সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে ডিজিটাল বার্থিং

বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে

চট্টগ্রাম বন্দরে বার্থিং বা জাহাজ ভেড়ানোর ক্ষেত্রে অচিরেই সনাতন পদ্ধতির বদলে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হতে যাচ্ছে। এ পদ্ধতি চালু হলে জাহাজ বার্থিংয়ে আগের চেয়ে সময় কম লাগবে। প্রতিটি জাহাজ ভেড়ার আগে শিপিং এজেন্টদের বন্দর ভবনের বার্থিং সভায় উপস্থিত থাকতে হবে না। ৩৪ বছরের পুরনো পদ্ধতি বদলে জাহাজ বার্থিংয়ের ক্ষেত্রে ডিজিটাল যুগে প্রবেশের জন্য এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ডিজিটাল বার্থিং পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হতে আরও কিছুদিন লাগবে। এখনো শিপিং এজেন্টগুলো তাদের জাহাজের সব ডাটা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়নি। ডিজিটাল বার্থিংয়ে ব্যবহৃত সফটওয়্যারে জাহাজের ডাটা ইনপুট করা শেষে নতুন পদ্ধতি চালু করা সম্ভব হবে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে জাহাজ বার্থিং হলে একদিকে সময় সাশ্রয় হবে, ভোগান্তি কমবে, অন্যদিকে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে। এতে বন্দর জেটিতে থাকা জাহাজ ও বন্দর জলসীমায় থাকা সব জাহাজের তথ্য হালনাগাদ থাকবে। এ পদ্ধতিতে জাহাজের গড় অবস্থানও কিছুটা কমে আসবে। নতুন এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা জাহাজের তথ্য দেবেন শিপিংলাইন বা এজেন্টরা। এর পরই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্থিংয়ের অনুমতি মিলবে। বিশ্বের নেতৃস্থানীয় সব উন্নত দেশের সমুদ্রবন্দরে আগে থেকেই এ পদ্ধতি চালু রয়েছে। নতুন এ পদ্ধতির এখন পরীক্ষামূলক কাজ চলছে। সফটওয়্যার অপারেটিং বা অন্যান্য ক্ষেত্রে কোনো ভুলত্রুটি থাকলে সংশোধন করা হচ্ছে। নতুন পদ্ধতিতে সব তথ্য সফটওয়্যারে আপগ্রেড থাকলেই সে জাহাজ ডিজিটাল পদ্ধতিতে বার্থিং নিতে পারবে, তার আগে নয়। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের প্রধান সামুদ্রিক বন্দর এবং এ বন্দর থেকে দেশের আমদানি-রপ্তানির বৃহৎ অংশ সম্পন্ন হয়। জাহাজ বার্থিংয়ে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হলে এ বন্দরের কাজকর্মে গতি আসবে। তথ্য হালনাগাদের কারণে সময় ক্ষেপণ এড়ানো যাবে। এতে লাভবান হবেন দেশের ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম বন্দরের কাজকর্মে গতি বাড়লে বন্দর ব্যবহারকারীদের কাছে এর সুনামও বাড়বে। স্মর্তব্য যে, চট্টগ্রাম বন্দর এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ব্যস্ত সামুদ্রিক বন্দর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রতি বছরই বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাড়ছে। ডিজিটাল বার্থিংব্যবস্থা বন্দরের সক্ষমতাকে আরও বাড়াবে বলে আশা করা যায়।

সর্বশেষ খবর