শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৯ আপডেট:

দিল্লির সতর্কবার্তা পেয়ে মুজিব বলেছিলেন, জিয়া-ফারুকরা আমার নিজের ছেলের মতো

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
দিল্লির সতর্কবার্তা পেয়ে মুজিব বলেছিলেন, জিয়া-ফারুকরা আমার নিজের ছেলের মতো

সেই ৬২ সাল থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও আত্মিকভাবে জড়িয়ে যাওয়া ভারতীয় কূটনীতিক শশাঙ্ক এস ব্যানার্জি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনের অন্যতম ভুল ছিল জেনারেল জিয়াকে বিশ্বাস করে সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ করা ও ৭৩ সালে ওয়াশিংটন সফরে পঠানো। আইএসআইর পরিকল্পনায় জিয়া তার সহকর্মী ফারুক রহমানদের দিয়ে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিলেন। ভারতের ২৮তম স্বাধীনতা দিবস ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় তখন রাওয়ালপিন্ডি আইএসআই হেডকোয়ার্টারে উল্লাস চলছিল। আর জিয়া ইউনিফর্ম পরে সেনাসদরে বসেছিলেন। ১০ জুলাই লন্ডনে শশাঙ্ক এস ব্যানার্জি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে যে সাক্ষাৎকার দেন তার শেষ পর্ব আজ প্রকাশিত হলো।

শশাঙ্ক এস ব্যানার্জি বলেছেন, ১৯৭৩ সালের বসন্তে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ জেনারেল জিয়াউর রহমান যুক্তরাষ্ট্র সফর করে ঢাকা ফেরার পথে লন্ডনে যাত্রা বিরতি করেছিলেন। আমার কাছে থাকা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিজে গলা বাড়িয়ে তার সঙ্গে একটি বিষয়ে কথোপকথন করেছিলাম। ১৯৭৩ সালের সেই সময়টি ছিল ভীষণ আবেগময়। পাকিস্তান একটি যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল চিরশত্রু ভারতের কাছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার কারণে পাকিস্তানের কাছে শেখ মুজিবুর রহমান নামটি ছিল ঘৃণিত, যদিও তিনি তার জাতিকে স্বাধীন করে দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে শুধু জাতির পিতাই নন; জাতির ঐক্যের প্রতীকে এবং বিশ্বে এক জননায়কে পরিণত হন।

পাকিস্তানের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের চোখেও শেখ মুজিবুর রহমান ঘৃণিত ছিলেন। সেই সময় খবর আসছিল, রাওয়ালপিন্ডির হেডকোয়ার্টারে জেনারেলরা হতাশা ও ক্রোধে গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার বিষয়ে। হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে একজন জেনারেলের সামরিক ক্ষমতাগ্রহণ ঘটাতে পারে কিনা, সে বিষয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে। সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গোপনে একটি জনপ্রিয়তা যাচাই ক্যাম্পেইনও করতে চেয়েছিল। যাতে এই বিশেষ অপারেশনের প্রস্তুতি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। এর মধ্যেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হয়ে উঠেছিল। চারপাশে গরম বাতাস বয়ে চলছিল।

শশাঙ্ক এস ব্যানার্জি বলেন, প্রশ্ন ছিল-ঐসব রিপোর্ট কি বিশ্বাসযোগ্য ছিল? স্বাভাবিকভাবেই কিছুটাতো বটেই, কিন্তু পাকিস্তান এমন এক দেশ যেখানে যে কোনো কিছুই সম্ভব। কিন্তু কমতি যেটা ছিল সেটি হচ্ছে এই রিপোর্টগুলোর যথার্থতা কষ্টি পাথরে যাচাই করার সুযোগ ছিল না। প্রতিরোধে যাওয়ার মতো তথ্য ছিল না, ছিল শুধু রাওয়ালপিন্ডির ঘটনা প্রবাহের টুকরা টুকরা রিপোর্ট। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাচেষ্টার রিপোর্টটি নয়াদিল্লি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিল। বামপন্থিদের মধ্যে ছিল চিলির নেতা সালভাদর আলেন্দেকে হত্যা করার পর সিআইএ এবার শেখ মুজিবকে হত্যা করার দায়িত্ব গ্রহণ করেবে।

এসব গুজব ভারতেও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল।

শশাঙ্ক এস ব্যানার্জি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকার জন্য। লন্ডনে যাত্রা বিরতিকালে জিয়াউর রহমান নিজেই আমাকে বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুই তাকে ব্যক্তিগত প্রতিনিধি হিসেবে ওয়াশিংটন সফরে পাঠিয়েছিলেন। দেড় মাসেরও বেশি সময় পেন্টাগন, সিআইএ এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেনারেল জিয়া সম্পর্ক তৈরি করেন। তিনি যখন ঢাকা ফেরার পথে লন্ডনে যাত্রাবিরতি করলেন তখন আমি ভারতীয় হাইকমিশনের অ্যাটাশে হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তখন সৈয়দ আবদুস সুলতান। তিনি আমাকে জেনারেল জিয়া দেখা করতে আগ্রহী বলে বার্তা পাঠান। নটিংহিল গেটে বাংলাদেশ হাইকমিশন অফিসে যখন সৈয়দ সুলতানের কক্ষে গেলাম, তখন কালো গগলস পরিহিত জিয়া বসে আছেন। আমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর সেদিন আমার আতিথ্যে মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে বৈঠক শেষ হয়।

আমার সঙ্গে তার সাক্ষাৎকারের উদ্দেশ্য ছিল, বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুক রহমানের একটি সুটকেস ও রেজিমেন্ট ব্যাটন ফেরত নেওয়া যেটি আমার কাছে রক্ষিত ছিল। ফারুক রহমান পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে সৌদি সামরিক বাহিনীর ট্রেনিং অফিসার হিসেবে সেখানে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে পাকিস্তান ফিরে যেতে তিনি যখন লন্ডনে এলেন তখন ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ইয়াহিয়া খানের গণহত্যা ঘটে গেছে। ফারুক রহমানকে আমার তখন একজন আবেগী মানুষ মনে হয়েছিল। গণহত্যার প্রতিবাদে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে মনোনিবেশ করেন। আমার সঙ্গে তখন তার দেখা হয়েছিল। আমি তখন ফারুককে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করতে বলি। বিচারপতি চৌধুরী তখন লন্ডন থেকে মুক্তির সংগ্রাম পরিচালনা করছিলেন। তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল ৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত। এই দীর্ঘ সময় ফারুক লন্ডনেই ছিলেন। ৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের রাতে আমার সঙ্গে এসে দেখা করেন ফারুক রহমান। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ইচ্ছা পোষণ করে যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য পাসপোর্টের ব্যবস্থা করে দিতে বলেন। আমি আমার চ্যানেল ব্যবহার করে ভারতীয় সামরিক বাহিনী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং ফারুক রহমানের যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছানোর বিষয়টিতে অনুমোদন চাই। তিনি ভারত-পূর্ব পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার আগে নিরাপদে রাখার জন্য তার সুটকেস ও রেজিমেন্ট ব্যাটনটি আমার কাছে দেন। তিনি বলেন, যুদ্ধে যদি বেঁচে যান তাহলে কোনো এক সময় নিয়ে যাবেন। আর যদি মৃত্যু হয় তাহলে যেন টেমস নদীতে ভাসিয়ে দিই।

যাক সেই বৈঠকে জিয়াউর রহমানকে প্রশ্ন করলাম, ফারুক রহমান আপনার একজন অধীনস্থ কর্মকর্তা। আপনি কেন তার সুটকেস নিতে এসেছেন? জিয়ার উত্তর ছিল, অধীনস্থ হলেও আমার সঙ্গে ফারুকের সম্পর্ক চমৎকার এবং এটি নিয়ে যেতে অনুরোধ করেছেন। এই সুটকেস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে সিরিয়াস আলোচনা করার সুযোগ করে দিয়েছিল। শেখ মুজিবকে হত্যার বিষয়টি নিলামে উঠেছে, ভারতে চলমান এমন একটি গুজব ঠাঁই নিয়েছে আমাদের আলোচনায়। আলোচনার মাঝখানে আমি নিজে বোঝার তাগিদে জিয়াউর রহমানের কাছে একটা বা দুটো অপ্রিয় প্রশ্ন করার অনুমতি চাইলে তিনি রাজি হলেন। প্রথমেই জানতে চাইলাম, বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে আমার শঙ্কা ব্যক্তিগত। কারণ আমরা দীর্ঘদিনের পুরনো বন্ধু। জবাবে জিয়া বললেন, হাইকমিশন তাকে বিষয়টি জানিয়েছে। আমি তাকে জবাব দিতে আরামবোধ না করলে দিতে হবে না এই কথা বলে প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম- ৬ সপ্তাহের ওয়াশিংটন সফরে আপনি কার কার সঙ্গে দেখা করেছেন? তিনি জবাবে বললেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ডিফেন্স সেক্রেটারি থেকে নিচের দিকের অনেক সিনিয়র অফিশিয়ালের সঙ্গে দেখা করেছেন। এবার আমি জানতে চাইলাম আপনি যেহেতু পেশাগত জীবন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে শুরু করেছিলেন, পুরনো দিনের কথা ভেবে আপনার নিশ্চয়ই ওয়াশিংটনের পাকিস্তান দূতাবাসের মিলিটারি অ্যাটাশের সঙ্গে দেখা করেছেন?

জবাবে জিয়া বললেন, হ্যাঁ, আমাদের দেখা হয়েছিল। আমি কিছুটা নার্ভাসবোধ করলেও সরাসরি আসল বিষয়ে চলে এলাম। জিয়ার কাছে জানতে চাইলাম, উপমহাদেশের রাজনৈতিক আবহাওয়া যখন কালো মেঘে আচ্ছন্ন এবং মুজিব হত্যার সম্ভাব্য তৎপরতা চলছে তখন ৬ সপ্তাহের জন্য দেশের ডেপুটি সেনাপ্রধানকে দেশের বাইরে পাঠানো কি প্রয়োজনহীনভাবে সমস্যা ডেকে আনা নয়? আমি অবশ্য প্রথমেই তাকে বলে নিয়েছিলাম যে আমি একটি তাত্ত্বিক পরিস্থিতির বিচার করছি, ব্যক্তিগত নয়। আমি যখন দেখলাম আমার প্রশ্ন শুনেও জিয়াউর রহমান মনোক্ষুণœ নন, তখন আরও জানতে চাইলাম- তার মতো একজন মানুষ যদি গোয়েন্দা সংস্থার অপারেশনাল প্রধান হন, তবে কি তিনি এই সম্ভাবনা বিচার করবেন না যে; যখন একজন যোগ্য প্রার্থী হাতে আছে তখন ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের বিরক্তি উৎপাদনকারী ঝামেলার ব্যক্তিকে সরিয়ে দেওয়া যায়? চিলির আলেন্দে হত্যা একটি বিষয় ছিল। আর ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসের মিলিটারি অ্যাটাশের সঙ্গে দেখা করা ছিল আরেকটি বিষয়। জিয়া পরিণত কূটনীতিকের মতোই আমার প্রশ্নের জবাব দিলেন। তিনি বেশ হাসতে হাসতে বললেন, এভাবে ভাবতে পারছি কারণ আমার আসলেই একটা উর্বর মস্তিষ্ক আছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে মিটিং শেষ করে দিতে পারতেন। কিন্তু অবাক করে দিয়ে একজন ঠান্ডা মাথার মানুষ হিসেবে তা করেননি। আমি জানতে চাইলাম, একজন উচ্চপদস্থ আর্মি অফিসারের জায়গা থেকে ফারুক রহমানের মতো অধীনস্থ কর্মকর্তার সুটকেস নেওয়ার মতো তুচ্ছ কাজ তিনি কেন করছেন? মনে মনে আমি ভাবলাম, তবে কি তিনি কোনো একটি উপযুক্ত সময়ে বিশাল কোনো অপারেশনে ব্যবহারের জন্য গুঁটিটি তৈরি করেছেন? তবে কি কোনো বৃহত্তর পরিকল্পনা আছে? পাকিস্তানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত, সামরিক একনায়কদের ভূমিতে লালিত হওয়ায় খুব বেশি কি কল্পনা করা হয়ে যায়? যদিও ভাবী তারও হয়তো গোপন কোনো উচ্চাকাক্সক্ষা আছে, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার? গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একজন নেতাকে হত্যা করার বিষয়টি এমন একজনের মাথায় আসতেই পারে। পাকিস্তানের মিলিটারি অ্যাটাশের সঙ্গে জিয়ার কী কথা হয়েছিল তা জানতে খুব বেশি কৌতূহল হলেও জিয়া নার্ভাসবোধ করায় কথা বাড়াতে পারিনি। আমাদের সেদিনের মিটিং শেষ হওয়ার পর আমার মনে হয়েছে তিনি একটি দেশের ভিআইপি এবং সে দেশের সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ। আমি পদে তার চেয়ে কয়েক ধাপ নিচে ছিলাম এবং বিদেশি একটি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হয়ে আমি যে কথাগুলো বলেছি তাতে একজন সিনিয়র সামরিক অফিসারের আসলে গুলি করে আমাকে মেরে ফেলার মতো উসকানিমূলক।

