রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

আল্লাহ শুদ্ধভাবে নামাজ আদায়কারীদের সুরক্ষা দেন

জিয়া বিন মহিউদ্দিন

আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। ইসলামী পরিভাষায় শরিয়তের নিয়ম মোতাবেক এক বিশেষ পদ্ধতিতে আল্লাহর গুণগান করা, রুকু-সিজদাসহ তাঁর ইবাদত করাকে নামাজ বলে। নামাজ একটি ফরজ ইবাদত। বান্দার জন্য তা অবশ্যপালনীয়। শুদ্ধভাবে যারা নামাজ আদায় করেন, আল্লাহ তাদেরকে জীবনের সব ক্ষেত্রে সুরক্ষা দেন।

আল কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আপনি আপনার পরিবারের লোকদের নামাজের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোনো জীবনোপকরণ চাই না; আমিই আপনাকে জীবনোপকরণ দিই আর আল্লাহভীরুতার পরিণাম শুভ।’ সূরা তোয়াহা, আয়াত ১৩২। অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে, ‘অতএব তারা যেন এই ঘরের (বায়তুল্লাহ) পালনকর্তার উপাসনা করে। যিনি তাদের ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং ভীতি থেকে নিরাপত্তা দান করেছেন।’ সূরা কুরাইশ, আয়াত ৩-৪। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহতায়ালা বলেন, হে আদমসন্তান! তুমি নিজেকে আমার ইবাদতের জন্য মুক্ত করে দাও, আমি তোমার বক্ষকে ঐশ্বর্য ও অভাবহীনতা দ্বারা পূর্ণ করে দেব। তোমার দারিদ্র্য ও অভাব দূর করে দেব। আর যদি তা না কর, তবে আমি তোমার অন্তরকে ব্যস্ততা দ্বারা পূর্ণ করব এবং তোমার দারিদ্র্য দূর করব না।’ তিরমিজি, ইবনে কাসির।

উবাদা ইবনে সামেত (রা.) বর্ণনা করেন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে লোক নিখুঁতভাবে অজু করে নামাজে দাঁড়ায়, রুকু-সিজদা সঠিকভাবে আদায় করে এবং কিরাত বিশুদ্ধভাবে পাঠ করে নামাজ শেষ করে, নামাজ তাকে বলে, তুমি আমাকে হেফাজত করেছ, আল্লাহও তেমনিভাবে তোমাকে রক্ষা করুন। অতঃপর ওই নামাজ আলোর আভা ছড়াতে ছড়াতে ঊর্ধ্বপানে উঠতে থাকে। তার জন্য আসমানের দরজাগুলো খুলে যায়। অতঃপর তা আল্লাহর সমীপে পৌঁছে সেই নামাজির জন্য সুপারিশ করে। আর যদি (এর বিপরীত) রুকু-সিজদা ও কিরাত সঠিক ও বিশুদ্ধভাবে সম্পন্ন না করে, তবে নামাজ তাকে বলে, তুমি যেমন আমাকে বিনষ্ট করলে, অনুরূপ আল্লাহও আমাকে ধ্বংস করুন। অনন্তর তা অন্ধকারে আচ্ছন্ন অবস্থায় ঊর্ধ্বপানে উঠতে থাকে। তার জন্য আসমানের দুয়ারগুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই নামাজকে পুরনো কাপড়ের মতো গুটিয়ে নামাজির মুখে ছুড়ে মারা হয়।’ বায়হাকি।

                লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক।

সর্বশেষ খবর