শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

কঠিন বাজি ধরেছে ভারতের বিজেপি সরকার

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
কঠিন বাজি ধরেছে ভারতের বিজেপি সরকার

আগামী দিনের বিশ্ব ব্যবস্থায় ভারত এখন উদীয়মান শক্তি। কিন্তু বিজেপি সরকারের সাম্প্রতিক কিছু পদক্ষেপের জের ধরে ভারতের অভ্যন্তরে চরম বিভাজনজনিত অস্থিরতা ও উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সর্বত্র উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্বের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ইকোনমিস্ট সাম্প্রতিক একটি সংখ্যায় হেডলাইন করেছে, ‘অসহিষ্ণু ইন্ডিয়া-বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের বুকে বিভাজনের রেখাপাত, ২০ কোটি মুসলমান সম্প্রদায়ের মনে ভয় সৃষ্টি হয়েছে ভারত হয়তো হিন্দু রাষ্ট্র হয়ে যাচ্ছে।’ সুতরাং গৃহীত পদক্ষেপ ও উ™ভূত পরিস্থিতির প্রজ্ঞাজনিত মীমাংসা না হলে বিশ্ব অঙ্গনে ভারতের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কারণ বিশ্ব ব্যবস্থার বড় শক্তিকে মানুষ বহুত্ববাদের ধারক বাহক এবং ধর্ম বর্ণের বিবেচনায় একটা বৈষম্যহীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। বিজেপি সরকার কর্তৃক আনীত ও ইতিমধ্যে বলবৎ হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং নাগরিকপুঞ্জ তৈরির ঘোষণায় ধর্মীয় বিভাজনের পদক্ষেপ থাকার কারণেই মূলত ভারতজুড়ে বিরোধী পক্ষের বৃহত্তম প্লাটফরম ও উদারপন্থি মানুষের পক্ষ থেকে দৃঢ়চেতা প্রতিবাদের ফলে অশান্ত উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি এবং সর্বত্র উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার বহির্প্রকাশ ঘটছে। বিজেপি সরকারের এসব পদক্ষেপের কারণে পুরো ভারতবর্ষের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটটি আবার সামনে এসেছে। প্রায় দুইশ বছর পুরো ভারতবর্ষ, আজকের বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ ইন্ডিয়া ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল। তার আগে তেরোশত শতাব্দীর শুরু থেকে সুলতানি ও মুঘল আমল মিলে আরও প্রায় সাড়ে চারশ বছর ভারতবর্ষ শাসনকারী মূল শাসকরাও বিদেশি ছিলেন। তারা এসেছিলেন মধ্য এশিয়া অঞ্চল থেকে। এই শাসকগণ ধর্মীয়ভাবে মুসলমান এবং জাতিগতভাবে বিদেশি হলেও তারা এদেশের সমাজ, সংস্কৃতির সঙ্গে মিলেমিশে এ দেশকেই নিজেদের দেশ মনে করেছেন। এদেশের মানুষকে নিয়ে এবং তাদের দ্বারাই শাসনকার্য পরিচালনা করেছেন। ব্রিটিশদের মতো ভারতবর্ষের ধন-সম্পদ তারা নিজেদের পিতৃভূমিতে পাচার করেননি এবং এদেশকে কখনই উপনিবেশ মনে করেননি। ভারতের কংগ্রেস দলের বর্তমান সদস্য এবং সুলেখক শশী থারুর তার লেখা- ‘ইরা অব ডার্কনেস’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের শুরুতে বিশ্বের মোট সম্পদের শতকরা ২৩ ভাগের অধিকারী ছিল ভারতবর্ষ, আর ব্রিটিশরা যখন চলে যায় এটি নেমে আসে মাত্র শতকরা তিনভাগে। ব্রিটিশ শাসকরা ডিভাইড অ্যান্ড রুল তত্ত্বের ধারায় হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে চরম বিভাজনের বীজ রোপণ করেন। ব্রিটিশদের আগমনের আগ পর্যন্ত ভারতবর্ষে সব ধর্মের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত মনোদর্শন এবং শাসন ব্যবস্থায় বহুত্ববাদের অপার ঐক্যবদ্ধতা ছিল বলেই ভারতবর্ষ তখন বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সম্পদশালী দেশ ছিল, যার উল্লেখ করেছেন শশী থারুর ‘ইরা অব ডার্কনেস’ গ্রন্থে। সুতরাং ঐতিহাসিক দলিল দস্তাবেজের সাক্ষ্যপ্রমাণ বলছে রাষ্ট্র ব্যবস্থার মধ্যে ধর্ম, বর্ণ, জাত-পাত নির্বিশেষে বৈষম্যহীন ঐক্যবদ্ধতার পরিবেশই একটা রাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় শক্তি। ব্রিটিশ ও তার আগে সুলতানি এবং মুঘল আমলে অনেক ঘটনা ওই সময়ের প্রেক্ষাপটে ঘটেছে, যা এ সময়ে এসে আমাদের মনে হতে পারে তা না ঘটলেই ভালো হতো। কিন্তু আজকে কয়েকশ বছর পরে এসে ইতিহাসের চাকাকে রোল ব্যাক করে ওই কয়েকশ বছরের পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে চাইলে তা হবে সম্পূর্ণ বাস্তবতাবিবর্জিত চিন্তা। তাই বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে বড় রকম ভুল পদক্ষেপের মাধ্যমে কয়েকশ বছর পূর্বের ভুল পদক্ষেপকে সংশোধন করতে যাওয়া মানে নতুন করে একটার পর একটা বিপর্যয় ডেকে আনা, যার কোনো শেষ থাকবে না। ইংরেজিতে Fait Accompli কথাটি এ জন্য এসেছে। ভয়ঙ্কর দ্বিজাতিতত্ত্বের পরিণতি আমরা ১৯৪৬-৪৭ সালে দেখেছি এবং এখনো দেখছি। সেটি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে রাষ্ট্রের পরিণতি কী হতে পারে তার জ্বলন্ত উদহারণ আজকের পাকিস্তান। ১৯৪৭ সালে স্বাধীন ভারতের যাত্রার শুরুতে রাষ্ট্রের লিখিত দর্শন এবং শাসকগণের মনোদর্শনে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বহুত্ববাদী দৃষ্টিভঙ্গি থাকার কারণেই ভারত আজ বিশ্ব দরবারে যথা উপযুক্ত নেতৃত্বের স্থান লাভের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। এখন শুধু ভিতরে প্রবেশের অপেক্ষা। তৈরি অবস্থান ভাঙতে সময় লাগে না; কিন্তু পাঁচ-দশ বছরে একটি রাষ্ট্রকে এই অবস্থানে আনা সম্ভব নয়। এই সময়ে এসে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারত আবার সাতচল্লিশ পূর্ব অবস্থার বিতর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। ভারত কি রাষ্ট্রীয় দর্শকসহ দৃশ্যমানভাবে কথায় ও কাজে এবং শাসকগণের মনোদর্শনে ধর্মনিরপেক্ষতার মূল কথা বহুত্ববাদের সৌন্দর্য ও শক্তিকে বজায় রাখবে, নাকি সাতচল্লিশের প্রাক্কালে মুসলিম লীগ, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘসহ (আরএসএস) হিন্দু মহাসভার মতাদর্শের রাজনীতি দ্বিজাতিতত্ত্বের নবরূপে ভারতকে মনোলিথিক হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র বানাবে। এই দুই বিপরীতমুখী দর্শনের কোনটি ভারতের জন্য কল্যাণকর হবে, সেটা নিয়েই বিতর্ক চলছে। ক্ষমতাসীন দল বিজেপি বলছে, তারা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এক নতুন ভারত তৈরি করতে চায়। বিপরীতে বৃহত্তর রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষগুলো থেকে এর তীব্র বিরোধিতা করে বলা হচ্ছে, নতুন ভারতের স্লোগানের ছদ্মবেশে বিজেপি সরকার আসলে আরএসএস ও হিন্দু মহাসভার এজেন্ডা, ভারতকে হিন্দুত্ববাদী ধর্মীয় রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাচ্ছে, যা দেশের জন্য মহাবিপর্যয় ডেকে আনবে। সবচেয়ে কঠিন মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহসভাপতি চন্দ্র কুমার বসু, বলেছেন ভারত আবার ভাগ হতে চলেছে। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আলোচ্য বিতর্কটি শুরু হলেও সাম্প্রতিক সময়ে সরকার কর্তৃক কয়েকটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ সংবেদনশীল বিষয়ে ত্বরিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় সেটিকে ঘিরে এখন অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চরম অনিশ্চয়তা এবং বিস্ফোরণোন্মুখ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ ঠেকাতে পুলিশের গুলিতে দুই ডজনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ৭৩ বছরের স্বাধীনতার ইতিহাসে ভারতের অভ্যন্তরে এত বড় বিভাজন আর কখনো দেখা যায়নি। গত ডিসেম্বর মাসের শুরুতে ভারতের নাগরিকত্ব আইনটি বিজেপি সরকার পার্লামেন্টে তাদের ব্রুট সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে যেভাবে সংশোধন করেছে সেটিকে কেন্দ্র করেই মূলত সমগ্র ভারতব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, সঙ্গে বাবরি মসজিদ-রামমন্দির ইস্যু এবং কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা অবনমনের বিষয়টিও বিক্ষোভ প্রতিবাদের সামনে রয়েছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের মূল ভাষ্য ও কথায় ভারতের মৌলিক শক্তি ধর্মনিরপেক্ষতা ও বহুত্ববাদের শেকড়ে আঘাত করা হয়েছে বলে বিরোধী পক্ষ মনে করছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, শিখ, জৌন, পারসি- এসব ধর্মের মানুষ, যারা পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছে তাদের এই সংশোধনী আইনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। শুধু একটি ধর্মের অর্থাৎ মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষকে আইনের দ্বারা আলাদা করে ফেলা হয়েছে, যা বহুত্ববাদ ও ধর্মনিরপেক্ষ মতাদর্শের সঙ্গে যায় না। আসামে নাগরিকপুঞ্জের চূড়ান্ত ফলাফল দেখার পর সংশোধিত আইনের অন্তর্গত মর্মার্থের ভিতরে লুকায়িত উদ্দেশ্য কী থাকতে পারে তা নিয়েই মূলত সংশয় ও শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে সাড়ে ১৯ লাখ বাদ পড়ার ভিতরে প্রায় ১২ লাখ হিন্দু, এই তথ্য প্রকাশ হওয়ার পরপরই নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই মনে হতে পারে সাড়ে ১৯ লাখের সবাই মুসলমান হলে হয়তো এই উদ্যোগ নেওয়া হতো না। তাই সারা দেশেই নাগরিকপুঞ্জ হওয়ার ঘোষণায় সংশয়-শঙ্কা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কথা সত্য যে, ১৯৪৭ সালের পর থেকে দ্বিজাতিতত্ত্বের পরিণতিতে বহু সংখ্যক হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়েছে। কিন্তু ১৯৪৭ সালের পর বড় সংখ্যক মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়েছে এমন কথার ভিত্তি প্রমাণাদিসহ প্রতিষ্ঠা করা যাবে না এবং সেটি বিশ্বাসযোগ্যও হবে না। বর্ণিত বিধি মোতাবেক কাগজ-দলিল দেখাতে না পারলেই বাংলা ভাষাভাষী মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষকে বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করার সুযোগ আসাম ও পশ্চিম বাংলার বাস্তবতায় ভারতের নেই। আসামের নাগরিকপুঞ্জের কাহিনি, যেখানে সাবেক উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের পরিবার পর্যন্ত বাদ পড়েছে, সেখানে বর্ণিত কাগজ-দলিল না দেখাতে পারার কারণে শেষ পর্যন্ত সারা দেশে কোটি না হলেও কয়েক লাখ মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষকে যদি ঘোষিত বন্দী শিবিরে রাখা হয় তাহলে সেটি গণতান্ত্রিক ভারতের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি এবং আগামী দিনের বিশ্ব নেতৃত্বের প্রত্যাশী ভারতের জন্য কি সহায়ক কিছু হবে? তারপরও সেরকম যদি একান্তই হয় তাহলে বিশাল সংখ্যক মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব হারিয়ে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকতে হবে। এরকম একটা পরিস্থিতিতে কেউ যদি মনে করেন ভারতের জাতীয় নির্বাচনে কোনো আসনে মুসলমান ভোটাররা যেন জয়-পরাজয়ের নির্ধারক না হতে পারে তার একটা পন্থা বের করার জন্যই বিজেপি নিজেদের দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থে এই পদক্ষেপ নিয়েছে তাহলে সে কথাকে খ-ন করা কঠিন হবে। রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে ধর্মকে প্রধান বিবেচ্য করার কারণেই বিতর্ক ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বিজেপি সরকারের দ্বিতীয় বড় পদক্ষেপ, যা নিয়ে একই ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তাহলে ৭২ বছর বলবৎ থাকা জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা প্রদানকৃত ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল। বিজেপি সরকার বলছে কাশ্মীরের মানুষের কল্যাণের জন্যই এটা করা হয়েছে। সন্ত্রাস দমন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং বাইরের বিনিয়োগ এলে কাশ্মীরের উন্নতি হবে। সত্যিকার অর্থে এই উদ্দেশ্য যদি সাধিত হয় তাহলে এটা নিয়ে কারও কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু নাগরিকত্ব আইনের মতো কাশ্মীরের এই ইস্যু নিয়েও ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষগুলো থেকে একই রকম বিরোধিতা করা হচ্ছে। বিরোধী পক্ষের যুক্তি হচ্ছে যে পদ্ধতিতে এই কাজটি করা হয়েছে এবং যা করা হয়েছে তার সব কিছুতেই হিতেবিপরীত হবে। কোন পক্ষ সঠিক তা কেবল সময়ই বলে দিবে। তবে কাশ্মীরের বৃহত্তর জনগণ, আইনসম্মত রাজনৈতিক দল, দলের নেতা কারোর সঙ্গেই বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা হয়নি। বরং নতুন ব্যবস্থা কার্যকরণ করার প্রাক্কালে কাশ্মীরের সব রাজনৈতিক দলের টপ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার ও গৃহবন্দী করা হয় এবং ইন্টারনেট মোবাইল ফোনসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর শাটডাউন আরোপ করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কয়েক হাজার অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য কাশ্মীরে নিয়োগ করা হয়। সব শিক্ষাঙ্গন আপনা আপনিই বন্ধ হয়ে যায়। সব মিলে পুরো কাশ্মীরে একটা ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। সুতরাং নতুন আদেশটির ইনফোর্সমেন্ট পদ্ধতি ও পরিস্থিতি দেখে যে কেউ বলবে এটা কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক কাশ্মীরের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বলে অন্যান্য রাজ্য থেকে মর্যাদায় একধাপ উপরে থাকা বৈষম্যহীন নীতির দর্শনে যৌক্তিক কিনা তা প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে নতুন ব্যবস্থায় ইউনিয়ন টেটিটোরির মর্যাদা দেওয়ায় এখন থেকে অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে কাশ্মীর মর্যাদায় সমান সমানও থাকল না, একধাপ নিচে নেমে গেল। এর ফলে কাশ্মীরের মানুষ ক্ষুব্ধ হলে সেটিকে অস্বাভাবিক বলা কঠিন। কাশ্মীরের আজকের এই পরিস্থিতির জন্য পাকিস্তান বহুলাংশে দায়ী। কাশ্মীরের ছোট একাংশ উগ্র বিচ্ছিন্নতাবাদী মানুষের সহায়তায় পাকিস্তান রাষ্ট্রীয়ভাবে কাশ্মীরের অভ্যন্তরে, এমনকি ভারতের মূল ভূখন্ডে যেভাবে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত তাতে রাজ্যের সম্পদ ও ভৌগোলিক অখ-তা রক্ষা এবং জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা যদি যথা উপযুক্ত হয় তাহলে সেটাকে অযৌক্তিক বলা যায় না। তবে এখন যা করা হলো, যেভাবে করা হলো সেটি যথা উপযুক্ত ও যৌক্তিক কিনা এবং বিজেপি সরকার মুখে যা বলছে সেগুলো আসলে কি অর্জিত হবে, নাকি পরিস্থিতির আরও অবনতি ও রক্তক্ষরণ বৃদ্ধি পাবে সেটাই বড় প্রশ্ন। কিন্তু ভারত অভ্যন্তরীণভাবে আজ কঠিন দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও অস্থিরতার মধ্যে পড়েছে এটাই বাস্তবতা। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, নাগরিকপুঞ্জ এবং কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের অভ্যন্তরে এবং বিশ্ব অঙ্গনে কঠিন বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে এই মর্মে যে, ১৩০ কোটি মানুষের দেশ ও আগামী দিনের বৈশ্বিক নেতৃত্বের প্রত্যাশী ভারত যদি একটি মনোলিথিক ধর্মীয় হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র হয়ে যায় তাহলে সেটি ভারতের জন্য হবে মহাবিপজ্জনক, আর বিশ্বের জন্য হবে বড় দুঃসংবাদ। পতিত সন্ত্রাসী রাষ্ট্র পাকিস্তানের পথ, ভারত অনুসরণ করবে তা যেন কেউ ভাবতে পারছে না। এ রকম শঙ্কা সৃষ্টি হওয়ার পেছনে আরও কারণ আছে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিজেপি সরকারের অনেক কাজকর্মের ভিতরে আরএসএস ও হিন্দু মহাসভার আদর্শ এবং চিন্তা-চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে। এই দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের মূর্তি বানিয়ে যখন মালা দেওয়া হয় তখন এই শঙ্কা আরও বৃদ্ধি পায়। ইউটিউবে দেখলাম বিজেপি নেতা ও থিঙ্কট্যাংক হিসেবে পরিচিত সুব্রামানিয়ান সোয়ামী বলছেন, ভারত ইতিমধ্যেই হিন্দু রাষ্ট্র হয়ে গেছে। সাম্প্রতিকভাবে সংঘ পরিবারের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অনবরত বলে যাচ্ছেন ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার কোনো প্রয়োজন নেই। গুগলে সার্চ দিলেই এই প্রপাগান্ডার বহর দেখা যায়। একটা রাষ্ট্রের সংবিধানে কি থাকবে, কি থাকবে না এবং নাগরিকত্ব আইন কি হবে সেটি ওই রাষ্ট্রের একান্তই অভ্যন্তরীণ বিষয়। একান্ত অভ্যন্তরীণ বিষয় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে এত হৈচৈ সৃষ্টি হওয়ার নিশ্চয়ই সঙ্গত কারণ আছে। সুতরাং ভারতের মতো বৃহৎ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ও মূল্যবোধের প্রভাব বিশ্ব অঙ্গনে পড়বে সেটাই স্বাভাবিক। সে কারণেই ভারতের সাম্প্রতিক ইস্যুগুলো নিয়ে অক্সফোর্ড ইউনিয়নসহ বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানে বহুমুখী আলোচনা ও বিতর্ক চলছে। দ্য ইকোনমিস্টের ইন্টেলিজেন্স শাখার প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৯ সালে গণতন্ত্রের সূচকে ভারত দশ ধাপ নিচে নেমে গেছে। ২৭ জানুয়ারি ভারতে বেসরকারি টেলিভিশন এনডিটির্ভি অনলাইন খবরে প্রকাশিত হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৫০ জন সদস্য সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পাঁচ পৃষ্ঠার এক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ভারতের এই পদক্ষেপ একটি বিপজ্জনক পরিবর্তন যার মাধ্যমে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সংখ্যক রাষ্ট্রহীন মানুষের সীমাহীন মানবিক ভোগান্তির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপিনাথ মন্তব্য করেছেন, ভারতের চলমান অর্থনৈতিক ঝিমুনি অবস্থা বিরাজমান থাকলে বিশ্বের সার্বিক উন্নয়নের হার কমে যাবে শূন্য দশমিক এক শতাংশ।

সুতরাং অভ্যন্তরে বৃহত্তর রাজনৈতিক পক্ষগুলোর প্রবল বিরোধিতা ও বিশ্ব অঙ্গনের আশঙ্কাকে উপেক্ষা করে ভারতকে আগামী দিনে উদার গণতান্ত্রিক শান্তিময় সমৃদ্ধশালী ও প্রত্যাশিত বৈশ্বিক শক্তিতে পরিণত করার লক্ষ্য অর্জন বিজেপি সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়তে পারে। এ এক বিপজ্জনক যাত্রা। বলা যায়, কঠিন বাজি ধরে এগোতে চাইছে ভারতের বিজেপি সরকার।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

এই মাত্র | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

৪৪ সেকেন্ড আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

১৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

২১ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

২৬ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ
স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু

২৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

৪০ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১
বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক
শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক

৪৮ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক
বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন
৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন

৫৪ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সালমান শাহ্ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন
সালমান শাহ্ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

চলন্ত ট্রেনে কেটলিতে নুডলস রান্নাকে করে বিপাকে ভারতীয় নারী!
চলন্ত ট্রেনে কেটলিতে নুডলস রান্নাকে করে বিপাকে ভারতীয় নারী!

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ভূমিকম্পের পর মাগুরায় আতঙ্কে অসুস্থ শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী
ভূমিকম্পের পর মাগুরায় আতঙ্কে অসুস্থ শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় আসছে ‍ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি
ঢাকায় আসছে ‍ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুরে ওয়ানগালা উৎসব শুরু
শেরপুরে ওয়ানগালা উৎসব শুরু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাঙ্গাইলে ভূমিকম্পে আতঙ্কে স্থানীয়রা
টাঙ্গাইলে ভূমিকম্পে আতঙ্কে স্থানীয়রা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’
‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের বিকল্প নেই : আমানউল্লাহ আমান
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের বিকল্প নেই : আমানউল্লাহ আমান

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নাটোর চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু
নাটোর চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালুর পথে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালুর পথে জাপান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে বাউল শিল্পীর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জে বাউল শিল্পীর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেরানীগঞ্জে ভূমিকম্পে হেলে পড়ল ৭ তলা ভবন
কেরানীগঞ্জে ভূমিকম্পে হেলে পড়ল ৭ তলা ভবন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

৩১ দফার ভিত্তিতে সম্প্রীতির দেশ গড়ে তোলা হবে: দুলু
৩১ দফার ভিত্তিতে সম্প্রীতির দেশ গড়ে তোলা হবে: দুলু

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা
শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট
রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

সম্পাদকীয়

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা
কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা

শোবিজ

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা