শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ছিঁড়ে টুকরো টুকরো

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ছিঁড়ে টুকরো টুকরো

এমন দিন দেখতে হবে কখনো ভাবিনি। এসব দেখার আগে আমায় তুলে নিলে আল্লাহর অনেক দয়া হতো। টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা বেডে মো. শাজাহান ভূইয়ার চিকিৎসা হচ্ছে। তার ফাইলে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ছিল বলে অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ কায়সার তাকে দেখতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দেখে রেগেমেগে অস্থির। তিরস্কার করে বয়সী মুক্তিযোদ্ধাকে বললেন, ‘এখানে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট কেন? মুক্তিযুদ্ধ করে মাথায় উঠেছেন। সার্টিফিকেট কি আপনার চিকিৎসা করবে? যত্তসব।’ টান মেরে সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলেন। মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান স্তম্ভিত হয়ে যায়। অনেকেই প্রতিবাদ করে। মনে হয় তিন দিন আগের কথা। গতকাল শাজাহানকে দেখতে গিয়েছিলাম। এখনো সে অনেকটা হতভম্ব। শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে কোনো ডাক্তার পাইনি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে রোগীর পাশে পাওয়া যায়নি। গিয়েছিলাম তত্ত্বাবধায়কের ঘরে। হাসিখুশি একাই বসে ছিলেন। ঘটনা জানতে চেয়েছিলাম। হাসি হাসি মুখে সার্টিফিকেট ছেঁড়ার কথা, খারাপ আচরণের কথা আমতা আমতা বলছিলেন। জিজ্ঞাসা করেছিলাম, জনাব শহীদুল্লাহ কায়সার কোথায়? বললেন, কোনো পরীক্ষা নিতে গেছেন। আপনি চাইলে ডেকে আনতে পারি। কী আর ডাকবেন। এমন তুলকালাম কা- করে তিনি এখনো পরীক্ষা নিচ্ছেন! এ রকম অমানবিক নিষ্ঠুর ডাক্তারবেশী যদি কোনো ছাত্র পড়ান, ডাক্তার বানান সে আর কত মানবিক হবে। আমি আর অপরাধীকে ডাকতে বলিনি। তবে তত্ত্বাবধায়কের মুখে অসম্ভব জেল্লাই দেখে বড় বিরক্ত হয়েছি। বলে এসেছি, আপনার স্বাভাবিক বোধশক্তি মানবিক গুণাগুণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি সামান্য শ্রদ্ধা থাকলে এমন উজ্জ্বল মুখ দেখা যেত না। ’৭৪-এর দুর্ভিক্ষের সময় বঙ্গবন্ধুর মুখে যে কালিমা দেখেছি যে দুশ্চিন্তা দেখেছি তার কিছুটা হলেও আপনার অবয়বে থাকত। বারবার ভাবছিলাম ডাক্তার কোনো রাজাকার পরিবার হাইব্রিড কিনা। গিয়েছিলাম জেলা প্রশাসকের দফতরে। তিনি নিয়মিত জেল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তবু আমাদের কথা শুনে পরিদর্শন সংক্ষিপ্ত করে দফতরে এসেছিলেন। যেজন্য তাকে ধন্যবাদ দেওয়া যায়। দিয়েছিও। তাকে কথাগুলো বলেছি। বলেছি, এখনো কেন সাসপেন্ড করা হয়নি। জেলে ভরে তারপর তদন্ত করা হোক। অপরাধী ডাক্তার নাকি খুবই ক্ষমতাবান। রাজনীতি করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে এসব অশুদ্ধকে শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে ঝেড়ে ফেলার অভিযান শুরু করেছেন সে ব্যাপারে বোধহয় তার কোনো জ্ঞান নেই। জেলা প্রশাসক বলেছেন, তার সাধ্যমতো যতটা করা দরকার ততটা তিনি তো করবেনই, তার চাইতে একধাপ বেশি করার চেষ্টা করবেন।

বেশ কয়েক মাস আওয়ামী ঘরানায় শুদ্ধি অভিযান চলছে। প্রথম ছাত্রলীগ, তারপর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ঢাকা মহানগরী- এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাত দেননি। দেশবাসী আশা করেছিল, এতে অভাবনীয় ফল দেবে। কিন্তু আশানুরূপ ফল দেয়নি। এর মধ্যে কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগের সম্মেলন শেষ হয়ে গেছে। যাদের মনোনীত করা হয়েছে তাদের তেমন চিনি না। যুবলীগের সম্মেলনে শেখ ফজলে শামস পরশকে সভাপতি করা হয়েছে। পরশের বাবা শেখ ফজলুল হক মণি ভাইয়ের সঙ্গে আমরা যুবলীগের জন্ম দিয়েছিলাম। শেখ ফজলুল হক মণি একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন। পাকিস্তান সরকার দুবার তার এমএ ডিগ্রি বাতিল করেছিল। তার পরও তিনি এমএ করেছিলেন। আমাকে বড় ভালোবাসতেন। রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব-সংঘাত সব সময়ই থাকে, আওয়ামী রাজনীতিতেও ছিল। সেই রাজনীতির ফসল আমরা। কখনো মণি ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছিলাম কিনা মনে পড়ে না, পক্ষে ছিলাম তাও বলতে পারব না। তবে তার কথা কোনো দিন ফেলিনি। যখন যা বলেছেন দৈববাণী বলে মানার চেষ্টা করেছি। ব্যক্তিগত ব্যাপারে তো কথাই নেই। মার কথা, বাবার কথা, বড় ভাইয়ের কথা যেমন পালন করেছি, মণি ভাইয়ের কথাও সেভাবেই রক্ষা করেছি। স্বাধীনতার পরপর রাজনীতিতে কিছুটা নিষ্ক্রিয় ছিলাম। অনেক কিছুই ভালো লাগত না। ’৭৫-এ আবার বঙ্গবন্ধু সক্রিয় করেছিলেন। ’৭২ থেকে ’৭৫- চারটি বছর কত কী হয়েছে। যুদ্ধের সময় ধলাপাড়া চৌধুরীবাড়িতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গিয়ে একটি গরম চাদর আনায় ১৪-১৫ বছরের এক মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছিল। অথচ স্বাধীনতার পর কতজন কত কোটি টাকা লুটপাট, চুরি-চামারি করেছে যার কোনো হিসাব ছিল না। দু-একবার বঙ্গবন্ধুকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছি। আমিও জ্বলতাম, নেতাও জ্বলতেন। ৭৩ বছর বয়সে আমার জীবনে তেমন কোনো বড় কষ্ট নেই, কোনো অপরাধবোধ নেই। ভুল করিনি তা নয়, অপরাধ করিনি তাও নয়। সব ভুলের জন্য, অপরাধের জন্য সব সময় ক্ষমা চেয়েছি। দাগ কাটার মতো কোনো অপরাধ আমি কোনো দিন করিনি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সেই যুবকের দ- আজও আমাকে পীড়া দেয়। কমান্ডার মনিরের নেতৃত্বে ৩০ জনের দল যখন ধলাপাড়া চৌধুরীবাড়ি অস্ত্র আনতে যাচ্ছিল তখন ছোট্ট একটা কাগজে কমান্ডারকে লিখে দেওয়া হয়েছিল, শুধু অস্ত্র ছাড়া চৌধুরীবাড়ি থেকে কেউ কিছু আনলে তাকে মৃত্যুদ- দেওয়া হবে। একেবারে শেষরাতে মনিরের দল যখন ফিরে আসে দাঁড় করিয়ে গুনতি করতে গিয়ে দেখা যায় সেই ছেলেটির গায়ে গরম চাদর। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, এখন তোমার কী হবে? ছেলেটি বলেছিল, মৃত্যুর হাত থেকে এখন আর কেউ আমাকে বাঁচাতে পারবে না। সত্যিই সেদিন সে বাঁচেনি। অথচ সেই সময়ের ৭০-৮০ টাকার একটা চাদরের জন্য আমাদের হাতে অমূল্য জীবন গেছে। কিন্তু এখন প্রতি পদে পদে আমাদেরই রক্তে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে কত হাজার কোটির সম্পদ লুটপাট হচ্ছে। বেঁচে আছি কিন্তু প্রতিকার করতে পারি না- এটা নিয়ে সত্যিই জ্বলন অনুভব করি।

বেশ কিছুদিন থেকে পিয়াজের জ্বালায় জ্বলছি। যখন ছোট ছিলাম, কেবল পাকিস্তান হয়েছে, তখনকার মুখ্যমন্ত্রী ময়মনসিংহের নান্দাইলের নূরুল আমিন লবণে জ্বলেছিলেন। দুই-দেড় পয়সা সের লবণ হয়েছিল ১৬ টাকা। তার মন্ত্রিত্ব টেকেনি। পরপরই হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দীর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ২৬-২৭ বছরের যুবক শাহনেওয়াজের কাছে জামানতসহ হেরেছিলেন। তারপর উথালপাথাল অনেক গেছে। ’৭০-এর নির্বাচনে আকাশ-বাতাস, স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল সবকিছু ছিল বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে। জাতীয় সংসদের ১৬৯ আসনের আওয়ামী লীগ ১৬৭টি পেয়েছিল। যে দুটি হাতছাড়া হয়েছিল তার একটি নান্দাইলে জনাব নূরুল আমিন, অন্যটি পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজা ত্রিদিব রায়। ’৭০-এ বঙ্গবন্ধুর অনেক সভায় আমি পাগলের মতো ছুটে গেছি। হাজার হাজার লাখো মানুষ। বঙ্গবন্ধু নান্দাইলেও গিয়েছিলেন। সে মিটিংয়ে ৫০-৬০ হাজার লোক হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু সভামঞ্চে আসা পর্যন্ত কিছুই বোঝা যায়নি। বঙ্গবন্ধু সভামঞ্চে এলেন, অন্য দু-একজন বক্তৃতা করলেন। বঙ্গবন্ধু মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে ‘ভাইয়েরা আমার’ বলতেই প্রায় ২৫-৩০ হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে ছাতা ফুটাতে এবং বন্ধ করতে লাগল। আস্তে আস্তে মিটিংয়ের মানুষ ছাতা মাথায় চলে যেতে লাগল। আমরা অবাক হয়ে দেখলাম। কারণ ছাতা মার্কা ছিল নূরুল আমিনের। ৮-১০ হাজার মানুষ শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিল। বঙ্গবন্ধু একবারও নূরুল আমিনের নাম নিলেন না। ৫-৬ মিনিট বক্তৃতা করে চলে এলেন। তার ১৫-২০ কিলোমিটার দূরে ঈশ্বরগঞ্জ। সেখানে অভাবনীয় মিটিং হলো। গৌরীপুরে হলো, হলো মুক্তাগাছা-মধুপুর। সে এক অভাবনীয় উত্তাল নির্বাচনী হাওয়া। নির্বাচনের ফলাফল সবার জানা। তারপর মুক্তিযুদ্ধ, সব শেষে স্বাধীনতা। মনে হয় ’৭৩ সাল। বঙ্গবন্ধুর সরকার লবণ কন্ট্রোল করল। মূল নেতা আমানউল্যাহ। পরে পেপসি কোম্পানির স্বত্বাধিকার হয়েছিলেন। আমানউল্যাহর দক্ষ পরিচালনায় দু-এক মাসের মধ্যেই ৪-৬ আনার লবণ ১০-২০-৫০ টাকায় উঠে গেল। মাকে নিয়ে একবার ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল আসছিলাম। রহিমা-শুশু-শাহানা-আজাদ-মুরাদ-বেলাল ছিল। আমিনবাজার পার হয়ে ফাঁকা জায়গায় কয়েকজন আমড়া বেচছিল। রহিমা-শুশু-শাহানা আমার সঙ্গে বেরোলে ফুসকা-চটপটি এটাওটা খাওয়া নিয়ে পাগল করে ফেলত। মান্য করত যে রকম চাওয়া-পাওয়ার দাবিও ছিল তেমন। ওদের কোনো দাবি ফেলতে পারতাম না। এখন যেমন কুশির মুখ থেকে কথা পড়ার আগেই পালন করা হয় তেমন ছিল রহিমা-শুশু-শাহানা-আজাদ-মুরাদ-বেলাল। কে যেন আমড়া কিনতে গিয়েছিল। ৮-১০টা আমড়া এনে গাড়িতে দিতেই রহিমা অথবা মা আরেকটু লবণ চেয়েছিল। তখন আমিও গিয়েছিলাম আমড়াওয়ালার কাছে। একটু লবণ চাইতেই আমড়াওয়ালা বলেছিল দুটা আমড়া বেশি নিয়ে যান, কিন্তু লবণ দিতে পারব না। ২০-৩০ টাকা হয়েছিল আমড়ার দাম। আমি আরও ২০ টাকা তার হাতে গুঁজে দিয়ে একমুঠ লবণ নিয়ে এসেছিলাম। ওর চার-পাঁচ দিন পর ধনবাড়ী গিয়েছিলাম এক জনসভায়। ধনবাড়ী যাওয়ার পথে আড়াইটা-তিনটার দিকে ঘাটাইলের কদমতলী হাটে দক্ষিণ থেকে উত্তরে যাওয়ার পথে লবণ ৫০ টাকা, শেষ মাথা উত্তরে ৬০ টাকা। সাতটা-সাড়ে সাতটার দিকে ফিরছিলাম। তখন ভাঙা হাট, দোকানিরা সবকিছু গুটিয়ে চলে যাচ্ছেন। শুনলাম লবণের দাম ৯০ টাকা। যাওয়ার পথে এ মাথায় ৫০, ও মাথায় ৬০ টাকা, ফেরার পথে ৯০ টাকা। এই ছিল লবণ। এ যেন রকেটে চড়ে দাম বাড়া। বঙ্গবন্ধু অস্থির হয়ে উঠেছিলেন। এর চার-পাঁচ দিন পর আমানউল্যাহকে গ্রেফতার করে লবণের কন্ট্রোল তুলে দেওয়া হলো। রাতে লবণের কন্ট্রোল তোলা হয়েছিল পরদিন ৪০-৫০ টাকার লবণ ১০ টাকায় নেমেছিল। পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যেই আড়াই-তিন টাকা। আর এই সেদিন গুজব ছড়িয়ে ১০-১৫ টাকার লবণ কয়েক ঘণ্টা ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাকে কী বলি! ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। কোনো সুপ্রতিবেশীর সঙ্গে এমন তঞ্চকতা করতে পারে, যা ভাবনারও বাইরে। হঠাৎই বলা নাই কওয়া নাই বাংলাদেশে পিয়াজের চালান বন্ধ! কোনো সভ্য দেশে এভাবে কি কিছু হয়! বছরের পর বছর দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে। এখনো কত জিনিস ভারত রপ্তানি করছে। হঠাৎ করে পিয়াজ বন্ধ! এ কেমন কথা? ভারতের কোনো কোনো জায়গায় পিয়াজের দাম ৬-১০ টাকা, বাংলাদেশে ২৫০ টাকা! ভারত এখনো মালদ্বীপে পিয়াজ রপ্তানি করছে, কিন্তু বাংলাদেশে নয়। কারণ বাংলাদেশ ভারতের পরম বন্ধু রাষ্ট্র। অথচ আচরণটা কেমন সবাই দেখছে। সরকারেরও বলিহারি যাই, একসময় বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন ’৬৯-এর ছাত্র-গণ আন্দোলনের মহানায়ক তোফায়েল আহমেদ। তার আগে বিএনপি আমলে ধনবান চট্টগ্রামের আমীর খসরু। এখন বাণিজ্যমন্ত্রী রংপুরের টিপু মুনশি; যার একটা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হওয়ার দক্ষতা নেই। তিনি বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী! তিনি একসময় বললেন, ১০০ টাকার নিচে পিয়াজের দাম নামতে অসুবিধা আছে। মাসখানেক আগে দাম নামবে না। সেদিন আবার কয়েক জায়গায় দেখলাম ৭-১০ বস্তা পিয়াজের জন্য মোবাইল কোর্ট শাস্তি দিয়েছে। অথচ ৭০০ কিংবা ৭০০০ বস্তার জন্য কোনো জবাবদিহি নেই। কার্গো বিমানে পিয়াজ আসবে, আসছে এসব শুনে ক্যালকুলেটর নিয়ে বসে ছিলাম। হিসাব করে দেখলাম কেজিতে ৫-১০ টাকা লাভ করে কার্গোতে পিয়াজ এনেও ৬০-৭০ টাকায় দেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের দেশে ২০০-২৫০ টাকা। ডাঁটাওয়ালা দেশি পিয়াজ নামায় দাম কিছুটা নেমেছিল। আবার দু-তিন দিন যাবৎ পিয়াজের দাম ওপরের দিকে। বুঝতে পারলাম না এ পর্যন্ত কেউ বাজারে গিয়ে পিয়াজ ছাড়া বাড়ি ফিরেছে, কোন বাজারে বা দোকানে পিয়াজের কোনো অভাব ছিল? দেশে পিয়াজের অভাব হয়েছে, পাওয়া যায় না তাই দাম বেশি এমন হলে না হয় সান্ত্বনা পাওয়া যেত। কিন্তু তেমন তো নয়। সব জায়গায়ই পিয়াজ পাওয়া যায় শুধু দাম চড়া। যা কখনো কল্পনাও করা যায়নি। মাস গড়িয়ে যাচ্ছে এমনকি মাসেরও বেশি তাই এসব নিয়ে একটু খোঁজখবর করছিলাম। পিয়াজ নিয়ে এই পিয়াজি কারা করছে এখন তো দেখছি পিয়াজের সঙ্গে যারা পিয়াজি করছে তারা প্রায় সবাই সরকারি সমর্থক। দু-একজন বাইরের হলেও বেশিসংখ্যকই সরকারের সমর্থক। সাদা কথা- এই সুযোগে কিছু কামিয়ে নেওয়া। মানুষের পকেট খালি করতে পারলে কেউ ছাড়ে? তাই এরাও ছাড়েনি। আপন তালে কামিয়ে নিচ্ছে। লাভ যাদেরই হোক ক্ষতি হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। পার্লামেন্টারি গভর্নমেন্টে কোনো মন্ত্রণালয়ের ভুল হলে, কোনো বিভাগের প্রতি মানুষ অতিষ্ঠ হলে তাকে বাদ দিয়ে বা সরিয়ে সরকার আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে ধীরে ধীরে এমন একটা অবস্থা হয়েছে বিশেষ করে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার সময় অন্য কোনো নেতানেত্রীর ভালোমন্দ নিয়ে মানুষ কোনো বিবেচনা করে না। এখন ভালো হলেও শেখ হাসিনার, খারাপ হলেও শেখ হাসিনার। আসলেই আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এক মহাসংকটে। যে যাই করুক সব দায় গিয়ে পড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর।

গত সপ্তাহে সবচাইতে আলোচিত বিষয় ছিল ভারত-বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি এবং কলকাতা ইডেনে টেস্ট ক্রিকেট। প্রথম শুনেছিলাম ইডেনের টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হবেন। কিন্তু আদতে তা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে উদ্বোধন করেছেন। কলকাতা নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কেন্দ্রীয় একজন মন্ত্রী, এমনকি কর্মকর্তা উপস্থিত হননি। আমার কথাগুলো হয়তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভালোভাবে নিতে চাইবেন না। বঙ্গবন্ধুকন্যা, আমার বোনের অসম্মান সেজন্য বলছি। মনে হয় আমাদের ক্রিকেট দলকে দুমড়ে-মুচড়ে একাকার করে ফেলা হয়েছে। তা না হলে ভারতের সঙ্গে খেলার আগে এমন উথালপাথাল হবে কেন? সাকিব আল হাসানকে বাদ দিয়ে বা বাদ দেওয়ার মতো পরিবেশ আমরা করলাম? একসময় আমার মনে হতো জিল্লুর ভাইয়ের ছেলে পাপন খুবই নিবেদিত। সত্যিই এবার আমাদের টিমের ভারত সফরে খুবই লজ্জা পেয়েছি। কীভাবে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে গিয়েছিল, মনে হলো সব জয় করে ফেলেছে। এটা ভালো না। স্বাধীনতার পরপর ভারতীয় এক কাবাডি টিম এসেছিল। বাংলাদেশে ৪০টি জায়গায় তারা খেলেছিল। এক টাঙ্গাইল ছাড়া ৩৯টিতে দারুণভাবে জয়ী হয়েছিল। টাঙ্গাইল পার্কে যখন খেলা হয় চারদিক থেকে দর্শক ভেঙে পড়েছিল। দুরুদুরু বুকে নিজেও গিয়েছিলাম। টাঙ্গাইলের দলের কাছে সেদিন ভারতীয় দল দাঁড়াতেই পারেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা, আমার প্রিয় বোন ইডেনে উপস্থিত থেকেও আমাদের দলের রান ১০৬- এটা ভাবা যায়। একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী খেলোয়াড়দের পাশে তার পরও ১০৬! ৬০৬ হলে ভাবা যেত। যদিও আজকাল একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী কাকে বলে, সে যে কত বড় পদ কত বড় মহিমা আমরা কেউ তা ভাবতে চাই না। এখনো যদি পাকিস্তান থাকত আর আমরা তাদের গোলাম থাকতাম তাহলে প্রধানমন্ত্রী পদের মর্যাদা বুঝতাম, যিনিই প্রধানমন্ত্রী হোন তাকে বুঝতাম। দেশের কারও আমাদের টিমের এমন বিপর্যয় কাম্য নয়। ভারত আমাদের চাইতে ভালো হতে পারে, কিন্তু ইনিংস পরাজয়ের মতো অপদার্থ আমরা নই। এসবের জন্য কারা দায়ী, কেন এমন হলো- তা একটু তদন্ত করে দেখা দরকার। আমাদের ছেলেদের মুক্তবিহঙ্গের মতো হাত খুলে খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্যাপারটা দেখবেন।

পাকিস্তানের ক্রিকেট খেলোয়াড় মোহাম্মদ হানিফ এক ইনিংসে দুই দিন ব্যাট করতেন। রান করতেন ৪০-৫০। অনেকবার ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। আর ৪৭ মিনিটে আমাদের দিন শেষ। আমরা দুবার খেলেও ভারতের একবারের সমান রান করতে পারিনি। বড় লজ্জা করে, অপমানবোধ হয়। ইডেনের খেলায় আপনি শরিক হয়েছিলেন। শুনলাম নরেন্দ্র মোদির দাওয়াতে আপনার এই ভারত সফর। তিনি এলেন না, তার কোনো মন্ত্রী এলেন না, এমনকি কেন্দ্রীয় কোনো কর্মকর্তাও এলেন না। আপনি বঙ্গবন্ধুকন্যা, আপনাকে অপমান-অসম্মান করলে বুকে বাজে তাই বলি। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু লন্ডনে গিয়েছিলেন। সেখানে সমস্ত প্রটোকল ভেঙে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ তার হোটেলে দেখতে গিয়েছিলেন। ঢাকায় আসার জন্য রাজকীয় বাহিনীর মর্যাদাপূর্ণ বিমান দিয়েছিলেন। দিল্লির সেদিনের পালাম বিমানবন্দরে ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি ও মহীয়সী নারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী স্বাগত জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে ক্রেমলিনে নিতে রাশিয়া বিমানবন্দরে ব্রেজনেভ স্বয়ং উপস্থিত হয়েছিলেন। আলজেজিরায় মার্শাল টিটো তাকে গ্রহণ করেছিলেন। বিষয়গুলো তো আপনার ভুলে যাওয়ার কথা নয়। একটু ভেবে দেখবেন আপনার সম্মানের সঙ্গে দেশের সম্মান যে জড়িত।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
ফের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা
ফের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৬ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

চ্যাটজিপিটির গ্রুপ চ্যাট এখন সারা বিশ্বের ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত
চ্যাটজিপিটির গ্রুপ চ্যাট এখন সারা বিশ্বের ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত

৭ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ দক্ষতা-পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে’
‌‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ দক্ষতা-পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে’

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

পুরস্কার নিতে ভেনেজুয়েলা ছাড়লে পলাতক হবেন মাচাদো
পুরস্কার নিতে ভেনেজুয়েলা ছাড়লে পলাতক হবেন মাচাদো

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বৃদ্ধ ও কিশোরের
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বৃদ্ধ ও কিশোরের

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

খাগড়াছড়িতে উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ
খাগড়াছড়িতে উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নরসিংদীতে ভূমিকম্পে বাবা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক আহত
নরসিংদীতে ভূমিকম্পে বাবা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক আহত

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে ভূমিকম্পে বৈদ্যুতিক তারের ঘর্ষণে তুলা কারখানায় আগুন
নারায়ণগঞ্জে ভূমিকম্পে বৈদ্যুতিক তারের ঘর্ষণে তুলা কারখানায় আগুন

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পানির খোঁজ বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী অভিযান
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পানির খোঁজ বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী অভিযান

৫২ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

ভূমিকম্পে শেকৃবির ৩ হলে বড় ফাটল
ভূমিকম্পে শেকৃবির ৩ হলে বড় ফাটল

৫৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত
দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাটমোহরে রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
চাটমোহরে রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে হতাহতদের জন্য তারেক রহমানের শোক
ভূমিকম্পে হতাহতদের জন্য তারেক রহমানের শোক

৫৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের ৩ ক্রিকেটার
আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের ৩ ক্রিকেটার

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুবাইয়ে তেজস যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত
দুবাইয়ে তেজস যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বসুন্ধরা শুভসংঘের বই উপহার পেল ময়মনসিংহের পাঠগৃহ ক্যাফে
বসুন্ধরা শুভসংঘের বই উপহার পেল ময়মনসিংহের পাঠগৃহ ক্যাফে

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সেনাকুঞ্জে বেগম খালেদা জিয়া
সেনাকুঞ্জে বেগম খালেদা জিয়া

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে গুলির মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
চট্টগ্রামে গুলির মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসায় নিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশনা
ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসায় নিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশনা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাইবান্ধা স্টেডিয়াম পরিদর্শনে বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর
গাইবান্ধা স্টেডিয়াম পরিদর্শনে বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩০ নভেম্বর থেকে ফের কর্মবিরতির ঘোষণা প্রাথমিকের শিক্ষকদের
৩০ নভেম্বর থেকে ফের কর্মবিরতির ঘোষণা প্রাথমিকের শিক্ষকদের

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প: সোনারগাঁয়ে প্লাস্টিক গোডাউনে আগুন, আহত ২
ভূমিকম্প: সোনারগাঁয়ে প্লাস্টিক গোডাউনে আগুন, আহত ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘সাইয়ারা’ নায়িকার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন নায়ক
‘সাইয়ারা’ নায়িকার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন নায়ক

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইরানের পারমাণু ইস্যুর রাজনৈতিক সমাধান চায় রাশিয়া
ইরানের পারমাণু ইস্যুর রাজনৈতিক সমাধান চায় রাশিয়া

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩৬৭ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ
৩৬৭ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হবিগঞ্জে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
হবিগঞ্জে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প প্রতিরোধে এখনই জরুরি ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করা উচিত : জাহিদ
ভূমিকম্প প্রতিরোধে এখনই জরুরি ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করা উচিত : জাহিদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক
সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?

২৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মিলে তৈরি করছে শান্তিচুক্তির খসড়া, বিপাকে ইউক্রেন
রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মিলে তৈরি করছে শান্তিচুক্তির খসড়া, বিপাকে ইউক্রেন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট
রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট

পেছনের পৃষ্ঠা

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা
কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা

শোবিজ

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

সম্পাদকীয়

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা