শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ছিঁড়ে টুকরো টুকরো

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ছিঁড়ে টুকরো টুকরো

এমন দিন দেখতে হবে কখনো ভাবিনি। এসব দেখার আগে আমায় তুলে নিলে আল্লাহর অনেক দয়া হতো। টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা বেডে মো. শাজাহান ভূইয়ার চিকিৎসা হচ্ছে। তার ফাইলে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ছিল বলে অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ কায়সার তাকে দেখতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দেখে রেগেমেগে অস্থির। তিরস্কার করে বয়সী মুক্তিযোদ্ধাকে বললেন, ‘এখানে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট কেন? মুক্তিযুদ্ধ করে মাথায় উঠেছেন। সার্টিফিকেট কি আপনার চিকিৎসা করবে? যত্তসব।’ টান মেরে সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলেন। মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান স্তম্ভিত হয়ে যায়। অনেকেই প্রতিবাদ করে। মনে হয় তিন দিন আগের কথা। গতকাল শাজাহানকে দেখতে গিয়েছিলাম। এখনো সে অনেকটা হতভম্ব। শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে কোনো ডাক্তার পাইনি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে রোগীর পাশে পাওয়া যায়নি। গিয়েছিলাম তত্ত্বাবধায়কের ঘরে। হাসিখুশি একাই বসে ছিলেন। ঘটনা জানতে চেয়েছিলাম। হাসি হাসি মুখে সার্টিফিকেট ছেঁড়ার কথা, খারাপ আচরণের কথা আমতা আমতা বলছিলেন। জিজ্ঞাসা করেছিলাম, জনাব শহীদুল্লাহ কায়সার কোথায়? বললেন, কোনো পরীক্ষা নিতে গেছেন। আপনি চাইলে ডেকে আনতে পারি। কী আর ডাকবেন। এমন তুলকালাম কা- করে তিনি এখনো পরীক্ষা নিচ্ছেন! এ রকম অমানবিক নিষ্ঠুর ডাক্তারবেশী যদি কোনো ছাত্র পড়ান, ডাক্তার বানান সে আর কত মানবিক হবে। আমি আর অপরাধীকে ডাকতে বলিনি। তবে তত্ত্বাবধায়কের মুখে অসম্ভব জেল্লাই দেখে বড় বিরক্ত হয়েছি। বলে এসেছি, আপনার স্বাভাবিক বোধশক্তি মানবিক গুণাগুণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি সামান্য শ্রদ্ধা থাকলে এমন উজ্জ্বল মুখ দেখা যেত না। ’৭৪-এর দুর্ভিক্ষের সময় বঙ্গবন্ধুর মুখে যে কালিমা দেখেছি যে দুশ্চিন্তা দেখেছি তার কিছুটা হলেও আপনার অবয়বে থাকত। বারবার ভাবছিলাম ডাক্তার কোনো রাজাকার পরিবার হাইব্রিড কিনা। গিয়েছিলাম জেলা প্রশাসকের দফতরে। তিনি নিয়মিত জেল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তবু আমাদের কথা শুনে পরিদর্শন সংক্ষিপ্ত করে দফতরে এসেছিলেন। যেজন্য তাকে ধন্যবাদ দেওয়া যায়। দিয়েছিও। তাকে কথাগুলো বলেছি। বলেছি, এখনো কেন সাসপেন্ড করা হয়নি। জেলে ভরে তারপর তদন্ত করা হোক। অপরাধী ডাক্তার নাকি খুবই ক্ষমতাবান। রাজনীতি করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে এসব অশুদ্ধকে শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে ঝেড়ে ফেলার অভিযান শুরু করেছেন সে ব্যাপারে বোধহয় তার কোনো জ্ঞান নেই। জেলা প্রশাসক বলেছেন, তার সাধ্যমতো যতটা করা দরকার ততটা তিনি তো করবেনই, তার চাইতে একধাপ বেশি করার চেষ্টা করবেন।

বেশ কয়েক মাস আওয়ামী ঘরানায় শুদ্ধি অভিযান চলছে। প্রথম ছাত্রলীগ, তারপর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ঢাকা মহানগরী- এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাত দেননি। দেশবাসী আশা করেছিল, এতে অভাবনীয় ফল দেবে। কিন্তু আশানুরূপ ফল দেয়নি। এর মধ্যে কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগের সম্মেলন শেষ হয়ে গেছে। যাদের মনোনীত করা হয়েছে তাদের তেমন চিনি না। যুবলীগের সম্মেলনে শেখ ফজলে শামস পরশকে সভাপতি করা হয়েছে। পরশের বাবা শেখ ফজলুল হক মণি ভাইয়ের সঙ্গে আমরা যুবলীগের জন্ম দিয়েছিলাম। শেখ ফজলুল হক মণি একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন। পাকিস্তান সরকার দুবার তার এমএ ডিগ্রি বাতিল করেছিল। তার পরও তিনি এমএ করেছিলেন। আমাকে বড় ভালোবাসতেন। রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব-সংঘাত সব সময়ই থাকে, আওয়ামী রাজনীতিতেও ছিল। সেই রাজনীতির ফসল আমরা। কখনো মণি ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছিলাম কিনা মনে পড়ে না, পক্ষে ছিলাম তাও বলতে পারব না। তবে তার কথা কোনো দিন ফেলিনি। যখন যা বলেছেন দৈববাণী বলে মানার চেষ্টা করেছি। ব্যক্তিগত ব্যাপারে তো কথাই নেই। মার কথা, বাবার কথা, বড় ভাইয়ের কথা যেমন পালন করেছি, মণি ভাইয়ের কথাও সেভাবেই রক্ষা করেছি। স্বাধীনতার পরপর রাজনীতিতে কিছুটা নিষ্ক্রিয় ছিলাম। অনেক কিছুই ভালো লাগত না। ’৭৫-এ আবার বঙ্গবন্ধু সক্রিয় করেছিলেন। ’৭২ থেকে ’৭৫- চারটি বছর কত কী হয়েছে। যুদ্ধের সময় ধলাপাড়া চৌধুরীবাড়িতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গিয়ে একটি গরম চাদর আনায় ১৪-১৫ বছরের এক মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছিল। অথচ স্বাধীনতার পর কতজন কত কোটি টাকা লুটপাট, চুরি-চামারি করেছে যার কোনো হিসাব ছিল না। দু-একবার বঙ্গবন্ধুকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছি। আমিও জ্বলতাম, নেতাও জ্বলতেন। ৭৩ বছর বয়সে আমার জীবনে তেমন কোনো বড় কষ্ট নেই, কোনো অপরাধবোধ নেই। ভুল করিনি তা নয়, অপরাধ করিনি তাও নয়। সব ভুলের জন্য, অপরাধের জন্য সব সময় ক্ষমা চেয়েছি। দাগ কাটার মতো কোনো অপরাধ আমি কোনো দিন করিনি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সেই যুবকের দ- আজও আমাকে পীড়া দেয়। কমান্ডার মনিরের নেতৃত্বে ৩০ জনের দল যখন ধলাপাড়া চৌধুরীবাড়ি অস্ত্র আনতে যাচ্ছিল তখন ছোট্ট একটা কাগজে কমান্ডারকে লিখে দেওয়া হয়েছিল, শুধু অস্ত্র ছাড়া চৌধুরীবাড়ি থেকে কেউ কিছু আনলে তাকে মৃত্যুদ- দেওয়া হবে। একেবারে শেষরাতে মনিরের দল যখন ফিরে আসে দাঁড় করিয়ে গুনতি করতে গিয়ে দেখা যায় সেই ছেলেটির গায়ে গরম চাদর। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, এখন তোমার কী হবে? ছেলেটি বলেছিল, মৃত্যুর হাত থেকে এখন আর কেউ আমাকে বাঁচাতে পারবে না। সত্যিই সেদিন সে বাঁচেনি। অথচ সেই সময়ের ৭০-৮০ টাকার একটা চাদরের জন্য আমাদের হাতে অমূল্য জীবন গেছে। কিন্তু এখন প্রতি পদে পদে আমাদেরই রক্তে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে কত হাজার কোটির সম্পদ লুটপাট হচ্ছে। বেঁচে আছি কিন্তু প্রতিকার করতে পারি না- এটা নিয়ে সত্যিই জ্বলন অনুভব করি।

