শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ছিঁড়ে টুকরো টুকরো

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ছিঁড়ে টুকরো টুকরো

এমন দিন দেখতে হবে কখনো ভাবিনি। এসব দেখার আগে আমায় তুলে নিলে আল্লাহর অনেক দয়া হতো। টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা বেডে মো. শাজাহান ভূইয়ার চিকিৎসা হচ্ছে। তার ফাইলে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ছিল বলে অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ কায়সার তাকে দেখতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দেখে রেগেমেগে অস্থির। তিরস্কার করে বয়সী মুক্তিযোদ্ধাকে বললেন, ‘এখানে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট কেন? মুক্তিযুদ্ধ করে মাথায় উঠেছেন। সার্টিফিকেট কি আপনার চিকিৎসা করবে? যত্তসব।’ টান মেরে সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলেন। মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান স্তম্ভিত হয়ে যায়। অনেকেই প্রতিবাদ করে। মনে হয় তিন দিন আগের কথা। গতকাল শাজাহানকে দেখতে গিয়েছিলাম। এখনো সে অনেকটা হতভম্ব। শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে কোনো ডাক্তার পাইনি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে রোগীর পাশে পাওয়া যায়নি। গিয়েছিলাম তত্ত্বাবধায়কের ঘরে। হাসিখুশি একাই বসে ছিলেন। ঘটনা জানতে চেয়েছিলাম। হাসি হাসি মুখে সার্টিফিকেট ছেঁড়ার কথা, খারাপ আচরণের কথা আমতা আমতা বলছিলেন। জিজ্ঞাসা করেছিলাম, জনাব শহীদুল্লাহ কায়সার কোথায়? বললেন, কোনো পরীক্ষা নিতে গেছেন। আপনি চাইলে ডেকে আনতে পারি। কী আর ডাকবেন। এমন তুলকালাম কা- করে তিনি এখনো পরীক্ষা নিচ্ছেন! এ রকম অমানবিক নিষ্ঠুর ডাক্তারবেশী যদি কোনো ছাত্র পড়ান, ডাক্তার বানান সে আর কত মানবিক হবে। আমি আর অপরাধীকে ডাকতে বলিনি। তবে তত্ত্বাবধায়কের মুখে অসম্ভব জেল্লাই দেখে বড় বিরক্ত হয়েছি। বলে এসেছি, আপনার স্বাভাবিক বোধশক্তি মানবিক গুণাগুণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি সামান্য শ্রদ্ধা থাকলে এমন উজ্জ্বল মুখ দেখা যেত না। ’৭৪-এর দুর্ভিক্ষের সময় বঙ্গবন্ধুর মুখে যে কালিমা দেখেছি যে দুশ্চিন্তা দেখেছি তার কিছুটা হলেও আপনার অবয়বে থাকত। বারবার ভাবছিলাম ডাক্তার কোনো রাজাকার পরিবার হাইব্রিড কিনা। গিয়েছিলাম জেলা প্রশাসকের দফতরে। তিনি নিয়মিত জেল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তবু আমাদের কথা শুনে পরিদর্শন সংক্ষিপ্ত করে দফতরে এসেছিলেন। যেজন্য তাকে ধন্যবাদ দেওয়া যায়। দিয়েছিও। তাকে কথাগুলো বলেছি। বলেছি, এখনো কেন সাসপেন্ড করা হয়নি। জেলে ভরে তারপর তদন্ত করা হোক। অপরাধী ডাক্তার নাকি খুবই ক্ষমতাবান। রাজনীতি করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে এসব অশুদ্ধকে শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে ঝেড়ে ফেলার অভিযান শুরু করেছেন সে ব্যাপারে বোধহয় তার কোনো জ্ঞান নেই। জেলা প্রশাসক বলেছেন, তার সাধ্যমতো যতটা করা দরকার ততটা তিনি তো করবেনই, তার চাইতে একধাপ বেশি করার চেষ্টা করবেন।

বেশ কয়েক মাস আওয়ামী ঘরানায় শুদ্ধি অভিযান চলছে। প্রথম ছাত্রলীগ, তারপর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ঢাকা মহানগরী- এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাত দেননি। দেশবাসী আশা করেছিল, এতে অভাবনীয় ফল দেবে। কিন্তু আশানুরূপ ফল দেয়নি। এর মধ্যে কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগের সম্মেলন শেষ হয়ে গেছে। যাদের মনোনীত করা হয়েছে তাদের তেমন চিনি না। যুবলীগের সম্মেলনে শেখ ফজলে শামস পরশকে সভাপতি করা হয়েছে। পরশের বাবা শেখ ফজলুল হক মণি ভাইয়ের সঙ্গে আমরা যুবলীগের জন্ম দিয়েছিলাম। শেখ ফজলুল হক মণি একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন। পাকিস্তান সরকার দুবার তার এমএ ডিগ্রি বাতিল করেছিল। তার পরও তিনি এমএ করেছিলেন। আমাকে বড় ভালোবাসতেন। রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব-সংঘাত সব সময়ই থাকে, আওয়ামী রাজনীতিতেও ছিল। সেই রাজনীতির ফসল আমরা। কখনো মণি ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছিলাম কিনা মনে পড়ে না, পক্ষে ছিলাম তাও বলতে পারব না। তবে তার কথা কোনো দিন ফেলিনি। যখন যা বলেছেন দৈববাণী বলে মানার চেষ্টা করেছি। ব্যক্তিগত ব্যাপারে তো কথাই নেই। মার কথা, বাবার কথা, বড় ভাইয়ের কথা যেমন পালন করেছি, মণি ভাইয়ের কথাও সেভাবেই রক্ষা করেছি। স্বাধীনতার পরপর রাজনীতিতে কিছুটা নিষ্ক্রিয় ছিলাম। অনেক কিছুই ভালো লাগত না। ’৭৫-এ আবার বঙ্গবন্ধু সক্রিয় করেছিলেন। ’৭২ থেকে ’৭৫- চারটি বছর কত কী হয়েছে। যুদ্ধের সময় ধলাপাড়া চৌধুরীবাড়িতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গিয়ে একটি গরম চাদর আনায় ১৪-১৫ বছরের এক মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছিল। অথচ স্বাধীনতার পর কতজন কত কোটি টাকা লুটপাট, চুরি-চামারি করেছে যার কোনো হিসাব ছিল না। দু-একবার বঙ্গবন্ধুকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছি। আমিও জ্বলতাম, নেতাও জ্বলতেন। ৭৩ বছর বয়সে আমার জীবনে তেমন কোনো বড় কষ্ট নেই, কোনো অপরাধবোধ নেই। ভুল করিনি তা নয়, অপরাধ করিনি তাও নয়। সব ভুলের জন্য, অপরাধের জন্য সব সময় ক্ষমা চেয়েছি। দাগ কাটার মতো কোনো অপরাধ আমি কোনো দিন করিনি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সেই যুবকের দ- আজও আমাকে পীড়া দেয়। কমান্ডার মনিরের নেতৃত্বে ৩০ জনের দল যখন ধলাপাড়া চৌধুরীবাড়ি অস্ত্র আনতে যাচ্ছিল তখন ছোট্ট একটা কাগজে কমান্ডারকে লিখে দেওয়া হয়েছিল, শুধু অস্ত্র ছাড়া চৌধুরীবাড়ি থেকে কেউ কিছু আনলে তাকে মৃত্যুদ- দেওয়া হবে। একেবারে শেষরাতে মনিরের দল যখন ফিরে আসে দাঁড় করিয়ে গুনতি করতে গিয়ে দেখা যায় সেই ছেলেটির গায়ে গরম চাদর। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, এখন তোমার কী হবে? ছেলেটি বলেছিল, মৃত্যুর হাত থেকে এখন আর কেউ আমাকে বাঁচাতে পারবে না। সত্যিই সেদিন সে বাঁচেনি। অথচ সেই সময়ের ৭০-৮০ টাকার একটা চাদরের জন্য আমাদের হাতে অমূল্য জীবন গেছে। কিন্তু এখন প্রতি পদে পদে আমাদেরই রক্তে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে কত হাজার কোটির সম্পদ লুটপাট হচ্ছে। বেঁচে আছি কিন্তু প্রতিকার করতে পারি না- এটা নিয়ে সত্যিই জ্বলন অনুভব করি।

বেশ কিছুদিন থেকে পিয়াজের জ্বালায় জ্বলছি। যখন ছোট ছিলাম, কেবল পাকিস্তান হয়েছে, তখনকার মুখ্যমন্ত্রী ময়মনসিংহের নান্দাইলের নূরুল আমিন লবণে জ্বলেছিলেন। দুই-দেড় পয়সা সের লবণ হয়েছিল ১৬ টাকা। তার মন্ত্রিত্ব টেকেনি। পরপরই হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দীর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ২৬-২৭ বছরের যুবক শাহনেওয়াজের কাছে জামানতসহ হেরেছিলেন। তারপর উথালপাথাল অনেক গেছে। ’৭০-এর নির্বাচনে আকাশ-বাতাস, স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল সবকিছু ছিল বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে। জাতীয় সংসদের ১৬৯ আসনের আওয়ামী লীগ ১৬৭টি পেয়েছিল। যে দুটি হাতছাড়া হয়েছিল তার একটি নান্দাইলে জনাব নূরুল আমিন, অন্যটি পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজা ত্রিদিব রায়। ’৭০-এ বঙ্গবন্ধুর অনেক সভায় আমি পাগলের মতো ছুটে গেছি। হাজার হাজার লাখো মানুষ। বঙ্গবন্ধু নান্দাইলেও গিয়েছিলেন। সে মিটিংয়ে ৫০-৬০ হাজার লোক হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু সভামঞ্চে আসা পর্যন্ত কিছুই বোঝা যায়নি। বঙ্গবন্ধু সভামঞ্চে এলেন, অন্য দু-একজন বক্তৃতা করলেন। বঙ্গবন্ধু মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে ‘ভাইয়েরা আমার’ বলতেই প্রায় ২৫-৩০ হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে ছাতা ফুটাতে এবং বন্ধ করতে লাগল। আস্তে আস্তে মিটিংয়ের মানুষ ছাতা মাথায় চলে যেতে লাগল। আমরা অবাক হয়ে দেখলাম। কারণ ছাতা মার্কা ছিল নূরুল আমিনের। ৮-১০ হাজার মানুষ শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিল। বঙ্গবন্ধু একবারও নূরুল আমিনের নাম নিলেন না। ৫-৬ মিনিট বক্তৃতা করে চলে এলেন। তার ১৫-২০ কিলোমিটার দূরে ঈশ্বরগঞ্জ। সেখানে অভাবনীয় মিটিং হলো। গৌরীপুরে হলো, হলো মুক্তাগাছা-মধুপুর। সে এক অভাবনীয় উত্তাল নির্বাচনী হাওয়া। নির্বাচনের ফলাফল সবার জানা। তারপর মুক্তিযুদ্ধ, সব শেষে স্বাধীনতা। মনে হয় ’৭৩ সাল। বঙ্গবন্ধুর সরকার লবণ কন্ট্রোল করল। মূল নেতা আমানউল্যাহ। পরে পেপসি কোম্পানির স্বত্বাধিকার হয়েছিলেন। আমানউল্যাহর দক্ষ পরিচালনায় দু-এক মাসের মধ্যেই ৪-৬ আনার লবণ ১০-২০-৫০ টাকায় উঠে গেল। মাকে নিয়ে একবার ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল আসছিলাম। রহিমা-শুশু-শাহানা-আজাদ-মুরাদ-বেলাল ছিল। আমিনবাজার পার হয়ে ফাঁকা জায়গায় কয়েকজন আমড়া বেচছিল। রহিমা-শুশু-শাহানা আমার সঙ্গে বেরোলে ফুসকা-চটপটি এটাওটা খাওয়া নিয়ে পাগল করে ফেলত। মান্য করত যে রকম চাওয়া-পাওয়ার দাবিও ছিল তেমন। ওদের কোনো দাবি ফেলতে পারতাম না। এখন যেমন কুশির মুখ থেকে কথা পড়ার আগেই পালন করা হয় তেমন ছিল রহিমা-শুশু-শাহানা-আজাদ-মুরাদ-বেলাল। কে যেন আমড়া কিনতে গিয়েছিল। ৮-১০টা আমড়া এনে গাড়িতে দিতেই রহিমা অথবা মা আরেকটু লবণ চেয়েছিল। তখন আমিও গিয়েছিলাম আমড়াওয়ালার কাছে। একটু লবণ চাইতেই আমড়াওয়ালা বলেছিল দুটা আমড়া বেশি নিয়ে যান, কিন্তু লবণ দিতে পারব না। ২০-৩০ টাকা হয়েছিল আমড়ার দাম। আমি আরও ২০ টাকা তার হাতে গুঁজে দিয়ে একমুঠ লবণ নিয়ে এসেছিলাম। ওর চার-পাঁচ দিন পর ধনবাড়ী গিয়েছিলাম এক জনসভায়। ধনবাড়ী যাওয়ার পথে আড়াইটা-তিনটার দিকে ঘাটাইলের কদমতলী হাটে দক্ষিণ থেকে উত্তরে যাওয়ার পথে লবণ ৫০ টাকা, শেষ মাথা উত্তরে ৬০ টাকা। সাতটা-সাড়ে সাতটার দিকে ফিরছিলাম। তখন ভাঙা হাট, দোকানিরা সবকিছু গুটিয়ে চলে যাচ্ছেন। শুনলাম লবণের দাম ৯০ টাকা। যাওয়ার পথে এ মাথায় ৫০, ও মাথায় ৬০ টাকা, ফেরার পথে ৯০ টাকা। এই ছিল লবণ। এ যেন রকেটে চড়ে দাম বাড়া। বঙ্গবন্ধু অস্থির হয়ে উঠেছিলেন। এর চার-পাঁচ দিন পর আমানউল্যাহকে গ্রেফতার করে লবণের কন্ট্রোল তুলে দেওয়া হলো। রাতে লবণের কন্ট্রোল তোলা হয়েছিল পরদিন ৪০-৫০ টাকার লবণ ১০ টাকায় নেমেছিল। পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যেই আড়াই-তিন টাকা। আর এই সেদিন গুজব ছড়িয়ে ১০-১৫ টাকার লবণ কয়েক ঘণ্টা ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাকে কী বলি! ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। কোনো সুপ্রতিবেশীর সঙ্গে এমন তঞ্চকতা করতে পারে, যা ভাবনারও বাইরে। হঠাৎই বলা নাই কওয়া নাই বাংলাদেশে পিয়াজের চালান বন্ধ! কোনো সভ্য দেশে এভাবে কি কিছু হয়! বছরের পর বছর দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে। এখনো কত জিনিস ভারত রপ্তানি করছে। হঠাৎ করে পিয়াজ বন্ধ! এ কেমন কথা? ভারতের কোনো কোনো জায়গায় পিয়াজের দাম ৬-১০ টাকা, বাংলাদেশে ২৫০ টাকা! ভারত এখনো মালদ্বীপে পিয়াজ রপ্তানি করছে, কিন্তু বাংলাদেশে নয়। কারণ বাংলাদেশ ভারতের পরম বন্ধু রাষ্ট্র। অথচ আচরণটা কেমন সবাই দেখছে। সরকারেরও বলিহারি যাই, একসময় বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন ’৬৯-এর ছাত্র-গণ আন্দোলনের মহানায়ক তোফায়েল আহমেদ। তার আগে বিএনপি আমলে ধনবান চট্টগ্রামের আমীর খসরু। এখন বাণিজ্যমন্ত্রী রংপুরের টিপু মুনশি; যার একটা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হওয়ার দক্ষতা নেই। তিনি বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী! তিনি একসময় বললেন, ১০০ টাকার নিচে পিয়াজের দাম নামতে অসুবিধা আছে। মাসখানেক আগে দাম নামবে না। সেদিন আবার কয়েক জায়গায় দেখলাম ৭-১০ বস্তা পিয়াজের জন্য মোবাইল কোর্ট শাস্তি দিয়েছে। অথচ ৭০০ কিংবা ৭০০০ বস্তার জন্য কোনো জবাবদিহি নেই। কার্গো বিমানে পিয়াজ আসবে, আসছে এসব শুনে ক্যালকুলেটর নিয়ে বসে ছিলাম। হিসাব করে দেখলাম কেজিতে ৫-১০ টাকা লাভ করে কার্গোতে পিয়াজ এনেও ৬০-৭০ টাকায় দেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের দেশে ২০০-২৫০ টাকা। ডাঁটাওয়ালা দেশি পিয়াজ নামায় দাম কিছুটা নেমেছিল। আবার দু-তিন দিন যাবৎ পিয়াজের দাম ওপরের দিকে। বুঝতে পারলাম না এ পর্যন্ত কেউ বাজারে গিয়ে পিয়াজ ছাড়া বাড়ি ফিরেছে, কোন বাজারে বা দোকানে পিয়াজের কোনো অভাব ছিল? দেশে পিয়াজের অভাব হয়েছে, পাওয়া যায় না তাই দাম বেশি এমন হলে না হয় সান্ত্বনা পাওয়া যেত। কিন্তু তেমন তো নয়। সব জায়গায়ই পিয়াজ পাওয়া যায় শুধু দাম চড়া। যা কখনো কল্পনাও করা যায়নি। মাস গড়িয়ে যাচ্ছে এমনকি মাসেরও বেশি তাই এসব নিয়ে একটু খোঁজখবর করছিলাম। পিয়াজ নিয়ে এই পিয়াজি কারা করছে এখন তো দেখছি পিয়াজের সঙ্গে যারা পিয়াজি করছে তারা প্রায় সবাই সরকারি সমর্থক। দু-একজন বাইরের হলেও বেশিসংখ্যকই সরকারের সমর্থক। সাদা কথা- এই সুযোগে কিছু কামিয়ে নেওয়া। মানুষের পকেট খালি করতে পারলে কেউ ছাড়ে? তাই এরাও ছাড়েনি। আপন তালে কামিয়ে নিচ্ছে। লাভ যাদেরই হোক ক্ষতি হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। পার্লামেন্টারি গভর্নমেন্টে কোনো মন্ত্রণালয়ের ভুল হলে, কোনো বিভাগের প্রতি মানুষ অতিষ্ঠ হলে তাকে বাদ দিয়ে বা সরিয়ে সরকার আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে ধীরে ধীরে এমন একটা অবস্থা হয়েছে বিশেষ করে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার সময় অন্য কোনো নেতানেত্রীর ভালোমন্দ নিয়ে মানুষ কোনো বিবেচনা করে না। এখন ভালো হলেও শেখ হাসিনার, খারাপ হলেও শেখ হাসিনার। আসলেই আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এক মহাসংকটে। যে যাই করুক সব দায় গিয়ে পড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর।

গত সপ্তাহে সবচাইতে আলোচিত বিষয় ছিল ভারত-বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি এবং কলকাতা ইডেনে টেস্ট ক্রিকেট। প্রথম শুনেছিলাম ইডেনের টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হবেন। কিন্তু আদতে তা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে উদ্বোধন করেছেন। কলকাতা নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কেন্দ্রীয় একজন মন্ত্রী, এমনকি কর্মকর্তা উপস্থিত হননি। আমার কথাগুলো হয়তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভালোভাবে নিতে চাইবেন না। বঙ্গবন্ধুকন্যা, আমার বোনের অসম্মান সেজন্য বলছি। মনে হয় আমাদের ক্রিকেট দলকে দুমড়ে-মুচড়ে একাকার করে ফেলা হয়েছে। তা না হলে ভারতের সঙ্গে খেলার আগে এমন উথালপাথাল হবে কেন? সাকিব আল হাসানকে বাদ দিয়ে বা বাদ দেওয়ার মতো পরিবেশ আমরা করলাম? একসময় আমার মনে হতো জিল্লুর ভাইয়ের ছেলে পাপন খুবই নিবেদিত। সত্যিই এবার আমাদের টিমের ভারত সফরে খুবই লজ্জা পেয়েছি। কীভাবে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে গিয়েছিল, মনে হলো সব জয় করে ফেলেছে। এটা ভালো না। স্বাধীনতার পরপর ভারতীয় এক কাবাডি টিম এসেছিল। বাংলাদেশে ৪০টি জায়গায় তারা খেলেছিল। এক টাঙ্গাইল ছাড়া ৩৯টিতে দারুণভাবে জয়ী হয়েছিল। টাঙ্গাইল পার্কে যখন খেলা হয় চারদিক থেকে দর্শক ভেঙে পড়েছিল। দুরুদুরু বুকে নিজেও গিয়েছিলাম। টাঙ্গাইলের দলের কাছে সেদিন ভারতীয় দল দাঁড়াতেই পারেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা, আমার প্রিয় বোন ইডেনে উপস্থিত থেকেও আমাদের দলের রান ১০৬- এটা ভাবা যায়। একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী খেলোয়াড়দের পাশে তার পরও ১০৬! ৬০৬ হলে ভাবা যেত। যদিও আজকাল একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী কাকে বলে, সে যে কত বড় পদ কত বড় মহিমা আমরা কেউ তা ভাবতে চাই না। এখনো যদি পাকিস্তান থাকত আর আমরা তাদের গোলাম থাকতাম তাহলে প্রধানমন্ত্রী পদের মর্যাদা বুঝতাম, যিনিই প্রধানমন্ত্রী হোন তাকে বুঝতাম। দেশের কারও আমাদের টিমের এমন বিপর্যয় কাম্য নয়। ভারত আমাদের চাইতে ভালো হতে পারে, কিন্তু ইনিংস পরাজয়ের মতো অপদার্থ আমরা নই। এসবের জন্য কারা দায়ী, কেন এমন হলো- তা একটু তদন্ত করে দেখা দরকার। আমাদের ছেলেদের মুক্তবিহঙ্গের মতো হাত খুলে খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্যাপারটা দেখবেন।

পাকিস্তানের ক্রিকেট খেলোয়াড় মোহাম্মদ হানিফ এক ইনিংসে দুই দিন ব্যাট করতেন। রান করতেন ৪০-৫০। অনেকবার ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। আর ৪৭ মিনিটে আমাদের দিন শেষ। আমরা দুবার খেলেও ভারতের একবারের সমান রান করতে পারিনি। বড় লজ্জা করে, অপমানবোধ হয়। ইডেনের খেলায় আপনি শরিক হয়েছিলেন। শুনলাম নরেন্দ্র মোদির দাওয়াতে আপনার এই ভারত সফর। তিনি এলেন না, তার কোনো মন্ত্রী এলেন না, এমনকি কেন্দ্রীয় কোনো কর্মকর্তাও এলেন না। আপনি বঙ্গবন্ধুকন্যা, আপনাকে অপমান-অসম্মান করলে বুকে বাজে তাই বলি। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু লন্ডনে গিয়েছিলেন। সেখানে সমস্ত প্রটোকল ভেঙে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ তার হোটেলে দেখতে গিয়েছিলেন। ঢাকায় আসার জন্য রাজকীয় বাহিনীর মর্যাদাপূর্ণ বিমান দিয়েছিলেন। দিল্লির সেদিনের পালাম বিমানবন্দরে ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি ও মহীয়সী নারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী স্বাগত জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে ক্রেমলিনে নিতে রাশিয়া বিমানবন্দরে ব্রেজনেভ স্বয়ং উপস্থিত হয়েছিলেন। আলজেজিরায় মার্শাল টিটো তাকে গ্রহণ করেছিলেন। বিষয়গুলো তো আপনার ভুলে যাওয়ার কথা নয়। একটু ভেবে দেখবেন আপনার সম্মানের সঙ্গে দেশের সম্মান যে জড়িত।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
দেশের সব গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ ৭২ ঘণ্টা বন্ধ রাখার পরামর্শ
দেশের সব গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ ৭২ ঘণ্টা বন্ধ রাখার পরামর্শ

১ মিনিট আগে | জাতীয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জামাতে নফল নামাজের আয়োজন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জামাতে নফল নামাজের আয়োজন

৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর নিরাপত্তাঝুঁকি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি
ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর নিরাপত্তাঝুঁকি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়

৩৬ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

সর্বদা পরকালের জন্য প্রস্তুত থাকার গুরুত্ব
সর্বদা পরকালের জন্য প্রস্তুত থাকার গুরুত্ব

৪৪ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ফিলিস্তিনে ইসহাক (আ.)-এর স্মৃতি ও সমাধি
ফিলিস্তিনে ইসহাক (আ.)-এর স্মৃতি ও সমাধি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রবিআহ ইবনে হারিছ (রা.) যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন
রবিআহ ইবনে হারিছ (রা.) যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ঘরের মাঠে ম্যানসিটিকে হারাল নিউক্যাসল
ঘরের মাঠে ম্যানসিটিকে হারাল নিউক্যাসল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও বায়ার্নের গোলবন্যা
দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও বায়ার্নের গোলবন্যা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফারহানের ঝড়ো ইনিংসে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা
ফারহানের ঝড়ো ইনিংসে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট আটক
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট আটক

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাম্প ন্যুয়ে ফেরার ম্যাচে বার্সেলোনার দাপুটে জয়
কাম্প ন্যুয়ে ফেরার ম্যাচে বার্সেলোনার দাপুটে জয়

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা
ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উচ্চ শিক্ষার বিস্তারে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভূমিকা প্রশংসনীয়: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
উচ্চ শিক্ষার বিস্তারে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভূমিকা প্রশংসনীয়: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, নারীরা তখন ভালো থাকে: শামা ওবায়েদ
বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, নারীরা তখন ভালো থাকে: শামা ওবায়েদ

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার নৈশভোজের আয়োজন
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার নৈশভোজের আয়োজন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মিয়ানমারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত
মিয়ানমারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম: সামান্থা
আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম: সামান্থা

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম লিভারপুলের
টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম লিভারপুলের

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেলের লাইনে ড্রোন পতিত
মেট্রোরেলের লাইনে ড্রোন পতিত

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১
শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’
‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

১৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন
ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই
হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই

পেছনের পৃষ্ঠা

হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২২
হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২২

পেছনের পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পাকিস্তান

পেছনের পৃষ্ঠা