসব খ্যাতিমান বিদ্বান এবং জৌলুসি নেতৃত্বকে বিনম্র চিত্তে অনুরোধ করতে ইচ্ছে করে— কালক্ষেপণ না করে এই না পারার কারণ অনুসন্ধান করে বের করুন। নইলে আন্দোলন মাঠে মারা যাবে; জনগণেরও হতাশা বৃদ্ধি পাবে। বাংলার ভাগ্যাকাশে আজকে যে ঘনকালো মেঘ জমেছে তা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে ঘনঘোর অমানিশার সৃষ্টি করবে। আপনারা সচকিত হোন। নিজ নিজ সংগঠনগুলোকে কর্মীসমৃদ্ধ করে সচল ও সরব করুন। মাসলম্যান ও কালোটাকার দৌরাত্ম্য থেকে রাজনীতিকে অবমুক্ত করার আপনারা বুলি আওড়ান, সেটি থেকেও আপনারা আত্মশুদ্ধ হন। সফলতা অর্জনে সত্যিকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে আপনারা প্রান্ত্মিক জনতাকে সম্পৃক্ত করার মতো বাস্তবমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে একেকটি আন্দোলনের সোপান উত্তরণের মধ্য দিয়ে শুচিশুদ্ধ মানসিকতায় (শুধু ক্ষমতাগ্রহণের অভিপ্রায়ে নয়) সামনের দিকে ধীর পদক্ষেপে, প্রত্যয়দৃঢ় চিত্তে এগিয়ে আসতে পারলে সাফল্যের স্বর্ণসৈকতে পৌঁছানো দুঃসাধ্য হবে না।

লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

এই বিভাগের আরও খবর
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
নির্বাচন ও গণভোট
নির্বাচন ও গণভোট
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
সর্বশেষ খবর
আশুগঞ্জে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
আশুগঞ্জে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

৩১ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

বিহার জয়ের পর পশ্চিমবঙ্গ দখলের ঘোষণা বিজেপির, তৃণমূলের কটাক্ষ
বিহার জয়ের পর পশ্চিমবঙ্গ দখলের ঘোষণা বিজেপির, তৃণমূলের কটাক্ষ

৩৭ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোলায় হচ্ছে গ্যাসভিত্তিক সার কারখানা, তিন উপদেষ্টার পরিদর্শন
ভোলায় হচ্ছে গ্যাসভিত্তিক সার কারখানা, তিন উপদেষ্টার পরিদর্শন

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেনীতে পুলিশের ওপর হামলা, আহত ৩
ফেনীতে পুলিশের ওপর হামলা, আহত ৩

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মেহেরপুরে সীমান্তে ১২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
মেহেরপুরে সীমান্তে ১২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মেহেরপুরে সীমান্তে ১২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
মেহেরপুরে সীমান্তে ১২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

১৩ দাবি নিয়ে মাঠে বৃহত্তর সুন্নী জোট
১৩ দাবি নিয়ে মাঠে বৃহত্তর সুন্নী জোট

১১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু
এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু

২০ মিনিট আগে | রাজনীতি

কুড়িগ্রামে নতুন নারী জেলা প্রশাসক
কুড়িগ্রামে নতুন নারী জেলা প্রশাসক

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আলিম পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল রবিবার
আলিম পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল রবিবার

২৭ মিনিট আগে | জাতীয়

৩১ দফা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার সেলিমুজ্জামানের
৩১ দফা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার সেলিমুজ্জামানের

২৮ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর
আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর

৩১ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

শার্শায় গণঅভ্যুত্থানে শহিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
শার্শায় গণঅভ্যুত্থানে শহিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রাকচাপায় ভ্যান আরোহী নিহত
ট্রাকচাপায় ভ্যান আরোহী নিহত

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় ২ জনকে হত্যা
চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় ২ জনকে হত্যা

৪১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিচারকের ছেলেকে হত্যার ঘটনায় মামলা
বিচারকের ছেলেকে হত্যার ঘটনায় মামলা

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দুই দফা দাবিতে বিচারকদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, না মানলে কলমবিরতি
দুই দফা দাবিতে বিচারকদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, না মানলে কলমবিরতি

৪৩ মিনিট আগে | জাতীয়

ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন, পুড়ল কোরআন; নিন্দার ঝড়
ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন, পুড়ল কোরআন; নিন্দার ঝড়

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোয়ালঘর থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
গোয়ালঘর থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

৪৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শ্রীপুরে বিএনপিতে যোগ দিলেন পাঁচ শতাধিক আদিবাসী
শ্রীপুরে বিএনপিতে যোগ দিলেন পাঁচ শতাধিক আদিবাসী

৪৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

জামালপুরে ওয়ারেছ আলী মামুনের নির্বাচনী গণসংযোগ
জামালপুরে ওয়ারেছ আলী মামুনের নির্বাচনী গণসংযোগ

৫১ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ হাজার 'বিপজ্জনক ড্রাইভারের' লাইসেন্স বাতিল
যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ হাজার 'বিপজ্জনক ড্রাইভারের' লাইসেন্স বাতিল

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেঘনায় নিখোঁজ দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার
মেঘনায় নিখোঁজ দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টার্মিনাল নেই, রাস্তায় যাত্রী উঠা-নামায় বাড়ছে ভোগান্তি
টার্মিনাল নেই, রাস্তায় যাত্রী উঠা-নামায় বাড়ছে ভোগান্তি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপি’র মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময়সীমা বাড়ানো হলো
এনসিপি’র মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময়সীমা বাড়ানো হলো

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি
অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত
জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে আর কোনো ধোঁয়াশা নেই: নুর
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে আর কোনো ধোঁয়াশা নেই: নুর

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেরপুরে সীমান্তে জমজমাট হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত
শেরপুরে সীমান্তে জমজমাট হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত
৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের
পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’
‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি
বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার
৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার
আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন আব্দুস সালাম ব্যাপারী
ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন আব্দুস সালাম ব্যাপারী

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আলী রীয়াজ
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আলী রীয়াজ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন
উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বৈবাহিক সম্পর্কেরও মেয়াদ থাকা উচিত: কাজল
বৈবাহিক সম্পর্কেরও মেয়াদ থাকা উচিত: কাজল

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ
শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ
সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংবিধান সংশোধন করে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়ালো পাকিস্তান
সংবিধান সংশোধন করে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়ালো পাকিস্তান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে স্বাগত জানাল ১২ দলীয় জোট
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে স্বাগত জানাল ১২ দলীয় জোট

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পর গণভোট বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পর গণভোট বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন
গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট
সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা
এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস নয়: মির্জা ফখরুল
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস নয়: মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেপালের বিপক্ষে একাদশে হামজা-জামাল, বেঞ্চে সমিত
নেপালের বিপক্ষে একাদশে হামজা-জামাল, বেঞ্চে সমিত

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু, ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন তারেক রহমান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু, ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন তারেক রহমান

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা-জায়ানের চোটের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন কোচ কাবরেরা
হামজা-জায়ানের চোটের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন কোচ কাবরেরা

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর)

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ
ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’
যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’

শোবিজ

তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন
তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন

শোবিজ

রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই
রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা
টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা

পেছনের পৃষ্ঠা

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন
ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন

দেশগ্রাম

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি
নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি

নগর জীবন

হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া
হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া

মাঠে ময়দানে

সমুদ্রবিলাসে প্রভা
সমুদ্রবিলাসে প্রভা

শোবিজ

ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়
ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়

প্রথম পৃষ্ঠা

আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের
আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের

পূর্ব-পশ্চিম

একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য
একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’
জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’

শোবিজ

চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা
চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ
রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ

নগর জীবন

পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান
পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান

মাঠে ময়দানে

সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট
সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি
নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে
নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে

নগর জীবন

উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়
উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়

মাঠে ময়দানে

বাড়ছেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ
বাড়ছেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

হাই কোর্টের সামনে ড্রামে খণ্ডবিখণ্ড লাশ
হাই কোর্টের সামনে ড্রামে খণ্ডবিখণ্ড লাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ

সম্পাদকীয়

প্রধান উপদেষ্টা মূল দলিল থেকে বহু দূরে সরে গেছেন
প্রধান উপদেষ্টা মূল দলিল থেকে বহু দূরে সরে গেছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে জমজমাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে জমজমাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতান্ত্রিক ধারায়  ফেরার একমাত্র পথ নির্বাচন
গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরার একমাত্র পথ নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু
বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু

নগর জীবন