শশাঙ্ক এস ব্যানার্জি বলেন, প্রথম দফা কথোপকথনের অবাক করার বিষয় ছিল জিয়াউর রহমান ভীষণ ঠান্ডা ছিলেন এবং পরদিন আমাকে দেওয়া মধ্যাহ্নভোজ যেখানে ফারুক রহমানের সুটকেস গ্রহণ করেছিলেন সেটি ক্যান্সেল করেননি। ফারুকের সুটকেস নিয়ে রেস্টুরেন্টের পাশে হাইকমিশন পর্যন্ত হেঁটে গিয়েছিলেন। আমার জন্য এটি গভীর তাৎপর্যের ছিল। আমার খোঁচাখুচির জবাবে তিনি মুখে স্থির নীরবতা এঁটে রেখেছিলেন। একটি মাত্র কথা নার্ভাস হয়ে বার দুই বলেছিলেন সেটি হচ্ছে, ‘আপনার ঈশ্বর প্রদত্ত উর্বর কল্পনাশক্তি আছে। একটি সুটকেস দিয়ে আপনি আমার সঙ্গে রসালো যুদ্ধখেলা খেললেন; তাই না?’ আমি তার কথায় সায় দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলাম এবং দুজনেই শীতল হাসি নিয়ে বিদায় নিলাম।

দুটি মিটিংয়ের পর জিয়াউর রহমান সম্পর্কে আমার ধারণা হয়েছিল, তিনি চঞ্চল চোখের চতুর একজন মানুষ, যা শেখ মুজিবের নিরাপত্তার প্রশ্নে আমার মতে চিন্তার কারণ। আমি জিয়ার সঙ্গে লন্ডনে সাক্ষাৎকারের বিষয়বস্তু নিয়ে জিয়া-ফারুক রহমানরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনা নিচ্ছে- এমন মতামত দিয়ে দ্রুত দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠাই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী সেটি সতর্কবার্তাসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাঠিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু এই বার্তা আমলেই নেননি। বললেন, ‘জিয়াউর রহমান ও ফারুক রহমানেরা আমার নিজের ছেলের মতো। ছেলে কখনো পিতাকে হত্যা করে না। ব্যানার্জি ভীতু লোক। তাই এটি পাঠিয়েছে। আমার বাঙালি কখনো আমাকে হত্যা করতে পারে না।’

শশাঙ্ক এস ব্যনার্জি বলেন, ১৯৭৩ সালে লন্ডনে জিয়ার সঙ্গে আমার আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল কর্নেল ফারুক রহমান। আমি জানি না কেন যে আমার মনের খুব গভীরে এই লোকটা সম্পর্কে এক ধরনের নোংরা মনোভাব তৈরি হয়েছিল যে, জিয়াউর রহমান মুজিব হত্যার জন্য ফারুক রহমানকে ব্যবহার করে কোনো বড় অপারেশনের পরিকল্পনা করেছেন। আর সেই ভয় ভারতের স্বাধীনতা দিবস ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালের কালরাতে সংঘটিত হলো। সেনাবাহিনীর একটি দল বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে হামলা চালিয়ে পরিবার পরিজনসহ বঙ্গবন্ধুকে নিষ্ঠুর, দয়ামায়াহীনভাবে হত্যা করল। সেই সংবাদ যখন আমি শুনলাম তখন অঝোরে কেঁদেছি, একজন মহান দেশপ্রেমিক নেতা ও অতুলনীয় অমায়িক ব্যবহারের বিশাল ব্যক্তির নৃশংস হত্যাকান্ডের কারণে।  আমৃত্যু আমার আক্ষেপ থাকবে, আমি তাকে জানানোর পরও তিনি বিশ্বাস তো করলেনই না, নিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করলেন না।

বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় তখন রাওয়ালপিন্ডির আইএসআই হেড কোয়ার্টারে উল্লাস চলছিল। ইন্দিরা গান্ধী মুজিবের জীবনের নিরাপত্তার জন্য ঘাতকের বুলেট থেকে রক্ষা করতে ৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন লন্ডন থেকে দিল্লি তারপর ঢাকা যাওয়ার পথে এয়ার ইন্ডিয়ার বদলে ব্রিটিশ রয়েল এয়ার ক্রাফটের ভিআইপি মিলিটারি জেটের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু সেই বুলেট ৩ বছর ৮ মাস পর ভারতের ২৮তম স্বাধীনতা দিবসে আঘাত করে। ধানমন্ডির ৩২ নম্ব^র বাড়িতে ১৫ আগস্টের ভোর রাতে একদল সেনাসদস্য যুদ্ধ ট্যাঙ্ক নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ওপর হিংস্র হামলা চালায়। তখন সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমান সম্পূর্ণ ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় ঢাকা সেনানিবাসের কমান্ড সেন্টারে বসে আছেন। তিনি দ্রুত তার শক্তি খাটিয়ে ৭৫-এর নভেম্ব^রেই সামরিক একনায়ক হিসেবে বাংলাদেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে ৭২ এর সংবিধান যেটি ছিল ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব সেই সংবিধানকে হত্যা করে ইসলামী প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ধর্মান্ধ ইসলামপন্থি রাজনৈতিক শক্তির আবির্ভাব ঘটানো হয়েছিল। এমনকি ভারতবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোও নিরাপদ স্বর্গরাজ্য হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করার সুযোগ পেল! বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর মুজিব-পরবর্তী স্তরের চার নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাতের অন্ধকারেই গুলি করে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সময় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।

শশাঙ্ক এস ব্যানার্জি বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের কথা বলতে বলতে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। বলেন, অবাক হয়ে ভাবী যে মহান নেতা তার মাতৃভূমি ও তার জনগণকে জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবেসেছিলেন; সেই মাটির সন্তানদেরই তার হত্যাকান্ডে ব্যবহার করল একাত্তরের পরাজিত শক্তি। আর স্বাধীন বাংলাদেশকেই এতিম করেনি, বিশ্ব একজন মহান নেতাকেও হারাল!

                লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
ঋণ পুনঃ তফসিল
ঋণ পুনঃ তফসিল
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক
দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক
একনজরে নবীজি (সা.)এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী
একনজরে নবীজি (সা.)এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী
ডাকসু-জাকসু প্রজন্মের আস্থাভঙ্গের নির্বাচন
ডাকসু-জাকসু প্রজন্মের আস্থাভঙ্গের নির্বাচন
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে
সুন্দরবন
সুন্দরবন
কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ
গরমে ক্ষতি
গরমে ক্ষতি
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
সর্বশেষ খবর
বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য জবির বিশেষ পরিবহন সেবা
বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য জবির বিশেষ পরিবহন সেবা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঢাকার ইন্দিরা রোড থেকে গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
ঢাকার ইন্দিরা রোড থেকে গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ২৯ জন
যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ২৯ জন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার
জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ
সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া
ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ
মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ
নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা
১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা

৯ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক
শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার
সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের
ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের

৯ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স
পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান
৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার
বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা
সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা

১০ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ
কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র
নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে
সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

১৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

২২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দূরন্ত গতিতে পৃথিবী থেকে দূরে সরছে চাঁদ
দূরন্ত গতিতে পৃথিবী থেকে দূরে সরছে চাঁদ

১৬ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

প্রিন্ট সর্বাধিক
কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন
কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন

পেছনের পৃষ্ঠা

চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি
চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়
ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক

নগর জীবন

নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা বিমানের
নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা বিমানের

পেছনের পৃষ্ঠা

গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ
গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক
দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক

সম্পাদকীয়

বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি
এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি

পেছনের পৃষ্ঠা

বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে

সম্পাদকীয়

ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে
ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

সীমানা নিয়ে আদালতের দিকে তাকিয়ে ইসি
সীমানা নিয়ে আদালতের দিকে তাকিয়ে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

কবরস্থানে নবজাতক  বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম
কবরস্থানে নবজাতক বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম

দেশগ্রাম

সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার
সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার

নগর জীবন

আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত
আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

কিংসের দ্বিতীয় না মোহামেডানের প্রথম
কিংসের দ্বিতীয় না মোহামেডানের প্রথম

মাঠে ময়দানে

ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড
ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড

নগর জীবন

জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা
জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা

দেশগ্রাম

বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়
বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়

নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট

সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা
রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা

দেশগ্রাম

বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি
বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি

প্রথম পৃষ্ঠা

৭ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে
৭ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামায় আসছে ‘চোর’
ক্যাপিটাল ড্রামায় আসছে ‘চোর’

শোবিজ

স্বামী-সন্তান হারানো সংগ্রামী বৃদ্ধার পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
স্বামী-সন্তান হারানো সংগ্রামী বৃদ্ধার পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

নগর জীবন

দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট
দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট

নগর জীবন

এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি
এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি

নগর জীবন

নিউইয়র্কে প্রবাসী সমাবেশে ভাষণ দেবেন ইউনূস
নিউইয়র্কে প্রবাসী সমাবেশে ভাষণ দেবেন ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা