শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২০ আপডেট:

কেন আমার মৃত্যু হলো না?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
কেন আমার মৃত্যু হলো না?

সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে রেডিও-টিভি এবং প্রার্থীরা বড় বেশি উতালা। বিশেষ করে মেয়রপ্রার্থী আওয়ামী লীগ-বিএনপির দুই দুই চারজন সারা শহর চষে বেড়ানোর চেষ্টা করছে। প্রতিশ্রুতির শেষ নেই। দেওয়া প্রতিশ্রুতির একশ ভাগের দশ ভাগও কেউ যদি বাস্তবায়ন করতে পারেন কোনো সমস্যা থাকবে না। জয়ের জন্য নির্বাচনী প্রার্থীরা যত প্রতিশ্রুতিই দেন ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়রদের হাতে সেসব সমস্যা সমাধানের কোনো ক্ষমতা নেই। টাকা-পয়সা কিছু থাকলেও ঢাল-তলোয়ারহীন তারা নিধিরাম সর্দার। যা কিছু ক্ষমতা সবই সরকারের হাতে, জনপ্রতিনিধিদের হাতে এখন কোনো ক্ষমতা নেই। প্রশাসনের কাছে আগে জনপ্রতিনিধিদের যথেষ্ট সম্মান ও গুরুত্ব ছিল। এখন তার লেশমাত্রও নেই। আমি নির্বাসনে থাকতে এরশাদের সময় উপজেলা হয়েছে। সখিপুরের প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী মাস্টার। এখনকার ইউএনও তখন ছিল টিএনও। টিএনও-র সঙ্গে চেয়ারম্যানের বনিবনার অভাব হওয়ায় একদিনে চেয়ারম্যান তাকে সখিপুর থেকে বিদায় করেছিলেন। তখন টিএনওর বদলির ক্ষমতা ছিল চেয়ারম্যানের হাতে। এখন মনে হয় ইউএনও-ই চেয়ারম্যানকে বাতিল বা বরখাস্ত করতে পারেন। শুনছি আমার স্নেহের লেবু মোটামুটি ভোট পেয়েই নির্বাচিত হয়েছে। তার সঙ্গে ইউএনওর বনিবনা হচ্ছে না। শুধু তার সঙ্গে কেন ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গেও না। কিন্তু ইউএনও বহাল তবিয়তে ছড়ি ঘুরিয়ে চলেছেন। কারণ সরকারি ক্ষমতা তার হাতে। এ ব্যাপারে ডিসির কাছে জানার জন্য কয়েকবার ফোনে চেষ্টা করেছিলাম। ভদ্রলোক ঢাকায় মিটিংয়ে ছিলেন। তিনিও ২-৩ বার ফোন করেছেন আমি ধরতে পারিনি। ব্যাপারটা এমন হয়েছিল আমি ফোন করি তো তাকে পাই না, তিনি ফোন করেন তো আমাকে পান না। কয়েক দিন কেটে গেলে আর খোঁজ করিনি। তবে ডিসিকে যখন যে কাজে ফোন করেছি খুবই সম্মানের সঙ্গে করার চেষ্টা করেছেন। অনেক সরকারি নেতা দেখা হলে কেউ দাদা, কেউ নেতা, কেউ ভাই বলে অভিযোগ করে, আপনি ভালোই আছেন। আপনার কথা তবু আমলা-ফইলারা শুনে, আমাদের কথা তো দারোগা-পুলিশ-সরকারি কর্মকর্তারা শুনতেই চায় না, শোনে না। সেটা এমপি হোক আর মন্ত্রী হোক সবার ব্যাপার এক সমান। তাই সিটি করপোরেশন কী করবে। কদিন আগে পুরনো ঢাকায় গিয়েছিলাম। দু-এক জায়গায় অভিযোগ শুনলাম পোস্টার লাগাতে পারছে না। সরকারি দল ছিঁড়ে ফেলছে। ছোটখাটো পোস্টার ছিঁড়াছিঁড়ি সব সময়ই হয়। কিন্তু সেখানে নির্বাচন কমিশন অথবা সরকারের ইন্ধন থাকলে সেটা মারাত্মক ব্যাপার। নির্বাচন কমিশন আন্তরিকভাবেই এসব অপকর্ম রোধ করার চেষ্টা করবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তা যদি না হয় সেটা স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য এক বিষফোঁড়া। বাংলাদেশ এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয়েছে। অনেকে একে মুক্তিযুদ্ধ বলেন। কিন্তু যুদ্ধটা মুক্তিযুদ্ধ না স্বাধীনতা যুদ্ধ এ ব্যাপারে আমি এখনো পরিষ্কার না। মুক্তিযুদ্ধ হলে তো আমরা এসব অব্যবস্থা থেকে সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক সর্বক্ষেত্রে মুক্তি পেতাম। তা তো পাইনি। বরং অযোগ্য অদক্ষতা আমাদের চারদিক থেকে অক্টোপাসের মতো চেপে ধরেছে। যে দেশের জন্মের বেদনার সঙ্গে জড়িত ছিলাম সেই দেশের একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এত অদক্ষতা ও অযোগ্যতায় নিমজ্জিত হতে পারে ভাবাই যায় না। নির্বাচন কমিশন ৩০ ডিসেম্বরের মতো ৩০ জানুয়ারি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন ঠিক করেছিল। কেমন অপদার্থ তারা। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ যেখানে একই সঙ্গে হিন্দু-মুসলমানের রক্ত ঝরেছে। পাকিস্তানি হানাদারদের কাছে তখন হিন্দুরা ছিল বলির পাঁঠা। কোনো অপরাধের প্রয়োজন পড়ত না, শুধু হিন্দু হওয়ার কারণে কত হাজার মানুষকে যে মারা হয়েছে তার হিসাব নেই। একটি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের দিন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন ক্যালেন্ডারও দেখলেন না, পঞ্জিকাও দেখলেন না। ঘরে বসে পালন করার মতো পূজা নয়, হিন্দু সমাজের সব থেকে বড় দুর্গাপূজা, দ্বিতীয়টি বিদ্যাদেবী সরস্বতী। ছাত্র থাকতে পাড়ার সরস্বতী পূজায় অংশগ্রহণ করেছি, স্কুলে পূজার প্যান্ডেল বানিয়েছি। আর সেই পূজার দিনে ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। তারিখ পিছানোর জন্য হিন্দু সম্প্রদায় হাই কোর্টে গেল, আমরণ অনশন করল তারপর নির্বাচনের তারিখ দুই দিন পেছালেন। এ কাজটি কিন্তু অনেক আগেই করতে পারতেন। এসব অদক্ষতার পরিচয়। আমাদের প্রয়োজন ছিল দক্ষ নির্বাচন কমিশন, আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন নয়। আমাদের দরকার ছিল বুক চিতিয়ে অহংকার করার মতো বিচার বিভাগ, শক্তিশালী নীতিবান প্রশাসন। কেন যেন ধীরে ধীরে সব কিছু হারিয়ে যাচ্ছে। রেডিও-টিভিতে সারা দিন নির্বাচন নিয়ে যা দেখছি দলীয় প্রচারকরা যা করছেন মানুষের মধ্যে তেমন সাড়া নেই, তেমন আলোচনা নেই। বেশ কিছুদিন বাড়ি ভাঙচুর চলছে। তাই কোনো কিছুই সিজিল-মিছিল নেই। সর্বত্র অব্যবস্থা। লোকজন ভালো করে দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারে না, কথা বলতে পারে না। তবু চলছে। কয়েক দিন আগে কেবলই নাস্তা খেতে বসেছি। আমার সকালের নাস্তা খুবই সাদামাটা। দুই ধরনের সবজি, ২-৩টা ছোট্ট রুটি, কখনো একটা ডিম। ইদানীং কেন যেন খেতে ইচ্ছে করে না। তেমন কোনো কষ্ট নেই। কিন্তু খেতে বসলেই মনে হয় খাওয়া হয়ে গেছে। সেদিনও তেমনটাই হয়েছিল। এক টুকরা রুটি হাতে নিয়েছি এমন সময় কাগজ হাতে একজন হাজির। আমি কিছু বলার আগেই কে যেন তাকে নিচতলায় নিয়ে গেল। নিচতলায় বসার ভালো জায়গা নেই। নাস্তা খেয়ে আধঘণ্টা পর নিচে নেমে দেখি সে দাঁড়িয়ে আছে। কী ব্যাপার জিজ্ঞেস করতেই একটা বই এবং কিছু কাগজ দিল। তাকিয়ে দেখি ‘মুক্তিযুদ্ধ ৭১-মির্জা মো. এছ্হাক’ ৪৯ পৃষ্ঠার বই। দেখতে চমৎকার। বারবার বলছিল, ‘স্যার, বইয়ে অনেক ভুল আছে।’ এক নিঃশ্বাসে পড়েছিলাম। সত্যিই অনেক ভুল আছে। কিন্তু তবু বইটি এক অমূল্য সম্পদ। বানান ভুল, গাঁথুনি ভুল, তারিখ ভুল, এক জায়গার ঘটনা আরেক জায়গায়। কিন্তু তবু অনেক সত্য আছে। যার মূল্য অমূল্য। আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধের ওপর বই লেখা এক জাতীয় দায়িত্ব। প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধা যদি একটি করে বই লিখত কাদেরিয়া বাহিনীর সব সদস্য একটি করে বই লিখে নিজেরাই যদি কাদের সিদ্দিকী হতো তবু আমার আপত্তি ছিল না। অমন হলে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে শকুনীর টানাটানি এটা হতে পারত না। মুক্তিযুদ্ধ ৭১-এ কিছু না থাকলেও লেখক মির্জা মো. এছ্হাককে আমি ধন্যবাদ দিতাম। তারা কয়েক বন্ধু ট্রেনিং নিতে ভারতে যাওয়ার জন্য যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিল সেটুকুতেই তার বই এক অমূল্য সম্পদে পরিণত হয়েছে। লেখক লিখেছেন, ভারতে যাবেন রাস্তা খরচ কোথায়? তার কাছে ২০-২৫ টাকা ছিল। ওতে তো ভারত যাওয়া হবে না। তাই গোপালপুরের নলিন হাটে পুরনো বইখাতা ২৫ টাকায় বিক্রি করে। মা জিজ্ঞেস করেন, বাবা, তুমি কাগজপত্র বিক্রি করছ কেন? তুমি কী করবে? এছ্হাক বলে, মা সারা দেশে যুদ্ধবিগ্রহ, আমি ভারতে যেতে চাই। মা খুব কান্নাকাটি করে। মা বলে ওতে তো তোমার ভারত যাওয়া হবে না। মা আন্ডা বেচা ৪০ টাকা দেয়। রওনা হওয়ার আগে বাবাকে জানায়। বাবা খুব কান্নাকাটি করেন। কিন্তু কোনো বাধা দেন না। এছ্হাকরা ৮-৯ জন রওনা হয়। বাড়ি থেকে বাহাদুরাবাদ ঘাটের কাছে কাবলি বাড়ির এক চেয়ারম্যানের বাড়িতে ওঠে। বাড়ির মালিক নলিন-অর্জুনা চিনে। বিশেষ করে অর্জুনার বহুদিনের চেয়ারম্যান মতিয়ার কাজীর পরিচয় পেয়ে সে নৌকা ঠিক করে দেয়। প্রত্যেকের ভাড়া ১০ টাকা। উজান বেয়ে ৩ দিনে তারা মহেন্দ্রগঞ্জ পৌঁছে। সেখানে ১-২ দিন চিড়া-মুড়ি খেয়ে ইয়ুথ ক্যাম্পে জায়গা পায়। সেখান থেকে যায় তেলঢালা জিয়াউর রহমানের ব্রিগেডে। সেখানে অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টে কাজ করে। একদিন কাদেরিয়া বাহিনীর এনায়েত করিম দেশে লোক পাঠানোর জন্য ঘাটাইল-গোপালপুর-ভুয়াপুরের ২-৪ জন ট্রেনিংপ্রাপ্ত লোক আনতে বীরউত্তম জিয়াউর রহমানের ক্যাম্পে যায়। সেখান থেকে এছ্হাককে নিয়ে আসে। তাকে দেশে পাঠানো হয়। আর তার অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টে ফিরে যাওয়া হয়নি। সে কাদেরিয়া বাহিনীর কমান্ডার ফেরদৌস আলম রঞ্জুর হিরো কোম্পানির সঙ্গে থেকে যায় এবং নানান জায়গায় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। সে ভারতে থাকার সময়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে এক জায়গায় বলেছে, তারা মাসিক মাসোহারা পেত। মুক্তিযুদ্ধে প্রায় সবাই মাসোহারা পেয়েছে। টাকার পরিমাণ যাই হোক, পেয়েছে। সেনাবাহিনী-ইপিআর-পুলিশ যারাই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার তাদের বেতন দিয়েছে। যারা ইয়ুথ ক্যাম্প বা অন্যান্য জায়গা থেকে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে গিয়েছিল তারাও ৫০ টাকা করে মাসিক ভাতা পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ওপর অনেক বইয়ে এ ভাতার কথা দেখেছি। ১৫-১৬ দিন সীমান্তে ছিলাম। আমি নিজেও সীমান্তের মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ৫০ টাকা ভাতা পেতে দেখেছি। শুধু মুক্তিযুদ্ধে নয়, ১৭৫৭ সালে যে সিপাহি বিপ্লব শুরু হয়েছিল যার শেষ ১৮৫৭ সালে। সেই সিপাহি বিপ্লবের যোদ্ধাদেরও বাহাদুর শাহ জাফর যখন বেতন দিতে পারেননি তখন তারা অনেকে চলে গেছে। অনেকে ইংরেজ শিবিরে যোগ দিয়েছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর কাউকে মাসিক বেতন বা ভাতা দেওয়া হয়নি। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন দেশপ্রেমিক স্বেচ্ছা সৈনিক দল দ্বিতীয়টি ছিল কিনা আমার জানা নেই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনী একমাত্র দল যারা বেতনভুক্ত ছিল না। ছিল দেশপ্রেমে মত্ত। মুক্তিযোদ্ধারা খুব একটা বাড়ি যায়নি। ২-৪ জন মা-বাবাকে দেখতে গেলে যাওয়ার পথে ৫-১০ টাকা নিয়েছে। মনে হয় না ২০ টাকার বেশি কোনো মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালে নিয়েছে বা পেয়েছে। যারা ক্যাম্প থেকে গেছে তারা বেশির ভাগই মা-বাবা যখন বাড়িতে থাকতে পারেনি, বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্য কোথাও গেছে সেই খবর পেয়ে ২-৪ জন যোদ্ধা যাওয়ার অনুমতি পেয়েছে। আমার মনে হয় কাদেরিয়া বাহিনীর ১৮ হাজার যোদ্ধার মধ্যে বড়জোর এক-দেড় হাজার ২-১ দিনের জন্য ক্যাম্প ছেড়ে গেছে। ‘মুক্তিযুদ্ধ ৭১’ বইটিতে বেতন-ভাতার কথা পড়ে ভালো লাগল। ভুল সংশোধন করা গেলে মুক্তিযুদ্ধের ওপর চমৎকার বই হবে। আমি সব সময়ই মনে করি সবার লেখা উচিত। তাতে সভ্যতা স্থায়ী হয়, সময়কে ধরে রাখা যায়।

’৭২-এর ১০ জানুয়ারি দেশের পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল এক ঐতিহাসিক বিজয়। হানাদারদের বিতাড়িত করে বা পরাজিত করেও আমরা পরিপূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারিনি। পিতাকে ছাড়া সবই মনে হচ্ছিল অধরা। তাই ৮ জানুয়ারি করাচি থেকে লন্ডন হয়ে ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানে দিল্লি থেকে তার ঢাকায় আসা ছিল এক ঐতিহাসিক ঘটনা। তাই মুজিব শতবর্ষ ক্ষণগণনায় তেজগাঁও বিমানবন্দরে গিয়েছিলাম। ’৭২ সালের ১০ জানুয়ারি যেখানে লক্ষ কোটি মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি তার মাতৃভূমিতে অবতরণ করেছিলেন। বুঝতে পারলাম না এমন ভুল কী করে হলো। বঙ্গবন্ধু যে রাজকীয় বিমানে এসেছিলেন সেই বিমান না দেখিয়ে একটা মালবাহী বিমান কেন দেখাল? ব্যবস্থাপনা সরকারিভাবে হচ্ছে, না দলীয়ভাবে কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না। একটা প্যান্ডেল ছিল দক্ষিণে, আরেকটা পশ্চিমে। পশ্চিমেরটা দেখে মনে হচ্ছিল পরিত্যক্ত কিছু। যেখানে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন, দেশের বরেণ্য ব্যক্তিরা ছিলেন। কিন্তু তেমন গুরুত্ব ছিল না।

গত ৮ জানুয়ারি মানবজমিনে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি খবরে আমার বুকটা দুমড়ে মুচড়ে একাকার হয়ে গিয়েছিল। মনে হচ্ছিল এসব দেখার আগে কেন মৃত্যু হলো না। খবরটি ছিল, “ত্রিশালে মুক্তিযোদ্ধার মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ। ত্রিশাল ময়মনসিংহ সংবাদদাতা। গতকাল ময়মনসিংহের ত্রিশালে জেলা মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সংস্থার উদোগে তিন শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ স্টাফ কোয়ার্টার মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেজর আফসার বাহিনীর প্রথম যুদ্ধকালীন কমান্ডার চাঁন মিয়া, জেলা মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সংস্থার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রিশাল মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আ. মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমান, হুরমুছ আলী, ফজলুল কবীর চৌধুরী, ইব্রাহীম খান প্রমুখ।” খবরটি যিনি দিয়েছেন নিশ্চয়ই পরম আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দিয়েছেন। মেজর আফসার বাহিনীর প্রথম যুদ্ধকালীন কমান্ডার চাঁন মিয়াকে ঠিক জানি না। তবে আফসার যখন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তখন সে ছিল একজন বিডি মেম্বার। প্রথম আমার কাছে যোগদান করেছিল, বহেরাতলীতে শপথ নিয়েছিল। খুবই ভালো কাজ করেছে। আগস্টে আমি গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত কাদেরিয়া বাহিনীর ৬ নম্বর কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে দুর্দান্ত সফলতার পরিচয় দিয়েছে। মেম্বারকে মেজর হিসেবে কাদেরিয়া বাহিনীই আখ্যায়িত করেছিল। কাদেরিয়া বাহিনীর প্রায় ৯৬ জন মেজরের মধ্যে মেজর আফসার অন্যতম। এরকম মানুষের অবদানেই বাংলাদেশ হয়েছে। আমার কষ্ট এখানে নয়, আমার কষ্ট জেলা মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সংস্থার উদ্যোগে তিন শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ। মহামতি সুকর্নর নেতৃত্বে ইন্দোনেশিয়া স্বাধীন হয়েছিল। স্বাধীনতার পর সুহার্তো ক্ষমতায় এসে সুকর্নকে গৃহবন্দী এবং সুকর্নের নেতৃত্বের প্রায় ১০ লাখ স্বাধীনতা সংগ্রামীকে কচুকাটা করেছিল। আমাদের দেশেও তার খুব একটা ব্যতিক্রম হয়নি। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর বা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ইতিহাস বদলে গিয়েছিল। ১০ লাখ না হলেও ১০’শ মুক্তিযোদ্ধাকে যে মারা হয়নি তা নয়। আমার কষ্ট যে মুক্তিযোদ্ধারা একদিন পাকিস্তানি হানাদারদের পদানত করেছে দিগি¦দিক কাঁপিয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছে তাদের চরম শৈত্যপ্রবাহে শীতবস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে তাদেরই মতো আরেক দল সামর্থ্যবান মুক্তিযোদ্ধা- এখানেই আমার কষ্ট। মুক্তিযোদ্ধারা অসহায় থাকবে কেন, অসহায় হবে কেন। যাদের রক্ত ঘামে স্বাধীনতা তারা যদি অসহায় ভিখারি হয় তাহলে সে দেশের মর্যাদা কোথায়? এখানেই আমার কষ্ট। আমরা তো এখন আর অত ছোট নই। সরকারি উদ্যোগে সরকারি কর্মচারীরা মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সালাম ঠুকে রাষ্ট্রীয় উপহার শীতবস্ত্র দিতে পারেন, ঈদে উপহার পৌঁছে দিতে পারেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারি উপহারও এমনভাবে দেওয়া হয় এ যেন ফকিরকে ভিক্ষে। উপজেলা হেড কোয়ার্টারে মুক্তিযোদ্ধারা গিয়ে ইউএনও অথবা সমাজসেবা অফিসারের অফিসে লাইন করে সেখান থেকে ছাগল-ভেড়া-বকরি-সেলাইয়ের কল যা কিছু হোক দুস্থ গরিব মুক্তিযোদ্ধাদের অথবা তার পরিবার-পরিজনদের দেওয়া হয়। এটা যে কত বেদনাদায়ক ও লজ্জার শান্তভাবে একটু ভাবলেই বোঝা যায়। যতদিন বেঁচে আছি মুক্তিযোদ্ধাদের যথার্থ সম্মানের পরিবেশ সৃষ্টি করে যেতে পারলে ভালো লাগত, নিজেকে সার্থক মনে হতো।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকায় হতে যাচ্ছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন, বর্জন যুক্তরাষ্ট্রের
দক্ষিণ আফ্রিকায় হতে যাচ্ছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন, বর্জন যুক্তরাষ্ট্রের

৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের শীর্ষে মিচেল
ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের শীর্ষে মিচেল

৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাকসু নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান শিক্ষার্থীদের একাংশের
ব্রাকসু নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান শিক্ষার্থীদের একাংশের

৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

চাপের মুখে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করতে যাচ্ছে ইইউ
চাপের মুখে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করতে যাচ্ছে ইইউ

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লালমনিরহাটে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে কেরাত প্রতিযোগিতা
লালমনিরহাটে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে কেরাত প্রতিযোগিতা

১২ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

টেস্টে ৩ হাজার রানের মাইলফলকে লিটন
টেস্টে ৩ হাজার রানের মাইলফলকে লিটন

১৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ওমানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারত
ওমানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারত

১৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে শক্ত অবস্থানে থাকার আহ্বান মঈন খানের
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে শক্ত অবস্থানে থাকার আহ্বান মঈন খানের

১৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

রংপুরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন
রংপুরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধে বিপাকে এয়ার ইন্ডিয়া, চীনের আকাশ ব্যবহারে লবিং
পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধে বিপাকে এয়ার ইন্ডিয়া, চীনের আকাশ ব্যবহারে লবিং

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাইবান্ধায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন
গাইবান্ধায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও সৌদি যুবরাজের সঙ্গে নৈশভোজে রোনালদো
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও সৌদি যুবরাজের সঙ্গে নৈশভোজে রোনালদো

২৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শাকসু নির্বাচন: উস্কানি দিলে ব্যবস্থা
শাকসু নির্বাচন: উস্কানি দিলে ব্যবস্থা

২৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট আনতে গ্রামীণফোন ও বিএসসিএলের চুক্তি
স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট আনতে গ্রামীণফোন ও বিএসসিএলের চুক্তি

২৯ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

জামদানি শাড়ি-শাপলা ফুলের ন্যাশনাল কস্টিউমে মিথিলা
জামদানি শাড়ি-শাপলা ফুলের ন্যাশনাল কস্টিউমে মিথিলা

৩১ মিনিট আগে | শোবিজ

ফিলিপাইনে বিক্ষোভের মুখে দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ
ফিলিপাইনে বিক্ষোভের মুখে দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ

৩২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপে দেড় লাখ জনসংখ্যার দেশ কুরাসাও
ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপে দেড় লাখ জনসংখ্যার দেশ কুরাসাও

৩২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রাখাইনে চীনা প্রকল্পের এলাকায় সংঘর্ষ, ৩০ জান্তা নিহত
রাখাইনে চীনা প্রকল্পের এলাকায় সংঘর্ষ, ৩০ জান্তা নিহত

৪০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অন্ধ কুকুরকে গুলি, ৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন মালিক
অন্ধ কুকুরকে গুলি, ৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন মালিক

৪৫ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

ঝিনাইগাতীতে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
ঝিনাইগাতীতে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ছেলের নাম জানল রাঘব-পরিণীতি
ছেলের নাম জানল রাঘব-পরিণীতি

৪৭ মিনিট আগে | শোবিজ

মাইলফলকের ম্যাচে মুশফিকের ফিফটি
মাইলফলকের ম্যাচে মুশফিকের ফিফটি

৫৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে সৎমা গ্রেফতার
ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে সৎমা গ্রেফতার

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজশাহীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ কর্মীসহ গ্রেপ্তার ১৭
রাজশাহীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ কর্মীসহ গ্রেপ্তার ১৭

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অত্যাধুনিক চীনা সাবমেরিন পাচ্ছে পাকিস্তান, ভারতের আধিপত্যে চ্যালেঞ্জ
অত্যাধুনিক চীনা সাবমেরিন পাচ্ছে পাকিস্তান, ভারতের আধিপত্যে চ্যালেঞ্জ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১১
রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১১

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাকসু নির্বাচন : খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ বৃহস্পতিবার
শাকসু নির্বাচন : খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ বৃহস্পতিবার

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে শুভসূচনা পাকিস্তানের
জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে শুভসূচনা পাকিস্তানের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারী ক্রিকেটারদের নিয়ে লিঙ্গ সংবেদনশীলতা কর্মশালা
নারী ক্রিকেটারদের নিয়ে লিঙ্গ সংবেদনশীলতা কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’
তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উত্তর কুয়েতে ৭,৭০০ বছরের প্রাচীন ভাটির সন্ধান
উত্তর কুয়েতে ৭,৭০০ বছরের প্রাচীন ভাটির সন্ধান

২৩ ঘণ্টা আগে | পরবাস

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের
কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা
তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা