শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

লক্ষ্য অর্জনে প্রত্যয়দৃঢ় নেতৃত্ব চাই

নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রিন্ট ভার্সন
লক্ষ্য অর্জনে প্রত্যয়দৃঢ় নেতৃত্ব চাই

গণতন্ত্রের মূল নির্যাসই হলো মৌলিক অধিকার। মৌলিক অধিকারের সংজ্ঞাটিও সোজাসাপ্টা, নির্মল ও পরিষ্কার। আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জন্ম হতেই গণতন্ত্রের পক্ষে-বিপক্ষে নানারকম যুক্তিতর্ক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইতিহাসে বিবৃত রয়েছে। পেস্নটো, অ্যারিস্টটল থেকে শুরু করে হ্যারল্ড লাস্কি পর্যন্ত নানা গুণীজনের জ্ঞানদীপ্ত আলোচনা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিশেস্নষণকেই শুধু সমৃদ্ধ করেনি, গণতন্ত্রের পক্ষে-বিপক্ষে তথ্য-উপাত্ত যতকিছুই এসেছে, তার মধ্য দিয়ে একটি সত্য প্রতিষ্ঠিত—ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। গণতান্ত্রিক সরকারের যারা সমালোচনা করেছেন, তাদের বাক্যবাণও ছিল সুতীড়্গ্ন। ‘শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকার’ বা ‘সংখ্যাভিত্তিক সরকার, গুণভিত্তিক নয়’—এ ধরনের অসংখ্য উক্তি, সমালোচনা-পর্যালোচনায় স্থান পেলেও উপসংহারের অববাহিকায় যুগ যুগ ধরে যে সত্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা হলো—হাজারো ত্রুটি-বিচ্যুতি সত্ত্বেও প্রান্ত্মিক জনতার স্বার্থের রক্ষাকবচ গণতন্ত্র। এই গণতন্ত্রই রাষ্ট্রকে একনায়কতন্ত্রের অভিশপ্ত ছোবল থেকে রক্ষা করতে পারে। সামরিক শাসন ও স্বৈরতন্ত্রের রাহুর কবল থেকে দেশকে অবমুক্ত রাখতে পারে। সে ক্ষেত্রে সব রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও মনীষীদের অভিমত, গণতন্ত্র অবশ্যই মৌলিক অধিকার সমন্বিত, অন্যদিকে বিশেষণ-বিবর্জিত বা অবারিত হতে হবে। ‘মৌলিক গণতন্ত্র’, ‘শোষিতের গণতন্ত্র’, ‘সর্বহারার গণতন্ত্র’— এসবের শৃঙ্খলে দেশে-দেশে কালে কালে মানুষ শুধু শাসিতই হয়নি, গণতন্ত্রের অবমূল্যায়নও হয়েছে মারাত্মকভাবে। মার্কস, অ্যাঙ্গেলস থেকে শুরু করে লেনিন, স্ট্যালিন; অন্যদিকে মাও সে তুং ও তাঁর অনুসারীরা সর্বহারার শাসনকেই নির্ভেজাল গণতন্ত্রের শক্ত পাদপীঠ হিসেবে বিশ্বাস করে সমাজতান্ত্রিক বিপস্নবের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে শুধু দীর্ঘদিন রাষ্ট্র পরিচালনাই করেননি, একটি নতুন মতবাদের শক্তিশালী ভিত রচনা করে যে বৈপস্নবিক সরকার প্রতিষ্ঠা করেন, সেখানেও লেনিনের সুস্পষ্ট ঘোষণা ছিল—সর্বহারার সরকারই মূলত গণতান্ত্রিক সরকার। এ প্রশ্নে এত আলোচনা, সমালোচনা ও পর্যালোচনা হয়েছে যে, এই ক্ষুদ্র নিবন্ধে সেই বিসত্মৃত আলোচনায় যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে বিনম্র চিত্তে এই নিবন্ধের পাঠকদের আমি স্মরণ করাতে চাই, সেই ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন থেকে রাজনীতিতে সরব পদচারণা শুরুর সময় হতে আজ পর্যন্ত আমি স্থির প্রত্যয়ে বিশ্বাস করি, ‘শোষিত’ ‘সর্বহারা’ ‘মৌলিক’— যে কোনো বিশেষণের মোড়কে পুরলেই গণতন্ত্রের স্বকীয়তা ক্ষুণ্ন হয়।

আজকে রাজনীতিও তেমন রমরমা নাই। বিশ্বজোড়া সমাজতন্ত্রের নিনাদও আজ গগণবিদারী নয়। রাশিয়ায় এবারও ৭০ ভাগের বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী পুতিন যে আদলে রাশিয়ার শাসনব্যবস্থাকে সাজিয়েছেন, তাকে মৌলিক অধিকার সমন্বিত বলা না গেলেও একদলীয় শাসনব্যবস্থা যে নয় তা স্পষ্ট, সর্বহারার শাসনের নামে নির্বাচন ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি, বিবর্তনের ধারায় রাশিয়া বর্তমান অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।

এই আঙ্গিকে বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিকতায় আসলে অবশ্যই উল্লেখ করতে হয়, সমাজতন্ত্র নামক ব্যাধি স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হয়। এ লেখা যখন লিখছি তখন আগস্ট মাস; যে মাসে আমরা জাতির জনক, বাংলার মানুষের হৃদয়ের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত মুকুটহীন সম্রাটকে হারিয়েছি, সেই মাসে প্রচ- ব্যথা-ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আমাকে উল্লেখ করতে হয়, ভ্রান্ত সমাজতন্ত্রীদের সুপরিকল্পিত এবং সূক্ষ্ম কূট-কৌশলে পাতা ফাঁদে বঙ্গবন্ধুকে পড়তে হয়েছিল। পাকিসত্মানের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বঙ্গবন্ধু গণতান্ত্রিক পথপরিক্রমণের বিজয়ী সেনাপতি হিসেবে একটি নিরবচ্ছিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্দিষ্ট স্র্র্রোতধারায় প্রান্ত্মিক জনতার মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আদর্শিক রাখিবন্ধন তৈরি করে স্বাধীনতার স্বর্ণসৈকতে জাতিকে পৌঁছে দিয়েছিলেন। পরাধীনতার বক্ষ বিদীর্ণ করে স্বাধীনতার সূর্যকে ছিনিয়ে এনেছিলেন। এখানে তাঁর মন্ত্র ছিল— গণতন্ত্র ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং তার অকুতোভয় সৈনিক ছিল ছাত্রলীগ। তাঁর এই দীর্ঘদিনের অভিযানে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি আন্দোলনে কোনো বিভ্রান্ত্মি আনতে পারেনি। আর পারেনি বলেই একটা নিরীহ নিরস্ত্র জনগোষ্ঠীকে নিয়ে পাকিসত্মানের হিংস্র সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের নেতৃত্বে তাঁর রণকৌশল বিশ্বের কাছে আজও পরম বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের রাজনীতির মধ্যে বামধারার রাজনীতি দ্বারা আক্রান্ত গণতন্ত্র তার স্বকীয়তা হারায়। বহুদলীয় গণতন্ত্রের খোলনলচে বদলে গিয়ে অনেকটা যেন হঠাৎ করেই একদলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থায় ঘনঘোর অমানিশার আবর্তে পড়ে যায়। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বামধারার রাজনীতির দুর্দদমনীয় মনসত্মাত্ত্বিক আক্রমণ বঙ্গবন্ধুকেও এমন মারাত্মকভাবে প্রভাবান্বিত করে যে, তিনি একদলীয় শাসনব্যবস্থার প্রচলন তো বটেই, শাসনতন্ত্রের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বাকশাল গঠন করেন। এই ব্যবস্থা প্রচলনের প্রচেষ্টাকালে আমি অকুতোভয়ে আমার সর্বশক্তি দিয়ে বিরোধিতা করে তা রুখতে তো পারিইনি, বরং আকাশ হতে বিচ্যুত নক্ষত্রের মতো রাজনীতিতে নিষ্প্রভ ও নিষ্ক্রিয় হতে বাধ্য হই। জীবনসায়াহ্নে এসে এ জন্য আমার কোনো আফসোস নেই, বরং যৌবনের সেই অকুতোভয় ও উদ্ধত আচরণ আমার জীবনের প্রচ- অহংকার এবং প্রজ্বলিত অনুপ্রেরণা হিসেবে আজও আমাকে উদ্দীপ্ত করে, উজ্জীবিত করে, উদ্বেলিত করে। কিন্তু একটি দুঃখ আজও আমার বক্ষজুড়ে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ ঘটায়। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, ১৫ আগস্টের হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের অনেকের ফাঁসি হয়েছে, অনেকে নানাবিধ সাজা এমনকি মৃত্যুদ- নিয়ে প্রবাসে পালিয়ে রয়েছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পথপরিক্রমণের চিরায়ত ধারায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে অথবা নানাপ্রকার অপপ্রচার চালিয়ে গণবাহিনীর গণহত্যা, পাটের গুদামে আগুন, খাদ্যগুদাম লুট ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে জনগণের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ঈদের জামাতে সংসদ সদস্য হত্যার মাধ্যমে প্রশাসনিক ব্যর্থতার একটা দায়ভার বঙ্গবন্ধুর স্কন্ধে চাপিয়ে দিয়ে তাঁর প্রশান্ত হৃদয়কে তারা শুধু আতঙ্কিতই করে তোলেনি, বরং ধীরে ধীরে তাঁকে একদলীয় স্বৈরশাসনের মানসিকতা তৈরিতে উপাদান জুগিয়েছে। তাদের বিচার তো অনেক দূরের কথা, তারা আজ রাজনৈতিক সমালোচনার আবর্তেরও অনেক ঊর্ধ্বে। সেদিনের গণবাহিনীর অনেক নায়ক আজকে রাজনীতির চালকের আসনে। শেখ হাসিনার শাসনামলে নির্বাচনের ব্যবস্থা আছে, বহুদলীয় শাসনব্যবস্থাও কাগজে-কলমে প্রচলিত আছে। কিন্তু দেশ ক্রমে ক্রমেই একদলীয় এবং একব্যক্তির স্বৈরশাসনে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমাদের দেশের একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ, ‘কাজীর গরু খাতায় আছে, গোয়ালে নাই’। গণতন্ত্রও তেমনি আজ রুগ্ন ও বিবর্ণ অবয়বে শাসনতন্ত্রে আছে কিন্তু বাস্তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে নাই। নির্বাচন কমিশনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নিবন্ধিত দলগুলো তো বটেই, প্রধান বিরোধী দলও আজ পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীর মতো নিষ্প্রভ। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দলের অংশীদারিত্বও আজ অনিশ্চিত। এই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ওঠার কোনো বাস্তব উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে নেই। তবে একটি রাজনৈতিক সংঘাত এড়াতে হলে আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তার লক্ষ্যে একটি যথাযথ ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই হবে।

এ বছরেরই ডিসেম্বরের শেষের দিকে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনের আগে নির্বাচনের আঙ্গিকে সভা-সমিতি, মিছিল-সেস্নাগানে রাজনৈতিক অঙ্গনে সরব ও উচ্চকিত হওয়ার কথা। তার আলামত এখনো সুস্পষ্ট নয়। প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারারুদ্ধ। তাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার সম্ভাবনাও প্রকট। অন্যদিকে বিএনপির কোনো প্রতিবাদী পদক্ষেপ ও কার্যকারিতা নাই। এর জন্য পুলিশ ও র‌্যাব কতটা দায়ী অথবা বিএনপির গণতান্ত্রিক গণআন্দোলন সৃষ্টির অক্ষমতা কতটা দায়ভার বহন করে সেটা বিশেস্নষণের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। আমি স্থির প্রত্যয়ে বিশ্বাস করি, পরিবেশ যত কণ্টকাকীর্ণই হোক না কেন, অটুট মনোবল ও সাংগঠনিক ঐক্য নিয়ে বিএনপিকে সামনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেই হবে। এমনিতেই বিগত নির্বাচন বর্জন করে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়ে দলটি গণতন্ত্র সচেতন নাগরিকদের হতাশা ও অনিশ্চয়তার গহ্বরে নিপতিত করেছে। বিগত নির্বাচনে বিএনপির অংশীদারিত্ব থাকলে সরকার গঠন করতে না পারলেও বিএনপি সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে সুদৃঢ় ভূমিকা রাখতে পারত। এবং সেটা অবশ্যই গৃহপালিত বা আজ্ঞাবহ হতো না। সেক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়ার মনোবল আজকের দিনের মতো এতখানি ভেঙে পড়ত না, তাঁর ভাবমূর্তির রূপ ও রং ফ্যাকাশে হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকত না। আমি বিএনপির সমর্থক নই, তবুও নিশ্চিত করে বলতে পারি, এটা অভাবনীয় সত্য যে, নির্বাচনে খালেদা জিয়া নিজে সমগ্র বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনী এলাকা থেকে কখনো পরাজিত হননি। তাঁর জনপ্রিয়তা অথবা নির্বাচনী কৌশল আমাকে আশ্চর্যান্বিত করে, বিস্ময়াভিভূত করে। আজ কোনো অদৃশ্য চাপে তিনি তার সব শক্তি ও কৌশল হারিয়ে ফেলে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং বিএনপিকে এমন এক দুর্বিপাকে নিপতিত করলেন— তা আমাকে বিস্মিত করলেও আমরা অনুধাবন করতে পারছি— কোনো একটি শক্তির অদৃশ্য চাপ হয়তো তাকে ভীত-সন্ত্রস্ত বা দিশাহারা করে ফেলেছে।

অন্যদিকে বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থায় আওয়ামী লীগের কিছু নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকা-, বিশেষ করে লাগামহীন দুর্নীতি ও পুলিশি নির্যাতন এতখানি উৎকট রূপ ধারণ করেছে যে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এমনিতেই একটি ভোটব্যাংক সৃষ্টি হয়ে গেছে। তার পাশাপাশি এটাও সত্য, বিএনপি ছাড়া অন্য কোনো দল বা ফ্রন্টের পক্ষে এই ভোট ব্যাংক নিজেদের সপক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশের চিরায়ত ধারায় এটা স্পষ্ট যে, সম্ভাব্য শক্তিশালী বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি ছাড়া মানুষ তার ভোট অন্য কাউকে দিয়ে নষ্ট করতে চায় না। তাই এবার বিএনপি নির্বাচনে না এলে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশই শুধু তৈরি হবে না, বরং সমগ্র রাজনীতিতে যে হতাশা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে তা অভাবনীয়। দেশের প্রান্ত্মিক জনতা এমনিতেই মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এবারের নির্বাচনটি বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া অনুষ্ঠিত হলে দেশকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে তো দেবেই, গণতন্ত্রের পদ্ধতিকেও অবলুপ্ত করে দিতে পারে।

ইতিমধ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দলের জোট গঠিত হচ্ছে। তাদের খাটো না করেও সন্দেহাতীতভাবে বলা চলে, দেশবাসী আজও বিএনপিকেই আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার একমাত্র শক্তি মনে করে। দুঃখজনক হলেও বাস্তব, অন্য কোনো দল, জোট বা ফ্রন্ট জনগণের কাছে সেই বিবেচনায় আসে না।

দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে। এটা সত্য যে কোনো ব্যক্তিই, তিনি যত বড় দলেরই প্রতিনিধিত্ব করেন না কেন, আইনের ঊর্ধ্বে নন। তা সত্ত্বেও এখন প্রশ্ন এসেছে আইন কি স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে এ দেশে কার্যকরি রয়েছে? বিচারিক ব্যবস্থা আজ কি দুর্বল ও বিকলাঙ্গ নয়? প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের করালগ্রাস থেকে কি বিচারিক ব্যবস্থা অবমুক্ত? এই প্রশ্নগুলো মানুষের মনে আসে বলেই কোনো মামলার রায় বা শাসিত্মকে মানুষ নিঃসংশয় চিত্তে মেনে নিতে পারছে না। বরং আজ তাদের ভাবনা—সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা এমনকি অনাকাঙ্ক্ষিত গৃহযুদ্ধের সংশয় থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্যই সরকারকে দৃঢ়তার সঙ্গে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের ব্যবস্থাকে সুনিশ্চিত করার সব পদক্ষেপ অবিলম্বে গ্রহণ করতে হবে। গদগদ চিত্তে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে গিয়ে সমাজ ব্যবস্থা থেকে সর্বদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিতাড়িত করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার আশঙ্কা থেকে দেশকে দূরে রাখতে হবে। আমাদের মনে হয়, এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের দূরদর্শিতার অগ্নিপরীক্ষা—দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে তারা অব্যাহত রাখবেন, না সুকৌশলে বাকশাল প্রতিষ্ঠার আত্মঘাতী পথে হাঁটবেন।

দেশে সুশীল সমাজের নামে একধরনের প্রতিনিধি আছেন। তারা কাগুজে বাঘ। সংবাদ মাধ্যম বিশেষ করে টকশোতে এদের উপস্থিতি ও প্রাধান্য প্রণিধানযোগ্য। টকশোতে এবং সংবাদ মাধ্যমে এরা হাতি-ঘোড়া মারেন, বাঘ-সিংহ বধ করেন। কিন্তু নির্বাচন করতে গেলে দল তো দূরে থাক, এদের সম্মিলিত জোটের ও প্রার্থীর জামানত থাকে না। মূলত বামধারার সুশীল সমাজ দেশের প্রচার মাধ্যমগুলোতে এমনভাবে জেঁকে বসে আছেন যে, তাদের বক্তব্যে প্রতিনিয়ত বিবৃত হয়— জনমতের তারাই সাচ্চা প্রতিনিধি! কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন তো দূরের কথা, এই মহানগরের ১০ হাজার লোক একত্রিত করে একটা জাগ্রত জনতার পদচারণা সৃষ্টিতে তারা অক্ষম। তারা ‘নখদন্তহীন ব্যাঘ্র’র মতো। তাই তাদের ব্যর্থ হুঙ্কারে সরকার টলে না, প্রান্ত্মিক জনতাও তাদের কথায় এতটুকু হেলে না। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পথ তাদেরই খুঁজে বের করতে হবে।

সরকারবিরোধী নেতৃত্বে অনুসন্ধান করলে বিদ্যা ও প্রতিভার সন্ধান মিলবে, কিন্তু সাহস ও যথাযথ পরিকল্পনার অভাব পরিলক্ষিত হয় প্রকটভাবে। ড. কামাল হোসেন ও ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর জোট গঠিত হয়, কিন্তু এই জোটের পক্ষ থেকে কর্মসূচি প্রদত্ত হলেও অতীতে সেই কর্মসূচিতে জনগণের সম্পৃক্ততা পরিলক্ষিত হয়নি। তাই আমার মানসিকতা বিধ্বস্ত হয় এসব খ্যাতিমান বিদ্বান এবং জৌলুসি নেতৃত্বকে বিনম্র চিত্তে অনুরোধ করতে ইচ্ছে করে— কালক্ষেপণ না করে এই না পারার কারণ অনুসন্ধান করে বের করুন। নইলে আন্দোলন মাঠে মারা যাবে; জনগণেরও হতাশা বৃদ্ধি পাবে। বাংলার ভাগ্যাকাশে আজকে যে ঘনকালো মেঘ জমেছে তা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে ঘনঘোর অমানিশার সৃষ্টি করবে। আপনারা সচকিত হোন। নিজ নিজ সংগঠনগুলোকে কর্মীসমৃদ্ধ করে সচল ও সরব করুন। মাসলম্যান ও কালোটাকার দৌরাত্ম্য থেকে রাজনীতিকে অবমুক্ত করার আপনারা বুলি আওড়ান, সেটি থেকেও আপনারা আত্মশুদ্ধ হন। সফলতা অর্জনে সত্যিকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে আপনারা প্রান্ত্মিক জনতাকে সম্পৃক্ত করার মতো বাস্তবমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে একেকটি আন্দোলনের সোপান উত্তরণের মধ্য দিয়ে শুচিশুদ্ধ মানসিকতায় (শুধু ক্ষমতাগ্রহণের অভিপ্রায়ে নয়) সামনের দিকে ধীর পদক্ষেপে, প্রত্যয়দৃঢ় চিত্তে এগিয়ে আসতে পারলে সাফল্যের স্বর্ণসৈকতে পৌঁছানো দুঃসাধ্য হবে না।

লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

এই বিভাগের আরও খবর
ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ
নির্বাচনের প্রস্তুতি
নির্বাচনের প্রস্তুতি
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি
ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি
মার্কিন শুল্ক তাণ্ডব
মার্কিন শুল্ক তাণ্ডব
মানবকল্যাণ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের গুরুত্ব
মানবকল্যাণ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের গুরুত্ব
জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
নির্বাচনের ধোঁয়াশা কাটছে, প্রস্তুত জনগণ
নির্বাচনের ধোঁয়াশা কাটছে, প্রস্তুত জনগণ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সর্বশেষ খবর
চুরি করে বিদ্যুৎ ব্যবহার, বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতার চার বছরের কারাদণ্ড
চুরি করে বিদ্যুৎ ব্যবহার, বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতার চার বছরের কারাদণ্ড

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

ফেনীতে বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম, ভোগান্তি চরমে
ফেনীতে বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম, ভোগান্তি চরমে

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় যৌতুকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
গাইবান্ধায় যৌতুকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চুরি-ডাকাতি ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন
চুরি-ডাকাতি ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পটিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পটিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পদ্মা সেতুর বোঝা এখনও টানছেন গ্রাহকরা, মোবাইল রিচার্জে কাটে সারচার্জ
পদ্মা সেতুর বোঝা এখনও টানছেন গ্রাহকরা, মোবাইল রিচার্জে কাটে সারচার্জ

১৪ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
গাইবান্ধায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাফে শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোলে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশ
সাফে শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোলে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশ

২৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৭ শিক্ষককে একযোগে বদলি
সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৭ শিক্ষককে একযোগে বদলি

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল উৎসব বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়
আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল উৎসব বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়

৩১ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয়, মাফিয়া সংগঠনে পরিণত হয়েছে : সালাহউদ্দিন
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয়, মাফিয়া সংগঠনে পরিণত হয়েছে : সালাহউদ্দিন

৩২ মিনিট আগে | রাজনীতি

শিবচরে আড়িয়াল খাঁ নদের সেতুর কাছে ভাঙছে পাড়
শিবচরে আড়িয়াল খাঁ নদের সেতুর কাছে ভাঙছে পাড়

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিদেশি নারী ধর্ষণ: কে-পপ তারকার সাজা অর্ধেক করল আদাল
বিদেশি নারী ধর্ষণ: কে-পপ তারকার সাজা অর্ধেক করল আদাল

৩৬ মিনিট আগে | শোবিজ

আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদকে অপবিত্র করেছে : আলাল
আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদকে অপবিত্র করেছে : আলাল

৩৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় অটোচালককে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
কুষ্টিয়ায় অটোচালককে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আট মাস পর কাঁচামরিচ আমদানি শুরু
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আট মাস পর কাঁচামরিচ আমদানি শুরু

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরের পাখির দোকান থেকে ৫০টি দেশীয় বন্যপ্রাণী উদ্ধার
মিরপুরের পাখির দোকান থেকে ৫০টি দেশীয় বন্যপ্রাণী উদ্ধার

৪৭ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

পাবনার সুজানগরে বিএনপির দুই গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা-কর্মী বহিষ্কার
পাবনার সুজানগরে বিএনপির দুই গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা-কর্মী বহিষ্কার

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এসএসসিতে গোপালগঞ্জে সেরা ‘রাবেয়া-আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ’
এসএসসিতে গোপালগঞ্জে সেরা ‘রাবেয়া-আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ’

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বর্তমান অবস্থা কি?
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বর্তমান অবস্থা কি?

