রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

আমার ছেলের নাম আবরার ওরা বাঁচতে দিল না আবরারকে

নঈম নিজাম

আমার ছেলের নাম আবরার ওরা বাঁচতে দিল না আবরারকে

এলোমেলো লাগছে চারপাশের সবকিছু দেখে। ছেলে দেশে ফিরে এলো কিছুদিন আগে। শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমার ছেলের নামও আবরার। পড়াশোনা শেষের পর যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ও কাজের অনুমতিও পেয়েছিল। কিন্তু না, আমেরিকায় থাকবে না। তার পছন্দ বাংলাদেশ। এক সকালে মাকে ফোন করে বলল, ঈদের দিন ফিরে আসছি। চিন্তা কোরো না বাংলাদেশে এসে কিছু একটা করব। সত্যি সত্যি ঈদের দিন চলে এলো। পেশা হিসেবে বেছে নিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা। ভালোই হলো। বিদেশ গিয়ে অনেকে আর ফিরতে চায় না। কিন্তু আমাদের ছেলে ঘরে ফিরেছে। খাবার টেবিলে অনেক কথা হয় আমাদের। পারিবারিক, সামাজিক, দেশের বর্তমান চালচিত্র, শিক্ষাব্যবস্থা কোনো কিছু বাদ থাকে না। শিক্ষকদের অতিদলবাজি ও নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়া নিয়েও কথা হয়। ছেলে তার আমেরিকার অভিজ্ঞতার কথা শোনায়। এর মাঝে বুয়েটের ঘটনায় দেশবাসীর মতো মর্মবেদনায় স্তব্ধ করল আমাদেরও। কারও মন ভালো নেই। ভাবছি মনুষ্যত্ববোধটুকু কী করে হারিয়ে ফেলছে সবাই? মানুষ হিসেবে আবেগ, অনুভূতির জায়গাগুলো একেবারে শেষ হয়ে গেল? একজন পিতা হিসেবে বুয়েটের এই নিষ্ঠুরতা মানতে পারছি না। কেন এভাবে মেধাবী একটি ছেলেকে চলে যেতে হবে? কী অপরাধ ছিল তার? কী সমবেদনা জানাব আবরারের পরিবারকে। চারপাশের বর্তমান কান্ড অভিভাবককে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কথা উঠেছে। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সেরা ছেলেগুলোই যায়। বাবা-মা অনেক প্রত্যাশা নিয়েই পাঠান। কিন্তু সেই সন্তান লাশ অথবা খুনি হয়ে বের হলে এর দায় কার? মেধাবী ছাত্রী সনির নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের কথা এখনো মনে দাগ কেটে আছে। ভেবেছিলাম আর কারও পরিণতি এমন হবে না। কিন্তু নিষ্ঠুর নিয়তি, মৃত্যুর মিছিলে নতুন নাম আবরার। বাবা-মায়ের স্বপ্নজয়ে ভর্তি হয়েছিল বুয়েটে। এই তো সেদিন গিয়েছিল মায়ের কাছে। সকালে ঘুম থেকে তুলে মা ঢাকায় পাঠালেন ছেলেকে। বললেন, সারাক্ষণ ফোন দিবি। সবকিছু জানাবি। ছেলে মাথা নেড়েছিল। সেই মা এখন অপেক্ষা করেন সন্তানের ফোনের জন্য। কিন্তু সেই ফোন আর কোনো দিন আসবে না। কোথায় গিয়ে আর্তনাদ করবেন আবরারের মা? কার কাছে এই কষ্টের কথা বলবেন? কষ্ট লাগে, দুঃখ লাগে। কেন এমন হবে? গলদটা কোথায়? মেধাবী ছাত্ররাই তো বুয়েটে পড়ে। তাদের কারও তো খুনি হওয়ার কথা ছিল না। অথচ ২৩ জনের বেশি ছাত্র মিলে তাদের সহপাঠীকে পিটিয়ে মেরে ফেলল। একজনেরও মনে এলো না একটা ভুল করছে তারা, বড় ভুল...। এই ভুলের পরিণতি কারও জন্যই ভালো হবে না।

সামাজিক, নৈতিক অবক্ষয়ের কোথায় আমরা দাঁড়িয়ে আছি, জানি না। তবে এভাবে চলতে পারে না। এ অসুস্থ সমাজ আমার নয়। ভয়ঙ্কর এই নষ্ট সমাজ কারও নয়। আমার এক বন্ধু ফোন করলেন। বললেন, ভাই আজ আহাজারি শুধু আবরারের পরিবারে নয়; আহাজারি খুনের দায়ে শনাক্ত বাকি ছাত্রদের পরিবারেও। সব মা কাঁদছেন ডুকরে ডুকরে। একবার ভেবে দেখুন একজন মা সন্তান হারিয়েছেন। তার সোনার টুকরো ছেলেকে ওরা খুন করেছে। এই মায়ের কান্না সন্তান হারানোর বেদনায়। বাকি মায়েরাও কাঁদছেন নীরবে-নিভৃতে। তাদেরও কষ্ট মেধাবী ছেলেগুলোকে পাঠিয়েছিলেন মানুষ হতে। বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে। কিন্তু রাজনীতি নামের বীভৎস নষ্টামিতে জড়িয়ে ওরা আজ খুনি। এই সন্তানদের পরিচয় কী করে বাকি জীবন মানুষকে দেবেন? খুনি তৈরির জন্য কোনো বাবা-মা সন্তানকে বুয়েটে পাঠাননি। মানুষ হতে পাঠিয়েছিলেন। নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে তারা মানুষ হয়নি। খুনি হয়েছে। এর জন্য দায়ী কে? সমাজ, রাষ্ট্র, শিক্ষক, পরিবার? কে কাকে দোষারোপ করবে? অশ্রু কান্নায় সব এখন স্তব্ধ। শোকসাগরে ভাসছে সবাই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কোথায় যাচ্ছি আমরা? কেন শেষ হয়ে গেল আমাদের আবেগ-অনুভূতি? এই নষ্ট সমাজের দায় কারও একার হতে পারে না। ব্যর্থতার দায়ভার সমাজের সবাইকে বহন করতে হবে। সর্বনাশা মাদক সবকিছু শেষ করে দিচ্ছে। নিজের সন্তানকে সঠিক পথে রাখতে পারছেন না অভিভাবকরা। শিক্ষকরা ব্যস্ত নোংরা স্বার্থ বহনের রাজনীতি নিয়ে। আর মেধাবীরা হচ্ছে সন্ত্রাসী, জঙ্গি আর খুনি। হলি আর্টিজানের জঙ্গি ছেলেগুলোর কথা কি কারও মনে আছে? কী সুন্দর চেহারা ছিল। ভালো পরিবার থেকে এসে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ত। সেই ছেলেগুলো জঙ্গি হয়ে নিরীহ মানুষকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করল। স্তব্ধ করে দিল জাতিকে। দুনিয়াজুড়ে ইমেজ নষ্ট করল বাংলাদেশের। কারা নষ্ট করল সেই ছেলেগুলোকে? ভাবতে হবে নতুন করে সবকিছু। শনাক্ত করতে হবে সমাজের অসংগতি আর নষ্ট সমাজ সৃষ্টির ইন্ধনদাতা আড়ালের মানুষগুলোকে। ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে সুন্দর আগামীকে। মানুষের মাঝে আর্তমানবতাকে জাগিয়ে তুলতে হবে। ধর্মীয় ও সামাজিক  সচেতনতা বাড়াতে হবে। ফিরিয়ে আনতে হবে হারিয়ে যাওয়া সুন্দর দিন ও পারিবারিক বন্ধন। অন্যথায় আমাদের সব শেষ হয়ে যাবে।

জানি, বাস্তবতা অনেক কঠিন। এই কাঠিন্যতেই রাজনীতিবিদরা তাদের প্রয়োজনে ক্যাসিনো তৈরি করেন। সম্রাটদের সৃষ্টি করেন। আবার সময় শেষ হলে ছুড়ে ফেলে দেন। একইভাবে উগ্রপন্থিরা নিজেদের স্বার্থে মিথ্যা প্রলোভনে জঙ্গি তৈরি করে। নিরীহ কিশোর-তরুণদের ঠেলে দেয় মৃত্যুর হাতছানিতে। ধ্বংস করে দেয় পৃথিবীর সৌন্দর্য। কল্পনার মাঝে মিথ্যার বেসাতি গড়ে তোলে। সময় এসে গেছে এই নষ্ট মানুষদের চিহ্নিত করার। মূল সমস্যায় হাত দেওয়ার। রাষ্ট্র, সমাজ, সভ্যতা, মানবতা এভাবে নষ্ট হতে পারে না। মুলিবাঁশের বেড়া দিয়ে মানুষের চিন্তাকে দমিয়ে রাখা যায় না। কল্পনার সমুদ্রে বাস করে বাস্তবতাকে এড়ানো যায় না। শুধু বক্তৃতাবাজি করে মানুষের মন দীর্ঘ সময় ধরে রাখা যায় না। কোনো সম্পর্কই একতরফা নয়। রাজনীতিবিদরা ধোয়া তুলসীপাতা হবেন তা নয়। কিন্তু প্রকৃতির সহ্যের একটা সীমা থাকে। সেই সীমা অতিক্রম করলেই প্রকৃতি বিদ্রোহ করে। তখন সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। প্রকৃতির স্বাভাবিকতা ধরে রাখতে সৃষ্টিশীলতার কোনো বিকল্প নেই। আর সৃষ্টির জন্যই তারুণ্যকে বাঁচাতে হবে জঙ্গি-সন্ত্রাস আর রাজনীতির মিথ্যা প্রলোভন থেকে। মেধাবীরা ক্যাডার কেন হবে? তাদের সন্ধান দিতে হবে সত্যিকারের আদর্শের। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সুন্দর আগামীর। সামনে এগিয়ে যাওয়ার। একসময় বিত্তবান, ভদ্র পরিবারের সন্তানরা রাজনীতি করত। জমিদার পরিবারের সন্তানরা এগিয়ে আসত মানবসেবায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ত তারা। আবার সাধারণ পরিবারের সেরা মেধাবীরাও বেরিয়ে আসত সমাজ বদলের চিন্তা নিয়ে রাজনীতিতে। মানুষকে বুঝতে পারতেন বঙ্গবন্ধু। আর মানুষের মন বুঝেই বঙ্গবন্ধু এই তারুণ্যকে কাজে লাগিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর এক আহ্বানে নিরস্ত্র মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেই আদর্শ, সেই রাজনীতি, সেই বজ্রকণ্ঠ কোথায়? এখন রাস্তাঘাটের লোকজন রাজনীতিকে জিম্মি করে রাখছে। তারাই রাজনীতির নামে অবাধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি করছে। কমিটি বেচাকেনার হাটবাজার বসিয়েছে। আদর্শ কেন বিক্রি হবে বুঝি না। এসব দেখতে দেখতে মানুষ ক্লান্ত। শুরু থেকে হাইব্রিড, আগত বহিরাগতদের বিপক্ষে বলে আসছিলাম। অনেকের কাছেই এ বক্তব্য পছন্দ হতো না। কিন্তু অবস্থান থেকে সরিনি এক দিনের জন্যও। এখন সবাই বুঝছে, আগাছা-পরগাছা দিয়ে দীর্ঘ সময় টিকে থাকা যায় না। একটা পর্যায়ে সর্বনাশ হবেই। রাজনীতিকে এগিয়ে নিতে দরকার সুস্থ মানুষের আদর্শিক চিন্তার। আর তা না থাকলে সমস্যা তৈরি হয় পদে পদে। দীর্ঘ বিড়ম্বনায় পড়ে দেশ ও দল। আবেগ-অনুভূতি হারিয়ে যায় মানবজীবন থেকে।

সবকিছু এখন বদলে গেছে। মানবিকতা, ভালোবাসা, প্রেম হারিয়ে গেছে। বদলে গেছে সময়টা। নীতি-আদর্শের জায়গাগুলো ভুলে গেছে সবাই। স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলছে। আগে শিক্ষকরা হতেন রোল মডেল। ছাত্ররা শিক্ষকদের আদর্শ মনে করত। এখন সুবিধাবাদের জন্য শিক্ষকরা হন দলদাস। অতিলোভে তারাও নষ্ট। শিক্ষাঙ্গনকে ক্যাসিনোর মতো লাভজনক করতে চান কেউ কেউ। শিক্ষকের কাছে ছাত্রনেতারা ফেয়ার চাঁদা চান। শিক্ষকও চাঁদা তুলে ছাত্রদের দেন। অহংকার নিয়ে পত্রিকায় ছাত্রনেতারা সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেন, ৮৬ কোটি টাকা চাঁদা দাবি ফেয়ার ডিমান্ড। অন্য কিছু নয়। ভাইস চ্যান্সেলররা গদি ও অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন ক্ষমতার লোভে। তারা ছাত্রনেতাদেরও তোয়াজ করেন! সময়টা বড়ই জটিল। রোল মডেল দরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও। শিক্ষকরা অতিদলবাজিতে শিক্ষার বারোটা বাজালে যাওয়ার জায়গা থাকে না। ছাত্র সংগঠনগুলো থেকে বের করে দিতে হবে চাঁদাবাজদের। ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দরকার নেই। ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ইতিহাস। মাথাব্যথার জন্য ওষুধ দরকার। মাথা কেটে ফেলার প্রয়োজন নেই। বিতর্কিতদের বাদ দিতে হবে ছাত্র সংগঠন থেকে। তাদের ছাড়তে হবে লেজুড়বৃত্তি। বন্ধ করতে হবে ব্যবসা-বাণিজ্যের নামে ফেয়ার চাঁদাবাজি, ক্যাডারবাজি। একটা নিয়মনীতি সব বিষয়েই থাকা ভালো। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। কিছু মানুষের অতি-আবেগই সবকিছুর ক্ষতি করছে। অনেক রাজনীতিবিদ ক্ষমতার অন্ধ মোহে ছাত্র রাজনীতিতে নষ্টদের আশ্রয় দেন, প্রশ্রয় দেন। বিতর্কিতদের নিয়েই নিজের অজান্তে তারা আরও বিতর্ক সৃষ্টি করেন। রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় অন্ধ হয়ে অনেক কিছুই করেন। একবার দুঃখ করে হুমায়ুন আজাদ লিখেছিলেন, ‘শামসুর রাহমানকে এক অভিনেত্রীর সঙ্গে টিভিতে দেখা গেছে। শামসুর রাহমান বোঝেন না কার সঙ্গে পর্দায়, আর কার সঙ্গে শয্যায় যেতে হয়।’ ব্যক্তিগত জীবনে শামসুর রাহমানের সঙ্গে আশির দশকের শুরু থেকে আমার একটা সম্পর্ক ছিল। এই লেখাটি প্রকাশের পর কবি মন খারাপ করেছিলেন। অনেক দিন পর লেখাটি মনে পড়ল। আমাদের কয়েকজন মন্ত্রী ও সিনিয়র নেতাকে দেখি পড়তি নায়িকাদের সঙ্গে রংঢং করে ফেসবুকে ছবি দিতে। আবার কেউ কেউ ছুটে যান সিনেমার মহরতে। এ ছবিগুলো মুক্তি পায় না। মহরতেই শেষ হয়ে যায়। ছবির নির্মাতারা ক্যাসিনোকান্ডে আটক হন। অথচ ক্ষমতার মোহে নেতারা জানেন না কোথায় যেতে হবে আর কোথায় থামতে হবে। এই নেতারাই যাকেতাকে ধরে এনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটিতে বসান। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগে ঠাঁই দেন। দল বিতর্কে পড়ে। আগের যুগে দুই বাংলাতেই বাড়িঘর অপবিত্র হলে পরিষ্কার করা হতো গঙ্গাজল দিয়ে। আর মুসলমানরা অপবিত্র ঘরবাড়ি পরিচ্ছন্ন করতেন সোনা-রুপা ছোঁয়ানো পানি দিয়ে। বাড়ির গৃহিণী যখন মনে করতেন ঘরবাড়ি পবিত্র করা দরকার, তখনই তারা পরিচ্ছন্নতায় নামতেন। ধুয়েমুছে পবিত্রতা আনতেন বাড়িতে। সেই সংস্কৃতি এখন আর নেই। তবে নতুন করে চালু হতে পারে। রাজনৈতিক দল ও ছাত্র, যুব সংগঠনের অফিস দিয়েই শুরু হতে পারে এই পুরনো প্রক্রিয়াটা। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ অফিস সোনা-রুপা ছোঁয়ানো পানি দিয়ে ধুয়েমুছে পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে গঙ্গা না হোক পদ্মার জল আনা যেতে পারে। আমাদের ক্রীড়াঙ্গনেও পবিত্রতা দরকার। ক্যাসিনোর গডফাদার আর সুবিধাভোগী রাজনীতিবিদরা ক্রীড়াঙ্গন শেষ করে দিয়েছেন। গঙ্গাজল অথবা সোনা-রুপা ছোঁয়ানো পানি দিয়ে নষ্ট ক্রীড়া সংগঠনগুলোর অফিস পরিষ্কার করতে হবে। অসুস্থ রাজনীতি কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনে না। অশুভ প্রতিযোগিতার পরিণতি কখনই ভালো হয় না। শেখ হাসিনার শাসনকালে এভাবে বিপদে পড়বেন অনেক মাফিয়াই ভাবেননি। কিন্তু কোনো অন্যায়ই দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। আর চলতে পারে না বলেই ধরা খেলেন তারা। এটুকু দরকার ছিল সমাজের স্বাভাবিক গতির জন্যই।

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

সর্বশেষ খবর