বেশ কিছুদিন থেকে পিয়াজের জ্বালায় জ্বলছি। যখন ছোট ছিলাম, কেবল পাকিস্তান হয়েছে, তখনকার মুখ্যমন্ত্রী ময়মনসিংহের নান্দাইলের নূরুল আমিন লবণে জ্বলেছিলেন। দুই-দেড় পয়সা সের লবণ হয়েছিল ১৬ টাকা। তার মন্ত্রিত্ব টেকেনি। পরপরই হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দীর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ২৬-২৭ বছরের যুবক শাহনেওয়াজের কাছে জামানতসহ হেরেছিলেন। তারপর উথালপাথাল অনেক গেছে। ’৭০-এর নির্বাচনে আকাশ-বাতাস, স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল সবকিছু ছিল বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে। জাতীয় সংসদের ১৬৯ আসনের আওয়ামী লীগ ১৬৭টি পেয়েছিল। যে দুটি হাতছাড়া হয়েছিল তার একটি নান্দাইলে জনাব নূরুল আমিন, অন্যটি পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজা ত্রিদিব রায়। ’৭০-এ বঙ্গবন্ধুর অনেক সভায় আমি পাগলের মতো ছুটে গেছি। হাজার হাজার লাখো মানুষ। বঙ্গবন্ধু নান্দাইলেও গিয়েছিলেন। সে মিটিংয়ে ৫০-৬০ হাজার লোক হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু সভামঞ্চে আসা পর্যন্ত কিছুই বোঝা যায়নি। বঙ্গবন্ধু সভামঞ্চে এলেন, অন্য দু-একজন বক্তৃতা করলেন। বঙ্গবন্ধু মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে ‘ভাইয়েরা আমার’ বলতেই প্রায় ২৫-৩০ হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে ছাতা ফুটাতে এবং বন্ধ করতে লাগল। আস্তে আস্তে মিটিংয়ের মানুষ ছাতা মাথায় চলে যেতে লাগল। আমরা অবাক হয়ে দেখলাম। কারণ ছাতা মার্কা ছিল নূরুল আমিনের। ৮-১০ হাজার মানুষ শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিল। বঙ্গবন্ধু একবারও নূরুল আমিনের নাম নিলেন না। ৫-৬ মিনিট বক্তৃতা করে চলে এলেন। তার ১৫-২০ কিলোমিটার দূরে ঈশ্বরগঞ্জ। সেখানে অভাবনীয় মিটিং হলো। গৌরীপুরে হলো, হলো মুক্তাগাছা-মধুপুর। সে এক অভাবনীয় উত্তাল নির্বাচনী হাওয়া। নির্বাচনের ফলাফল সবার জানা। তারপর মুক্তিযুদ্ধ, সব শেষে স্বাধীনতা। মনে হয় ’৭৩ সাল। বঙ্গবন্ধুর সরকার লবণ কন্ট্রোল করল। মূল নেতা আমানউল্যাহ। পরে পেপসি কোম্পানির স্বত্বাধিকার হয়েছিলেন। আমানউল্যাহর দক্ষ পরিচালনায় দু-এক মাসের মধ্যেই ৪-৬ আনার লবণ ১০-২০-৫০ টাকায় উঠে গেল। মাকে নিয়ে একবার ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল আসছিলাম। রহিমা-শুশু-শাহানা-আজাদ-মুরাদ-বেলাল ছিল। আমিনবাজার পার হয়ে ফাঁকা জায়গায় কয়েকজন আমড়া বেচছিল। রহিমা-শুশু-শাহানা আমার সঙ্গে বেরোলে ফুসকা-চটপটি এটাওটা খাওয়া নিয়ে পাগল করে ফেলত। মান্য করত যে রকম চাওয়া-পাওয়ার দাবিও ছিল তেমন। ওদের কোনো দাবি ফেলতে পারতাম না। এখন যেমন কুশির মুখ থেকে কথা পড়ার আগেই পালন করা হয় তেমন ছিল রহিমা-শুশু-শাহানা-আজাদ-মুরাদ-বেলাল। কে যেন আমড়া কিনতে গিয়েছিল। ৮-১০টা আমড়া এনে গাড়িতে দিতেই রহিমা অথবা মা আরেকটু লবণ চেয়েছিল। তখন আমিও গিয়েছিলাম আমড়াওয়ালার কাছে। একটু লবণ চাইতেই আমড়াওয়ালা বলেছিল দুটা আমড়া বেশি নিয়ে যান, কিন্তু লবণ দিতে পারব না। ২০-৩০ টাকা হয়েছিল আমড়ার দাম। আমি আরও ২০ টাকা তার হাতে গুঁজে দিয়ে একমুঠ লবণ নিয়ে এসেছিলাম। ওর চার-পাঁচ দিন পর ধনবাড়ী গিয়েছিলাম এক জনসভায়। ধনবাড়ী যাওয়ার পথে আড়াইটা-তিনটার দিকে ঘাটাইলের কদমতলী হাটে দক্ষিণ থেকে উত্তরে যাওয়ার পথে লবণ ৫০ টাকা, শেষ মাথা উত্তরে ৬০ টাকা। সাতটা-সাড়ে সাতটার দিকে ফিরছিলাম। তখন ভাঙা হাট, দোকানিরা সবকিছু গুটিয়ে চলে যাচ্ছেন। শুনলাম লবণের দাম ৯০ টাকা। যাওয়ার পথে এ মাথায় ৫০, ও মাথায় ৬০ টাকা, ফেরার পথে ৯০ টাকা। এই ছিল লবণ। এ যেন রকেটে চড়ে দাম বাড়া। বঙ্গবন্ধু অস্থির হয়ে উঠেছিলেন। এর চার-পাঁচ দিন পর আমানউল্যাহকে গ্রেফতার করে লবণের কন্ট্রোল তুলে দেওয়া হলো। রাতে লবণের কন্ট্রোল তোলা হয়েছিল পরদিন ৪০-৫০ টাকার লবণ ১০ টাকায় নেমেছিল। পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যেই আড়াই-তিন টাকা। আর এই সেদিন গুজব ছড়িয়ে ১০-১৫ টাকার লবণ কয়েক ঘণ্টা ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাকে কী বলি! ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। কোনো সুপ্রতিবেশীর সঙ্গে এমন তঞ্চকতা করতে পারে, যা ভাবনারও বাইরে। হঠাৎই বলা নাই কওয়া নাই বাংলাদেশে পিয়াজের চালান বন্ধ! কোনো সভ্য দেশে এভাবে কি কিছু হয়! বছরের পর বছর দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে। এখনো কত জিনিস ভারত রপ্তানি করছে। হঠাৎ করে পিয়াজ বন্ধ! এ কেমন কথা? ভারতের কোনো কোনো জায়গায় পিয়াজের দাম ৬-১০ টাকা, বাংলাদেশে ২৫০ টাকা! ভারত এখনো মালদ্বীপে পিয়াজ রপ্তানি করছে, কিন্তু বাংলাদেশে নয়। কারণ বাংলাদেশ ভারতের পরম বন্ধু রাষ্ট্র। অথচ আচরণটা কেমন সবাই দেখছে। সরকারেরও বলিহারি যাই, একসময় বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন ’৬৯-এর ছাত্র-গণ আন্দোলনের মহানায়ক তোফায়েল আহমেদ। তার আগে বিএনপি আমলে ধনবান চট্টগ্রামের আমীর খসরু। এখন বাণিজ্যমন্ত্রী রংপুরের টিপু মুনশি; যার একটা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হওয়ার দক্ষতা নেই। তিনি বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী! তিনি একসময় বললেন, ১০০ টাকার নিচে পিয়াজের দাম নামতে অসুবিধা আছে। মাসখানেক আগে দাম নামবে না। সেদিন আবার কয়েক জায়গায় দেখলাম ৭-১০ বস্তা পিয়াজের জন্য মোবাইল কোর্ট শাস্তি দিয়েছে। অথচ ৭০০ কিংবা ৭০০০ বস্তার জন্য কোনো জবাবদিহি নেই। কার্গো বিমানে পিয়াজ আসবে, আসছে এসব শুনে ক্যালকুলেটর নিয়ে বসে ছিলাম। হিসাব করে দেখলাম কেজিতে ৫-১০ টাকা লাভ করে কার্গোতে পিয়াজ এনেও ৬০-৭০ টাকায় দেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের দেশে ২০০-২৫০ টাকা। ডাঁটাওয়ালা দেশি পিয়াজ নামায় দাম কিছুটা নেমেছিল। আবার দু-তিন দিন যাবৎ পিয়াজের দাম ওপরের দিকে। বুঝতে পারলাম না এ পর্যন্ত কেউ বাজারে গিয়ে পিয়াজ ছাড়া বাড়ি ফিরেছে, কোন বাজারে বা দোকানে পিয়াজের কোনো অভাব ছিল? দেশে পিয়াজের অভাব হয়েছে, পাওয়া যায় না তাই দাম বেশি এমন হলে না হয় সান্ত্বনা পাওয়া যেত। কিন্তু তেমন তো নয়। সব জায়গায়ই পিয়াজ পাওয়া যায় শুধু দাম চড়া। যা কখনো কল্পনাও করা যায়নি। মাস গড়িয়ে যাচ্ছে এমনকি মাসেরও বেশি তাই এসব নিয়ে একটু খোঁজখবর করছিলাম। পিয়াজ নিয়ে এই পিয়াজি কারা করছে এখন তো দেখছি পিয়াজের সঙ্গে যারা পিয়াজি করছে তারা প্রায় সবাই সরকারি সমর্থক। দু-একজন বাইরের হলেও বেশিসংখ্যকই সরকারের সমর্থক। সাদা কথা- এই সুযোগে কিছু কামিয়ে নেওয়া। মানুষের পকেট খালি করতে পারলে কেউ ছাড়ে? তাই এরাও ছাড়েনি। আপন তালে কামিয়ে নিচ্ছে। লাভ যাদেরই হোক ক্ষতি হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। পার্লামেন্টারি গভর্নমেন্টে কোনো মন্ত্রণালয়ের ভুল হলে, কোনো বিভাগের প্রতি মানুষ অতিষ্ঠ হলে তাকে বাদ দিয়ে বা সরিয়ে সরকার আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে ধীরে ধীরে এমন একটা অবস্থা হয়েছে বিশেষ করে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার সময় অন্য কোনো নেতানেত্রীর ভালোমন্দ নিয়ে মানুষ কোনো বিবেচনা করে না। এখন ভালো হলেও শেখ হাসিনার, খারাপ হলেও শেখ হাসিনার। আসলেই আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এক মহাসংকটে। যে যাই করুক সব দায় গিয়ে পড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর।

গত সপ্তাহে সবচাইতে আলোচিত বিষয় ছিল ভারত-বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি এবং কলকাতা ইডেনে টেস্ট ক্রিকেট। প্রথম শুনেছিলাম ইডেনের টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হবেন। কিন্তু আদতে তা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে উদ্বোধন করেছেন। কলকাতা নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কেন্দ্রীয় একজন মন্ত্রী, এমনকি কর্মকর্তা উপস্থিত হননি। আমার কথাগুলো হয়তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভালোভাবে নিতে চাইবেন না। বঙ্গবন্ধুকন্যা, আমার বোনের অসম্মান সেজন্য বলছি। মনে হয় আমাদের ক্রিকেট দলকে দুমড়ে-মুচড়ে একাকার করে ফেলা হয়েছে। তা না হলে ভারতের সঙ্গে খেলার আগে এমন উথালপাথাল হবে কেন? সাকিব আল হাসানকে বাদ দিয়ে বা বাদ দেওয়ার মতো পরিবেশ আমরা করলাম? একসময় আমার মনে হতো জিল্লুর ভাইয়ের ছেলে পাপন খুবই নিবেদিত। সত্যিই এবার আমাদের টিমের ভারত সফরে খুবই লজ্জা পেয়েছি। কীভাবে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে গিয়েছিল, মনে হলো সব জয় করে ফেলেছে। এটা ভালো না। স্বাধীনতার পরপর ভারতীয় এক কাবাডি টিম এসেছিল। বাংলাদেশে ৪০টি জায়গায় তারা খেলেছিল। এক টাঙ্গাইল ছাড়া ৩৯টিতে দারুণভাবে জয়ী হয়েছিল। টাঙ্গাইল পার্কে যখন খেলা হয় চারদিক থেকে দর্শক ভেঙে পড়েছিল। দুরুদুরু বুকে নিজেও গিয়েছিলাম। টাঙ্গাইলের দলের কাছে সেদিন ভারতীয় দল দাঁড়াতেই পারেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা, আমার প্রিয় বোন ইডেনে উপস্থিত থেকেও আমাদের দলের রান ১০৬- এটা ভাবা যায়। একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী খেলোয়াড়দের পাশে তার পরও ১০৬! ৬০৬ হলে ভাবা যেত। যদিও আজকাল একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী কাকে বলে, সে যে কত বড় পদ কত বড় মহিমা আমরা কেউ তা ভাবতে চাই না। এখনো যদি পাকিস্তান থাকত আর আমরা তাদের গোলাম থাকতাম তাহলে প্রধানমন্ত্রী পদের মর্যাদা বুঝতাম, যিনিই প্রধানমন্ত্রী হোন তাকে বুঝতাম। দেশের কারও আমাদের টিমের এমন বিপর্যয় কাম্য নয়। ভারত আমাদের চাইতে ভালো হতে পারে, কিন্তু ইনিংস পরাজয়ের মতো অপদার্থ আমরা নই। এসবের জন্য কারা দায়ী, কেন এমন হলো- তা একটু তদন্ত করে দেখা দরকার। আমাদের ছেলেদের মুক্তবিহঙ্গের মতো হাত খুলে খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্যাপারটা দেখবেন।

পাকিস্তানের ক্রিকেট খেলোয়াড় মোহাম্মদ হানিফ এক ইনিংসে দুই দিন ব্যাট করতেন। রান করতেন ৪০-৫০। অনেকবার ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। আর ৪৭ মিনিটে আমাদের দিন শেষ। আমরা দুবার খেলেও ভারতের একবারের সমান রান করতে পারিনি। বড় লজ্জা করে, অপমানবোধ হয়। ইডেনের খেলায় আপনি শরিক হয়েছিলেন। শুনলাম নরেন্দ্র মোদির দাওয়াতে আপনার এই ভারত সফর। তিনি এলেন না, তার কোনো মন্ত্রী এলেন না, এমনকি কেন্দ্রীয় কোনো কর্মকর্তাও এলেন না। আপনি বঙ্গবন্ধুকন্যা, আপনাকে অপমান-অসম্মান করলে বুকে বাজে তাই বলি। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু লন্ডনে গিয়েছিলেন। সেখানে সমস্ত প্রটোকল ভেঙে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ তার হোটেলে দেখতে গিয়েছিলেন। ঢাকায় আসার জন্য রাজকীয় বাহিনীর মর্যাদাপূর্ণ বিমান দিয়েছিলেন। দিল্লির সেদিনের পালাম বিমানবন্দরে ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি ও মহীয়সী নারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী স্বাগত জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে ক্রেমলিনে নিতে রাশিয়া বিমানবন্দরে ব্রেজনেভ স্বয়ং উপস্থিত হয়েছিলেন। আলজেজিরায় মার্শাল টিটো তাকে গ্রহণ করেছিলেন। বিষয়গুলো তো আপনার ভুলে যাওয়ার কথা নয়। একটু ভেবে দেখবেন আপনার সম্মানের সঙ্গে দেশের সম্মান যে জড়িত।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
সৌরবিদ্যুৎ
সৌরবিদ্যুৎ
ঝুঁকিতে ব্যাংক খাত
ঝুঁকিতে ব্যাংক খাত
আহা, আমাদের ভৈরব!
আহা, আমাদের ভৈরব!
মানুষ হত্যা অমার্জনীয় অপরাধ
মানুষ হত্যা অমার্জনীয় অপরাধ
কৃষিতে চ্যালেঞ্জ
কৃষিতে চ্যালেঞ্জ
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
প্লাবনের শঙ্কা
প্লাবনের শঙ্কা
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র
সন্তান প্রতিপালনে অগ্রাধিকার পাক সততার শিক্ষা
সন্তান প্রতিপালনে অগ্রাধিকার পাক সততার শিক্ষা
গোপালগঞ্জ-কাণ্ড এবং ইলেকশন ইস্যু
গোপালগঞ্জ-কাণ্ড এবং ইলেকশন ইস্যু
কর্মজীবী নারী
কর্মজীবী নারী
ঐকমত্যে অনৈক্য
ঐকমত্যে অনৈক্য
সর্বশেষ খবর
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা
শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা
শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা

১ ঘণ্টা আগে | অন্যান্য

শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম
শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস
চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড
চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’
‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১
সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২
রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল
রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল
নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল
রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স
আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে
বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে
কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান
যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা
ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে
রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ
হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম
শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা
ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা
ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা

১৮ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম
সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র
গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে
ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০
গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের
বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা
এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান
বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক
গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক
কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক

পেছনের পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!
কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!

শনিবারের সকাল

অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের
অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভগ্যচক্র
আজকের ভগ্যচক্র

আজকের রাশি

এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী
এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত
বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন
জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী
আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী

শোবিজ

নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না

মাঠে ময়দানে

জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে
জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক
ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক

মাঠে ময়দানে

ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ
ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ

মাঠে ময়দানে

সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ
সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ
যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ

মাঠে ময়দানে

বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’
বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’

শোবিজ

পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ
পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল
গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে
ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন
পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন

শোবিজ

নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ
নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ

শনিবারের সকাল

মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা
মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

শান্তির নীড় মাটির ঘর
শান্তির নীড় মাটির ঘর

পেছনের পৃষ্ঠা

১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার
১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার

মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার
কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার

নগর জীবন

অবসর শেষে মৎস্য খামার
অবসর শেষে মৎস্য খামার

শনিবারের সকাল

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই
হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা