‘কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না’- একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ। অধঃপতিত দশায় নিপতিত একসময়ের সোনালি ঐতিহ্যের অধিকারী ছাত্রলীগকে এ প্রবাদের উদাহরণ হিসেবে ব্যক্ত করা হলে তা হয়তো খুব বাড়িয়ে বলা হবে না। দুষ্কর্মের দায়ে যে সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে বরখাস্ত করা হয়েছে, সে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের যে সম্বিৎ ফেরেনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের গুণ্ডামি তারই প্রমাণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এবং তার অপসারণ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এতে আট শিক্ষকসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। ওই সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনরত চার সাংবাদিককেও মারধর করে আহত করেছে ছাত্রলীগ নামধারী দুবর্ৃৃত্তরা। এ হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উত্তপ্ত ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। হঠাৎ হল ছাড়ার নির্দেশে বিক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করেছেন বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। অতর্কিত সিদ্ধান্তে ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরদূরান্ত থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। ফলে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং হলত্যাগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে সহস্রাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা বিবেকসম্পন্ন কারোর পক্ষে এড়িয়ে যাওয়া কঠিন। গত বছরের ২৩ অক্টোবর একনেকের সভায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এজন্য গৃহীত কার্যক্রমগুলো তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে অপরিকল্পিত উন্নয়ন পরিকল্পনা, সহস্রাধিক গাছ কাটা ও ছাত্রলীগের টেন্ডারবাজির কারণে। ঈদুল আজহার ঈদসালামি হিসেবে ছাত্রলীগকে ২ কোটি টাকা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। পরিণতিতে নিজেদের মর্যাদা রক্ষায় উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর অংশ। তাদের ওপর ছাত্রলীগ নামধারীদের হামলায় উল্লাস প্রকাশ করেছেন উপাচার্য মহোদয়। ছাত্রলীগের দুর্বিনীত নেতা-কর্মীদের তিনি যেভাবে ‘মাসতুতো ভাই’ হিসেবে দেখছেন, তা কোনো উপাচার্যের জন্য শোভনীয় নয়।
শিরোনাম
- যেভাবে ট্রাম্পের ‘দুর্বল জায়গায়’ আঘাত করল চীন
- শীর্ষ ৯ জেনারেলকে বরখাস্ত করলো চীনের কমিউনিস্ট পার্টি
- নিকাব নিষিদ্ধে পার্লামেন্টে বিল পাস করল পর্তুগাল
- বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ চলাকালীন ট্রাফিক নির্দেশনা
- রবিবার ২টা থেকে শুরু হবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম
- রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে ইউক্রেনের আরও তিন গ্রাম
- ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছেন না ট্রাম্প
- আফগানিস্তানে ভয়াবহ বিমান হামলা পাকিস্তানের, নিহত বেড়ে ৪০
- লঙ্কানদের উড়িয়ে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আরও কাছে প্রোটিয়ারা
- ১০১ বছর বয়সে মারা গেলেন জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুরাইয়ামা
- যুদ্ধ বন্ধে জেলেনস্কিকে চুক্তি করতে বললেন ট্রাম্প
- পাকিস্তানের হামলায় ৩ ক্রিকেটার নিহত, ত্রিদেশীয় সিরিজ বর্জন আফগানিস্তানের
- ঘুম থেকে জেগে মুমিনের করণীয়
- ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
- হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
- সূর্য হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেলে কী পরিণতি হবে পৃথিবীর!
- তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জবিতে মশাল মিছিল
- রাজধানীতে বিএনপির ব্যতিক্রমী মিছিল
- ডেমরায় ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ নবীউল্লাহ নবীর
- ধানমন্ডি আইডিয়ালে জিপিএ-৫ কমেছে, পাসের হারও নিম্নগামী
ছাত্রলীগের হামলা
আর কত অধঃপতিত হতে চায় তারা!
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর