শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ছিঁড়ে টুকরো টুকরো

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ছিঁড়ে টুকরো টুকরো

এমন দিন দেখতে হবে কখনো ভাবিনি। এসব দেখার আগে আমায় তুলে নিলে আল্লাহর অনেক দয়া হতো। টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা বেডে মো. শাজাহান ভূইয়ার চিকিৎসা হচ্ছে। তার ফাইলে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ছিল বলে অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ কায়সার তাকে দেখতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দেখে রেগেমেগে অস্থির। তিরস্কার করে বয়সী মুক্তিযোদ্ধাকে বললেন, ‘এখানে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট কেন? মুক্তিযুদ্ধ করে মাথায় উঠেছেন। সার্টিফিকেট কি আপনার চিকিৎসা করবে? যত্তসব।’ টান মেরে সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলেন। মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান স্তম্ভিত হয়ে যায়। অনেকেই প্রতিবাদ করে। মনে হয় তিন দিন আগের কথা। গতকাল শাজাহানকে দেখতে গিয়েছিলাম। এখনো সে অনেকটা হতভম্ব। শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে কোনো ডাক্তার পাইনি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে রোগীর পাশে পাওয়া যায়নি। গিয়েছিলাম তত্ত্বাবধায়কের ঘরে। হাসিখুশি একাই বসে ছিলেন। ঘটনা জানতে চেয়েছিলাম। হাসি হাসি মুখে সার্টিফিকেট ছেঁড়ার কথা, খারাপ আচরণের কথা আমতা আমতা বলছিলেন। জিজ্ঞাসা করেছিলাম, জনাব শহীদুল্লাহ কায়সার কোথায়? বললেন, কোনো পরীক্ষা নিতে গেছেন। আপনি চাইলে ডেকে আনতে পারি। কী আর ডাকবেন। এমন তুলকালাম কা- করে তিনি এখনো পরীক্ষা নিচ্ছেন! এ রকম অমানবিক নিষ্ঠুর ডাক্তারবেশী যদি কোনো ছাত্র পড়ান, ডাক্তার বানান সে আর কত মানবিক হবে। আমি আর অপরাধীকে ডাকতে বলিনি। তবে তত্ত্বাবধায়কের মুখে অসম্ভব জেল্লাই দেখে বড় বিরক্ত হয়েছি। বলে এসেছি, আপনার স্বাভাবিক বোধশক্তি মানবিক গুণাগুণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি সামান্য শ্রদ্ধা থাকলে এমন উজ্জ্বল মুখ দেখা যেত না। ’৭৪-এর দুর্ভিক্ষের সময় বঙ্গবন্ধুর মুখে যে কালিমা দেখেছি যে দুশ্চিন্তা দেখেছি তার কিছুটা হলেও আপনার অবয়বে থাকত। বারবার ভাবছিলাম ডাক্তার কোনো রাজাকার পরিবার হাইব্রিড কিনা। গিয়েছিলাম জেলা প্রশাসকের দফতরে। তিনি নিয়মিত জেল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তবু আমাদের কথা শুনে পরিদর্শন সংক্ষিপ্ত করে দফতরে এসেছিলেন। যেজন্য তাকে ধন্যবাদ দেওয়া যায়। দিয়েছিও। তাকে কথাগুলো বলেছি। বলেছি, এখনো কেন সাসপেন্ড করা হয়নি। জেলে ভরে তারপর তদন্ত করা হোক। অপরাধী ডাক্তার নাকি খুবই ক্ষমতাবান। রাজনীতি করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে এসব অশুদ্ধকে শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে ঝেড়ে ফেলার অভিযান শুরু করেছেন সে ব্যাপারে বোধহয় তার কোনো জ্ঞান নেই। জেলা প্রশাসক বলেছেন, তার সাধ্যমতো যতটা করা দরকার ততটা তিনি তো করবেনই, তার চাইতে একধাপ বেশি করার চেষ্টা করবেন।

বেশ কয়েক মাস আওয়ামী ঘরানায় শুদ্ধি অভিযান চলছে। প্রথম ছাত্রলীগ, তারপর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ঢাকা মহানগরী- এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাত দেননি। দেশবাসী আশা করেছিল, এতে অভাবনীয় ফল দেবে। কিন্তু আশানুরূপ ফল দেয়নি। এর মধ্যে কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগের সম্মেলন শেষ হয়ে গেছে। যাদের মনোনীত করা হয়েছে তাদের তেমন চিনি না। যুবলীগের সম্মেলনে শেখ ফজলে শামস পরশকে সভাপতি করা হয়েছে। পরশের বাবা শেখ ফজলুল হক মণি ভাইয়ের সঙ্গে আমরা যুবলীগের জন্ম দিয়েছিলাম। শেখ ফজলুল হক মণি একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন। পাকিস্তান সরকার দুবার তার এমএ ডিগ্রি বাতিল করেছিল। তার পরও তিনি এমএ করেছিলেন। আমাকে বড় ভালোবাসতেন। রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব-সংঘাত সব সময়ই থাকে, আওয়ামী রাজনীতিতেও ছিল। সেই রাজনীতির ফসল আমরা। কখনো মণি ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছিলাম কিনা মনে পড়ে না, পক্ষে ছিলাম তাও বলতে পারব না। তবে তার কথা কোনো দিন ফেলিনি। যখন যা বলেছেন দৈববাণী বলে মানার চেষ্টা করেছি। ব্যক্তিগত ব্যাপারে তো কথাই নেই। মার কথা, বাবার কথা, বড় ভাইয়ের কথা যেমন পালন করেছি, মণি ভাইয়ের কথাও সেভাবেই রক্ষা করেছি। স্বাধীনতার পরপর রাজনীতিতে কিছুটা নিষ্ক্রিয় ছিলাম। অনেক কিছুই ভালো লাগত না। ’৭৫-এ আবার বঙ্গবন্ধু সক্রিয় করেছিলেন। ’৭২ থেকে ’৭৫- চারটি বছর কত কী হয়েছে। যুদ্ধের সময় ধলাপাড়া চৌধুরীবাড়িতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গিয়ে একটি গরম চাদর আনায় ১৪-১৫ বছরের এক মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছিল। অথচ স্বাধীনতার পর কতজন কত কোটি টাকা লুটপাট, চুরি-চামারি করেছে যার কোনো হিসাব ছিল না। দু-একবার বঙ্গবন্ধুকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছি। আমিও জ্বলতাম, নেতাও জ্বলতেন। ৭৩ বছর বয়সে আমার জীবনে তেমন কোনো বড় কষ্ট নেই, কোনো অপরাধবোধ নেই। ভুল করিনি তা নয়, অপরাধ করিনি তাও নয়। সব ভুলের জন্য, অপরাধের জন্য সব সময় ক্ষমা চেয়েছি। দাগ কাটার মতো কোনো অপরাধ আমি কোনো দিন করিনি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সেই যুবকের দ- আজও আমাকে পীড়া দেয়। কমান্ডার মনিরের নেতৃত্বে ৩০ জনের দল যখন ধলাপাড়া চৌধুরীবাড়ি অস্ত্র আনতে যাচ্ছিল তখন ছোট্ট একটা কাগজে কমান্ডারকে লিখে দেওয়া হয়েছিল, শুধু অস্ত্র ছাড়া চৌধুরীবাড়ি থেকে কেউ কিছু আনলে তাকে মৃত্যুদ- দেওয়া হবে। একেবারে শেষরাতে মনিরের দল যখন ফিরে আসে দাঁড় করিয়ে গুনতি করতে গিয়ে দেখা যায় সেই ছেলেটির গায়ে গরম চাদর। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, এখন তোমার কী হবে? ছেলেটি বলেছিল, মৃত্যুর হাত থেকে এখন আর কেউ আমাকে বাঁচাতে পারবে না। সত্যিই সেদিন সে বাঁচেনি। অথচ সেই সময়ের ৭০-৮০ টাকার একটা চাদরের জন্য আমাদের হাতে অমূল্য জীবন গেছে। কিন্তু এখন প্রতি পদে পদে আমাদেরই রক্তে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে কত হাজার কোটির সম্পদ লুটপাট হচ্ছে। বেঁচে আছি কিন্তু প্রতিকার করতে পারি না- এটা নিয়ে সত্যিই জ্বলন অনুভব করি।

বেশ কিছুদিন থেকে পিয়াজের জ্বালায় জ্বলছি। যখন ছোট ছিলাম, কেবল পাকিস্তান হয়েছে, তখনকার মুখ্যমন্ত্রী ময়মনসিংহের নান্দাইলের নূরুল আমিন লবণে জ্বলেছিলেন। দুই-দেড় পয়সা সের লবণ হয়েছিল ১৬ টাকা। তার মন্ত্রিত্ব টেকেনি। পরপরই হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দীর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ২৬-২৭ বছরের যুবক শাহনেওয়াজের কাছে জামানতসহ হেরেছিলেন। তারপর উথালপাথাল অনেক গেছে। ’৭০-এর নির্বাচনে আকাশ-বাতাস, স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল সবকিছু ছিল বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে। জাতীয় সংসদের ১৬৯ আসনের আওয়ামী লীগ ১৬৭টি পেয়েছিল। যে দুটি হাতছাড়া হয়েছিল তার একটি নান্দাইলে জনাব নূরুল আমিন, অন্যটি পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজা ত্রিদিব রায়। ’৭০-এ বঙ্গবন্ধুর অনেক সভায় আমি পাগলের মতো ছুটে গেছি। হাজার হাজার লাখো মানুষ। বঙ্গবন্ধু নান্দাইলেও গিয়েছিলেন। সে মিটিংয়ে ৫০-৬০ হাজার লোক হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু সভামঞ্চে আসা পর্যন্ত কিছুই বোঝা যায়নি। বঙ্গবন্ধু সভামঞ্চে এলেন, অন্য দু-একজন বক্তৃতা করলেন। বঙ্গবন্ধু মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে ‘ভাইয়েরা আমার’ বলতেই প্রায় ২৫-৩০ হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে ছাতা ফুটাতে এবং বন্ধ করতে লাগল। আস্তে আস্তে মিটিংয়ের মানুষ ছাতা মাথায় চলে যেতে লাগল। আমরা অবাক হয়ে দেখলাম। কারণ ছাতা মার্কা ছিল নূরুল আমিনের। ৮-১০ হাজার মানুষ শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিল। বঙ্গবন্ধু একবারও নূরুল আমিনের নাম নিলেন না। ৫-৬ মিনিট বক্তৃতা করে চলে এলেন। তার ১৫-২০ কিলোমিটার দূরে ঈশ্বরগঞ্জ। সেখানে অভাবনীয় মিটিং হলো। গৌরীপুরে হলো, হলো মুক্তাগাছা-মধুপুর। সে এক অভাবনীয় উত্তাল নির্বাচনী হাওয়া। নির্বাচনের ফলাফল সবার জানা। তারপর মুক্তিযুদ্ধ, সব শেষে স্বাধীনতা। মনে হয় ’৭৩ সাল। বঙ্গবন্ধুর সরকার লবণ কন্ট্রোল করল। মূল নেতা আমানউল্যাহ। পরে পেপসি কোম্পানির স্বত্বাধিকার হয়েছিলেন। আমানউল্যাহর দক্ষ পরিচালনায় দু-এক মাসের মধ্যেই ৪-৬ আনার লবণ ১০-২০-৫০ টাকায় উঠে গেল। মাকে নিয়ে একবার ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল আসছিলাম। রহিমা-শুশু-শাহানা-আজাদ-মুরাদ-বেলাল ছিল। আমিনবাজার পার হয়ে ফাঁকা জায়গায় কয়েকজন আমড়া বেচছিল। রহিমা-শুশু-শাহানা আমার সঙ্গে বেরোলে ফুসকা-চটপটি এটাওটা খাওয়া নিয়ে পাগল করে ফেলত। মান্য করত যে রকম চাওয়া-পাওয়ার দাবিও ছিল তেমন। ওদের কোনো দাবি ফেলতে পারতাম না। এখন যেমন কুশির মুখ থেকে কথা পড়ার আগেই পালন করা হয় তেমন ছিল রহিমা-শুশু-শাহানা-আজাদ-মুরাদ-বেলাল। কে যেন আমড়া কিনতে গিয়েছিল। ৮-১০টা আমড়া এনে গাড়িতে দিতেই রহিমা অথবা মা আরেকটু লবণ চেয়েছিল। তখন আমিও গিয়েছিলাম আমড়াওয়ালার কাছে। একটু লবণ চাইতেই আমড়াওয়ালা বলেছিল দুটা আমড়া বেশি নিয়ে যান, কিন্তু লবণ দিতে পারব না। ২০-৩০ টাকা হয়েছিল আমড়ার দাম। আমি আরও ২০ টাকা তার হাতে গুঁজে দিয়ে একমুঠ লবণ নিয়ে এসেছিলাম। ওর চার-পাঁচ দিন পর ধনবাড়ী গিয়েছিলাম এক জনসভায়। ধনবাড়ী যাওয়ার পথে আড়াইটা-তিনটার দিকে ঘাটাইলের কদমতলী হাটে দক্ষিণ থেকে উত্তরে যাওয়ার পথে লবণ ৫০ টাকা, শেষ মাথা উত্তরে ৬০ টাকা। সাতটা-সাড়ে সাতটার দিকে ফিরছিলাম। তখন ভাঙা হাট, দোকানিরা সবকিছু গুটিয়ে চলে যাচ্ছেন। শুনলাম লবণের দাম ৯০ টাকা। যাওয়ার পথে এ মাথায় ৫০, ও মাথায় ৬০ টাকা, ফেরার পথে ৯০ টাকা। এই ছিল লবণ। এ যেন রকেটে চড়ে দাম বাড়া। বঙ্গবন্ধু অস্থির হয়ে উঠেছিলেন। এর চার-পাঁচ দিন পর আমানউল্যাহকে গ্রেফতার করে লবণের কন্ট্রোল তুলে দেওয়া হলো। রাতে লবণের কন্ট্রোল তোলা হয়েছিল পরদিন ৪০-৫০ টাকার লবণ ১০ টাকায় নেমেছিল। পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যেই আড়াই-তিন টাকা। আর এই সেদিন গুজব ছড়িয়ে ১০-১৫ টাকার লবণ কয়েক ঘণ্টা ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাকে কী বলি! ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। কোনো সুপ্রতিবেশীর সঙ্গে এমন তঞ্চকতা করতে পারে, যা ভাবনারও বাইরে। হঠাৎই বলা নাই কওয়া নাই বাংলাদেশে পিয়াজের চালান বন্ধ! কোনো সভ্য দেশে এভাবে কি কিছু হয়! বছরের পর বছর দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে। এখনো কত জিনিস ভারত রপ্তানি করছে। হঠাৎ করে পিয়াজ বন্ধ! এ কেমন কথা? ভারতের কোনো কোনো জায়গায় পিয়াজের দাম ৬-১০ টাকা, বাংলাদেশে ২৫০ টাকা! ভারত এখনো মালদ্বীপে পিয়াজ রপ্তানি করছে, কিন্তু বাংলাদেশে নয়। কারণ বাংলাদেশ ভারতের পরম বন্ধু রাষ্ট্র। অথচ আচরণটা কেমন সবাই দেখছে। সরকারেরও বলিহারি যাই, একসময় বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন ’৬৯-এর ছাত্র-গণ আন্দোলনের মহানায়ক তোফায়েল আহমেদ। তার আগে বিএনপি আমলে ধনবান চট্টগ্রামের আমীর খসরু। এখন বাণিজ্যমন্ত্রী রংপুরের টিপু মুনশি; যার একটা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হওয়ার দক্ষতা নেই। তিনি বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী! তিনি একসময় বললেন, ১০০ টাকার নিচে পিয়াজের দাম নামতে অসুবিধা আছে। মাসখানেক আগে দাম নামবে না। সেদিন আবার কয়েক জায়গায় দেখলাম ৭-১০ বস্তা পিয়াজের জন্য মোবাইল কোর্ট শাস্তি দিয়েছে। অথচ ৭০০ কিংবা ৭০০০ বস্তার জন্য কোনো জবাবদিহি নেই। কার্গো বিমানে পিয়াজ আসবে, আসছে এসব শুনে ক্যালকুলেটর নিয়ে বসে ছিলাম। হিসাব করে দেখলাম কেজিতে ৫-১০ টাকা লাভ করে কার্গোতে পিয়াজ এনেও ৬০-৭০ টাকায় দেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের দেশে ২০০-২৫০ টাকা। ডাঁটাওয়ালা দেশি পিয়াজ নামায় দাম কিছুটা নেমেছিল। আবার দু-তিন দিন যাবৎ পিয়াজের দাম ওপরের দিকে। বুঝতে পারলাম না এ পর্যন্ত কেউ বাজারে গিয়ে পিয়াজ ছাড়া বাড়ি ফিরেছে, কোন বাজারে বা দোকানে পিয়াজের কোনো অভাব ছিল? দেশে পিয়াজের অভাব হয়েছে, পাওয়া যায় না তাই দাম বেশি এমন হলে না হয় সান্ত্বনা পাওয়া যেত। কিন্তু তেমন তো নয়। সব জায়গায়ই পিয়াজ পাওয়া যায় শুধু দাম চড়া। যা কখনো কল্পনাও করা যায়নি। মাস গড়িয়ে যাচ্ছে এমনকি মাসেরও বেশি তাই এসব নিয়ে একটু খোঁজখবর করছিলাম। পিয়াজ নিয়ে এই পিয়াজি কারা করছে এখন তো দেখছি পিয়াজের সঙ্গে যারা পিয়াজি করছে তারা প্রায় সবাই সরকারি সমর্থক। দু-একজন বাইরের হলেও বেশিসংখ্যকই সরকারের সমর্থক। সাদা কথা- এই সুযোগে কিছু কামিয়ে নেওয়া। মানুষের পকেট খালি করতে পারলে কেউ ছাড়ে? তাই এরাও ছাড়েনি। আপন তালে কামিয়ে নিচ্ছে। লাভ যাদেরই হোক ক্ষতি হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। পার্লামেন্টারি গভর্নমেন্টে কোনো মন্ত্রণালয়ের ভুল হলে, কোনো বিভাগের প্রতি মানুষ অতিষ্ঠ হলে তাকে বাদ দিয়ে বা সরিয়ে সরকার আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে ধীরে ধীরে এমন একটা অবস্থা হয়েছে বিশেষ করে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার সময় অন্য কোনো নেতানেত্রীর ভালোমন্দ নিয়ে মানুষ কোনো বিবেচনা করে না। এখন ভালো হলেও শেখ হাসিনার, খারাপ হলেও শেখ হাসিনার। আসলেই আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এক মহাসংকটে। যে যাই করুক সব দায় গিয়ে পড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর।

গত সপ্তাহে সবচাইতে আলোচিত বিষয় ছিল ভারত-বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি এবং কলকাতা ইডেনে টেস্ট ক্রিকেট। প্রথম শুনেছিলাম ইডেনের টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হবেন। কিন্তু আদতে তা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে উদ্বোধন করেছেন। কলকাতা নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কেন্দ্রীয় একজন মন্ত্রী, এমনকি কর্মকর্তা উপস্থিত হননি। আমার কথাগুলো হয়তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভালোভাবে নিতে চাইবেন না। বঙ্গবন্ধুকন্যা, আমার বোনের অসম্মান সেজন্য বলছি। মনে হয় আমাদের ক্রিকেট দলকে দুমড়ে-মুচড়ে একাকার করে ফেলা হয়েছে। তা না হলে ভারতের সঙ্গে খেলার আগে এমন উথালপাথাল হবে কেন? সাকিব আল হাসানকে বাদ দিয়ে বা বাদ দেওয়ার মতো পরিবেশ আমরা করলাম? একসময় আমার মনে হতো জিল্লুর ভাইয়ের ছেলে পাপন খুবই নিবেদিত। সত্যিই এবার আমাদের টিমের ভারত সফরে খুবই লজ্জা পেয়েছি। কীভাবে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে গিয়েছিল, মনে হলো সব জয় করে ফেলেছে। এটা ভালো না। স্বাধীনতার পরপর ভারতীয় এক কাবাডি টিম এসেছিল। বাংলাদেশে ৪০টি জায়গায় তারা খেলেছিল। এক টাঙ্গাইল ছাড়া ৩৯টিতে দারুণভাবে জয়ী হয়েছিল। টাঙ্গাইল পার্কে যখন খেলা হয় চারদিক থেকে দর্শক ভেঙে পড়েছিল। দুরুদুরু বুকে নিজেও গিয়েছিলাম। টাঙ্গাইলের দলের কাছে সেদিন ভারতীয় দল দাঁড়াতেই পারেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা, আমার প্রিয় বোন ইডেনে উপস্থিত থেকেও আমাদের দলের রান ১০৬- এটা ভাবা যায়। একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী খেলোয়াড়দের পাশে তার পরও ১০৬! ৬০৬ হলে ভাবা যেত। যদিও আজকাল একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী কাকে বলে, সে যে কত বড় পদ কত বড় মহিমা আমরা কেউ তা ভাবতে চাই না। এখনো যদি পাকিস্তান থাকত আর আমরা তাদের গোলাম থাকতাম তাহলে প্রধানমন্ত্রী পদের মর্যাদা বুঝতাম, যিনিই প্রধানমন্ত্রী হোন তাকে বুঝতাম। দেশের কারও আমাদের টিমের এমন বিপর্যয় কাম্য নয়। ভারত আমাদের চাইতে ভালো হতে পারে, কিন্তু ইনিংস পরাজয়ের মতো অপদার্থ আমরা নই। এসবের জন্য কারা দায়ী, কেন এমন হলো- তা একটু তদন্ত করে দেখা দরকার। আমাদের ছেলেদের মুক্তবিহঙ্গের মতো হাত খুলে খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্যাপারটা দেখবেন।

পাকিস্তানের ক্রিকেট খেলোয়াড় মোহাম্মদ হানিফ এক ইনিংসে দুই দিন ব্যাট করতেন। রান করতেন ৪০-৫০। অনেকবার ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। আর ৪৭ মিনিটে আমাদের দিন শেষ। আমরা দুবার খেলেও ভারতের একবারের সমান রান করতে পারিনি। বড় লজ্জা করে, অপমানবোধ হয়। ইডেনের খেলায় আপনি শরিক হয়েছিলেন। শুনলাম নরেন্দ্র মোদির দাওয়াতে আপনার এই ভারত সফর। তিনি এলেন না, তার কোনো মন্ত্রী এলেন না, এমনকি কেন্দ্রীয় কোনো কর্মকর্তাও এলেন না। আপনি বঙ্গবন্ধুকন্যা, আপনাকে অপমান-অসম্মান করলে বুকে বাজে তাই বলি। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু লন্ডনে গিয়েছিলেন। সেখানে সমস্ত প্রটোকল ভেঙে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ তার হোটেলে দেখতে গিয়েছিলেন। ঢাকায় আসার জন্য রাজকীয় বাহিনীর মর্যাদাপূর্ণ বিমান দিয়েছিলেন। দিল্লির সেদিনের পালাম বিমানবন্দরে ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি ও মহীয়সী নারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী স্বাগত জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে ক্রেমলিনে নিতে রাশিয়া বিমানবন্দরে ব্রেজনেভ স্বয়ং উপস্থিত হয়েছিলেন। আলজেজিরায় মার্শাল টিটো তাকে গ্রহণ করেছিলেন। বিষয়গুলো তো আপনার ভুলে যাওয়ার কথা নয়। একটু ভেবে দেখবেন আপনার সম্মানের সঙ্গে দেশের সম্মান যে জড়িত।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
ভোট দিতে ১৭ হাজার ৯০০ প্রবাসীর নিবন্ধন
ভোট দিতে ১৭ হাজার ৯০০ প্রবাসীর নিবন্ধন