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজবাড়ীতে ওজোপাডিকোর কর্মচারী গ্রেফতার
রাজবাড়ীতে ওজোপাডিকোর কর্মচারী গ্রেফতার

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আরও ১৩৮ জন
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আরও ১৩৮ জন

১ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

আশা ভোঁসলের মৃত্যুর গুজব, চটেছেন ছেলে
আশা ভোঁসলের মৃত্যুর গুজব, চটেছেন ছেলে

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

উরি র‌্যাঙ্কিংয়ে ফের শীর্ষে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
উরি র‌্যাঙ্কিংয়ে ফের শীর্ষে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজায় ৮ ইসরায়েলি সেনা হতাহত
গাজায় ৮ ইসরায়েলি সেনা হতাহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কার জালে ৩ গোল দিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কার জালে ৩ গোল দিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ১০ জনকে পুশইন
শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ১০ জনকে পুশইন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২১ জেলায় পানিতে ডুবেছে ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল
২১ জেলায় পানিতে ডুবেছে ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এসএসসি পরীক্ষায় একজনেও পাশ করতে পারেনি বীরগঞ্জের সাতখামার উচ্চ বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী
এসএসসি পরীক্ষায় একজনেও পাশ করতে পারেনি বীরগঞ্জের সাতখামার উচ্চ বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে
কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার
১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই আলফি পাস করেছে
সেই আলফি পাস করেছে

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী
ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা
প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩
লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসি ফলাফলে রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষে বগুড়া
এসএসসি ফলাফলে রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষে বগুড়া

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দিনাজপুর বোর্ডে ১৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি
দিনাজপুর বোর্ডে ১৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আইসিসিতে শেখ হাসিনার বিচার চাইল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
আইসিসিতে শেখ হাসিনার বিচার চাইল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একই স্কুলের ৩২০ জনের সবাই পেল জিপিএ-৫
একই স্কুলের ৩২০ জনের সবাই পেল জিপিএ-৫

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে
বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাপের হাড়ে ফাটল, এক্স-রে করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়
সাপের হাড়ে ফাটল, এক্স-রে করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়

২৩ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ডিমের বাজারে স্বস্তির হাওয়া, বেড়েছে বিক্রি
ডিমের বাজারে স্বস্তির হাওয়া, বেড়েছে বিক্রি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাত-পা ছাড়াই জন্ম নেওয়া সেই লিতুন এসএসসিতে পেলেন জিপিএ-৫
হাত-পা ছাড়াই জন্ম নেওয়া সেই লিতুন এসএসসিতে পেলেন জিপিএ-৫

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাজনীতিতে যারা একেবারে এতিম, তারাই পিআর পদ্ধতি চায় : রিজভী
রাজনীতিতে যারা একেবারে এতিম, তারাই পিআর পদ্ধতি চায় : রিজভী

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাঝআকাশে দুই প্রশিক্ষণ প্লেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভারতীয় পাইলটসহ নিহত ২
মাঝআকাশে দুই প্রশিক্ষণ প্লেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভারতীয় পাইলটসহ নিহত ২

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করল স্পেন
গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করল স্পেন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক
কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী
খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের
গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান মামুনুল হকের
ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান মামুনুল হকের

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন আ স ম রব
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন আ স ম রব

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা
পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকাদের অন্য পেশা
নায়িকাদের অন্য পেশা

শোবিজ

তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল
রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল

প্রথম পৃষ্ঠা

সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের
তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে
ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ
চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ

পেছনের পৃষ্ঠা

নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন
বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

নেপালের তিন দরবার স্কয়ার
নেপালের তিন দরবার স্কয়ার

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি

প্রথম পৃষ্ঠা

মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু
মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়
এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা
স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী
দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু
হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই

সম্পাদকীয়

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ

সম্পাদকীয়

জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী
জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি
ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা
ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা

পেছনের পৃষ্ঠা

তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা