মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

উত্তরা লেকে অশুভ থাবা

দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

রাতের আঁধারে ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে উত্তরা ১৫ নম্বরের ব্রিজসংলগ্ন লেকের পাড়। দীর্ঘদিন ধরে ময়লা ফেলা হলেও দেখার যেন কেউ নেই। বাংলাদেশ প্রতিদিনে লেকের পাড়ে ময়লার যে বিশাল স্তূপের ছবি ছাপা হয়েছে তা আতঙ্কিত হওয়ার মতো। রাজধানীর সব প্রাকৃতিক জলাশয় সুরক্ষায় সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশনা থাকলেও উত্তরা লেকের পাড়ে কারা রাতের আঁধারে পিকআপ ভ্যানে করে প্রতিদিন ময়লা ফেলছে সে সম্পর্কে কোনো জবাব নেই সিটি করপোরেশনের কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেকের পাড়ে ময়লা ফেলায় উৎকট গন্ধে বিপর্যস্ত হচ্ছে বসবাস ও যাতায়াতকারী মানুষের জীবনযাত্রা। নগরজীবনের ক্লান্তি ভুলতে রাজধানীবাসী লেকের পাড়ে হাঁটতে, বেড়াতে, একটু শান্তির নিঃশ্বাস নিতে আসতেন। খোলা আকাশের নিচে স্নিগ্ধ বাতাসের সন্ধান মিলত রাজধানীর উত্তরা ১৫ নম্বর ব্রিজসংলগ্ন লেকের পাড়ে। কিন্তু রাতের আঁধারে পিকআপে করে ময়লা ফেলে মনোমুগ্ধকর এ স্থানটি ভরাট করতে উঠেপড়ে লেগেছে দখলদাররা। ১২ নম্বর সেক্টরের কবরস্থানের পর থেকে লেকের পাড় দখল করে অবৈধ বসতি গড়ে তোলা হয়েছে। টিনের ঘর তুলে দোকান বা গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলে লেকের প্রায় মাঝবরাবর পর্যন্ত দখল করে নিয়েছে লেকখেকোরা। গড়ে তোলা হয়েছে বাঁশের আড়ত, ভাঙাড়ির দোকান ও টংঘর। মাসভর মাইকিং করে সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পরদিনই আবার হয়েছে দখল। প্রায় ২০টির মতো দোকান গড়ে তোলা হয়েছে লেকের জায়গা দখল করে। দুই বছর আগেও এ জায়গা ফাঁকা ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দখলদারিত্বের থাবা বাড়াতে ব্রিজসংলগ্ন লেকের পাড়ে রাতের আঁধারে পরিকল্পিতভাবে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। মনোরম স্নিগ্ধ উত্তরা লেক ভরাটের জন্য মতলববাজরা যে কৌশল বেছে নিয়েছে তা উদ্বেগজনক। মাসভর মাইকিং করে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার পরদিনই কোন সাহসে এবং কাদের ইন্ধনে লেকের পাড়ে স্থাপনা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা দরকার। আমরা আশা করব, সিটি করপোরেশনের জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লেক অপদখলের সঙ্গে যুক্ত অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

এর কোনো অন্যথা কাম্য হওয়া উচিত নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর