ভালো ডাক্তার হওয়ার প্রথম শর্ত ভালো মানুষ হওয়া। এ বক্তব্য একজন ডাক্তারের- যিনি এখন প্রতিবেশী দেশ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। নাম তার ডা. লোটে শেরিং। বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে তিনি এমবিবিএস পাস করেছেন। পরে উচ্চতর শিক্ষা নিয়েছেন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বাংলাদেশ সফরে এসে নিজের ২০ বছর আগের শিক্ষাজীবনের স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে যান তিনি। প্রধান অতিথি হিসেবে সেখানকার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্যও দেন। দীর্ঘ এক দশক বাংলাদেশে পড়ার সময়ে বাংলা ভাষা রপ্ত করেছিলেন সেদিনের এই শিক্ষার্থী। বাংলাতেই বক্তব্য দেন তার তখনকার সহপাঠী ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে। স্মরণ করেন চতুর্থ বর্ষে পড়ার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকের কক্ষে ঢুকতেই তাকে এক ঘণ্টা বাইরে অপেক্ষা করতে হয়। সেই চিকিৎসক রোগ নির্ণয় ছাড়াই তাকে ওষুধ দেন। সেই ওষুধে সুস্থ না হওয়ায় আবার একই চিকিৎসকের কাছে এলে হাসপাতালে ভর্তি হন। এভাবে কদিন অসুস্থ থাকার পর একদল সার্জন পরিদর্শনে এসে বুঝতে পারেন তার অ্যাপেনডিক্স ফেটে যাওয়ার উপক্রম। তৎক্ষণাৎ তার অস্ত্রোপচার করা হয়। যে সার্জন অস্ত্রোপচার করেন তিনি সে সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, কেন এই ছেলেটাকে ফেলে রাখা হয়েছিল! তাদের সঙ্গে পরামর্শ করলে অনেক আগেই তাকে চিকিৎসা দেওয়া যেত। ভুটানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি করলেও তিনি এখনো চিকিৎসা পেশার সঙ্গে জড়িত। রোগী দেখলে ভালো করে দেখতে হবে। তৎক্ষণাৎ প্রেসক্রিপশন দিলে ডায়াগনসিস মিস হয়ে যায়; যা আমরা সবসময় করি। চিকিৎসকরা দিনরাত রোগীর সেবা করেন বলে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে পারেন। কিন্তু রোগীর অসুখের বিষয়টি একটু হালকাভাবে নিলে বা বেখেয়াল হলে রোগীর জীবন বিপন্ন হতে পারে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সবার জন্যই প্রাতঃস্মরণীয় হওয়া উচিত। বিশেষ করে দেশের চিকিৎসকদের জন্যও। এ দেশে দক্ষ ও যোগ্য চিকিৎসকের অভাব নেই। তবে রোগীর প্রতি মনোনিবেশ করার মতো চিকিৎসকের অভাব প্রকট। ফলে দেশের মানুষ আস্থার সংকটে ভোগেন। বাংলাদেশ থেকে শত শত কোটি টাকা চলে যায় বিদেশে। সুনামহানির শিকার হয় দেশের চিকিৎসা পেশার সংশ্লিষ্টরা; যা হওয়া উচিত নয়।
শিরোনাম
- পাকিস্তানে বৃষ্টি-বন্যায় ১৯ জনের প্রাণহানি
- গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
- ৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি
- বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
- আফতাবনগরে দেয়াল ধসে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
- কক্সবাজার সীমান্তে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার
- যাত্রাবাড়ীতে গ্রীল কেটে প্রবেশ করে বৃদ্ধকে হত্যা
- ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি
- টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
- হেরে যাওয়ার সেই ধারা ভাঙতে পারলেন জোকোভিচ
- ক্লাব বিশ্বকাপে চমক দেখিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার
- ১৪ বছর পর নতুন করে ফিরছে আজম খানের 'উচ্চারণ'
- টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস
- গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৮ জুলাই)
- বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প
- ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী
- দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কৃষকদলের সদস্য সচিব বহিষ্কার
- জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের নামে নামকৃত চত্বর ও সড়ক উদ্বোধন
- ঝিনাইদহে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
ভালো ডাক্তার হওয়ার শর্ত
ভুটানি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুসরণযোগ্য
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

মাদারীপুরে হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত
৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ
১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে বীরভূমের বাংলাভাষী পরিবার এখন বাংলাদেশে
২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম