শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

কালাপাহাড়ের বিরুদ্ধে কালো ঘোড়ার লড়াই

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
কালাপাহাড়ের বিরুদ্ধে কালো ঘোড়ার লড়াই

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বেআইনি কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আইনের খড়্গ নামিয়ে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা র‌্যাবের যে অভিযান চালিয়েছেন তাতে আদর্শিক রাজনীতি থেকে আদর্শহীন রাজদুর্নীতির বীভৎস, কুৎসিত চিত্রপট বের হয়ে এসেছে। রাজনীতি ও সমাজে বুক ফুলিয়ে হাঁটা আইন ও সংবিধান লঙ্ঘনকারী মাফিয়া ডন বা বাজিকরদের চেহারা উন্মোচিত হচ্ছে। অভিযানের সূচনায় যে আলামত দেখা যাচ্ছে আইনের গতিশীল পথে এ অভিযান অব্যাহত থাকলে সমাজের অন্ধকার জগতের, বেআইনি কর্মকান্ডের মাধ্যমে যে সীমাহীন নির্লজ্জ বেহায়াপনা ও বেআইনি কর্মকান্ড হচ্ছে তা-ই থামবে না, একের পর এক বাজিকরদের আটকই করা হবে না, সব অবৈধ কর্মকান্ডের খলনায়ক থেকে তাদের পৃষ্ঠপোষক ও লুটের টাকার শরিকানাদেরও আইনের আওতায় আনা যাবে। এমনকি এত দিন ঢাকা ও চট্টগ্রামে এসব অবৈধ কর্মকান্ড যেসব পুলিশ কর্মকর্তার প্রশ্রয়ে সহযোগিতায় ভাগের লাভে হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে। পুলিশ কি পোশাকের সম্মান রক্ষা করেছে? কারা ছিলেন এত দিন দায়িত্বে? পূর্ত দফতরের জি কে শামীম ধরা পড়েছেন, শিক্ষাভবনের শফিকুল, স্বাস্থ্য খাতের মিঠু থেকে সব দফতরের নিয়ন্ত্রকরা কোথায়?

এমনকি নিষিদ্ধ ক্যাসিনো থেকে বেআইনি স্পার নামে যৌন বাণিজ্যের কলঙ্কিত ব্যবসায়ী ও তাদের পাহারাদারদেরই ধরা হবে না আইনের জালে ব্যাংক লুটেরা থেকে শেয়ারবাজারের জুয়াড়ি ও বিদেশে অর্থ পাচারকারী থেকে একেকটি বাণিজ্য জগৎকে যারা বেপরোয়াভাবে নিজেদের একক নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন রাজনৈতিক শক্তি ও প্রশাসনিক সহযোগিতায় তারাও ধরা পড়বেন। এ অভিযান সফল হলে গোটা দেশ অপরাধের অন্ধকার জগৎ থেকে  আইনের আলোর জগতে ফিরে আসবে। প্রমাণ হবে সবার জন্য আইন সমান। প্রমাণ হবে রাষ্ট্রনায়ক চাইলে সমাজে ন্যায়বিচার বা সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব। দেশের অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী হবে, দুর্নীতি বন্ধ হবে।

বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ ক্যান্সারের মতো যে দুর্নীতির রোগ আইনকে পঙ্গু করে দিয়ে, প্রশাসনকে বিকল করে দিয়ে রাজনীতির মহান আদর্শকে নির্বাসিত করে, সামাজিক মূল্যবোধ অবক্ষয়ের শেষ তলানিতে নিয়ে গিয়ে আইন ও বিচারের ভয়কে জয় করে রাষ্ট্র ও সমাজকে মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গিয়ে অবৈধভাবে চরম অর্থনৈতিক লুটপাট, অঢেল বিত্তবৈভব ও সীমাহীন ভোগবিলাসে মত্ত হয়ে নিজেদের কালো দৈত্যে পরিণত করে অপরাধকে কালাপাহাড়ের মতো শক্তিশালী দানবে রূপ দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে চলমান অভিযান মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার সহ্য ও ধৈর্যের বাঁধভাঙা ন্যায়ের যুদ্ধ।

আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন দেশে ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, চোরাকারবারি, মুনাফাখোর ও অসৎ অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে না নিতেই ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট কালরাতে পরিবার-পরিজনসহ তাকে নৃশংসভাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের পথে সেনাবাহিনীর একদল সশস্ত্র বিশ্বাসঘাতক সন্ত্রাসী ও দলের মীরজাফর খ্যাত বিশ্বাসঘাতক বেইমান মোশতাকচক্র হত্যা করে তা স্তব্ধ করে দেয়।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর গরিবের দল আওয়ামী লীগের আদর্শিক নেতা-কর্মীরা মুজিবকন্যা শেখ হাসিনাকে সামনে নিয়ে দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। ছিনতাই হওয়া গণতন্ত্র উদ্ধার করে, বার বার জীবনের ওপর আসা আঘাত ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা গণমানুষের দল আওয়ামী লীগকে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় রাখলেও দলের একটি অংশ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় মিলেমিশে লুটের রাজত্ব বা অপরাধের অন্ধকার জগৎ কিংবা দুর্নীতির মহোৎসবে ভোগবিলাসের পথে অর্থবিত্ত ও সম্পদ গড়ার নেশায় বুঁদ হয়ে কালাপাহাড় নামে দানবশক্তিকে জনগণের বিরুদ্ধে শক্তিশালী করেছে। সুবিধাভোগী শ্রেণি যারা যখন ক্ষমতায় তাদের পা-চাটাদের নিজেদের সঙ্গে নিয়েছে। বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। শেখ হাসিনা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বিশ্বের সামনে বিস্ময়কর জায়গায় নিয়ে গিয়ে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে দিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি যখন দিতে যাচ্ছেন, তখন দলের ভিতর থেকেই নষ্ট একটি অংশ, অনুপ্রবেশকারী আদর্শহীন, নীতিহীন ও রাজনৈতিক চরিত্রহীনদের সঙ্গে প্রশাসনসহ অপরাধীদের মহাসম্মিলন ঘটিয়ে দেশে বেআইনি কর্মকান্ড, অপরাধ, অর্থনৈতিক লুটপাট, রাতারাতি বিত্তবৈভব ও জৌলুসময় জীবনের পথে অন্ধ হয়ে গেছে। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা একদল নষ্ট। তাদের সঙ্গে একদল অসৎ পুলিশ, প্রকৌশলী, আমলা, সরকারি কর্মচারী কতটা পাপে ডুবেছে? তাদেরও আইনের জালে আটকাতে হবে।

এরশাদ ও শেখ হাসিনা সরকারের ১৭ বছরের মন্ত্রী জীবনে পরাজয় না করা এমপি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছিলেন, শেখ হাসিনা হলেন অ্যারাবিয়ান ব্ল্যাক হর্স, যাকে তিনি ইলেকটেড সিএমএলএ বলতেন। ইতিবাচক অর্থে রাজনীতি ও রাষ্ট্রের বা সরকারের কর্মকান্ড দৃঢ়তার সঙ্গে ক্ষিপ্রগতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে বাস্তবায়নে যে নেতৃত্বের গুণাবলি রাখেন তা বোঝাতেই তিনি এটি বলেছিলেন। প্রবীণ রাজনীতিবিদ বরেণ্য পার্লামেন্টারিয়ান ও সফল মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছিলেন, মন্ত্রিসভা থেকে একনেকের বৈঠকে দেখা গেছে, যে কোনো বিষয়ে হয়তো কথা চলছে শেখ হাসিনা তখন কারও সঙ্গে কথা বলছেন কিন্তু কোনো শব্দ তার কানে যেতেই তিনি যখন সেটি নিয়ে কথা বলতেন, বোঝা যেত হোমওয়ার্ক করে প্রতিটি ফাইল পরতে পরতে পড়ে তিনি বৈঠকে আসেন। সংসদে বসে, গণভবনে বসে এমনকি তার কার্যালয় থেকে বিদেশ সফরকালেও ফাইল তিনি জমিয়ে রাখেন না। দল, সরকার ও দেশের জন্য ১৮ ঘণ্টা পরিশ্রমী মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা বার বার অপরাধীদের সতর্ক করেছেন। তাঁর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও সজাগ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু অর্থ ও ক্ষমতার দম্ভে গরম সইতে না পারা লোভী অসৎ অপরাধীরা সতর্ক হয়নি, আমলে নেয়নি। প্রয়াত পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত কী অবলীলায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘বাঘে ধরলে ছেড়ে দেয়, শেখ হাসিনা ধরলে ছাড়ে না।’ টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে গোটা দেশের জনগণকে আশাবাদী করে শেখ হাসিনা চলমান অভিযানের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন সেই কথার সত্যতা। দানবশক্তি কালাপাহাড়ের বিরুদ্ধে এ লড়াই মানবশক্তির নেতা অ্যারাবিয়ান ব্ল্যাক হর্স বা কালো ঘোড়ার উপমা নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশ্বরাজনীতিতে নিজের আসন প্রশংসিত করা শেখ হাসিনার লড়াই। বেআইনি শক্তির বিরুদ্ধে এটা আইনি শক্তির লড়াই। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে বা রাজনৈতিক বাণিজ্যিকীকরণের বাজিকরদের বিরুদ্ধে আদর্শিক রাজনীতির গণমানুষের নেত্রী শেখ হাসিনার লড়াই। অভিযানে যারা অংশ নিচ্ছেন, তাদের সামনে এখন সব লোভ-মোহ উপেক্ষা করে গভীর দেশপ্রেম ও আইনের প্রতি অবিচল থেকে কঠোর থাকার কথা।

এ লড়াইয়ে শেখ হাসিনার জেতার কোনো বিকল্প নেই। এ লড়াইয়ে জিততেই হবে। এ লড়াইয়ে শেখ হাসিনা জিতলে আইন ও সুশাসন জয়ী হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার জয়ী হবে। পাপাচারের বিরুদ্ধে সততার জয় হবে। দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীরা এত কর্মসংস্থান করেন, ট্যাক্স দেন, দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখেন অথচ সেসব বড় বড় শিল্পপতি থেকে ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা, সরকারি-বেসরকারি সৎ চাকরিজীবীরা জীবিকা থেকে শুরু করে গরিব কৃষক-শ্রমিক দিনরাত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে, অন্যদিকে সংবিধান ও আইনকে লঙ্ঘন করে রাজদুর্নীতির সুবাদে সমাজের একটি নষ্ট শ্রেণি অবক্ষয় ও নীতিহীনতার অন্ধকার জগৎ থেকে উঠে এসে অবৈধভাবে অর্থনৈতিক লুটপাটের মহোৎসব করে রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাবেন, এটা সমাজ সইতে পারে না। শেখ হাসিনার চলমান এই যুদ্ধে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণের অনিবার্য বিজয় দেখতে চাইলে গোটা সমাজকে গণজাগরণ ঘটিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে এগিয়ে আসতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। এ যুদ্ধে দেশ হোঁচট খেতে পারে না। অপরাধীদের, বেআইনি কর্মকান্ডে জড়িতদের সিন্ডিকেট যত বড় হোক, শিকড় যত বিস্তৃত হোক রাষ্ট্র ও জনগণের চেয়ে শক্তিশালী হতে পারে না। আওয়ামী লীগের মতো দলে কমিটি বাণিজ্য হয়, যুবলীগে পিয়ন থেকে নেতা, ব্যবসায়ী ও পদ বাণিজ্যের হাট বসে ছাত্রলীগ নেতারা ৮৬ কোটি টাকা কমিশন চায়, কমিটি, পদ বাণিজ্য করে। জেলা আওয়ামী লীগ থেকে কেন্দ্রের নেতা নজরদারিতে থাকে। অঢেল সম্পদ গড়ে কোথা থেকে? আবেগ অনুভূতি সততা এদের কাছে নির্বাসিত হলো!

ঢাকায় ৬০টি ক্যাসিনো জুয়ার রমরমা বাণিজ্য অবৈধভাবে করেছে। অনেকগুলোতে র‌্যাবের অভিযানে মালিক থেকে একদল জুয়াড়ি আটক হয়ে রিমান্ড ও কারাগারে। এদের পক্ষে দলের ভিতর থেকে যখন অনেকে কথা বলেন, তখন লজ্জা হয়। বিএনপি জমানায় শুরু হওয়া ক্যাসিনো বাণিজ্য বা রাতের ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের ক্লাবপাড়ায় সংগঠিত জুয়াড়িদের শেখ হাসিনার শাসনামলেও কারা অব্যাহত রেখেছে, কারা বিকশিত করেছে, কারা পাহারা দিয়েছে, কারাই বা এই অবৈধ বাণিজ্যের উড়ন্ত টাকার নিয়মিত ভাগবাটোয়ারা পেয়েছে সবাইকেই একে একে আইনের আওতায় আনতে হবে। এ দেশের মানুষ ফুটবল প্রেমে উন্মাদ ছিল একসময়। বিএনপির মোসাদ্দেক আলী ফালু মোহামেডান ক্লাব দেখতেন। তার সহকর্মী ছিলেন লোকমান। ফালু দেশছাড়া লোকমান কীভাবে হয়ে যান আওয়ামী লীগার? কারা তার হাতে তুলে দেয় মোহামেডান ক্লাব? কাদের শক্তিতে অবৈধ ক্যাসিনো বাণিজ্য বসান সেখানে লোকমান?

কীভাবেই তিনি বিসিবির কর্মকর্তা হয়ে যান? অনুপ্রবেশকারীরা দলের বদনাম করেছে বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। কাদের হাত ধরে অনুপ্রবেশই তারা করেনি, অবৈধ অর্থসম্পদের মালিক ও জুয়াড়িদের বাজিকর হয়ে উঠেছে? জনগণকেই জবাব দিতে হবে না, লাখ লাখ কর্মীর রক্তেভেজা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর কাছেও এই জবাব দিতে হবে। দলের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্বে থাকা নেতা-কর্মীরা কীভাবে একেকটি ক্লাবে প্রধান হয়ে বেআইনি ক্যাসিনো-বাণিজ্য চালিয়েছেন? ফ্রিডম পার্টি থেকে আসা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া কেমন করে যুবলীগের নেতা হয়ে যান? ফুটবলে টাকা কাজে লাগেনি, বাকিদের কপাল খুলেছে। অন্যদিকে দলের দুঃসময়ে মাঠের লড়াই করা কর্মীরা পদ-বাণিজ্যের ভয়াবহতার যুগে রাজনীতি করার জন্য কোনো কমিটিতে ঠাঁই পান না! নষ্টদের সরিয়ে দলেও আদর্শিকদের বসানোর দায়িত্ব নেতৃত্বকে নিতেই হবে। বিএনপি নেতা ও সাবেক পূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের যুবদলের টোকাই কর্মী ছিলেন জি কে শামীম। স্কুলশিক্ষক পিতার এই অশিক্ষিত কুসন্তান বিএনপির ওপর সরকারের দমননীতির পরে কীভাবে বাগিয়ে নেন যুবলীগের দুই আনি পদ? ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায়। মির্জা আব্বাসসহ বিএনপি নেতারা তাদের নিয়ে ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি অবস্থা। কার দরজা দিয়ে আওয়ামী লীগে এসে জি কে শামীম পূর্ত মন্ত্রণালয়ে সবার রুটি-রুজি বন্ধ করে বা সব ঠিকাদারকে হটিয়ে ঠিকাদারির একচ্ছত্র মুঘল হয়ে ওঠেন কাদের পৃষ্ঠপোষকতায়? সমাজে নিজে কতটা অচল সেটা বুঝতে পেরেছি র‌্যাবে আটক করার পর তার নাম প্রথম শুনে! অথচ সাংবাদিকদের সংগঠনও টাকা নিয়ে তাকে বিশেষ অতিথি করেছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। বসিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশে। পূর্ত অধিদফতরের প্রকৌশলীরা র‌্যাব হেডকোয়ার্টারসহ সরকারি বিভিন্ন ভবন নির্মাণের দায়িত্ব একচ্ছত্রভাবে তাকে দিয়ে উদ্বোধন বা ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী থেকে র‌্যাবের ডিজির পাশেও তার ছবি তোলার সুযোগ করে দিয়েছে।

হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ পাওয়া এই মাফিয়া ডন জি কে শামীম রাস্তার টোকাই থেকে অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যের এত বড় মুঘল হয়ে ওঠেন যে প্রায় পৌনে দুইশ কোটি টাকার এফডিআর, এক কোটি ৮০ লাখ টাকা নগদ তার অফিসে পেয়েছে। র‌্যাবের হাতে আটকের সময় তাকে ছেড়ে দিতে ১০ কোটি টাকার অফার দিয়েছেন। দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মতো একজন নেত্রী যেখানে দুই কোটি টাকার অনিয়মের জন্য আদালতের রায়ে প্রায় দুই বছর অসুস্থ শরীর নিয়ে জেল খাটছেন তখন প্রশ্ন জাগে- রাষ্ট্রের সম্পদ এভাবে লুটে নেওয়া জি কে শামীম কতজন তৈরি হয়েছে? ব্যাংক, শেয়ারবাজার ও অর্থ পাচারকারীরা কত টাকা লুটে নিয়ে গেছে? এ অভিযানে তাদের পৃষ্ঠপোষকসহ সব অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা থেকে প্রাপ্য শাস্তি নিশ্চিত করে দেশে সুশাসন বইয়ে দিতে পারলে এ দেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনা মহান দেশপ্রেমিক নেতা হিসেবে অমরত্ব লাভ করবেন।

যে দেশের শ্রমিকরা বিদেশে শরীরের রক্ত পানি করা পরিশ্রমের রেমিট্যান্স পাঠায় অথচ বছরে বিমান ভাড়ার জন্য প্রিয়জনের পাশে আসতে পারে না, যে দেশের কৃষক কৃষিবিপ্লব ঘটিয়ে শরীরের ঘাম ঝরিয়ে ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় না, সে দেশে দুর্নীতিবাজদের উল্লাসনৃত্য সহ্য করা যায় না। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের দাগ এই মাতৃভূমির প্রতিটি জমিন জড়িয়ে আছে। জাতির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তের দাগ এখনো বত্রিশ নম্বর বাড়িতে লেগে আছে। এখনো এ দেশের মাটিতে তিনি শায়িত আছেন। লাখ লাখ শহীদের কঙ্কাল এ দেশের জমিনের নিচে পড়ে আছে। আড়াই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনের আর্তনাদ বাতাস ভারি করে রাখে। কত দেশপ্রেমিক সাহসী সন্তানের রক্ত মিশে আছে এই মাটিতে। এখানে এই অপরাধী দানবশক্তির উত্থান ও তাদের দম্ভ অন্যায়-অবিচার গ্রহণযোগ্য নয়।

ফিল্মি মাফিয়াদের মতো পাঁচ ফুট উচ্চতার জি কে শামীম ছয় ফুট উচ্চতার সাতজন সশস্ত্র দেহরক্ষী ও ২০-২৫টি মোটরসাইকেল আরোহী নিয়ে সাইরেন বাজিয়ে পথ চলতেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ট্রাফিক পুলিশ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করলেও পাপের জগতের এই মুঘলকে কেন আটকাননি? কারা তাকে সূর্যের আলো দিতেন? জি কে শামীম গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে এক হাজার এক শ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আয়মের স্নেহধন্য রফিকুলই বা কীভাবে প্রধান প্রকৌশলী  হয়েছিলেন? বিদায়ী উপপ্রধান প্রকৌশলীসহ সাবেক ২০ জন কর্মকর্তাকে ৪০০ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছেন। অনেক ক্যাডার, প্রকৌশলী, সরকারি কর্মচারী ও রাজনীতিবিদকে নিয়মিত বখরা দিতেন। একেকটি অপরাধের সঙ্গে কারা কারা সামনে কারা নেপথ্যে? সবাইকে আইনের আওতায় আনতে না পারলে অভিযান চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করবে না। ফুটবলের সেই ক্রেজ নির্বাসিত হলেও মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবকে পর্যন্ত ক্যাসিনো বাণিজ্যের পাপে নিমজ্জিত করা হয়েছে। চুনোপুঁটি ধরলে হবে না, নেপথ্যের রাঘববোয়ালদের মাথাটা টেনে আনতে হবে। সব জায়গায় মিস্টার টেন টু টুয়েন্টি পার্সেন্ট কমিশন বাজিকরদের দেখতে হবে।

যাক, প্রায় ১১ বছর ধরে দেশে শাসকদল আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে বিভিন্ন কমিটি বা দলীয় ক্ষমতাবানদের আশ্রয়ে সুবিধাভোগী যারা বেআইনি কর্মকা- বা স্বজনপ্রীতি লাভ করে রাতারাতি অর্থবিত্ত, আলিশান বাড়িঘর, দেশ-বিদেশে অঢেল সম্পদ গড়েছেন তাদের যেমন তালিকা করে এ শুদ্ধি অভিযান সফল করে আইনের আওতায় আনতে হবে, তেমনি প্রচলিত আইন-কানুন, নিয়ম-নীতিকে তোয়াক্কা না করে ক্যাসিনো মালিক বা স্পা অথবা জি কে শামীমের মতো বিভিন্ন প্রকৌশল দফতরে একচ্ছত্র ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন তাদের তালিকা তৈরি করে আইনের আওতায় আনতে হবে। দলের এমপি হয়ে, বিভিন্ন কমিটিতে জায়গা পেয়ে বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক নিয়োগ পেয়ে অবৈধ অর্থবিত্ত গড়েছেন তাদের তালিকাও চূড়ান্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা ও আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে। শাস্তি পেতে হবে অপরাধীকে যারা আইনের পোশাকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে প্রশ্রয় দিয়েছেন।

এমনকি অভিযান যেখানে বিদ্যমান আইনের আলোকে বেআইনি কর্মকান্ড জড়িতদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে সেখানে সমাজে যেন এমন আতঙ্ক তৈরি না হয় যাতে ভয়ে বৈধ ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতরা দেশের বাইরে টাকা নিয়ে যান। অপরাধীদের যেমন পালাতে দেওয়া যাবে না তেমনি অর্থ পাচার রোধে নিরাপত্তা নিñিদ্র করতে হবে। অবশ্যই মনে রাখতে হবে, ক্যাসিনো-বাণিজ্য আর ঠিকাদার বাজিকরদের যেভাবে ধরা হচ্ছে সেভাবে ব্যাংক লুটেরা থেকে শেয়ার লুটেরা ও বিদেশে অর্থ পাচারকারী দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় এবং রাষ্ট্রের টাকায় পড়ালেখা করা গরিবের যেসব সন্তান বুয়েট, মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে ও মন্ত্রণালয়ে প্রশাসনের শীর্ষ পদে থেকে দুর্নীতিতে ডুবেছেন, তাদেরও পাকড়াও করতে হবে। না হয় দলের নেতা-কর্মীরা বলতেই পারেন, দলের দুঃসময়ে আমরা ছিলাম লড়াইয়ে, ক্ষমতার সুসময়ে দু’টাকা কামাতে গিয়ে আমরা দন্ড ভোগ করলাম অথচ বড় বড় লুটেরা ঘুষখোর দুর্নীতিবাজরা থাকল আইনের ঊর্ধ্বে। আমাদের একটাই আকুতি, অপরাধী যে-ই হোক শাস্তি তাকে পেতেই হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উক্তির কঠোর বাস্তবায়ন হোক। দুর্নীতির পাগলা ঘোড়াকে রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময়। এ রকম অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে টিআইবি থেকে তথাকথিত সুশীলসমাজ বা রাজনৈতিক শক্তিকে সমর্থন দিয়ে মাঠে না নামতে দেখে অবাক হয়েছি। সবারই এ অভিযানকে সমর্থন দেওয়ার এখনই সময়। এমনকি গণমাধ্যমের কেউ কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে আইনের খড়্গ তার জন্যও সমান। তেমনি মুজিবকন্যাকে সহায়তা করতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে সারা দেশের লুটপাট ও অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের মুখোশ উন্মোচন করে দেওয়ার এখনই সময়। সে রাজনৈতিক শক্তিই হোক আর প্রশাসনিক শক্তিই হোক।

 

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
এসএসসির ফলাফল
এসএসসির ফলাফল
বিদেশি বিনিয়োগ
বিদেশি বিনিয়োগ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
যানজটমুক্তির প্রত্যাশা
যানজটমুক্তির প্রত্যাশা
কোথায় পাব হোসাইনি রঙের মানুষ
কোথায় পাব হোসাইনি রঙের মানুষ
কেয়ামতের বড় আলামত প্রকাশের পথে!
কেয়ামতের বড় আলামত প্রকাশের পথে!
শহুরে ছাদকৃষিতে বাণিজ্যিক নার্সারি
শহুরে ছাদকৃষিতে বাণিজ্যিক নার্সারি
জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ
নির্বাচনের প্রস্তুতি
নির্বাচনের প্রস্তুতি
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
সর্বশেষ খবর
“বেতন কম, খরচ বেশি”— রাজনীতি নিয়ে হতাশ কঙ্গনা
“বেতন কম, খরচ বেশি”— রাজনীতি নিয়ে হতাশ কঙ্গনা

এই মাত্র | শোবিজ

চট্টগ্রামে যুবদল নেতা বাদশা বহিষ্কার
চট্টগ্রামে যুবদল নেতা বাদশা বহিষ্কার

১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কানাডায় কপিল শর্মার ক্যাফেতে গুলি, দায় স্বীকার খালিস্তানি নেতার
কানাডায় কপিল শর্মার ক্যাফেতে গুলি, দায় স্বীকার খালিস্তানি নেতার

৫ মিনিট আগে | শোবিজ

বগুড়ায় জিয়াবাড়ীতে ‘জিয়া সাজারাহ্’ ও ‘মমতাময়ী খালেদা জিয়া’ কবিতার ফলক উদ্বোধন
বগুড়ায় জিয়াবাড়ীতে ‘জিয়া সাজারাহ্’ ও ‘মমতাময়ী খালেদা জিয়া’ কবিতার ফলক উদ্বোধন

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিকৃবিতে ‘শহীদ মুগ্ধ কর্নার উদ্বোধন
সিকৃবিতে ‘শহীদ মুগ্ধ কর্নার উদ্বোধন

১২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

১১ বছর পর কলমাকান্দা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
১১ বছর পর কলমাকান্দা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তিন মাস পর জানা গেল আত্মহত্যা নয়, হত্যা
তিন মাস পর জানা গেল আত্মহত্যা নয়, হত্যা

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘স্বৈরাচারী ব্যবস্থা যেন ফিরে না আসে, সে লক্ষ্যে কাজ করছে ঐকমত্য কমিশন’
‘স্বৈরাচারী ব্যবস্থা যেন ফিরে না আসে, সে লক্ষ্যে কাজ করছে ঐকমত্য কমিশন’

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাপের কামড়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু
সাপের কামড়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জে এক রাতে ১০ গরু চুরি
সিরাজগঞ্জে এক রাতে ১০ গরু চুরি

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শেরপুরে গ্রেফতার ৩০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত জেল পলাতক কয়েদি নজরুল
শেরপুরে গ্রেফতার ৩০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত জেল পলাতক কয়েদি নজরুল

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৬২৩টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া : জেলেনস্কি
৬২৩টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া : জেলেনস্কি

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি
নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শরীরে পোকা, পচে গেছে মস্তিষ্ক— অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
শরীরে পোকা, পচে গেছে মস্তিষ্ক— অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

৫৫ মিনিট আগে | শোবিজ

রাজধানীতে ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ-সমাবেশ
রাজধানীতে ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ-সমাবেশ

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কনসার্ট ১৪ জুলাই
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কনসার্ট ১৪ জুলাই

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অপরাধীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা সরকারের কাছেই প্রশ্ন: তারেক রহমান
অপরাধীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা সরকারের কাছেই প্রশ্ন: তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফাইনালে ‘অপ্রতিরোধ্য’ পিএসজিকে থামাতে চায় চেলসি
ফাইনালে ‘অপ্রতিরোধ্য’ পিএসজিকে থামাতে চায় চেলসি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নেত্রকোনায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা
নেত্রকোনায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
গাইবান্ধায় ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্ত্রীকে হত্যার পর ১১ টুকরো, স্বামী গ্রেফতার
স্ত্রীকে হত্যার পর ১১ টুকরো, স্বামী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাথর মেরে বর্বরোচিত হত্যার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় বিক্ষোভ
পাথর মেরে বর্বরোচিত হত্যার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে তিন হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা
বাগেরহাটে তিন হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম তরুণদের দেশপ্রেমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত’
‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম তরুণদের দেশপ্রেমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে ব্যবসায়ী হত্যা, রাবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
রাজধানীতে ব্যবসায়ী হত্যা, রাবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দেশে হত্যার প্রতিবাদে রাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
দেশে হত্যার প্রতিবাদে রাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তিতাসে গলাকাটা লাশের পরিচয় মিলেছে
তিতাসে গলাকাটা লাশের পরিচয় মিলেছে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ীর পদ্মাপাড়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
রাজবাড়ীর পদ্মাপাড়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় ভটভটি উল্টে প্রাণ গেল চালকের
বগুড়ায় ভটভটি উল্টে প্রাণ গেল চালকের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন বিমানে বোমা আছে: র‌্যাব
ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন বিমানে বোমা আছে: র‌্যাব

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনাকন্যা পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
হাসিনাকন্যা পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লেনদেনের দ্বন্দ্বে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা : ডিএমপি
লেনদেনের দ্বন্দ্বে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা : ডিএমপি

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪
মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সেনাপ্রধানের হুংকার, এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়বে না ইরান
সেনাপ্রধানের হুংকার, এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়বে না ইরান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানালো তদন্তকারীরা
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানালো তদন্তকারীরা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা: আসামি রবিনের স্বীকারোক্তি, ৫ দিনের রিমান্ডে টিটন
পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা: আসামি রবিনের স্বীকারোক্তি, ৫ দিনের রিমান্ডে টিটন

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা ফাহিমকে বহিষ্কার, আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা ফাহিমকে বহিষ্কার, আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পরিবারের ইচ্ছায় ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলাল ইরান
পরিবারের ইচ্ছায় ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলাল ইরান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অতিরিক্ত সচিবসহ তিনজন ওএসডি
অতিরিক্ত সচিবসহ তিনজন ওএসডি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত : র‌্যাব
মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত : র‌্যাব

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে : আসিফ নজরুল
পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে : আসিফ নজরুল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইতিহাস গড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতালি
ইতিহাস গড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতালি

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মার্কিন নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের
মার্কিন নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখলেন সাকিব
এবার মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখলেন সাকিব

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস-বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই : মির্জা ফখরুল
বিএনপির আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস-বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই : মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চাঁদা না দেওয়ায় বাসস্ট্যান্ডে গেলেই গাড়ি ভাঙচুর সেই ফাহিমের
চাঁদা না দেওয়ায় বাসস্ট্যান্ডে গেলেই গাড়ি ভাঙচুর সেই ফাহিমের

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চার দশকের সংঘাতের অবসান, অস্ত্র ধ্বংস করছে পিকেকে
চার দশকের সংঘাতের অবসান, অস্ত্র ধ্বংস করছে পিকেকে

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ার বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে আগুন ধরিয়ে দিল ইসরায়েলি বাহিনী
সিরিয়ার বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে আগুন ধরিয়ে দিল ইসরায়েলি বাহিনী

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা বহিষ্কার
বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা বহিষ্কার

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় আরও এক আসামি গ্রেফতার
ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় আরও এক আসামি গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গরম মোকাবিলায় হাতে তৈরি এয়ার কুলার ব্যবহার করছেন আফগান ট্যাক্সি চালকরা
গরম মোকাবিলায় হাতে তৈরি এয়ার কুলার ব্যবহার করছেন আফগান ট্যাক্সি চালকরা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিটফোর্ডের ঘটনায় কিছু দল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে: রিজভী
মিটফোর্ডের ঘটনায় কিছু দল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে: রিজভী

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সম্পূর্ণ সত্য বললে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে : ট্রাইব্যুনাল
সম্পূর্ণ সত্য বললে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে : ট্রাইব্যুনাল

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ জুলাই)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোয়েন্দা সংস্থা এলাকা ভিত্তিক তালিকা করে অপরাধীদের চিহ্নিত করছে: আইজিপি
গোয়েন্দা সংস্থা এলাকা ভিত্তিক তালিকা করে অপরাধীদের চিহ্নিত করছে: আইজিপি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা
বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‌‘সরকার জনগণের জানমাল ও সম্মান রক্ষায় সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ’
‌‘সরকার জনগণের জানমাল ও সম্মান রক্ষায় সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভুক্তভোগীর পরিবারের ইচ্ছায় প্রকাশ্যে ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর
ভুক্তভোগীর পরিবারের ইচ্ছায় প্রকাশ্যে ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

প্রিন্ট সর্বাধিক
নিথর দেহ টেনেহিঁচড়ে চলে উন্মত্ততা
নিথর দেহ টেনেহিঁচড়ে চলে উন্মত্ততা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রকাশ্যে গুলি ও রগ কেটে খুন
প্রকাশ্যে গুলি ও রগ কেটে খুন

প্রথম পৃষ্ঠা

দুর্গন্ধযুক্ত আয়নাঘরে পারফিউমের ঘ্রাণ!
দুর্গন্ধযুক্ত আয়নাঘরে পারফিউমের ঘ্রাণ!

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় মানবাধিকার কার্যালয় হতে দেব না
ঢাকায় মানবাধিকার কার্যালয় হতে দেব না

প্রথম পৃষ্ঠা

অবসরে যাচ্ছেন মোদি
অবসরে যাচ্ছেন মোদি

প্রথম পৃষ্ঠা

এনসিপির দরজা খোলা, জামায়াতের সঙ্গে জোট নয়
এনসিপির দরজা খোলা, জামায়াতের সঙ্গে জোট নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাধীরাই খানের টাকার খনি
অপরাধীরাই খানের টাকার খনি

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজপথ যেন মরণফাঁদ
রাজপথ যেন মরণফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

খাল থেকে ১৫ কেজির বোয়াল শিকার
খাল থেকে ১৫ কেজির বোয়াল শিকার

পেছনের পৃষ্ঠা

বাঘ দম্পতি রোমিও জুলিয়েটের কোলে ডোনাল্ড ট্রাম্প
বাঘ দম্পতি রোমিও জুলিয়েটের কোলে ডোনাল্ড ট্রাম্প

পেছনের পৃষ্ঠা

পর্যটকে টইটম্বুর কক্সবাজারে আতঙ্ক গুপ্তখাল
পর্যটকে টইটম্বুর কক্সবাজারে আতঙ্ক গুপ্তখাল

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ঘড়ির রাজকীয় ব্যবসা এখন ধুঁকছে
ঘড়ির রাজকীয় ব্যবসা এখন ধুঁকছে

শনিবারের সকাল

নেপালে বাড়ছে বাংলাদেশি পর্যটক
নেপালে বাড়ছে বাংলাদেশি পর্যটক

পেছনের পৃষ্ঠা

আগে দরকার সুশীল সমাজের সংস্কার
আগে দরকার সুশীল সমাজের সংস্কার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশি নায়িকা কেন পছন্দ শাকিবের
বিদেশি নায়িকা কেন পছন্দ শাকিবের

শোবিজ

আল্লু অর্জুনের চার নায়িকা
আল্লু অর্জুনের চার নায়িকা

শোবিজ

উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে খালেদা জিয়ার আহ্বান
উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে খালেদা জিয়ার আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

বিষাক্ত ধোঁয়ায় মানুষ ক্যানসার আক্রান্ত
বিষাক্ত ধোঁয়ায় মানুষ ক্যানসার আক্রান্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কে ফেনী নোয়াখালীবাসী
আতঙ্কে ফেনী নোয়াখালীবাসী

পেছনের পৃষ্ঠা

জোনাকির আলোয় বৈদ্যুতিক বাতির বিকল্প!
জোনাকির আলোয় বৈদ্যুতিক বাতির বিকল্প!

পরিবেশ ও জীবন

পড়াশোনায় ছিল অনাগ্রহ চেষ্টা ছিল অটোপাসের
পড়াশোনায় ছিল অনাগ্রহ চেষ্টা ছিল অটোপাসের

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্নীতি মামলায় আবুল বারকাত কারাগারে
দুর্নীতি মামলায় আবুল বারকাত কারাগারে

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার লাশ
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার লাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বৃষ্টিভেজা দিনে কাছাকাছি রাজ-শুভশ্রী
বৃষ্টিভেজা দিনে কাছাকাছি রাজ-শুভশ্রী

শোবিজ

পঞ্চম শীর্ষ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান রুট
পঞ্চম শীর্ষ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান রুট

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের দাপটে অসহায় শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশের দাপটে অসহায় শ্রীলঙ্কা

মাঠে ময়দানে

জয়ে শুরু রংপুর রাইডার্সের
জয়ে শুরু রংপুর রাইডার্সের

মাঠে ময়দানে

সোনালি যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতা দিলীপ বিশ্বাস
সোনালি যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতা দিলীপ বিশ্বাস

শোবিজ