সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

দুর্নীতিই সব অপকর্মের হোতা

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

দুর্নীতিই সব অপকর্মের হোতা

দুর্নীতি যখন সর্ববিস্তৃত, সর্বগ্রাসী রূপ ধারণ করে তখন রাষ্ট্র এবং জননিরাপত্তা ভয়ঙ্কর হুমকির মধ্যে পড়ে। তখন কোথায় কী কখন ঘটবে তা অনুমান করার মতো ক্ষমতা রাষ্ট্রযন্ত্র হারিয়ে ফেলে। একটি স্ফুলিঙ্গ কত বিপজ্জনক হতে পারে সেটি প্রাগ ঐতিহাসিক যুগের হনুমানের লেজের আগুনে সংঘটিত লঙ্কাকান্ডের কাহিনী থেকে এবং সম্প্রতি আরব বসন্তের সূচনালগ্নের ঘটনা থকে আমরা জেনেছি ও দেখেছি।  মনীষীগণ বলেছেন, একজন মানুষ যখন কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাংসর্যে ডুবে যায় তখন তার দ্বারা সবকিছুই করা সম্ভব। শত্রুপক্ষ তাকে দিয়ে সব কিছু করিয়ে নিতে পারে। আর সেই ব্যক্তি যদি রাষ্ট্রীয় অঙ্গনের ক্ষমতাবান কেউ হন তাহলে তার দ্বারা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ বিকিয়ে দেওয়া কোনো ব্যাপার নয়। কথায় আছে টাকায় নাকি বাঘের দুধ মেলে। শওকত ওসমান ক্রীতদাসের হাসি গ্রন্থে আরব্য রজনীর নায়ক বাদশা হারুন-অর রশিদের জবানিতে বলেছেন, ‘দিরহাম (টাকা) অঘটন ঘটন পটীয়সী’। আজকাল বাংলাদেশে ক্ষমতার সঙ্গে জড়িত পাতিনেতাদের হাতে যেভাবে অবৈধ টাকা উঠেছে, তাতে তারা মনে করছে তারা হয়তো আইন-আদালতসহ সবকিছুর ঊর্ধ্বে। কেউ তাদের কিছু করতে পারবে না। বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে বহুমুখী দুর্বলতা, দীর্ঘসূত্রতা, অস্বচ্ছতা, জটিল প্রক্রিয়া এবং বিচার চাইতেও বড় অংকের টাকার প্রয়োজনীয়তাসহ সর্বত্র যেভাবে দুর্নীতি গ্রাস করেছে তাতে দুর্বৃত্তরা ধরেই নিয়েছে আইন ও বিচার ব্যবস্থা তাদের শাস্তি দিতে পারবে না। সুতরাং আইনের প্রয়োগ ও বিচার ব্যবস্থার মৌলিক লক্ষ্য অপরাধীর মনে ভীতির সঞ্চার, সেটি একেবারে নেই বললেই চলে। সুতরাং ক্ষমতার ছিটেফোঁটা যাদের হাতে আছে তারা লাজলজ্জা ফেলে দুই কান কাটার মতো দুর্নীতি ও অনৈতিক পন্থায় টাকার পাহাড় বানিয়ে সবার সামনে বুক উঁচু করে চলাফেরা করছে। সুতরাং দুর্বৃত্তদের সীমানার পরিধির মধ্যে অবস্থান করে কেউ তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে তার ওপর নির্যাতন-অত্যাচার চালিয়ে তাকে খুন করে ফেলতেও ওই দুর্বৃত্তদের বুক একটুও কাঁপে না। এ রকমই একটা ঘটনা ঘটেছে গত ৭ অক্টোবর আমাদের সবার গর্বের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েটের শেরেবাংলা হলে। যে বর্বরতম ঘটনা ঘটেছে তা সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের জন্য লজ্জার বিষয়, যদি সামান্য লজ্জা এখনো আমাদের অবশিষ্ট থেকে থাকে। যে বাংলাদেশের জন্য এত সংগ্রাম, এত মানুষের জীবন বিসর্জন, সেই বাংলাদেশে একশ্রেণির দুর্বৃত্ত এবং রাষ্ট্রবিরোধী চক্র সেই ১৯৭৫ সালের পর থেকে একের পর এক লজ্জাজনক কলঙ্কের জন্ম দিয়েছে। এই দেশের সবচেয়ে বড় দুর্বৃত্ত হচ্ছে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবির চক্র এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক। এই দুর্বৃত্তরা একাত্তরে আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছে। তারপরও এই হত্যাকারী দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রদ্রোহী গোষ্ঠী স্বাধীন বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জাতীয় পতাকা পর্যন্ত গাড়িতে উড়িয়েছে। একটি অপরাধ বিনাবিচারে শুধু পার পাওয়া নয়, অপরাধীরা যখন রাষ্ট্র কর্তৃক পুরস্কৃত হয় তখন সেটি শত অপরাধের জন্ম দেয়। সেটাই হয়েছে বাংলাদেশে। সংক্রামক ব্যাধির মতো সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে, দল-মত নির্বিশেষে সব জায়গায়। সুতরাং ৭ অক্টোবর বুয়েটে সংঘটিত ঘটনাকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যাবে না। এর শেকড় খুঁজতে হবে। বুয়েটের সব ছাত্রই মেধাবী। এই মেধাবী ছাত্ররা এত বর্বর হলো কী করে তা খতিয়ে দেখা দরকার। ৮ অক্টোবর সব পত্রিকায় এই বর্বরতার হেড লাইন ছাপা হয়েছে। একটি প্রধান পত্রিকার হেডলাইন ছিল- বুয়েট ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করল ছাত্রলীগ, শেরেবাংলা হলে একটি কক্ষে আটকিয়ে দীর্ঘক্ষণ নির্যাতন, ভিডিও ফুটেজ জব্দ, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ নেতা-কর্মী আটক, ১১ জন সংগঠন থেকে বহিষ্কার, উত্তাল বিভিন্ন ক্যাম্পাস। একই পত্রিকায় আরেকটি খবর- আবরারের বাড়িতে শোকের মাতম, পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। খবরগুলো গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, আবরার ফাহাদকে যারা হত্যা করেছে তারা যে সংগঠনের পরিচয় বহন করে সেই সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধের প্রতি এদের সামান্যতম শ্রদ্ধাবোধ ও বিশ্বাস নেই। এরা স্রেফই দুর্বৃত্ত। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নাম লিখিয়ে পদ-পদবি বাগিয়ে নিয়েছে শুধু দুর্বৃত্তপনা চরিতার্থ করার জন্য। ছাত্রদের কথা যখন বলছি তখন শিক্ষকদের কথা অবশ্যই আসবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হবেন রোল মডেল। শুধু ছাত্রদের জন্য নয়, পুরো সমাজের জন্য। কিন্তু বেশ কিছু উপাচার্য সাহেবের অপকর্মে আজ পুরো জাতিকে লজ্জিত হতে হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে এমন দুর্বৃত্তায়ন ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, ভাবা যায় না। শোনা যায় এসব উপাচার্য নাকি তদবির আর টাকার বিনিময়ে নিয়োগপত্র বাগিয়ে নিয়েছেন। শিক্ষকদের বড় অংশ এখনো নীতি আদর্শে বহাল থাকলেও তোষামোদি, তদবির আর টাকার কাছে তারা অসহায় হয়ে সবকিছু নিয়তির ওপর ছেড়ে দিয়ে নির্বাক হয়ে দিন পার করছেন। তাই লেখার শুরুতে বলেছি দুর্নীতি, সবকিছু শেষ করে দিচ্ছে। ফিরে আসি বুয়েটের কথায়। খবরে প্রকাশ, বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ঘটনা ঘটার ৩৯ ঘণ্টা পর ক্যাম্পাসে এসেছেন। কেন, এত দেরিতে এলেন তার কোনো ব্যাখ্যা এ পর্যন্ত শুনিনি। যদি এমন হয় তিনি ছাত্রদের রোষানলে পড়ার ভয়ে দেরি করে ঘটনাস্থলে এসেছেন, তাহলে সেটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা প্রয়োজন। যা কিছু ঘটুক না কেন, তা মোকাবিলা করার জন্য ছাত্রদের সম্মুখীন হওয়ার সৎ সাহস ও আত্মবিশ্বাস যদি একজন উপাচার্যের না থাকে তাহলে তিনি উপাচার্য থাকবেন কী করে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আবার প্রমাণ হলো শুধু কাগুজে ডিগ্রি ও একটা বিষয়ভিত্তিক মেধা থাকলেই একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারেন না, উপাচার্য হতে পারেন না। খবর বেরিয়েছে প্রত্যেকটি হলে নাকি ক্ষমতাবান ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে রীতিমতো টর্চার সেল। এর আগেও নাকি শত শত নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ওইসব টর্চার সেলে। তারই জের ধরে নিহত হলেন মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ। কথায় আছে যার যায় সে-ই বোঝে তার বেদনা। আবরারের মাতা-পিতা, আত্মীয়স্বজনকে কী বলে সান্ত্বনা দেওয়া যায়। রোগ-শোক দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যু হলে কিছুটা হয়তো সান্ত্বনার জায়গা থাকে। একজন তরতাজা বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছেলেকে কেউ পিটিয়ে হত্যা করবে, সেই বেদনা কীভাবে বহন করবে তার পিতা-মাতা। ফিরে আসি টর্চার সেলের কথায়। প্রতিটি আবাসিক হলে একজন প্রভোস্ট এবং কয়েকজন হাউস টিউটর রয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। হলের শৃঙ্খলা ও সব ছাত্রের ভালো-মন্দসহ সবকিছু দেখার দায়িত্ব এই প্রভোস্ট ও হাউস টিউটরদের। তারা কী করলেন? কী করেছেন এতদিন। হলের ভিতরে টর্চার সেল নিশ্চয়ই দু-চার দিন আগে হয়নি, বহু দিন ধরে চলে আসছে। যদি তারা বলেন, টর্চার সেলের ব্যাপারে আমরা জানি না, তাহলে সেটি হবে চরম অপরাধ এবং অযোগ্যতা- দুটোই। আর যদি বলেন, জেনেও আমাদের কিছু করার ছিল না, তাহলে সেটি হবে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের জন্য চরম অপমানজনক ও লজ্জার বিষয়। তাতে ধরে নিতে হবে শুধু প্রভোস্ট ও হাউস টিউটরের পদ ধরে রাখার জন্য তারা দায়িত্বের প্রতি সততা ও আত্মমর্যাদাকে বিসর্জন দিয়েছেন। এটা নিয়েও স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া উচিত। তা না হলে একজন শিক্ষকের প্রধান গুণ সততা এবং আত্মমর্যাদা বলতে আর কিছু থাকবে না। তারপর জবাবদিহিতার প্রশ্ন তো অবশ্যই জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কোনো অধ্যাপককে যখন দেখি ক্ষমতাবান রাজনৈতিক নেতাদের তোষামোদির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফুলের তোড়া নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং অন্যদের আগে ফুলের তোড়াটি দেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় নামেন তখন মনে হয় পদ-পদবিটাই এখানে মুখ্য, বিবেক ও আত্মমর্যাদার নয়। ছাত্র সংগঠনগুলোর দুর্বৃত্তায়ন নতুন ঘটনা নয়। তবে এর বর্তমান সংস্করণের যাত্রা শুরু হয়েছে ১৯৭৫ সালের সামরিক শাসকদের দ্বারা। স্বাধীনতা-পরবর্তী পঁচাত্তরের পূর্ব পর্যন্ত অস্ত্রবাজি ও অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। কিন্তু চাঁদাবাজি, টেন্ডারের পার্সেন্টেজ পাওয়ার জন্য বা রিপুর তাড়নায় বিলাসবহুল জীবনযাপনের দিকে তারা যাননি। ছাত্রনেতারা স্ব স্ব হলেই থেকেছেন। সদ্য বিতাড়িত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতো বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি তাদের কখনো ছিল না। ছাত্র সংগঠনের মধ্যে বিলাসবহুলতার সংস্কৃতি চালু হলো তখন থেকে যখন প্রথম সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান রাজনীতিতে নামলেন এবং ছাত্র সংগঠন গড়ার জন্য বিরাট এক ছাত্র বহরকে নিয়ে হিজবুল বাহার নামক এক প্রমোদতরীতে সমুদ্র ভ্রমণে গেলেন। এর আগে ঐতিহ্যবাহী সব ছাত্র সংগঠন তৈরি হয়েছে স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। তাই সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে তো ছাত্রদের আন্দোলনে নামার কথা, তার দলে যোগদানের কথা নয়। তাই জিয়াউর রহমান কৌশলে ক্ষমতা ও বিলাসিতার লোভ দেখিয়ে একদল ছাত্রকে দলে ভিড়িয়ে ছাত্রদল গঠন করলেন। শফিউল আলম প্রধান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় ১৯৭৪ সালে সূর্য সেন হলের সাত খুনের মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে জেলে নিক্ষিপ্ত হলেন। বঙ্গবন্ধু উদাহরণ সৃষ্টি করলেন। দুবত্ত যত বড় নেতা হোক না কেন, এমনকি নিজ দলের হলেও রেহাই পাবে না। কিন্তু জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে কী করলেন। প্রধান সামরিক শাসক ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে ওই হত্যাকারী শফিউল আলম প্রধানকে দন্ড  মওকুফ এবং জেল থেকে মুক্ত করে দিলেন। উদাহরণ সৃষ্টি হলো, খুন করে বর্তমান ক্ষমতাসীন নিজ দলের আশ্রয় না পেলেও পরবর্তী ক্ষমতায় আসা দল তাকে লুফে নেবে। খুন করেও পার পাওয়া যায়, এমন সংক্রামক ব্যাধির জন্ম হলো সেদিন থেকে। সেই যে ছাত্র রাজনীতির অবক্ষয় শুরু, যার স্বরূপ আজ এই জায়গায় এসে ঠেকেছে। নীতি-আদর্শ বলতে কিছু নেই, সেই দীক্ষাও নেই। সব এখন পাল্টাপাল্টি। ওই দল ক্ষমতায় থাকতে তার যুব ও ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা লুটপাট করেছে। সুতরাং আমাদেরও করতে হবে। এভাবেই দুর্নীতি জায়েজ হয়ে গেছে। তবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ বছরে পাহাড়সম জঞ্জাল ও বাধাবিঘ্ন পরিষ্কার এবং অতিক্রম করে রাষ্ট্রকে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন এবং বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। এবার তিনি মুখ ফিরিয়েছেন দুর্নীতির মূল উৎপাটনের দিকে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেভাবে অভিযান শুরু হয়েছে এবং তার সঙ্গে যদি পূর্বে যারা ক্ষমতায় ছিল তার তুলনা করি তাহলে বোঝা যায় কত বড় কঠিন সংগ্রামে শেখ হাসিনা নেমেছেন। ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বৈশ্বিক দুর্নীতির সূচকে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে বাংলাদেশ পর পর চারবার এক নম্বর স্থানে চলে গিয়েছিল। তখন মন্ত্রী-এমপি, নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিএনপি কঠিন অ্যাকশন নিলে আজ আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজরা এত সাহস পেত না। কেউ না করলেও পিতার অঙ্গীকার পূরণার্থে এদেশের মানুষকে আসলেই মুক্ত করার জন্য শেখ হাসিনা নতুন সংগ্রাম শুরু করেছেন। এই সংগ্রাম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সংগ্রাম। এবার তিনি বাংলাদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বেন ইনশা আল্লাহ। দুর্নীতিবাজ কেউ রেহাই পাবে না। যে দলেরই হোক, অথবা অন্য কেউ হোক।  বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়তে হলে এর কোনো বিকল্প নেই। কারণ দুর্নীতিই সব অপকর্মের মূল শেকড়।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

সর্বশেষ খবর