সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ইতিহাস

সমরকন্দ পুনরুদ্ধার

নিজের অতীতের কথা লিখতে গিয়ে বাবর বলেছেন, সমরকন্দ পুনরুদ্ধার ছিল আল্লাহর দেওয়া সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার। এরপর বাবরের ল্য হয়ে দাঁড়ায় ফরগানা দখল করা। এদিকে পশ্চিম দিক থেকে উজবেকদের আক্রমণের ভয়ও ছিল। ফলে তাকে ভারত ও এর পূর্ব দিকে মনোনিবেশ করতে হয়, বিশেষ করে আইয়ুদিয়ার রাজ্য এবং পেনিনসুলার মালায়া। বাবর নিজেকে সৈয়দ বংশের সত্যিকারের শাসনকর্তা হিসেবে দাবি করেন। একইভাবে নিজেকে তিমুরের মুকুটের দাবিদার হিসেবে উলেস্ন্লখ করেন তিনি। তিমুর প্রকৃতপ েখিজর খানের ছিল, তিনি এটিকে মিত্ররাজ্য পাঞ্জার হাতে দিয়ে চলে গিয়েছিলেন। পরে তিনি দিলিস্ন্ল সালতানাতের সুলতান হয়েছেন। সৈয়দ বংশ পরে আফগানের শাসনকর্তা ইবরাহিম লোদির কাছে বেদখল হয়ে যায়। বাবর এটিকে পুনর“দ্ধার করতে চান। তিনি পাঞ্জাব আক্রমণ করার আগে ইবরাহিম লোদিকে একটি অনুরোধ করেন, ‘আমি তাকে একটি গোসাওক পাঠিয়েছি এবং তার কাছে সে সব দেশের অধিকার চেয়েছি যেগুলো প্রাচীনকাল থেকেই তুর্কিদের ওপর নির্ভরশীল।’ ইবরাহিম বাবরের প্রস্তাব গ্রহণ করেননি এবং খুব তাড়াতাড়ি তাকে আক্রমণের পরিকল্পনাও করেননি। তাই বাবর এর মধ্যে কিছু পূর্ব প্রস‘তি সেরে নেন আক্রমণের জন্য এবং কান্দাহার বন্ধ করে দেন। তিনি কাবুলের পশ্চিম দিক থেকে আক্রমণ চালানোর একটি রণকৌশল ঠিক করেন ভারত দখলের জন্য। কান্দাহার বন্ধ করে দেওয়ার ফলে আক্রমণ ধারণাকৃত সময়ের অনেক পরে সংঘটিত হয়। প্রায় তিন বছর পর কান্দাহার ও এর পৌরদুর্গ বেদখল হয়েছিল এবং এ ছাড়াও অন্যান্য ছোটখাটো যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই খ্লযুদ্ধগুলো বাবরকে সফল হওয়ার সুযোগ করে দেয়। পাঞ্জাবে প্রবেশের সময় বাবরের রাজদূত লঙ্গর খান নিয়াজী বাবরকে পরামর্শ দেন জানজুয়ার রাজপুত্রকে এই অভিযানে সম্পৃক্ত করার জন্য, তাদের এই দিলিস্ন্ল জয়ের অভিযান বেশ পরিচিত লাভ করে। বাবর তার প্রধান ব্যক্তি মালিক আসাদ এবং রাজা সংঘর খানের কাছে তার রাজ্যে ঐতিহ্যগত শাসনের সুফল এবং তার পূর্বপুর“ষের সহযোগিতার কথা উলেস্ন্লখ করেন। বাবর শত্র“দের পরাজিত করে তাদের নিজের দলে ভিড়ান। ১৫২১ সালে গাখারসে তার মিত্রদের একত্রিত করেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর