শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১৫ মে, ২০১৯

সবাই আজ উপহাস বিদ্রূপের পাত্র

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
সবাই আজ উপহাস বিদ্রূপের পাত্র

লাজলজ্জা হারিয়ে দিনে দিনে আমরা নিজেরাই নিজেদের কাছে উপহাসের পাত্রে পরিণত হচ্ছি। আড়ালে-আবডালেই নয়, যেখানে-সেখানে মানুষ আমাদের নিয়ে বিদ্রূপ করছে। আমরা কোথাও কেউ গায়ে মাখছি না। রাজনীতিবিদ, আমলা, ডাক্তার, আইনজীবী, লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রী সমাজের এমন কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষ নেই, যাদের নিয়ে উপহাস-বিদ্রূপ হচ্ছে না। কিন্তু আমরা কেউ কোথাও আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখছি না। আত্মসমালোচনা, আত্মগ্লানি কখনো স্পর্শ করছে না। অন্তরাত্মা বলছে না, বিবেক তুমি সাড়া দাও। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন চলছেই। রাজাকার-আলবদরদের তালিকা হয় না। সচিবরা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ধরা খান, সিআইডির প্রধান বরখাস্ত হন। এমন ফৌজদারি অপরাধে জেল হয় না। দন্ড হয় না। স্বাধীনতাবিরোধীরাও এদের নিয়ে উপহাস করে। কত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী যে এখনো ধরা পড়েননি, আল্লাহ জানেন।

এ লেখা যখন লিখছি তখন ত্রিদেশীয় সিরিজে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে টাইগাররা। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এ ধারা বিশ্বকাপেও অব্যাহত থাকুক- এমনটিই আমাদের প্রত্যাশা। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আমরা অনেক আগেই আমাদের অবস্থান সুসংহত করেছি। এখন আমরা বিশ্বকাপ জয়েরও স্বপ্ন দেখি। এটা আমাদের গৌরবের। দেশ যে অনেক এগিয়েছে এটা তারই নমুনা। অন্যদিকে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পশ্চিমাদের কাছেও বিস্ময়কর। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মোডেল। উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। কিন্তু ত্রিদেশীয় সিরিজে জয়লাভের আনন্দ আমাদের স্পর্শ করার আগে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত হলে পদবঞ্চিতরা বিক্ষোভ করেছেন। ছাত্রীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। পদবঞ্চিতরা বিক্ষোভ-অসন্তোষ প্রকাশ করে এটা স্বাভাবিক। তাই বলে হামলা কেন? রক্তাক্ত করা কেন? বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস বাঙালির ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস। ইতিহাস গৌরব ও ঐতিহ্যের ছাত্রলীগে এখন অর্থবিত্তের লোভ, নৈতিক অবক্ষয়। পদ ও কমিটি বাণিজ্যের রমরমা ব্যবসা হয়। প্রাডো চড়া, ঠিকাদার, রাজাকারপুত্র, বিবাহিত, বয়স্ক, আসামি হয় কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। এ কী নির্মম লজ্জা, উপহাস! এসব খতিয়ে দেখা উচিত। এসব ঘটনা বিষাদের।

সোমবার খবর হয়েছে, দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হবে। এ কারণে ওই কারাগারের ফটকে স্থাপিত ভবন-২-কে বিশেষ আদালত ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্নীতি, নাশকতাসহ ১৭ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিচার সেখানে হবে। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে কারাবন্দী। দুর্নীতি মামলায় সাজাভোগই করছেন না, আরও মামলার বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ। বিএনপির প্রাণশক্তি বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দী হওয়ায় তার দল এখন কার্যত নেতৃত্বহীন। অতীতে কোনো নির্বাচনে পরাজয় স্পর্শ না করলেও দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত হওয়ায় একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি যেমন দলের নেতৃত্ব দিতে পারেননি, তেমনি প্রার্থীও হতে পারেননি। তার কারাবন্দীতে বিএনপি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব অর্পণ করেছিল প্রায় এক যুগ লন্ডনে নির্বাসিত ও একুশে গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আইনের চোখে পলাতক আসামি তারেক রহমানকে। কার্যত তারেক রহমানের নির্দেশেই বিএনপি নির্বাচন করেছে এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ড  নির্ধারণ করছে।

বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বামী লে. জে. জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট মানবসভ্যতার ইতিহাসে সংঘটিত পরিবার-পরিজনসহ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে অবৈধ ক্ষমতা দখলের ক্যুন্ড পাল্টা ক্যুর ভিতর দিয়ে রক্তের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। অতি ডান ও অতি বামদের নিয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছেন ক্ষমতায় বসে। কিন্তু ’৮১ সালের ৩০ মে এক সেনা অভ্যুত্থানে তিনি নিহত হলে বিচারপতি আবদুস সাত্তারের বিএনপি সরকারের শাসনামলের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, নৈরাজ্য ও দলাদলির দুর্বলতার সুযোগে সেনাশাসক এরশাদ বিনা রক্তপাতে ক্ষমতা দখল করে বিএনপিকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন। সেদিন সেনাশাসক জিয়ার দলের বিপুলসংখ্যক মন্ত্রী, নেতা এরশাদের সঙ্গে যোগ দিলেও রাজপথের আন্দোলনে দলের নেতৃত্বে আসা খালেদা জিয়াকে সামনে রেখে তারুণ্যনির্ভর ছাত্রদল শক্তিশালী ছাত্র সংগঠনে পরিণত হয়ে গণতন্ত্রের আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রাখে। আর রাজপথ থেকে গণতন্ত্রের নেত্রী হিসেবে ছাত্রদলের শক্তির ওপর ভর করে সেনাশাসন-উত্তর ’৯১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতাচ্যুত এরশাদ ও জাতীয় পার্টির ওপর কঠোর দমননীতি চালালেও দেশে গণতন্ত্রের দরজা-জানালা খুলে দিতে উদার নীতি গ্রহণ করেছিলেন। ’৯৬ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় না এলেও সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাজপথেও সরকারবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে নিয়ে জোট গঠন করে আন্দোলন-সংগ্রামের ভিতর দিয়ে ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে আগের শাসনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেননি। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জোটসঙ্গী জামায়াতকে মন্ত্রিত্বই দেননি, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়নের মুখেই পড়তে হয়নি, তার রাজনৈতিক কার্যালয় হাওয়া ভবন পুত্র তারেক রহমানকে প্যারালাল সরকারের ক্ষমতা নিয়ে ব্যাপক বিতর্কিত হয়েছিল। সারা দেশে রাজনৈতিক হত্যাকান্ড, নেতা-কর্মীদের উন্নাসিকতা, দুর্নীতির মহোৎসব প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে এনে বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ বাহিনীকে চরমভাবে ব্যবহার করে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের উত্থান ঘটিয়ে একুশের গ্রেনেড হামলার ভয়াবহতা, ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান, দেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদীদের অভয়াশ্রম করে ক্ষমতায় টিকে থাকার কূটকৌশল তার শাসনামলকে অভিশপ্ত করে তুলেছিলেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন সংস্কারের দাবিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন একদিকে মহাজোটের তীব্র আন্দোলন অন্যদিকে একতরফা নির্বাচনের জেদ সংঘাত-সহিংসতার রাজনীতির মুখে ওয়ান-ইলেভেন সরকার ডেকে নিয়ে আসে। সাময়িকভাবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়ের সঙ্গেই দেশের ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মহলের মানুষ সেই সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অগ্নিরোষে পড়লেও দীর্ঘমেয়াদি হিসেবে বিএনপিকে কার্যত চড়া মাশুল গুনতে হয়। সে সময় তারেক রহমানকে মুচলেকা দিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়। এবং খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও সব রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে মামলার জালে আটকানো হয়। সেসব মামলার ২ কোটি ১০ লাখ, ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতে একটি মামলায় এখন খালেদা জিয়া কারাদহন ভোগ করছেন। সেদিন প্রকাশ্য দিবালোকে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে গ্রেনেড হামলায় উড়িয়ে দেওয়ার রক্তাক্ত নৃশংসতার দায় বিএনপি সরকার যে এড়িয়ে যেতে পারে না, সেটি তখনই গণমাধ্যম ও সিভিল সোসাইটি জোরালোভাবে তুলেছিল।

ওয়ান-ইলেভেনের শাসনের অবসানের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিশাল বিজয় অর্জন করলেও সংসদে ২৯টি আসন নিয়েও খালেদা জিয়া শক্তিশালী বিরোধী দলের নেত্রী হিসেবে নিজের জায়গা সুসংহত করেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে মেজরিটির জোরে সংবিধান থেকে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার মুছে দেওয়া হলে খালেদা জিয়া তা পুনর্বহালের দাবিতে এবং সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অনড় অবস্থান থেকে আন্দোলন শুরু করেন। দেশের প্রায় সবকটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিশাল বিজয়ের মধ্য দিয়ে তার পক্ষে জোয়ার দৃশ্যমান হলেও রাজনীতির দাবা খেলায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বা রাজনৈতিক শক্তিকে ওয়াক ওভারই দেননি, নিজের জন্য আত্মঘাতী পথ বেছে নেন। পর্দার অন্তরালে আলোচনা রয়েছে যে, খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ না করলে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন দেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না; এমন একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের ক্যাপসুল খেয়েছিলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। আর নির্বাচন বর্জন করার মধ্য দিয়ে তা প্রতিরোধ বা বাতিল করা দূরে থাক, গোটা দেশের ওপর শেখ হাসিনার সরকারের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার দুয়ার খুলে দিয়ে নিজেদের সব দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। নিজের শাসনামলের পাপের বোঝা বইতে না বইতে রাজনীতির দাবার চালে ভুলের বোঝা পরবর্তীতে আজ পর্যন্ত কতটা বহন করছেন সেই ইতিহাস সবার জানা।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক শক্তির সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে তুললেও তাদের ২০ দলের শরিক যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর দোসর নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতকেও ছাড়েনি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট রাজনীতিতে সুসংগঠিত ও আদর্শিক শক্তির ওপর যেমন নির্বাচনে আসতে পারেনি, তেমনি মনোনয়নদানকেও বিতর্কের ঊর্ধ্বে নিতে পারেনি। সব মিলিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থা।

শেখ হাসিনার ইমেজ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের রাজনৈতিক শক্তির সুসংহত ঐক্যের বিপরীতে ভোটযুদ্ধে তুমুল শক্তি নিয়ে নামতে পারেনি। নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকার আবার ক্ষমতায় আসছে, এমন বার্তা ও বিশ্বাস মানুষের মধ্যে ছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও জানতেন দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় আসছেন। কিন্তু গণতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষায় শক্তিশালী সরকারের পাশাপাশি শক্তিশালী বিরোধী দলের উপস্থিতি দেখার আগ্রহ থেকে চেয়েছিলেন বিএনপি নির্বাচনে আসুক। কিন্তু বিএনপি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সবল থাকতে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করলেও অতিশয় দুর্বল হয়ে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ্রগহণ করে রীতিমতো অসহায়ভাবে। তবু ভোটের ফলাফলে যা ঘটেছে তা বিএনপিকেই নয়, দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলসহ দেশবাসীকেই স্তম্ভিত করেছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট মাত্র আটটি আসনে বিজয়ী ও তাদের অনেক জনপ্রিয়, ডাকসাইটে নেতার স্বল্পসংখ্যক ভোটপ্রাপ্তি সবার কাছেই ছিল অবিশ্বাস্য। একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফল রাজনীতিকে বিষণ্ন নিষ্প্রাণ করে দিয়েছে। সমাজের সব ক্ষেত্রে প্রাণহীনতার যে পরিবেশ তৈরি হয়েছিল সেখান থেকে দেশ এখনো বেরিয়ে আসতে পারেনি। সংসদে শক্তিশালী সরকারের বিপরীতে ভোটের ফলাফলে বিরোধী দল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শেখ হাসিনার ইমেজ ও তার রাজনৈতিক শক্তির অংশীদারিত্ব নিয়ে বিজয়ী শরিকদের সংসদের বিরোধী দলের আসনে বসানো হলেও রাজনৈতিকভাবে নীতিগত জায়গা থেকে সেটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে রয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি প্রথমে নির্বাচনী ফলাফল বর্জন, প্রত্যাখ্যান ও নতুন নির্বাচনের দাবি করলেও এখন সবাই সংসদে যোগ দিয়ে নির্বাচন ও শেখ হাসিনার সরকারকে নৈতিক জায়গা থেকে কবুল করে নিজেদের নেতৃত্বের দেউলিয়াত্বই প্রকাশ করেছেন। বিজয়ীদের মনোভাব ও বিদ্যমান বাস্তবতা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বা বিএনপি নেতৃত্ব উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধভাবে সংসদে যোগদান না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও ফ্রন্টগতভাবে সংসদে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।

বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ না নেওয়ায় তার আসন শূন্য হয়েছে। অন্যদিকে যদিও বলেছেন, তার বর্জন ও অন্যদের শপথ গ্রহণ তারেক রহমানের নির্দেশেই হয়েছে। কিন্তু রাজনীতিতে তাদের বিভ্রান্তির চিত্রপট উন্মোচিত করেছে। অনেকে বলেছেন, নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ ও ভাঙন থেকে রক্ষা করতে তারেক রহমান অনুরোধ করার পরও মির্জা ফখরুল ইসলাম সংসদে যাননি। আবার অনেকে বলছেন, তারেক রহমানের বারণ থাকার কারণে তিনি সংসদে যাননি। মাঝখানে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন না পেরোলে মুক্তি পর্দার আড়াল থেকে যে খবর গণমাধ্যম হয়ে রাজনীতিতে চাউর হয়েছিল সেটিও নির্বাসনে গেছে। বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পরিণতি কোথায় এটি এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। মির্জা ফখরুল সংসদে গেলেই খালেদার মুক্তি দাবি যেমন জোরালো হতো তেমনি সংসদ প্রাণবন্ত হতো।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব ও ঐক্য নড়বড়েই নয়, কার্যত ভেঙে পড়েছে। বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ ২০-দলীয় জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম এক মাসের আলটিমেটাম দিয়েছেন। জাসদ সভাপতি আ স ম আবদুর রবও তার বক্তব্যকে ইতিবাচক বলেছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি নেতৃত্ব রাজনীতির সর্বশেষ নাটকের দৃশ্যপটে মানুষের কাছে উপহাসের পাত্রে পরিণত হয়েছে।

এদিকে শাসক দলের অনেকের মধ্যে উন্নাসিক আচরণ দেখা গেলেও আত্ম-অহংকারের তৃপ্তি থেকে বক্তব্য এলেও নির্বাচনকালীন প্রশাসনের বাড়াবাড়ি পাশাপাশি তাদের জন্যও সম্মান, মর্যাদার চেয়ে উপহাস ও বিদ্রূপের জন্ম দিয়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ভোটারদের আকর্ষণ হারানো উপজেলা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নিজেদেরও মেরুদ-হীন উপহাসের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে দিনে দিনে দুর্বল হয়েছে। মুখোশের আড়ালে নব্য লীগবাজদের আনুগত্য প্রকট হয়েছে। রাজনৈতিক প্রভাব ও শাসক দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ অনুকম্পা লাভের তীব্র প্রতিযোগিতায় প্রশাসন ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী গর্বিত অবস্থান থেকে সরে গিয়ে উপহাসের শিকার হচ্ছে।

সমাজের সর্বস্তরে আস্থা-বিশ্বাসের সংকট তীব্রতর হয়েছে। ২ কোটি টাকা বহাল থাকার পরও নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন হওয়ায় বিচারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দন্ডিত হয়ে জেল খাটছেন। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন এটা হয়তো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অথচ আমাদের ব্যাংকিং খাত তছনছ করে অর্থনৈতিক খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে তারা কীভাবে আইনের ঊর্ধ্বে? শেয়ারবাজার ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের পর এখন আরও খারাপ অবস্থায় চলে গেছে। বিনিয়োগকারীরা রিক্ত-নিঃস্ব হয়েছেন। এক যুগ ধরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান পদে একজন খায়রুল বহাল নিয়ে কত উপহাস-সমালোচনা হয়, তার কমিশন দিয়ে কত বাজে শেয়ার প্রবেশ করে। না তার বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়, না চিহ্নিত শেয়ার লুটেরাদের বিরুদ্ধে আইনের খড়্গ নামে। ড. ইব্রাহীম খালেদের তদন্ত কমিটি ও সুপারিশ বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে থাকে। আর সেই সময় তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ‘ওদের হাত লম্বা’ বলে দেওয়া অসহায় বক্তব্য বাতাসকে বেদনায় ভারি করে। যারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, যারা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন খাত থেকে অবাধে লুটপাট করেছে, তাদের কোমরে দড়ি পড়ে না। কী নির্মম উপহাস!

যে রাজনীতিবিদরা আমাদের রাজনীতির মহাকাব্যের নায়কদের উত্তরাধিকারিত্ব বহন করার কথা বলেন তাদের হাতেই সেই গৌরবের আদর্শিক রাজনীতি নির্বাসিত। রাজনীতিতে মরুকরণ প্রক্রিয়ার মুখে প্রকৃত রাজনীতিবিদদের নিয়ে উপহাস হলেও তাদের দাম্ভিক চেহারায় পরিবর্তন আসে না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দলবাজ ক্যাডার ভিসিদের দাপটে একের পর এক আলোচিত হচ্ছে। তাদের নিয়ে উপহাস হচ্ছে। শিক্ষকদের রাজনৈতিক দলের প্রতি আনুগত্য দেখাতে দেখাতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক চেহারা দেখে মানুষ উপহাস করছে। দেশে দলবাজিতে ডুবে যাওয়া চিন্তাশীল নাগরিক সমাজ থেকে আজ আর বুদ্ধিজীবীর তকমা নিয়ে কেউ মানুষের সম্মান কুড়ান না। দিনে দিনে উপহাসের পাত্রে পরিণত হন। সামরিক শাসনকবলিত বাংলাদেশে আমাদের যারা রাজপথে টেনেছিলেন সামরিক শাসনের অবসান হলে গণতন্ত্রের আলোয় আলোকিত হবে দেশ। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে। ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন এককথায় সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। সংবিধান ও আইনের ঊর্ধ্বে কেউ যেতে পারবেন না। আমাদের স্বপ্নের ফেরিওয়ালারা সেই স্বপ্ন থেকে আমাদের হাজার মাইল দূরে নির্বাসনে পাঠিয়ে উপহাসের পাত্রে পরিণত হয়েছেন।

ওয়াসার এমডি ১০ বছর ময়লা পানি দিচ্ছেন। প্রশ্ন উঠলে বললেন, সুপেয় পানি। নাগরিক মিজান তাকে শরবত খাওয়াতে গেলে তিনি গুন্ডার আশ্রয় নেন। কী উপহাস! নগরের এক পিতা বলেন, পাবলিক টয়লেটগুলো ফাইভ স্টার হোটেল। মানুষ উপহাস করে বলে মৃত নগরীতে আপনি ওখানে থাকেন। একসময় মানুষ একজন ছাত্রনেতাকে, একজন রাজনৈতিক কর্মীকে হৃদয় থেকে শ্রদ্ধার সঙ্গে সম্মান করত। এখন তা মন্ত্রী-এমপিদেরও করে না। সেখানে এখন ঠাঁই নিয়েছে বিদ্রূপ। আর সুবিধাবাদী, মতলববাজরা লোভ-মোহের পথে ক্ষমতাবানদের পায়ে সারিবদ্ধভাবে মাথা নত করে। আর ক্ষমতাবানরাও বুঝতে পারেন না এই সম্মান এই শ্রদ্ধা হৃদয়ের নয়। কেবল স্বার্থ আদায়ের নাটকের মহড়া।

দেশের নায়ক-নায়িকরা পর্দায় দর্শকদের কদর হারিয়েছেন। এখন ক্ষমতার রাজনীতির বারান্দায় খুদে বার্তা পেলেই হুমড়ি খেয়ে পড়েন। ঘোরেন, খুশিতে কিছু প্রাপ্তির আশায়। করুণা ভিক্ষায়। এমনকি বিদেশে বেড়াতে গিয়ে রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রচারণায় বেহুঁশের মতো নেমে পড়েন। নিজের ইজ্জত না-ই থাক, নিজের অজ্ঞতা-মূর্খতা যা-ই থাক, দেশের মানসম্মান রাখার যোগ্যতাটুকুও ধরে রাখতে পারেন না। এদের নিয়ে এত উপহাস, এত হাসাহাসি তবু তাদের চোখ খোলে না।

গণমাধ্যমকে বলা হয় ফোরথ স্টেট। এ দেশের গণমাধ্যম এককালে ছিল সমাজের দর্পণ। বিটিভির সরকারি প্রচারণা দেখতে দেখতে স্যাটেলাইট যুগে বেসরকারি টিভি চ্যানেলের আগমনে মুখ ফিরিয়ে এনেছিল। এখন এত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল তবু মানুষের তৃষ্ণা নিবারণ হয় না। রিমোট টিপতে টিপতে দর্শক সংবাদ-টকশো কোনোটাতেই আনন্দ পায় না। পত্রিকা পাঠে মন ভরে না। দলবাজি, দালালি আর সাংবাদিকতা একসঙ্গে চলে না জেনেও গণমাধ্যমকর্মীরা অনেকেই দলীয় কর্মীর মতো নিজের খেয়ে-পরে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন। প্রিন্ট মিডিয়া অনলাইন যুগে এমনিতেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। পশ্চিমা দুনিয়ায় আগেই প্রিন্ট মিডিয়া থেকে ছাঁটাই শুরু হয়েছে। ব্রিটেনের অনেক প্রভাবশালী দৈনিক বন্ধ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক প্রভাবশালী দৈনিকের অনেক শহরে প্রিন্ট ভার্সন বন্ধ হয়েছে। এক বছর আগে যুক্তরাজ্য বলেছে, পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের দেশে প্রিন্ট মিডিয়া থাকছে না। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ৫০ বছরে পৃথিবীতে প্রিন্ট মিডিয়া বিলুপ্ত হবে। অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে, তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে স্মার্ট ফোনের সুবাদে খবর এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। আমাদের দেশেও যানজটে একসময় সামনে-পেছনে সব গাড়িতে প্রিন্ট মিডিয়া পাঠ করতে করতে মানুষকে কর্মস্থলে যেতে দেখা যেত। এখন আর আজকাল সেটি দেখা যায় না। প্রিন্ট মিডিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ২৪ ঘণ্টার খবর এখন প্রতিনিয়ত মানুষের হাতের মুঠোয়। অনলাইন টেলিভিশনের দুয়ারও খুলে গেছে। গণমাধ্যমের প্রতি পাঠক-দর্শকের আকর্ষণ হারানোয় কেউ কেউ করপোরেট বাণিজ্যকে দায়ী করতেন। অনেক করপোরেট হাউস গণমাধ্যম তাদের কর্মচারীদের তুলে দিচ্ছে এটা যেমন সত্য তেমনি বড় বড় করপোরেট হাউসের গণমাধ্যম পেশাদার সাংবাদিকদের হাতেই দিয়ে রেখেছে। আমরা গণমাধ্যমকর্মীরাও বুঝতে পারি না, মানুষ আমাদের নিয়ে কতটা উপহাস-বিদ্রূপ করে। একদিকে গণমাধ্যমের বাজার টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ অন্যদিকে পেশাদারিত্বের মর্যাদা রক্ষার চ্যালেঞ্জ এক সুতোয় বাঁধা পড়েছে। গণমাধ্যমকেই সমাজের তরতাজা দর্পণ হিসেবে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সত্যসন্ধানী পথকেই বেছে নিতে হবে। রাজনৈতিক দলীয় অন্ধদাসত্বের শৃঙ্খলমুক্ত হয়ে সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলার নীতিতে গণমাধ্যমকে যেমন চলতে হবে, তেমনি রাজনৈতিক শক্তিকেও গণতন্ত্রের পরিপূরক শক্তি হিসেবে গণমাধ্যমকে বিবেচনায় নিতে হবে। গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের অবাধ স্বাধীনতার দরজা-জানালা খুলে দিতে হবে। গণমাধ্যমকেও কখনোসখনো জিন-ভূতের মতো অদৃশ্য শক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। গণতন্ত্রের সঙ্গেই নয়, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সঙ্গেই নয়, স্বাধীন গণমাধ্যমের সঙ্গেই নয়, সংবিধানের সঙ্গেও এ পদক্ষেপ সাংঘর্ষিক।

দুর্বৃত্তায়নমুক্ত রাজনীতি মুক্তিযুদ্ধের মহান আদর্শের ওপর আমাদের পূর্বপুরুষদের সততা ও সৌহার্দ্যরে রাজনৈতিক উদার সংস্কৃতির পথে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রাষ্ট্রটি নির্মাণ সম্ভব। প্রতিহিংসা, বিদ্বেষ, দমন পীড়ন যেমন গণতন্ত্রের জন্য বাধা, তেমনি সেলফ সেন্সরশিপ বা অদৃশ্য নিয়ন্ত্রণ প্রাণবন্ত গণমাধ্যমের জন্য বড় বিপত্তি। একজন চিকিৎসক প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা আমলা তৈরি করতে গিয়ে রাষ্ট্র বা জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় হয়। সেই অর্থের পরিমাণ অনেক। গরিব দেশের গরিব মানুষের ঘাম ঝরানো অর্থে লেখাপড়া করে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যখন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেন, সংবিধান, আইন ও বিধিবিধান লঙ্ঘন করে প্রজাতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধ না থেকে না করে ব্যক্তিগত ভোগবিলাস ও ক্ষমতা উপভোগ্য হয়ে ওঠে, রাজনৈতিক প্রভাবে প্রভাবিত নন, রাজনৈতিক দলের কাছে বিবেকের দাসত্ব বরণ করে অন্যায়ের অংশীদার হন, তখন তার কাজ আর ইবাদতে পরিণত হয় না। তিনি আর জনগণের সেবক থাকেন না শাসক হয়ে যান। প্রজাতন্ত্রের কাছে দায়বদ্ধ ব্যক্তি কখনো রাজনৈতিক প্রভাব বা দলের কাছে নত হতে পারে না। যখনই নত হয় তখনই মানুষের  সম্মান-শ্রদ্ধা হারিয়ে উপহাসের পাত্রে পরিণত হন। রাজনীতিবিদরা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন জনগণের কল্যাণে। আইন প্রণয়ন, নীতিনির্ধারণ ও দেশের উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ করবেন। তারা হবেন দেশের সব জনগোষ্ঠীর ভাগ্যবিধাতা। ক্ষমতার গর্বে অভিষিক্ত নয়, মানুষের সেবায় নিবেদিতপ্রাণ হয়ে জনকল্যাণের জন্য সব লোভ-মোহের ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের আস্থা অর্জন করে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে, দেশের উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করবেন। এতে মানুষ হৃদয় দিয়ে তাদের লালন করবেন। আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, কৃষকের বন্ধু বাংলার বাঘ এ কে ফজলুল হক সেই আদর্শের রাজনীতি, মানবকল্যাণের রাজনীতির পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতারা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকরা সেই নির্লোভ সৎ আদর্শের রাজনীতির পথ দেখিয়ে গেছেন। সেই পথ সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অনুসরণ করলে আমাদের সুমহান মুক্তিযুদ্ধের লাখো লাখো শহীদ ও গণতন্ত্রের আন্দোলনের সব শহীদের রক্তশপথ নিয়ে পথ হাঁটলে আমাদের উপহাসের পাত্র হওয়ার কথা নয়। সব পেশার মানুষের সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে বাঁচা ও জীবন যাপন করার কথা।

 

                লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
গ্যাসসংকট
গ্যাসসংকট
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
বিনয়-নম্রতা ইসলামের অনন্য সৌন্দর্য
বিনয়-নম্রতা ইসলামের অনন্য সৌন্দর্য
শক্তির চাহিদা পূরণে সৌরবিদ্যুৎ
শক্তির চাহিদা পূরণে সৌরবিদ্যুৎ
সেনারা পারে, পারতেই হয়
সেনারা পারে, পারতেই হয়
ইন্দিরা হত্যার সেই ভয়ংকর ঘটনা
ইন্দিরা হত্যার সেই ভয়ংকর ঘটনা
মৃত্যু আসতে পারে যে কোনো সময়
মৃত্যু আসতে পারে যে কোনো সময়
অপনীতির অবসান
অপনীতির অবসান
গুপ্ত স্বৈরাচার
গুপ্ত স্বৈরাচার
নির্বাচন : আশায় বাঁধি বুক
নির্বাচন : আশায় বাঁধি বুক
গোলাপের সুবাস গেল কই
গোলাপের সুবাস গেল কই
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
সর্বশেষ খবর
যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন
যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন

১ সেকেন্ড আগে | নগর জীবন

বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব আয়ারল্যান্ডের
বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব আয়ারল্যান্ডের

৫ মিনিট আগে | জাতীয়

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা

৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ভোকেশনাল সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে ডিএমপির জরুরি নির্দেশনা
ভোকেশনাল সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে ডিএমপির জরুরি নির্দেশনা

১৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

জুলাই যোদ্ধারা মিডিয়া ইকোসিস্টেমে যুক্ত হলে গুণগত পরিবর্তন আসবে
জুলাই যোদ্ধারা মিডিয়া ইকোসিস্টেমে যুক্ত হলে গুণগত পরিবর্তন আসবে

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

দক্ষ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা বাড়াবে বাংলাদেশ-জাপান
দক্ষ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা বাড়াবে বাংলাদেশ-জাপান

২৩ মিনিট আগে | জাতীয়

মেয়েকে যে অভ্যাস পরিবর্তন করতে বললেন শাহরুখ
মেয়েকে যে অভ্যাস পরিবর্তন করতে বললেন শাহরুখ

২৪ মিনিট আগে | শোবিজ

এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি মির্জা ফখরুলের
এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি মির্জা ফখরুলের

২৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

সিলেটে সড়কে প্রাণ গেল দুইজনের
সিলেটে সড়কে প্রাণ গেল দুইজনের

২৭ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

আইজিপির সঙ্গে আয়ারল্যান্ড ও ইইউ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
আইজিপির সঙ্গে আয়ারল্যান্ড ও ইইউ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

বুড়িচংয়ে তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
বুড়িচংয়ে তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মামদানির জয় নিয়ে চিন্তিত ইসরায়েল
মামদানির জয় নিয়ে চিন্তিত ইসরায়েল

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নওগাঁয় মুক্ত আকাশে ফিরে গেল ৬ অতিথি পাখি
নওগাঁয় মুক্ত আকাশে ফিরে গেল ৬ অতিথি পাখি

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরফ শীতল রূপচর্চা
বরফ শীতল রূপচর্চা

৫৪ মিনিট আগে | জীবন ধারা

প্রথম দেখায় ঘাবড়ে গিয়েছিলেন বিরাট!
প্রথম দেখায় ঘাবড়ে গিয়েছিলেন বিরাট!

৫৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সূচক কমলেও পুঁজিবাজারে বেড়েছে লেনদেন
সূচক কমলেও পুঁজিবাজারে বেড়েছে লেনদেন

৫৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

মাদারীপুর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়ে খোকন তালুকদারের আনন্দ শোভাযাত্রা
মাদারীপুর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়ে খোকন তালুকদারের আনন্দ শোভাযাত্রা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ
বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অক্টোবরে কমেছে মূল্যস্ফীতি
অক্টোবরে কমেছে মূল্যস্ফীতি

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর
একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঐতিহাসিক কান্তজিউ রাস মেলা শুরু
ঐতিহাসিক কান্তজিউ রাস মেলা শুরু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জীবনে এমন কাউকেই খুঁজছিলাম: রোনালদো
জীবনে এমন কাউকেই খুঁজছিলাম: রোনালদো

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নভেম্বরের প্রথম ৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৬১ মিলিয়ন ডলার
নভেম্বরের প্রথম ৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৬১ মিলিয়ন ডলার

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তানজিন তিশার বিরুদ্ধে মামলা
তানজিন তিশার বিরুদ্ধে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বাঁধন ১০ দিনের রিমান্ডে
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বাঁধন ১০ দিনের রিমান্ডে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ
গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঠাকুরগাঁওয়ে মাদকবিরোধী ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদকবিরোধী ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে অটোরিকশার ধাক্কা, প্রাণ গেল নারীর
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে অটোরিকশার ধাক্কা, প্রাণ গেল নারীর

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চকরিয়ায় ৮০ হাজার ইয়াবাসহ তিন কারবারি গ্রেপ্তার
চকরিয়ায় ৮০ হাজার ইয়াবাসহ তিন কারবারি গ্রেপ্তার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের কাছে পারমাণবিক প্ল্যান বিক্রির চেষ্টা ভারতীয় ভুয়া বিজ্ঞানীর
ইরানের কাছে পারমাণবিক প্ল্যান বিক্রির চেষ্টা ভারতীয় ভুয়া বিজ্ঞানীর

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির
আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মামদানির জয়ে যা বললেন ট্রাম্প
মামদানির জয়ে যা বললেন ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের
আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের

১৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন
বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়
নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত
দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান
উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অ্যাটর্নি জেনারেল
পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অ্যাটর্নি জেনারেল

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ
আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ভোটে লড়বেন জোনায়েদ সাকি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ভোটে লড়বেন জোনায়েদ সাকি

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি
গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়
পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’
পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি
তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত
জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ
‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সৌদিতে আরও ১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন
সৌদিতে আরও ১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ
গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খামেনির ছবি পোড়ানোর পর যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
খামেনির ছবি পোড়ানোর পর যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা

১২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান
বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন নিহত
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন নিহত

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিজয়ী বক্তব্যে যা বললেন জোহরান মামদানি
বিজয়ী বক্তব্যে যা বললেন জোহরান মামদানি

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএলে ৫ দল, শুরু ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে
বিপিএলে ৫ দল, শুরু ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা
নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে সৌদি আরব?
এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে সৌদি আরব?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
এখন বিএনপির বাকি আসনের হিসাবনিকাশ
এখন বিএনপির বাকি আসনের হিসাবনিকাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

এ কেমন স্কুল ভবন!
এ কেমন স্কুল ভবন!

পেছনের পৃষ্ঠা

এটাই আমার শেষ নির্বাচন
এটাই আমার শেষ নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি উত্তাপে দেশ
নির্বাচনি উত্তাপে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগিরই
জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগিরই

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিলিন্ডার দুর্ঘটনার বড় ক্ষতি রোধে উদ্যোগ
সিলিন্ডার দুর্ঘটনার বড় ক্ষতি রোধে উদ্যোগ

নগর জীবন

অঙ্গ দিতে পারবেন ইমোশনাল ডোনার
অঙ্গ দিতে পারবেন ইমোশনাল ডোনার

প্রথম পৃষ্ঠা

১৮ মাসে এক কোটি চাকরি নিছক বাগ্মিতা নয় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা
১৮ মাসে এক কোটি চাকরি নিছক বাগ্মিতা নয় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা

নগর জীবন

অবৈধ সুবিধা দিলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
অবৈধ সুবিধা দিলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

পেছনের পৃষ্ঠা

২০০ বছরের রাস উৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল
২০০ বছরের রাস উৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল

দেশগ্রাম

এ কী কাণ্ড মাধুরীর
এ কী কাণ্ড মাধুরীর

শোবিজ

জলবায়ু তহবিলের ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ
জলবায়ু তহবিলের ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

পারিশ্রমিক পেতে ফুটবলারদের তাগাদা
পারিশ্রমিক পেতে ফুটবলারদের তাগাদা

মাঠে ময়দানে

সংকট পিছু ছাড়ছে না সিইউএফএলের
সংকট পিছু ছাড়ছে না সিইউএফএলের

নগর জীবন

কুড়িগ্রামে ভাওয়াইয়ার সুরে মায়াভরা ইত্যাদি
কুড়িগ্রামে ভাওয়াইয়ার সুরে মায়াভরা ইত্যাদি

শোবিজ

পোশাক রপ্তানি কমল টানা তিন মাস
পোশাক রপ্তানি কমল টানা তিন মাস

পেছনের পৃষ্ঠা

মতের পার্থক্য যেন সংঘাতে রূপ না নেয়
মতের পার্থক্য যেন সংঘাতে রূপ না নেয়

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশবাসী ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ
দেশবাসী ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

সম্পর্ক যাচাইয়ে আসছে নতুন পদ্ধতি
সম্পর্ক যাচাইয়ে আসছে নতুন পদ্ধতি

খবর

বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

১৬ বছর পর আসিফ
১৬ বছর পর আসিফ

শোবিজ

কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে সাত অস্ত্র চুরি
কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে সাত অস্ত্র চুরি

প্রথম পৃষ্ঠা

নিউমার্কেট মোড়ে বিকাল ৪টার আগে হকার বসতে পারবেন না
নিউমার্কেট মোড়ে বিকাল ৪টার আগে হকার বসতে পারবেন না

নগর জীবন

সংকট নিরসনে চাই ইসলামি অনুশাসন
সংকট নিরসনে চাই ইসলামি অনুশাসন

নগর জীবন

রূপবানের ভূত চেপেছিল সর্বত্র
রূপবানের ভূত চেপেছিল সর্বত্র

শোবিজ

আলাপের জন্য আলাপ
আলাপের জন্য আলাপ

রকমারি রম্য

ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে
ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে

নগর জীবন

নির্বাচনে শীর্ষ নেতাদের পেয়ে বগুড়াজুড়ে আনন্দ উৎসব
নির্বাচনে শীর্ষ নেতাদের পেয়ে বগুড়াজুড়ে আনন্দ উৎসব

পেছনের পৃষ্ঠা

নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন তিন দল
নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন তিন দল

প্রথম পৃষ্ঠা