শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ আপডেট:

যুক্তফ্রন্ট এবং দ্বিকালের তুচ্ছতাচ্ছিল্য!

গোলাম মাওলা রনি
প্রিন্ট ভার্সন
যুক্তফ্রন্ট এবং দ্বিকালের তুচ্ছতাচ্ছিল্য!

আজকের নিবন্ধের বিষয়বস্তু হিসেবে আমি মূলত তিনটি প্রসঙ্গ আলোচনা করব। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট, ২০১৮ সালের যুক্তফ্রন্ট এবং যুক্তফ্রন্টকে ঘিরে তৎকালীন এবং সমকালীন ক্ষমতাসীনদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য নিয়ে আলোচনার শুরুতে আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না যে, কোনটি সবার আগে তুলে ধরব।

আমার মনে হচ্ছে মানুষের ভুলো মন এবং তুচ্ছতাচ্ছিল্যের প্রতিক্রিয়া নিয়ে দু-চারটি কথা বলে মূল প্রসঙ্গের আলোচনা শুরু করলে বিষয়টি পাঠকদের কাছে তুলনামূলকভাবে সহজবোধ্য হবে। আমরা সবাই জানি, ভুলো মন বা স্মৃতিবিভ্রাট বলতে আসলে কিছু নেই। কখনো সখনো মানুষের মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটলে এবং মস্তিষ্কের নিউরনের সুনির্দিষ্ট অংশে পচন ধরলে মানুষ অনেক কিছু ভুলে যায়। অন্যথায় মানুষ সাধারণত ভোলে না। তারা ভুলে থাকার ভান করে অথবা ভুলে থাকার ভং ধরে বিশেষ সং শুরু করে।

মানুষ যখন মনে করে যে, বিষয়টি তার মনে রাখার দরকার নেই— অথবা তার পদমর্যাদা এবং অবস্থানের কারণে বিষয়টি হয়তো কেউ তাকে মনে করিয়ে দেবে তখনই সে ঘটনাটিকে মনের অভ্যন্তরে ছাইচাপা দিয়ে রাখে। আবার ঘটনার সঙ্গে যদি তার ব্যক্তিগত লাভ-লোকসান, স্বার্থ, লোভ-লালসা কিংবা প্রাপ্তির যোগ না থাকে, তাহলেও মনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ঘটনার ছাই বা সলিল সমাধি রচিত হয়। আমাদের জাতীয় জীবনের প্রথম যুক্তফ্রন্টের ঘটনাও আমরা একই কারণে ছাইচাপা দিয়ে রেখেছি। এবার তুচ্ছতাচ্ছিল্য নিয়ে কিছু বলি। এটি অত্যন্ত নীতিগর্হিত কাজ এবং সব ধর্মেই এটাকে কবিরা গুনাহ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কালামে রব্বানির সূরা লুকমানের ১৮ নম্বর আয়াতে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের কারণ ও পরিণতি উল্লেখ করে তা না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। কোরআনের ভাষ্যমতে, মানুষ সবসময় অহংকারের বশবর্তী হয়ে অবজ্ঞা বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে থাকে এবং একই কারণে জমিনে দম্ভ করে বেড়ায়। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনায় না গিয়ে আমরা এবার সরাসরি শিরোনাম প্রসঙ্গে চলে যাই।

১৯৫৪ সালে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে যখন যুক্তফ্রন্ট গঠিত হলো তখন সেই রাজনৈতিক জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকারি দলের লোকেরা পথে-ঘাটে হাসি-তামাশা, ঠাট্টা-মস্করার পাশাপাশি তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে নানামুখী কথাবার্তা আরম্ভ করে দিল। তৎকালীন যুক্তফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের বয়স, গণবিচ্ছিন্নতা, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, অবিশ্বাস এবং জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মুসলিম লীগ নেতারা যা মুখে আসে তাই বলা শুরু করলেন। যাকে কেন্দ্র করে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হলো সেই শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের বয়স ছিল তখন ৮১ বছর। ভারত বিভাগের পর তিনি তৎকালীন পাকিস্তানের রাজনীতিতে অপাঙেক্তয় হয়ে পড়েন। তাকে ভারতের দালাল আখ্যা দিয়ে এমনভাবে কোণঠাসা করে রাখা হয় এবং ভয়ভীতি দেখানো হয়, যার কারণে তিনি অলিখিতভাবে রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। অন্যদিকে তার কৃষক শ্রমিক প্রজা পার্টির কার্যক্রম, সাংগঠনিক ভিত্তি ও ক্ষমতা সম্পূর্ণ মুখ থুবড়ে পড়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন পূর্ব বাংলার মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠার অবিসংবাদিত জনপ্রিয় নেতা। তার অতীত ইতিহাস, সফলতা এবং জনপ্রিয়তার জন্য ক্ষমতাসীনরা তাকে ভিতরে ভিতরে যমের মতো ভয় পেতেন।

যুক্তফ্রন্টের দ্বিতীয় নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীও ছিলেন পাকিস্তানের জাতীয় রাজনীতিতে অপাঙেক্তয়। পাকিস্তান গঠনের পর দীর্ঘদিন তাকে দেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরবর্তীকালে দেশে ফেরার অনুমতি মিললেও তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনীতিতে সুবিধা করতে না পেরে পূর্ব বাংলায় এসে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তিনি যখন আওয়ামী লীগে ভিড়লেন তখন দল হিসেবে আওয়ামী লীগ আজ-কালকার গণফোরাম, এলডিপি বা বিকল্প ধারার চেয়ে কতটুকু বড় বা ছোট ছিল তা যেমন স্পষ্ট করে বলা যাবে না, তদ্রূপ তৎকালীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের পারস্পরিক কলহ-বিবাদ যে বর্তমান সরকারের শরিক দল জাসদের ইনু বনাম বাদলের চেয়েও ভয়ঙ্কর ছিল, তা নির্দ্বিধায় বলা চলে। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা ভাসানীর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন না থাকলেও তার চীনা নীতি এবং দলের অভ্যন্তরে অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে কোণঠাসা হয়ে তিনিও অনেকটা আশাহত ও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিলেন। ফলে যুক্তফ্রন্ট নিয়ে যখন একপক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করছিলেন তখন অন্যপক্ষ সমানতালে প্রাণখুলে হাসি-তামাশা করেই যাচ্ছিলেন।

প্রথম যুক্তফ্রন্ট গঠনের পর ৬৪ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। এই সুদীর্ঘ সময়ে তৎকালীন পূর্ব বাংলা এবং ১৯৭১-পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহু উত্থান-পতন, নাটকীয় ঘটনা প্রাসাদ-ষড়যন্ত্র, প্রহসন ইত্যাদি ঘটে গেছে। কিন্তু সব কিছুর ইতিহাস ছাপিয়ে যুক্তফ্রন্টের গঠন ও বিজয়ের কাহিনী আজও রাজনীতির মাঠে ধ্রুবতারা এবং মাইলস্টোন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকবৃন্দ যুক্তফ্রন্টের গঠন ও বিজয়ের নেপথ্য কারণসমূহ বর্ণনা করে যে সারমর্ম তৈরি করেছেন তা মহাকালের রাজনীতির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখপাঠ্য মর্মবাণী হয়ে রয়েছে। যুক্তফ্রন্টের বিজয়ের পেছনে মূলত সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ও ঘৃণা যেমন কাজ করছিল তেমনি পুরো জাতির কাছে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য নেতৃবৃন্দ যখন ফ্রন্টের দায়িত্ব নিলেন তখন মানুষ তাদের ওপর আস্থা স্থাপনের সুযোগ পেল। ব্যক্তি হিসেবে শেরেবাংলা এবং সোহরাওয়ার্দী সর্বভারতীয় রাজনীতিতে এমন একটি স্থানে পৌঁছে গিয়েছিলেন যাদের যোগ্যতা, সফলতা, গ্রহণযোগ্যতা, শিক্ষা-দীক্ষা ইত্যাদির সঙ্গে তুলনা করা যেত এমন একজন লোকও মুসলিম লীগে ছিল না। অবস্থার চাপে তারা হয়তো কোণঠাসা ছিলেন— অথবা বয়সের ভারে ন্যুব্জ ছিলেন; কিন্তু জ্ঞান-বুদ্ধিতে তারা ছিলেন অতুলনীয়। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তাদের অতীত সফলতা, নানা অঘটন ঘটনে অপরিসীম দক্ষতা এবং দুর্যোগ মোকাবিলার যে সক্ষমতা তাদের ছিল তার কথা ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ নেতারা বেমালুম ভুলে গিয়ে নিজেদের পতন ডেকে এনেছিলেন।

১৯৫৪ সালের ঠিক ৬৪ বছর পর স্বাধীন বাংলাদেশে পুনরায় যুক্তফ্রন্ট নাম দিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তি মিলে একটি রাজনৈতিক জোট করেছেন। এ জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ঠিক অতীতকালের মতোই আলাপ-আলোচনা, ঠাট্টা-মশকরা ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য মূলক কথাবার্তা শুরু হয়েছে। অতীতকালের সঙ্গে নব্য ডিজিটাল সংস্কৃতির সংযোগ এবং সাম্প্রতিক সময়ের মন-মানসিকতা, চরিত্র, আচার-আচরণ ইত্যাদির সমন্বয়ে সমালোচনার যে ভাষা ব্যবহূত হচ্ছে, তা যদি ১৯৫৪ সালের মুসলিম লীগ নেতারা দেখতেন অথবা শুনতেন তবে শরমে-মরমে মাটির সঙ্গে মিশে যেতেন। সরকারি দলের শীর্ষ নেতারা যদিও সংযত মন্তব্য করেছেন কিন্তু ক্ষমতার মধু-মেওয়াধারীরা ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছেন। তারা স্ব-স্ব অবস্থান থেকে ইচ্ছামতো বিষোদগার করার আগে একবারও গভীরভাবে পর্যালোচনা করে দেখেননি যে, নয়া যুক্তফ্রন্টের নেতৃবৃন্দের অঘটন ঘটানোর সক্ষমতা বা অক্ষমতার পরিধি কতটুকু। আজকের আলোচনায় যুক্তফ্রন্টের ভূত-ভবিষ্যৎ কিংবা সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে আমি নিজে কিছুই বলব না। আমি কেবল যুক্তফ্রন্টের বিপক্ষের এবং পক্ষের লোকজনের কিছু যুক্তি-তর্ক, আলোচনা-সমালোচনা ইত্যাদি তুলে ধরব। যার ফলে সম্মানিত পাঠক খুব সহজেই নিবন্ধের সারমর্ম অনুধাবন করতে পারবেন।

যুক্তফ্রন্টের বিপক্ষের লোকেরা আবহমান বাংলার ঐতিহ্যকে ধারণ করে প্রথমেই শুরু করেছেন ফ্রন্টের নেতাদের নানাবিধ-অপমানজনক উপাধিতে ভূষিত করার জন্য। মুরগি মিলন, বাস্টার্ড সেলিম, চাকু মহিউদ্দিন, কুত্তা কানু, চাপাতি যদু, দৌড় সালাউদ্দিন ইত্যাদি অতীত উপাধির মতো করে সম্মানিত লোকদের অসম্মানিত করার জন্য আজগুবি সব উপাধিতে সামাজিক মাধ্যম গিজ গিজ করছে। নেতাদের একান্ত ব্যক্তিগত জীবন, শারীরিক গঠন, বিয়ে-শাদি, দাম্পত্য ও পুত্র-কন্যা পরিজনদের নিয়েও মুখরোচক কটাক্ষ শুরু হয়ে গেছে। তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া, দেশীয় রাজনীতিতে তাদের মর্যাদা পরগাছার মতো এবং ব্যক্তিগতভাবে এমপি তো দূরের কথা তারা ভোটাভুটিতে অনেকে যে চেয়ারম্যানও হতে পারবেন না, এমন কটুবাক্য দ্বারা সব আড্ডার প্লাটফর্ম গরম করা হচ্ছে। তারা সবাই দলত্যাগী, রাজনৈতিকভাবে বহুগামী এবং যখন যে পাত্রে অন্ন গ্রহণ করেন সেই পাত্র ছিদ্র করে তারা উপকারী অন্নদাতাকে সমুচিত শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তারা ভীরু, সুযোগ সন্ধানী এবং দেশি-বিদেশি মন্দ চক্রের মিত্র হিসেবে দেশবিরোধী এবং গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত। দীর্ঘদিন একত্র থেকে সংগঠন করা, জনগণের জন্য আত্মত্যাগ, নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে রাজনীতি করা ইত্যাদি বিষয়সমূহ তাদের ডিকশনারিতে নেই।

উপরোক্ত সমালোচনার বিপরীতে যুক্তফ্রন্টের পক্ষের লোকেরা নানান রকমের ইতিবাচক কথা বলে তাদের শক্তিমত্তা এবং আগামী দিনে সফলতা সম্পর্কে বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়েই চলেছেন। তাদের মতে, যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব শীর্ষ নেতৃবৃন্দের রয়েছে সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস, তারা কেউ কোনো দিন পকেট ভারী করা, ক্ষমতার লোভ, পদ-পদবির লোভ, স্বার্থসিদ্ধির ধান্ধা ইত্যাদির কারণে রাজনীতি করেননি। জাতীয় স্বার্থ, গণতন্ত্র এবং নীতি ও আদর্শের জন্য তারা সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। গত ৫০ বছরে এ দেশের যাবতীয় লড়াই-সংগ্রামে তারা সর্বদা মাস্টার মাইন্ড হিসেবে কাজ করেছেন। তারা যখন যে পক্ষে ছিলেন সেই পক্ষই বিজয়ী হয়েছে। অন্যদিকে তারা যাদের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছেন তাদেরই পতন হয়েছে। তারা বিএনপি আওয়ামী লীগের সঙ্গে এক সময় ছিলেন বটে, তবে নিজেদের স্বার্থে এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য সেখানে যাননি। দলের প্রয়োজনে অথবা সময়ের প্রয়োজনে তারা সেখানে ছিলেন। কিন্তু নীতি ও আদর্শের সঙ্গে অমিল হওয়ার কারণে তারা দলের মধ্যে গণতন্ত্র চালুর চেষ্টায় প্রতিবাদী হয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। তারা দলে থাকা অবস্থায় অথবা দল থেকে বের হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট দলের বিরুদ্ধে কোনো চক্রান্ত করেননি। বরং দলের বিপদে-আপদে অতীতের তিক্ততা ভুলে পাশে দাঁড়িয়েছেন বহুবার। কিন্তু দল তার সুসময়ে সেই স্মৃতি মনে না রেখে তাদের একের পর এক আঘাত ও অপমান দ্বারা জর্জরিত করেছে।

তারা আরও বলেন, তাদের কারও বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি, নৈতিক অবক্ষয়, চরিত্রহীনতা, দেশবিরোধী চক্রের সঙ্গে যোগসাজশ, ক্ষমতাসীনদের পদলেহন করা, অন্যায়ের কাছে মাথানত করার ইতিহাস নেই। তারা যখন যা করেছেন তা প্রকাশ্য দিবালোকে করেছেন— যা বলেছেন তা স্পষ্টভাবেই বলেছেন এবং যখন যে পক্ষে গেছেন বা যার বিরুদ্ধে গেছেন তা ঘোষণা দিয়ে বীরের বেশেই করেছেন। ভোটের রাজনীতিতে ব্যর্থতা, নির্বাচনী এলাকা না থাকা এবং গণমানুষের সঙ্গে তৃণমূল পর্যায়ে সংযোগ না থাকা প্রসঙ্গে তারা বলেন, তারা কোনো দিন স্থানীয় রাজনীতি মাথায় রেখে কোনো কিছু করেননি। তারা সর্বদা জাতীয় স্বার্থ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে তৎপরতা চালিয়েছেন। দেশের ট্রিপিক্যাল রাজনীতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হুন্ডা-গুণ্ডার পেছনে অর্থ ব্যয়, এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য তাঁবেদারি, দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির জন্য লবিং ইত্যাদির পেছনে সময় ব্যয় না করে তারা তাদের বিবেক, বিদ্যা-বুদ্ধি ও সামর্থ্য জাতির জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যয় করেছেন।

যুক্তফ্রন্টের পক্ষের লোকেরা আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সুসময়ে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর সামনে দাঁড়িয়ে তার কিছু সহযোগীর বিরুদ্ধে কথা বলা এবং প্রতিকার না পেয়ে জাসদ গঠন কোনো সাধারণ কর্ম ছিল না। তেমনি স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ানোর জন্য যে সাহস, শক্তি ও দেশপ্রেম দরকার তা যুক্তফ্রন্টের বিরোধীদের কারও মধ্যে ছিল না। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর প্রকাশ্যে রুখে দাঁড়ানো এবং রাষ্ট্রশক্তি কর্তৃক একনাগাড়ে ১০ বছর স্বাধীন বাংলাদেশে জেলখাটা লোক কী ভীরু না কাপুরুষ তা নিয়ে বিতর্ক করার সময় তাদের নেই। যুক্তফ্রন্ট নেতা আ স ম রব সম্পর্কে উল্লিখিত কথাগুলো বলার পর তারা তাদের আরেক নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না সম্পর্কে বলেন, মান্না হলো বাংলাদেশের রাজনীতির সাম্প্রতিক ইতিহাসে একমাত্র সব্যসাচী নেতা। মঞ্চ, গোলটেবিল, সভা-সমিতিতে বক্তৃতা, লেখালেখি, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, বুদ্ধিজীবী মহল, সংবাদপত্রসহ সব গণমাধ্যম এবং ছাত্র-রাজনীতির ময়দানে যুগপত্ভাবে মান্নার যে দক্ষতা তার সমপর্যায়ের দ্বিতীয় ব্যক্তি বাংলাদেশে নেই। জাফর উল্লাহ চৌধুরী এবং বদরুদ্দোজা চৌধুরীর রাজনীতি, পেশাগত সুনাম, সুখ্যাতি ও সফলতা, পারিবারিক ঐতিহ্য, শিক্ষা, সামাজিক মর্যাদা, গ্রহণযোগ্যতা এবং দলমতের ঊর্ধ্বে দেশব্যাপী তাদের পরিচিতি ও জনপ্রিয়তার সঙ্গে তুলনীয় ব্যক্তিত্ব দ্বিতীয়জন এ দেশে নেই বলে যুক্তফ্রন্টের নেতাদের গর্বের সীমা নেই।

ফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে তারা বলেন, তিনি হলেন নেতাদের নেতা, শিক্ষকদের শিক্ষক এবং আইনজীবীদের আইনজীবী। জাতির ক্রান্তিলগ্নে নেতারা যখন কোনো সমাধান খুঁজে পান না, কিংবা আইন-আদালতের দ্বারস্থ হওয়া লোকজন যখন উপায় খুঁজে পান না, তখন সবাই তারই দ্বারস্থ হন। তিনি সবার আকর্ষণের কেন্দ্র। সবাই প্রয়োজনে তার কাছে যায়—কিন্তু নিজের কোনো প্রয়োজনে তাকে কোনো দিন কারও কাছে যেতে হয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু যখন তাকে কাছে টেনে নিয়েছিলেন, তখন সমগ্র ভারতবর্ষে ড. কামালের মতো চৌকস মেধাবী এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দ্বিতীয় ব্যক্তি যেমন ছিলেন না, তেমনি এখনো নেই। বঙ্গবন্ধু রত্ন চিনতে পারতেন এবং কোন রত্নের কী প্রয়োজন রয়েছে তা বুঝতেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরার জন্য এবং দেশের সংবিধানের জন্য তিনি দেশের স্বার্থে ড. কামালকে আইনমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। তার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিনি যখন আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন তখন সে পদে দাঁড়ানোর যোগ্যতা ও সাহস কতজনের ছিল! তিনি আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে এমন কিছু জানেন, যা বাংলাদেশের অন্য কেউ জানেন না। তাকে নিয়ে নানামুখী সমালোচনার পরও তিনি আজ পর্যন্ত একটি উহ্ শব্দও উচ্চারণ করেননি।

উপরোক্ত প্রেক্ষাপটে যুক্তফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ মনে করেন, তারা সফল হবেন। কারণ তারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে, করণীয় সম্পর্কে, গন্তব্য এবং সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে সচেতন। অন্যদিকে তাদের প্রতিপক্ষের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো, তারা যুক্তফ্রন্টকে গণনার মধ্যে ধরছেন না। যুক্তফ্রন্টের কৌশল ও কর্মপন্থা নিয়ে গবেষণা ও সেগুলোকে মোকাবিলার উপায় নিয়ে ভাবছেন না। তারা যুক্তফ্রন্ট নেতাদের বুদ্ধিমত্তা, অভিজ্ঞতা, প্রভাব, সাহস, কৌশল এবং পরিস্থিতি কাজে লাগানোর দক্ষতার কথা না ভেবে কেবল নিজেদের শক্তিমত্তা, অর্থবিত্ত ও তথাকথিত বন্ধুদের আশ্বাসবাণীতে নির্ভর করে নিজেদের সময়ের স্রোতে ভাসিয়ে দিয়েছেন—যার গন্তব্য তারা নিজেরাও জানেন না।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য ও কলামিস্ট

এই বিভাগের আরও খবর
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
চোরাচালান বৃদ্ধির শঙ্কা
চোরাচালান বৃদ্ধির শঙ্কা
মব সন্ত্রাস থামান
মব সন্ত্রাস থামান
সন্তানের সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখুন
সন্তানের সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখুন
মব জাস্টিস অবিচার, মারাত্মক অন্যায়
মব জাস্টিস অবিচার, মারাত্মক অন্যায়
নিশায় আঁকা ছবি প্রভাতে চুরমার
নিশায় আঁকা ছবি প্রভাতে চুরমার
বিএনপির জিরো টলারেন্স
বিএনপির জিরো টলারেন্স
পবিত্র আশুরা
পবিত্র আশুরা
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
উজানির মা ও ভাটার টান
উজানির মা ও ভাটার টান
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
সর্বশেষ খবর
ইরান থেকে দ্বিতীয় দফায় ফিরলেন ৩২ বাংলাদেশি
ইরান থেকে দ্বিতীয় দফায় ফিরলেন ৩২ বাংলাদেশি

এই মাত্র | জাতীয়

পাকিস্তানে বৃষ্টি-বন্যায় ১৯ জনের প্রাণহানি
পাকিস্তানে বৃষ্টি-বন্যায় ১৯ জনের প্রাণহানি

৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা
গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা

১২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইলম ও আমলের পথ ধরে ৬৬ বছর
ইলম ও আমলের পথ ধরে ৬৬ বছর

২২ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ঢাকাসহ ৪ বিভাগে অতিভারি বর্ষণের শঙ্কা
ঢাকাসহ ৪ বিভাগে অতিভারি বর্ষণের শঙ্কা

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

হিজরি সনের আগে আরবের বর্ষপঞ্জি যেমন ছিল
হিজরি সনের আগে আরবের বর্ষপঞ্জি যেমন ছিল

২৬ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

মাদারীপুরে হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত
মাদারীপুরে হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা
লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা

৩৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের নতুন ঘোষণার পর মার্কিন শেয়ারবাজারে ধস
ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের নতুন ঘোষণার পর মার্কিন শেয়ারবাজারে ধস

৫৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতে চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু,  নিখোঁজ ২
হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতে চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু,  নিখোঁজ ২

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থীদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের গাছের চারা বিতরণ
শিক্ষার্থীদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের গাছের চারা বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি
৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতের হামলায় আহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতের হামলায় আহত ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে
সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভাঙ্গায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
ভাঙ্গায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুর্দশা শহীদ হাসিবের পরিবারে, পায়নি সরকারি ভাতা
দুর্দশা শহীদ হাসিবের পরিবারে, পায়নি সরকারি ভাতা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট চলছে
সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট চলছে

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

বগুড়ায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের
নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা
বগুড়ায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজর খাওয়ার ৫ উপকারিতা
গাজর খাওয়ার ৫ উপকারিতা

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

আফতাবনগরে দেয়াল ধসে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
আফতাবনগরে দেয়াল ধসে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কক্সবাজার সীমান্তে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার
কক্সবাজার সীমান্তে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যাত্রাবাড়ীতে গ্রীল কেটে প্রবেশ করে বৃদ্ধকে হত্যা
যাত্রাবাড়ীতে গ্রীল কেটে প্রবেশ করে বৃদ্ধকে হত্যা

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি
ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হেরে যাওয়ার সেই ধারা ভাঙতে পারলেন জোকোভিচ
হেরে যাওয়ার সেই ধারা ভাঙতে পারলেন জোকোভিচ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার
সোনারগাঁয়ে ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্লাব বিশ্বকাপে চমক দেখিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার
ক্লাব বিশ্বকাপে চমক দেখিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুযোগ
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুযোগ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, অতঃপর...
প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, অতঃপর...

১৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী
ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টানা ৯ ঘণ্টা ঘুম, পুরস্কার ৯ লাখ! জিতলেন যে নারী
টানা ৯ ঘণ্টা ঘুম, পুরস্কার ৯ লাখ! জিতলেন যে নারী

২৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুদকের মামলায় খালাস পেলেন হানিফ পরিবহনের মালিক
দুদকের মামলায় খালাস পেলেন হানিফ পরিবহনের মালিক

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট
ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদেশের দিন ধার্য
শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদেশের দিন ধার্য

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুলের ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুলের ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী
ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল
ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না হুথি
ইসরায়েলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না হুথি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ
মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথিদের
ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথিদের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে বীরভূমের বাংলাভাষী পরিবার এখন বাংলাদেশে
কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে বীরভূমের বাংলাভাষী পরিবার এখন বাংলাদেশে

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি
এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১ জুন থেকে ইরান ছেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ আফগান নাগরিক
১ জুন থেকে ইরান ছেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ আফগান নাগরিক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১২ দলীয় জোট কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি : মোস্তফা জামাল হায়দার
১২ দলীয় জোট কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি : মোস্তফা জামাল হায়দার

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চুন্নু বাদ, জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী
চুন্নু বাদ, জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নতুন আইফোনের ফিচার ফাঁস: ব্যাটারি ও ক্যামেরায় বড় চমক
নতুন আইফোনের ফিচার ফাঁস: ব্যাটারি ও ক্যামেরায় বড় চমক

১২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে টাইগাররা
ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে টাইগাররা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরাকে তুরস্কের ১২ সৈন্য নিহত
ইরাকে তুরস্কের ১২ সৈন্য নিহত

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস
টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার হুতির
লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার হুতির

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!
সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

প্রায় ১৬০০ বার ভূমিকম্প, জাপানের দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা
প্রায় ১৬০০ বার ভূমিকম্প, জাপানের দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

মাংস রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া
মাংস রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া

শিল্প বাণিজ্য

জটিলতা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে
জটিলতা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি
তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

জন্মনিরোধক সংকট বাড়ছে গর্ভধারণ
জন্মনিরোধক সংকট বাড়ছে গর্ভধারণ

নগর জীবন

তাজুলের চেয়েও ভয়ংকর স্ত্রী ফৌজিয়া
তাজুলের চেয়েও ভয়ংকর স্ত্রী ফৌজিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙা
পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রেমের টানে রংপুর এসে আটক ভারতীয়
প্রেমের টানে রংপুর এসে আটক ভারতীয়

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি
ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি

পেছনের পৃষ্ঠা

মৃত্যুফাঁদ বেসরকারি হাসপাতাল
মৃত্যুফাঁদ বেসরকারি হাসপাতাল

নগর জীবন

সবাই রাজি, তবু আটকা
সবাই রাজি, তবু আটকা

পেছনের পৃষ্ঠা

উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী
উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

৭০ টাকার ফেসওয়াশ ৯৮০ টাকায় বিক্রি!
৭০ টাকার ফেসওয়াশ ৯৮০ টাকায় বিক্রি!

শিল্প বাণিজ্য

বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ
বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ

প্রথম পৃষ্ঠা

মবে জড়িতদের ছাড় নয়
মবে জড়িতদের ছাড় নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে
মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক
সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক

প্রথম পৃষ্ঠা

হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ
হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

পুষ্টিহীনতায় বস্তির নারী শিশু
পুষ্টিহীনতায় বস্তির নারী শিশু

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতিতে শতভাগ মানুষের মতামত গুরুত্ব পাবে
পিআর পদ্ধতিতে শতভাগ মানুষের মতামত গুরুত্ব পাবে

খবর

অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য
অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খোঁজে বাংলাদেশ
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খোঁজে বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

ভোট দেব সন্দ্বীপে এমপি হবে মালদ্বীপে
ভোট দেব সন্দ্বীপে এমপি হবে মালদ্বীপে

নগর জীবন

তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া
তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

২০১৮-এর নির্বাচন বৈধতা দিয়েছে বিএনপি
২০১৮-এর নির্বাচন বৈধতা দিয়েছে বিএনপি

নগর জীবন

ছেলেদের পাকা বাড়ি মা বাবার স্থান গোয়ালঘরে!
ছেলেদের পাকা বাড়ি মা বাবার স্থান গোয়ালঘরে!

দেশগ্রাম

খুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি
খুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি

নগর জীবন

ফের আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত
ফের আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত

মাঠে ময়দানে

কেন্দ্রীয় নেতার ওপর হামলা, চার ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
কেন্দ্রীয় নেতার ওপর হামলা, চার ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

দেশগ্রাম