এই মাত্র | পরবাস

ইউক্রেনকে ফের ‘অকৃতজ্ঞ’ বললেন ট্রাম্প
ইউক্রেনকে ফের ‘অকৃতজ্ঞ’ বললেন ট্রাম্প

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে
নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন

১০ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

বৈঠকের পরও ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট মনে করেন মামদানি!
বৈঠকের পরও ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট মনে করেন মামদানি!

১১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

১৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

প্রধান বিচারপতিকে সহযোগিতার আশ্বাস কমনওয়েলথ মহাসচিবের
প্রধান বিচারপতিকে সহযোগিতার আশ্বাস কমনওয়েলথ মহাসচিবের

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মির্জা ফখরুলের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মির্জা ফখরুলের সৌজন্য সাক্ষাৎ

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

আজ ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’
আজ ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’

২৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

২৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করল ইসরায়েল
হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করল ইসরায়েল

২৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি
২৪ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

৩২ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ঈমানদার ও ঈমানহীনদের চোখে ভূমিকম্প
ঈমানদার ও ঈমানহীনদের চোখে ভূমিকম্প

৩৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় খাদ্যের চরম সংকট
যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় খাদ্যের চরম সংকট

৪৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বার্লিনে দূতাবাসের উদ্যোগে পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধন বিষয়ক সেমিনার
বার্লিনে দূতাবাসের উদ্যোগে পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধন বিষয়ক সেমিনার

৪৮ মিনিট আগে | পরবাস

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা
ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল
এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ
মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ

৭ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান
বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা
সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক
ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল
সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

২০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত
মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত

মাঠে ময়দানে

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা
যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা

পূর্ব-পশ্চিম